আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

গর্ভপাত অবৈধ হচ্ছে আমেরিকায়

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ মে ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

গর্ভপাত অবৈধ হতে চলেছে আমেরিকায়। সুপ্রিম কোর্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতি এই মর্মে একটি খসড়া প্রস্তাবে সই করেছেন বলে দাবি আমেরিকার প্রথম সারির একটি সংবাদ সংস্থার। এই প্রস্তাব গৃহীত হলে পাল্টে যাবে গর্ভপাত সংক্রান্ত সে দেশের প্রায় অর্ধশতক পুরনো আইন।

১৯৭৩-এ রো ভার্সেস ওয়েড মামলায় সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন বিচারপতিরা রায় দিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় বা প্রাদেশিক সরকার গর্ভপাত নিষিদ্ধ করতে পারে না। কিছু শর্ত আরোপ করতে পারে মাত্র। এক জন মহিলার নিজের দেহের উপরে একশো শতাংশ নিয়ন্ত্রণ রাখার অধিকার রয়েছে। তাই সরকারি নিষেধাজ্ঞার চোখরাঙানি এড়িয়ে তাঁরা গর্ভপাত করাতেই পারেন। সেই থেকে আমেরিকার প্রতিটি প্রদেশে গর্ভপাতে অনুমতি দেওয়া হয়।

সব থেকে কড়া শর্ত রয়েছে টেক্সাসে। সেখানে গর্ভসঞ্চারের ছসপ্তাহের পরে আর গর্ভপাত করানো যায় না। কিন্তু ক্যালিফর্নিয়ার মতো প্রদেশে পরিস্থিতি বুঝে যখন হোক গর্ভপাত করানোর অনুমতি দেওয়া রয়েছে। আমেরিকান সংবাদ সংস্থাটির দাবি, সুপ্রিম কোর্টের খসড়া প্রস্তাবে ১৯৭৩-এর সেই রায় সম্পূর্ণ খারিজ করে বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি মানুষের নয়, গর্ভপাত সম্বন্ধে বলার অধিকার রয়েছে শুধু সরকারের।

প্রবল দক্ষিণপন্থী বিচারপতি স্যামুয়েল অ্যালিটোর লেখা এই খসড়া প্রস্তাব গৃহীত হলে আগামী এক মাসের মধ্যে কম পক্ষে ২৬টি প্রদেশে গর্ভপাত সম্পূর্ণ অবৈধ হয়ে যাবে বলে মত আইন বিশেষজ্ঞদের। শুধু তা-ই নয়, চাইলে সেই প্রদেশ থেকে সীমানা পেরিয়ে অন্য প্রদেশে গিয়ে গর্ভপাত করানোর বিষয়েও নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে প্রাদেশিক সরকারগুলি।

দিন কয়েক আগেই সুপ্রিম কোর্টের প্রথম মহিলা কৃষ্ণাঙ্গ বিচারপতি হিসেবে কেটানজি ব্রাউন জ্যাকসনের নাম মনোনীত করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিন্তু এখনও দেশের শীর্ষ আদালতের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতিই দক্ষিণপন্থী রিপাবলিকান এবং তাঁরা বরাবরই গর্ভপাতকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার বিরুদ্ধে।

ওই দক্ষিণপন্থী বিচারপতিদের মধ্যে অন্তত তিন জন আবার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। এই খসড়া প্রস্তাব লিখেছেন যে বিচারপতি স্যামুয়েল অ্যালিটো তাঁকে আবার মনোনীত করেছিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ জুনিয়র। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেও গর্ভপাতের বিরুদ্ধে আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন এবং গর্ভপাত যে অবিলম্বে অবৈধ ঘোষণা করা উচিত, সেই মর্মে একাধিক বক্তৃতাও দিয়েছেন।

আদালতের এই খসড়া প্রস্তাব প্রকাশ্যে আসার পরে সরব হয়েছেন ডেমোক্র্যাটেরা। আজ প্রেসিডেন্ট বাইডেনের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউস। সেখানে বলা হয়েছে, আদালত যদি সত্যিই (গর্ভপাত বিষয়ে) রো-র সিদ্ধান্ত নাকচ করে দেয়, তা হলে মহিলাদের অধিকার রক্ষা করার দায়িত্ব এসে পড়বে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উপরে। হাউস ও সেনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিনিধি যদি গর্ভপাতের পক্ষে রায় দেন, তা হলে আমার প্রশাসন নতুন আইন আনার জন্য লড়ে যাবে।

হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার, প্রবীণ ডেমোক্র্যাট নেত্রী ন্যান্সি পেলোসি এবং সেনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা চাক শুমার একটি যৌথ বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, এই রিপোর্ট সত্য হলে, এটি সুপ্রিম কোর্টের অন্যতম জঘন্য সিদ্ধান্ত হবে। শুধু মহিলাদের নয়, এই সিদ্ধান্ত প্রতিটি দেশবাসীর অধিকার খর্ব করবে। রিপাবলিকানদের নিয়োগ করা বিচারপতিদের এই পদক্ষেপের কঠোর বিরোধিতা করছি। গোটা রিপাবলিকান দলের সমালোচনা করে এই বিবৃতিতে উল্লেখ, লিঙ্কন ও আইজেনহাওয়ারের দল এখন ট্রাম্পের দলে পর্যবসিত হয়েছে। যে সব রিপাবলিকান সেনেটর ট্রাম্প-পন্থী বিচারপতিদের মনোনয়নে সায় দিয়েছিলেন, আমেরিকার মানুষের কাছে তাঁরা জবাব দিন।


আরও খবর



অঞ্জনাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠালেন ডিপজল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

আসন্ন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অভিনয়শিল্পীদের মাঝে লড়াইটা জমে উঠেছে। ইতোমধ্যেই দুইটি প্যানেলে দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছেন শিল্পীরা।

যাদের একাংশ গেছেন অভিনেতা মিশা ও ডিপজলের দলে। অন্যরা গেছেন চিত্রনায়িকা নিপুণের প্যানেলে। তাদেরই একজন চিত্রনায়িকা অঞ্জনা। এবারের নির্বাচনের নিপুণের প্যানেলে থেকে লড়বেন তিনি।

এসব তো গেল পুরোনো খবর, নতুন খবর হচ্ছে- ধারের টাকা পরিশোধ না করায় চেক ডিসঅনারের জন্য নায়িকা অঞ্জনাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল।

ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, অঞ্জনা গত বছর ডিপজলের কাছ থেকে নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ধার নেন। ছয় মাসের মধ্যে ধার পরিশোধ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। তবে ছয় মাস পার হয়ে গেলেও তিনি টাকা ফেরত দেননি। ডিপজল টাকা ফেরত চাইলে তিনি এ বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি ডিপজলকে ডাচবাংলা ব্যাংকের একটি চেক দেন। তবে ২৫ ফেব্রুয়ারি অঞ্জনার অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় চেকটি ডিসঅনার হয়।

মূলত এ কারনেই গত ২৩ মার্চ টাকা পরিশোধ করার জন্য অঞ্জনাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান ডিপজল। লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার এক মাসের মধ্যে অঞ্জনাকে পুরো অর্থ ফেরত দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। অন্যথায়, অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে অঞ্জনার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



‘কোক স্টুডিও বাংলা’ তৃতীয় সিজনের প্রথম গান ‘তাঁতি’

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

তাঁতী শিরোনামের গানের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করল কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় সিজন। প্রথম গানে কণ্ঠ দিয়েছেন শায়ান চৌধুরী অর্ণব, গঞ্জের আলী ও ওলি বয়। চমক হিসেবে পাওয়া গেল দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানকে।

ব্যাকগ্রাউন্ড শিল্পী হিসেবে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। গানের ভিডিওতে মাইক্রোফোন হাতে পর্দায় এসেছেন জয়া। শতরূপা ঠাকুরতা রায়, গঞ্জের আলী ও লুইস অ্যান্থনির লেখা এই গান প্রযোজনা করেছেন তৃতীয় সিজনের মিউজিক কিউরেটর শায়ান চৌধুরী অর্ণব।

তৃতীয় সিজনের প্রথম গান নিয়ে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কোক স্টুডিও জানিয়েছে, তাঁতী একজন শিল্পী, কাপড়ের বুননে যিনি ফুটিয়ে তোলেন আমাদের সংস্কৃতির সমৃদ্ধ ইতিহাস। কাপড় বোনার সময় একধরনের ছন্দ তৈরি হয়। তাঁতের শব্দের সঙ্গে প্রতিটি সুতা যেন হয়ে ওঠে গানের এক একটি চরণ। আর প্রতিটি চরণ এই ঐতিহ্যকে বহন করে নিয়ে চলে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে।

এই শব্দ, এ বিষয়টিই তুলে ধরা হয়েছে কোক স্টুডিও বাংলার নতুন গানটিতে। তাঁতি গঞ্জের আলীর সঙ্গে অর্ণবের সুর মিলে গানটি এই শৈল্পিকতাকে প্রকাশ করেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ওলি বয়ের অ্যাফ্রোবিটের ফিউশন। বাংলাদেশে বসবাসকারী নাইজেরিয়ান এই শিল্পীর পরিবেশনা গানটিতে যোগ করেছে নতুন মাত্রা।

তৃতীয় সিজনে থাকবে বিভিন্ন ধারার শিল্পীদের পরিবেশিত নানা ধরনের মোট ১১টি গান। প্রথম দুই সিজনের মতোই এই সিজনেও মিউজিক কিউরেটর হিসেবে আছেন শায়ান চৌধুরী অর্ণব। সংগীত প্রযোজক হিসেবে তাঁর সঙ্গে আরও থাকবেন প্রীতম হাসান, ইমন চৌধুরী, শুভেন্দু দাশ শুভ এবং অন্যরা।


আরও খবর



নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আরও ৫০ বিজিপি সদস্যের অনুপ্রবেশ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে নতুন করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে মিয়ানমান সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) প্রায় ৫০ জন সদস্য। বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়া জানায়, গত কয়েক দিন ধরে দুই-একজন করে মিয়ানমারের বিজিপি, সেনা সদস্য প্রবেশ করছিল। তবে আজ সকাল থেকে বিভিন্ন সময় ১৮ জন অনুপ্রবেশ করে। আর রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী আরকান আর্মির সঙ্গে ওই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে বেশ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গোলাগুলির একপর্যায়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) প্রায় ৫০ সদস্য বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করে।

এ নিয়ে গত কয়েকদিনে মিয়ারমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিজিপি) ও সেনা সদস্য মিলে প্রায় ৮০ জনের মত বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের সেনা-বিজিপির ১৮ সদস্য পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। মঙ্গলবার সকালে রেজু আমতলীপাড়া সীমান্ত দিয়ে ২ জন এবং জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১০ জন বাংলাদেশে ঢুকেছেন। এরপর দুপুরে বাইশফাড়ি সীমান্ত দিয়ে আসেন আরও ১ জন প্রবেশ করে।

সর্বশেষ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জমছড়ি সীমান্ত দিয়ে আরও ৫ জন ঢোকেন। এ ১৮ জনের মধ্যে বিজিপির ছাড়াও সেনা সদস্য রয়েছেন। আজ রাতে আরও প্রায় ৫০ জনের মত সদস্য নতুন করে অনুপ্রবেশ করে।

তবে কোনো বাহিনীর কত জন সদস্য তা এখন বলা যাচ্ছে না। এদের কাছ থেকে অস্ত্র জমা নিয়ে বিজিবি তাদের হেফাজতে নিয়েছে। এখন নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবির হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।


আরও খবর



পাকিস্তানে ভারী বর্ষণ ও বজ্রপাতে নিহত ৩৯

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কয়েক দিন ধরে অস্বাভাবিক ভারী বর্ষণ ও বজ্রপাতে অন্তত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের অনেকেই মাঠে গম চাষের সময় বজ্রাহত হয়েছিলেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে বৃষ্টির পানিতে ডুবে থাকা ফসলের মাঠ দেখা যায়। আকস্মিক বন্যার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও পরিবহন ব্যবস্থায়ও বিঘ্ন দেখা দিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পাকিস্তানে চরম আবহাওয়া বিপর্যয় বেড়ে চলেছে।

২০২২ সালে আকস্মিক বন্যায় দেশটির বেশ কয়েকটি এলাকা সম্পূর্ণ পানিতে ডুবে যায়। এতে ১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয় এবং আহত হয় আরও কয়েক হাজার। ওই সময় বন্যার কারণে কয়েক লাখ মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে এবং কয়েক মাস ধরে সুপেয় পানির অভাবে ভুগতে থাকে।

খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তানসহ ২০২২ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কিছু এলাকা সাম্প্রতিক ঝড়ের কারণে আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়ার পূর্বাভাসের সঙ্গে ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যার হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।

পাকিস্তানের সবচেয়ে জনাকীর্ণ প্রদেশ পাঞ্জাবে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি নিহতের ঘটনা ঘটেছে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুসারে, গত শুক্রবার থেকে রোববারের মধ্যে প্রদেশটিতে বজ্রপাতে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির সর্ব পশ্চিমের প্রদেশ বেলুচিস্তানে অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রদেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল সোমবার ও আজ মঙ্গলবার বেলুচিস্তানের স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

বেলুচ উপকূলীয় শহর পাসনির বেশির ভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

শহরের মিউনিসিপ্যাল কমিটির চেয়ারম্যান নূর আহমেদ কালমাতি পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডনকে বলেন, বসতি এলাকায় এবং প্রধান বাণিজ্যিক অঞ্চলে আকস্মিক বন্যা দেখা দেওয়ায় পাসনিকে এই মুহূর্তে একটি বড় হ্রদের মতো দেখাচ্ছে।

পার্শ্ববর্তী দেশ আফগানিস্তানেও ভারী বন্যার খবর পাওয়া গেছে। গত রোববার আফগান কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃষ্টির কারণে অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শত শত বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, পাকিস্তানে ২০২২ সালের বন্যায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নেরও ভূমিকা ছিল। জাতিসংঘের গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্স অনুসারে, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য পঞ্চম সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে স্থান পেয়েছে পাকিস্তান।


আরও খবর



দেশব্যাপী টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা, মে মাসে মিলতে পারে স্বস্তি

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশব্যাপী টানা ২৯ দিন ধরে চলছে তাপপ্রবাহ। চলমান এ তাপপ্রবাহ আরও দুইদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক।

তিনি বলেন, গত ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে এবারের তাপপ্রবাহ। ১৯৯২ সালেও মাস জুড়ে টানা তাপপ্রবাহ হয়েছিল। তবে তার বিস্তৃতি এবারের মতো ছিল না। মে মাসের প্রথম সপ্তাহ দেশব্যাপী টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল, ময়মনসিংহসহ ঢাকা বিভাগে এই বৃষ্টির প্রকোপ বেশি থাকবে।

সোমবারের আবাওহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, যশোর ও রাজশাহী জেলা সমূহের ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নওগাঁ, পাবনা ও নীলফামারী জেলাসহ খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এ সময় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।


আরও খবর
আজ ঢাকায় কখন বৃষ্টি হবে

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4