আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

গ্রিসে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের একজন বাংলাদেশি

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
প্রবাসে বাংলা

Image

ইউরোপের দেশ গ্রিসের ইতিহাসে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ৫৭ জনের তালিকায় এক প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছেন। গত ১ মার্চ গভীর রাতে দেশটির লারিসা শহরের কাছে মর্মান্তিক এ ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান মো. ইদ্রিস (৪০)।

সোমবার (৬ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে গ্রিসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। গ্রিসের লারিসা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিহত ইদ্রিসের কাপড়ের আলামত থেকে ডিএনএসহ বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করে। পরে লারিসা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ দূতাবাসকে বিষয়টি নিশ্চিত করে।

নিহত মো. ইদ্রিস চট্টগ্রাম হাটহাজারী উপজেলার ৮ নম্বর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত সাহেব মিঞার ছেলে।

জানা গেছে, গত ১ মার্চ স্থানীয় সময় মধ্যরাতে প্রায় ৩০০ যাত্রী নিয়ে যাওয়ার পথে একটি ট্রেনের সঙ্গে মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। যাত্রীবাহী ট্রেনটির প্রথম দুটি বগিতে আগুন ধরে যায়। এতে পুরোপুরি ভস্মীভূত হয় বগি দুটি। এ ঘটনাটি গ্রিসের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা বলে বর্ণনা করা হচ্ছে।

ঘটনার পরপরই ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেছেন দেশটির অবকাঠামো ও পরিবহনমন্ত্রী কোস্টাস কারামানলিস। এছাড়া ঘটনার পরপরই লারিসা শহরের স্টেশনমাস্টারকে গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে দায়িত্বে গাফিলতির কারণে নরহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।

এ ঘটনার পর থেকেই খোঁজ মিলছিল না বাংলাদেশি অভিবাসী মো. ইদ্রিসের। তার সহকর্মীরা তাকে না পেয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন। পরে গ্রিসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসকেও অবগত করা হয়। বাংলাদেশ দূতাবাস তাৎক্ষণিক গ্রিসের লারিসা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তখন হাসপাতাল মর্গে বেশ কয়েকটি অজ্ঞাত মরদেহ ছিল। গ্রিসের একটি টিভি চ্যানেলও তার ছবি দিয়ে সংবাদ প্রচার করে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ দূতাবাস এথেন্সের প্রথম সচিব বিশ্বজিৎ কুমার পাল বলেন, খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার বিভিন্ন তথ্য ও ব্যবহৃত কাপড় সংগ্রহ করে। পরে তারা কাপড় নিয়ে ডিএনএ টেস্ট করে নিশ্চিত হয়। পরিচয় শনাক্ত করে দূতাবাসে জানানো হয়। তার লাশ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান।

সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে ভাগ্য বদলের আশায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাড়ি জমিয়েছিলেন মো. ইদ্রিস। পরে সেখান থেকে ইউরোপের দেশ গ্রিসে চলে যান। গ্রিসে বসবাসের অনুমতি পেয়ে পরিবারের মা, ভাইবোনদের নিয়ে ভালোই চলছিল দিনগুলো। প্রায় তিন বছর আগে দেশে ছুটিতে এসে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন ইদ্রিস। তার এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

 


আরও খবর



বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় আড়াই কোটি টাকার টোল আদায়

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও নেই যানজট। মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহন বৃদ্ধির ফলে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে যানবাহন পারাপার ও টোল আদায় স্বাভাবিকের তুলনায় দ্বিগুণ বেড়েছে।

বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিস সূত্র জানায়, রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৬টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ২৯ হাজার ৭৮০ যানবাহন পারাপার হয়েছে এবং টোল আদায় হয়েছে দুই কোটি ৫০ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকা।

এরমধ্যে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব অংশে ১৫ হাজার ৮৫ যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয়েছে এক কোটি ৮৫ লাখ ৪০ হাজার ৫০ এবং সিরাজগঞ্জের সেতু পশ্চিম অংশে ১৪ হাজার ৬৯৪ যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয়েছে এক কোটি ৩২ লাখ ৩৫ হাজার ১৫০ টাকা। সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে দুই হাজার ৭১০।

এবিষয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, যানজট নিরসনে সেতুর উভয় অংশে ৯টি করে ১৮ টোল বুথ স্থাপনসহ মোটরসাইকেলের জন্য চারটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। যানবাহনের চাপ বেড়েছে।


আরও খবর



তোশাখানা মামলায় ইমরান খানের সাজা স্থগিত

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড স্থগিত করেছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট।

সোমবার সাজা স্থগিতের এই রায় দেয় আদালত। ইমরানের তার স্ত্রী বুশরা বিবির সাজাও স্থগিত করা হয়েছে। খবর জিও নিউজের

ইসলামবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমের ফারুক ও বিচারপতি মিয়াঙ্গুল হাসান আওরঙ্গজেব ইমরানের আপিলের শুনানিতে রায় স্থগিতের আদেশ দেন।

আদালতে ইমরানের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার আলি জাফর। এ সময় পাকিস্তানের অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরোর প্রসিকিউটর আমজাদ পারভেজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

একাধিক মামলার রায়ে গত বছরের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। ৩১ জানুয়ারি ইসলামাবাদের একটি দুর্নীতিবিরোধী আদালত ইমরান ও বুশরার বিবিকে এই সাজা দেয়। দেশটির সাধারণ নির্বাচনের মাত্র কয়েক দিন আগে এই রায় ঘোষণা করা হয়। রায় অনুসারে, ইমরান ও বুশরা  বিবিকে দশ বছরের জন্য সরকারি দায়িত্ব পালনে নিষিদ্ধ এবং তাদের প্রত্যেককে ৭৮৭ মিলিয়ন রুপি জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।


আরও খবর



কলেরার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বৈশ্বিক কর্মসূচি ঘোষণা ডব্লিউএইচও’র

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কলেরার প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সেই সঙ্গে পানিবাহিত এই প্রাণঘাতী রোগটি ঠেকাতে বৈশ্বিক কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে সংস্থাটি। গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে বড় আকারের টেস্ট কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।

ডব্লিউএইচওর হিসেব অনুযায়ী, ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে কলেরায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪ লাখ ৭৩ হাজার জন। ২০২৩ সালে সেই সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ তথা ৭ লাখ। চলতি ২০২৪ সালে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আলামত পাওয়া যাচ্ছে।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত দুতিন বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমরা কলেরার অনাকাঙিক্ষত ও উদ্বেগজনক প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করছি। এই প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে কলেরার বৈশ্বিক টেস্ট কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হলো কলেরা নির্ভুলভাবে শনাক্ত করা এবং নিয়মিত নজরদারি এবং কলেরা টেস্ট বিষয়ক সক্ষমতা বাড়ানো।

কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিভিন্ন দেশে কলেরা টেস্টের সরঞ্জাম পৌঁছে যাবে। প্রাথমিকভাবে মালাউই, ইথিওপিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া, জাম্বিয়াসহ মোট ১৪টি দেশে পাঠানো হবে সরঞ্জাম।

এ কর্মসূচিতে অংশীদার হিসেবে আন্তর্জাতিক টিকা সহায়তা সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (গ্যাভি), জাতিসংঘের শিশু নিরাপত্তা ও অধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এবং কলেরা প্রতিরোধ সংক্রান্ত বৈশ্বিক সংস্থা গ্লোবাল টাস্কফোর্স অন কলেরা কন্ট্রোল রয়েছে বলেও জানায় ডব্লিউএইচও।

গ্যাভির কর্মসূচি বিভাগের প্রধান নির্বাহী অরেলিয়া এনগুয়েন এক বিবৃতিতে বলেন, কলেরা প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে যে তৎপরতা চলছে, এ কর্মসূচি তাকে আরও একধাপ এগিয়ে নেবে বলে আমাদের বিশ্বাস।


আরও খবর



ঈদের চাঁদ দেখা নিয়ে যা জানালো আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

রমজান মাস শেষে শাওয়ালের প্রথম দিন মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। কবে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে সেই সিদ্ধান্ত দেবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। তবে এর আগে চাঁদের স্থানাঙ্ক জানায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

গত ২৫ মার্চ বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪৫ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের নতুন চাঁদের স্থানাঙ্ক বিবরণী প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এবার রমজান মাস ২৯ দিনে শেষ হলে ঈদুল ফিতর হবে ১০ এপ্রিল (বুধবার)। আর রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হলে ঈদ হবে ১১ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার)। তবে রমজান মাস ৩০ দিন ধরে ছুটি নির্ধারণ করে রেখেছে সরকার। ঈদুল ফিতর উদযাপনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আগামী ৯ এপ্রিল সভায় বসবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।

আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত শাওয়াল মাসের চাঁদের স্থানাঙ্ক বিবরণীতে বলা হয়েছে, আগামী ৯ এপ্রিল বাংলাদেশ মান সময় রাত ১২টা ২১ মিনিটে অমাবস্যা শেষ হয়ে ১৪৪৫ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের নতুন চাঁদের জন্ম হবে, ওই দিন সূর্যাস্তের সময় চাঁদের বয়স হবে ০.৭৪৮০ দিন এবং সূর্যাস্তের ২২ মিনিট ৭ সেকেন্ড পর পর চন্দ্রাস্ত ঘটবে। ওই দিনই রাত ৯টা ১ মিনিটে প্রতিপদ (প্রথমা) শেষ হয়ে দ্বিতীয়া শুরু হবে।

৯ এপ্রিল চাঁদ দেখার নির্ধারিত সময় ৬টা ৩৮ মিনিট থেকে ৭টা ৫ মিনিট পর্যন্ত বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। অন্যদিকে ১০ এপ্রিল সূর্যাস্তের সময় চাঁদের বয়স হবে ১ দশমিক ৭৪৮৩ দিন এবং সান্ধ্যকালীন গোধুলি শেষ হওয়ার ১ ঘন্টা ২৮ মিনিট ৬ সেকেন্ড পর চন্দ্রাস্ত ঘটবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের একজন আবহাওয়াবিদ নাম প্রকাশ না করে বলেন, ৯ এপ্রিল চাঁদের বয়স থাকবে এক দিনেরও কম। চাঁদ দিগন্তের সঙ্গে মাত্র ৯ ডিগ্রি কোণে উচ্চতায় থাকবে। আকাশে অবস্থানও করবে স্বল্প সময়ের জন্য। তাই খালি চোখে চাঁদ দেখার সম্ভাবনা খুবই কম।

তিনি আরও বলেন, এখন গ্রীষ্মকাল আকাশ মেঘমুক্ত পাওয়াও মুশকিল। ওইদিন যেটুকু চাঁদ দেখার সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিম আকাশ পরিস্কার মেঘমুক্ত না থাকলে সেটাও কাজে আসবে না। ১০ এপ্রিল চাঁদ দেখার সম্ভাবনা বেশি এবং ১১ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতর হতে পারে।

ঈদুল ফিতর উদযাপনের তারিখ নির্ধারণে আগামী ৯ এপ্রিল রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে সভায় বসছে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। তবে ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী, চান্দ্র মাস শুরু হাওয়ার ক্ষেত্রে খালি চোখে চাঁদ দেখার শর্ত রয়েছে।

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি, ৬৪ জেলায় জেলা প্রশাসকদের নেতৃত্বে থাকা জেলা চাঁদ দেখা কমিটির কাছ থেকে তথ্য নেওয়ার পর চাঁদ দেখার সিদ্ধান্ত জানিয়ে থাকে। জেলা চাঁদ দেখা কমিটিতে সদস্য সচিব থাকেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা। ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা জেলা কমিটির মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত জাতীয় কমিটিকে ফোন করে জানিয়ে দেন। জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




স্বস্তি নেই নিত্যপণ্যে, কমেছে পেঁয়াজের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

পবিত্র রমজান মাসে চাহিদা কম থাকায় সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীতে সব ধরনের সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির কারণে দেশের বাজারে দাম কমেছে। সপ্তাহ ব্যবধানে বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যদিও মাছ ও মুরগির বাজার অপরিবর্তিত রয়েছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর শেওড়াপাড়া ও তালতলা বাজার ঘুরে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজ দাম কেজিতে ১০ টাকা কমে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত শুক্রবারও দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমায় খুচরা বাজারে দাম কমেছে বলে জানালেন শেওড়াপাড়ার খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা ব্যবসায়ী আব্দুল রহমান। তিনি বলেন, দুইদিন আগেও আমরা পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। আজ দাম কমায় ৫০ টাকা দরে বিক্রি করছি। তবে বাজারে আলুর দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এসব বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ৮০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়,  শশা ৭০ টাকা, খিরাই ৬০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৩০  থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা এবং সজনে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, বাঁধা কপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, ব্রুকলি ৩০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং গাজর ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে লেবুর হালি ২০ থেকে ৬০ টাকা, ধনেপাতা কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।

এছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৩০ টাকা, মূলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, কলমি  শাক ১০টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজারে ব্রয়লার ব্রয়লার মুরগি থেকে ২০০ থেকে ২০৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে সোনালি ৩২০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৪০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি, লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৫০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১০৫০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।

শুক্রবার বাজারগুলোতে ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা, এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা , মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৯০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়,  তেলাপিয়া ২২০ টাকায়,  কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১২০০ টাকা, বাইম মাছ ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, দেশি কই ১০০০ টাকা, মেনি মাছ ৭০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ১০০০টাকা, বেলে মাছ ৭০০ টাকা এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর