আজঃ রবিবার ১২ মে ২০২৪
শিরোনাম

গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে রেখে পালালেন স্বামী-শাশুড়ি!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কুষ্টিয়ার খোকসার মালি গ্রামের গৃহবধূ মিনার (২০) মরদেহ হাসপাতালে রেখে স্বামী-শাশুড়ি পালিয়ে গেলেন! ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ নিহতের বাবার। 

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের মালিগ্রাম অনলাইন মোড়ে নিজের শোবার ঘর থেকে গৃহবধূ মিনাকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকেরা। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক গৃহবধূকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে অবহিত করে। এর ফাঁকে মৃত গৃহবধূকে হাসপাতালের সিঁড়ির নিচে রেখে স্বামী শামীম রেজা ও শাশুড়ি সুফিয়াসহ অন্য লোকেরা পালিয়ে যান। নিহত গৃহবধূর দুই বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

নিহত গৃহবধূর বাবা আব্দুল মজিদ অভিযোগ করে বলেন, দুপুর ১২টার পর প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানতে পারেন তুচ্ছ পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার সূত্র ধরে মিনাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। স্বামী শামীম ও তার পরিবারের লোকেরা নিহত মেয়ের মৃতদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়। তার মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি মেয়ের হত্যাকারীদের বিচারের দাবি করেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পারিবারিকভাবে ৫ বছার আগে মিনার বিয়ে দেওয়া হয়। সাথে যৌতুকও দেওয়া হয়। কিন্তু অল্প কয়েক মাসের মধ্যে আরো যৌতুকের দাবিতে মিনার ওপর নির্যাতন শুরু হয়। সম্প্রতি মিনাকে বাবার বাড়ি শৈলকূপা থানার সারুটিয়া গ্রামে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ৩-৪ মাস আগে দুই পরিবারের সমঝোতার ভিত্তিতে মিনাকে স্বামীর বাড়ি পাঠানো হয়। কিন্তু দুই পরিবারের মধ্যে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

গৃহবধূর স্বামী ও তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে সোমবার বিকালে মালিগ্রামে যাওয়া হয়। বাড়ির সব ঘর গুলো তালা দিয়ে উঠানের মাঝে বসে বিলাপ করছেন গৃহবধূর শাশুড়ি সুফিয়া বেগম। নিহতের স্বামী শামীম রেজা ভাঙা পায়ের চিকিৎসার ধুয়া তুলে আত্ম গোপনে রয়েছেন। নিহতের দুই বছর বয়সের শিশু শাম্মিকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে।

সুফিয়া বেগম জানান, ইলেকট্রিক জাগে পানি গরম করা নিয়ে শামীমের সাথে মিনার কথাকাটি হয়। এ ঘটনার সূত্র ধরে মিনা তার শোবার ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন। পরে ভিন্ন রাস্তায় ঘরে ঢুকে গৃহবধূ মিনাকে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। লাশ ফেলে পালিয়ে যাওয়া বিষয়ে তিনি বলেন, মিনাকে উদ্ধার করতে গিয়ে শামীমের একটি পা ভেঙে যায়। ছেলের চিকিৎসার জন্য তারা বাড়ি ফিরে আসেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ট্রফি কুন্ডু জানান, গৃহবধূকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তবে পরিবারের লোকেরা জানিয়েছিলেন গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

হাসপাতালে উপস্থিত খোকসা থানার এসআই বিপুল জানান, নিহত গৃহবধূর গলায় দড়ির দাগ রয়েছে। তবে শরীরের অন্য কোথাও আঘাতের তেমন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলে গৃহবধূর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। প্রাথমিকভাবে এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হবে।


আরও খবর



ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুরের মামলা হাইকোর্টে স্থগিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে দায়ের করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি এ মামলার বৈধতা নিয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আনিচ উল মাওয়া।

এর আগে, শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে দায়ের করা মামলা স্থগিত চেয়ে রিট দায়ের করা হয়।

২০২১ সালে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র খামার ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নুর জাহান বেগম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শামসুদ দোহা, বোর্ড সদস্য ইমামুস সুলতান, রতন কুমার নাগ ও শাহ জাহান।

মামলার বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী শামীম আল মামুন জানান, মামলার বাদী অবসর গ্র্যাচুইটি ও অর্জিত ছুটি বাবদ নয় লাখ ৭৫ হাজার ১২৫ টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওনা আদায়ের লক্ষ্যে ড. ইউনূসসহ আরও ছয়জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার বাদী গোলাম মোস্তফা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশন ইউনিট কার্যালয়ের খামার ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেই সময়ে বাদীর অবসর গ্র্যাচুইটি এবং অর্জিত ছুটি নগদায়ন বাবদ পরিশোধ না করে তাকে অবসরে যেতে বাধ্য করা হয়। এছাড়া, পাওনা পরিশোধ করতে প্রতিষ্ঠানটি টালবাহানা করে আসছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।


আরও খবর



হামলার সময় ইসরায়েলকে রক্ষায় সহযোগিতা করেছে সৌদি!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের ছোড়া ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ইসরায়েলকে সহযোগিতা করেছে সৌদি আরব। সৌদিতে ক্ষমতাসীন রাজপরিবারের ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম কেএএন নিউজ।

সৌদি রাজপরিবারের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ইরানের ছোড়া ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সৌদি আরব নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহারের পাশাপাশি ইসরায়েল,যুক্তরাষ্ট্র, জর্ডান, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের সমন্বয়ে গঠিত সামরিক জোটকে সহযোগিতা করেছে।

এই সহযোগিতার কারণ হিসেবে ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, সৌদি আরব মনে করে, গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকে ইরান এই সংঘাত থেকে ফায়দা তোলার পরিকল্পনা করছে এবং সম্প্রতি যে হামলা তেহরান পরিচালিত করেছে, তা সেই পরিকল্পনার অংশ। সৌদি আরব কখনও সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে না। সেই সঙ্গে যেসব দেশ যদি সন্ত্রাসবাদকে মদত দেয়, তাদেরকেও সমর্থন করে না।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসে বোমা হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এতে নিহত হন ১৩ জন। নিহতদের মধ্যে ইরানের সামরিক বাহিনীর এলিট শাখা ইসলামিক রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) দুই জ্যেষ্ঠ কমান্ডার মোহাম্মদ রেজা জাহেদী এবং মোহাম্মদ হাদি হাজি রহিমিও ছিলেন।

হামলার দায় এখন পর্যন্ত ইসরায়েল স্বীকার করেনি। তবে সাক্ষ্য-প্রমাণ যা পাওয়া গেছে,তাতে হামলাটি যে আইডিএফ করেছিল তা পরিষ্কার। গত সপ্তাহে ইরানের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছিলেন এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।

তারপর শনিবার রাত ও রোববার ইসরাইলকে লক্ষ্য করে ৩ শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরানের সামরিক বাহিনী। হামলায় হতাহতের কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। বেশিরভাগ ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার আগেই ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে ইসরায়েলের ৯টি স্থাপনায় ইরানি ড্রোন আঘাত হানতে সফল হয়েছে বলে জানা গেছে।

ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইসরায়েলের সঙ্গে চরম দ্বন্দ্ব রয়েছে ইরানের। সেই দ্বন্দ্ব আরও ব্যাপকভাবে বেড়েছে গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকে।


আরও খবর



গরমে গ্লুকোজ পানি পান করা কি ভালো না ক্ষতিকর

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

তাপদাহের মধ্যে প্রচণ্ড গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত। একদিকে গরমের তীব্রতা অসহ্য, আরেক দিকে প্রচুর ঘাম। আর ঘামের কারণেই পানিশূন্যতা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে তৃষ্ণার কারণে এই সময়ে কম-বেশি সবাই শরীর ঠান্ডা থাকে এমন পানীয় পান করেন। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গ্লুকোজ পানি পান।

তীব্র গরমে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সময়ে বেশি বেশি পানি পান এবং স্যালাইন পানি পানের প্রয়োজন হয়। এ জন্য কেউ বিকল্প হিসেবে গ্লুকোজ পানি পান করেন। গ্লুকোজ পানি উপকারী। কিন্তু কেউ কেউ গ্লুকোজ পানি অনেক বেশি পান করেন। তবে গ্লুকোজ পানি বেশি পরিমাণে পান করা ঠিক কিনা- এ প্রশ্ন অনেকের। এবার তাহলে এই চিকিৎসকের ভাষ্যমতে গ্লুকোজ পানি পানের বিষয়ে জেনে নেয়া যাক।

গ্লুকোজ পানি পান করা উচিত কি: বাজারে সচরাচর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গ্লুকোজ পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, গরমের সময় এ ধরনের গ্লুকোজ পানি শরীরকে সুস্থ রাখে বিভিন্নভাবে। এই গ্লুকোজ শরীরের পানিশূন্যতা দূর করে, লবণের ঘাটতি মেটায় ও শরীরে শক্তি সরবরাহ করে- এমন বিজ্ঞাপন দেখে অনেকেই তা নেন।

সাধারণ মানুষের বিশ্বাস, এ জাতীয় এনার্জি ড্রিংক শরীরের জন্য বেশ উপকারী। কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য শরীরের জন্য গ্লুকোজ পানি উপকারী। যেমন, গরমের সময় যদি হাইপোগ্লাইসেমিয়া অর্থাৎ, রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমে যায়, তাহলে গ্লুকোজ পানি পান করা যেতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, এ জাতীয় গ্লুকোজ পানিতে বিদ্যমান পাউডারে চিনি বা শর্করা থাকে। যা দ্রুত রক্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণও বাড়ায়। এ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য গ্লুকোজ পানি ভালো নয়। আর এ ধরনের শর্করা পরবর্তীতে চর্বিতে রূপ নেয়। তাই রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে তাদের ক্ষেত্রেও ক্ষতিকর গ্লুকোজ।

এছাড়া একজন সুস্থ মানুষ যদি নিয়মিত গ্লুকোজ পানি পান করেন, তাহলে পেটে মেদ জমে এবং মোটা হয়ে যায়। শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বেশি পরিমাণে গ্লুকোজ পানি পানে দাঁতেরও ক্ষয় হয়। সেই সঙ্গে সুগার হার্টের রোগ, ডিমেনশিয়ার মতো জটিল রোগের জন্যও গ্লুকোজ ক্ষতিকর বলে গবেষণায় দেখা গেছে। এ জন্য খুব বেশি প্রয়োজন না হলে এ ধরনের গ্লুকোজ পানি পান না করাই উচিত।

বিকল্প উপায় ও করণীয়: গরমে পানি পান করা হচ্ছে ভালো উপায়। এ জন্য বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পানে গরমে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা রোধ করা যায়। পাশাপাশি স্যালাইন ও ডাবের পানি পান করা যেতে পারে। দুটি পানীয়তেই প্রয়োজনীয় খনিজ লবণ রয়েছে। যা শরীরে দরকারি লবণের ঘাটতি মিটিয়ে থাকে। এছাড়া রকমারি ফলের জুস খেতে পারেন। তবে সেটি ঘরোয়াভাবে তৈরি হলে উত্তম।


আরও খবর



চট্টগ্রামের উন্নয়নে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চাইলেন চসিক মেয়র রেজাউল

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম নগরীর উন্নয়নে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চেয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

রোববার সকালে টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে সিঙ্গাপুরের হাই কমিশনার ডেরেক লোহের সাথে এক মতবিনিময়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

চসিক মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নাগরিক সেবার জন্য ৮২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ৫৬টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিচালনা করছে। এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কারিগরি সহায়তা, প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি সরবরাহের মাধ্যমে চট্টগ্রামবাসীর পাশে সহায়তা করতে পারে। এছাড়া নদী-সমুদ্র-পাহাড়বেষ্টিত চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে কাজে লাগিয়ে পর্যটন সম্ভাবনার বিকাশে সিঙ্গাপুর বিনিয়োগ করতে পারে।

সিঙ্গাপুরের হাই কমিশনার ডেরেক লোহে বলেন, বে-টার্মিনালসহ বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে চায় সিঙ্গাপুর। বন্দর নগরীর সাথে সিঙ্গাপুরের ভৌগলিক মিল থাকায় চট্টগ্রাম সিঙ্গাপুরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে খাদ্য আমদানির পাশাপাশি বিভিন্ন খাতে সহায়তা করতে চায় সিঙ্গাপুর।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ব্যাপারে সিঙ্গাপুরের সফট স্পট রয়েছে। বাংলাদেশের কর্মীরা কঠোর পরিশ্রমী এবং সৎ বিধায় সিঙ্গাপুর বিভিন্ন খাতে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশিকে নিয়োগ দিয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরো দিবে। বিভিন্ন দেশে সিঙ্গাপুর যে কো-অপারেশন প্রোগ্রাম চালায় তার আওতায় চট্টগ্রামের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতের প্রসারে কীভাবে সহায়তা করা যায় তা বিবেচনা করবে সিঙ্গাপুর।

সভায় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক মিচেল লি,  সিঙ্গাপুর হাই কমিশনের চার্জ ডি' অ্যাফেয়ার্স শিলা পিল্লাইসহ সিঙ্গাপুরের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।


আরও খবর



সাভারে রিকশাচালককে পুলিশের মারধর, সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

ভারের আশুলিয়ায় এক রিকশাচালককে ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্যের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ জানান স্থানীয় রিকশাচালকরা।

খবর পেয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও স্থানীয় চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

রোববার (৫ মে) দুপুরে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কে আশুলিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কথা কাটাকাটির জেরে ওই রিকশাচালককে ওই পুলিশ সদস্য মারধর করেন বলে জানা যায়। এরপরই বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ জানান রিকশাচালকরা। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য ও ভুক্তভোগী রিকশাচালকের নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে সড়ক দিয়ে চলাচল করা অটোরিকশা ধরে রেকার বিল করছিলেন ট্রাফিক পুলিশের ওই সদস্য। এ সময় ভুক্তভোগী চালকের রিকশা আটক করা হয়।  কথা কাটাকাটি হলে রিকশাচালককে কিল-ঘুষি মারেন পুলিশের ওই সদস্য। চোখে ঘুষি লাগলে মারাত্মকভাবে আহত হন তিনি।

পরে তাকে উদ্ধার করে কামারপাড়া ইস্টওয়েস্ট মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এরপর রিকশাচালকেরা একত্রিত হয়ে সড়কে নেমে বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে এসে চালকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেন। 

আশুলিয়া ট্রাফিক পুলিশ বক্সের পরিদর্শক মোখলেছুর রহমান বলেন, রিকশাচালকের সঙ্গে হালকা একটু ঝামেলা হইছিল। প্রধান সড়কে তো ওরা আসে, আমরা তো ধরি। বিল করতে গিয়ে এরকম একটু হয়। এ ছাড়া কিছু না। আমরা মারধর করিনি।

তিনি বলেন, রিকশা ধরতে গেলে তারা অনেক সময় থামেন না। তখন চাবি নিয়ে গেলে একটু হাতাহাতি হয়, টানাটানি হয় ওরকম কিছু। এমনি মারধরের কিছু নয়। পরে রিকশাচালকরা সামান্য সময় রোড ব্লক করেন। ৫-১০ মিনিটের মতো ছিলেন। এখন রাস্তা পুরোপুরি ক্লিয়ার। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও আশুলিয়া থানার ওসিও এসেছিলেন।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, রিকশাচালকরা সড়কে নেমে বিক্ষোভ করছেন, এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।


আরও খবর