আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

গত ২৪ ঘন্টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে সংক্রমণের হার কমেছে

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ জুন ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ০৬ জুন ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার কমেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিভাগ। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী শুক্রবারের তুলনায় শনিবার সংক্রমণ হার ১৪ ভাগ কমেছে। শুক্রবার এ জেলায় গড় সংক্রমণের হার ছিলো ৫৫.১৫ ভাগ, যেটা শনিবার ছিল ৪০.৬৮ ভাগ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন জাহিদ নজরুল চৌধুরী বলেন, শনিবার (৫ জুন) ৩৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৪২ জনের করোনা শনাক্ত হয়, সে হার ছিলো ৪০.৬৮ ভাগ।

এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে চলমান ২য় দফা লকডাউনের ৬ষ্ঠ দিনে মানুষের চলাচল আগের দিনগুলোর চাইতে বেড়েছে। জেলার কার্যক্রমও স্বাভাবিক রয়েছে। সকাল থেকে পুলিশের ৫০টি চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করছে তারা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন জাহিদ নজরুল চৌধুরী বলেন, করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ২৪৩ জন শনিবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এখন পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া ২৪৮৯ জনের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৪৬৪ জন। সুস্থতার হার ৫৮.৮১ ভাগ।

এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্যকর্মকর্তা ডা. আহনাফ শাহরিয়ার বলেন, শনিবার বিকালে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ৪৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছে।


নিউজ ট্যাগ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ

আরও খবর



বুলেট-বোমা, ক্ষুধায় বিষণ্ন ঈদ গাজায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম পালনের পর ধর্মীয় এ উৎসবকে সামনে রেখে চারদিকে আনন্দ-উল্লাস। তবে বিশ্বে এমনো এক প্রান্ত রয়েছে যেখানে শুধুই স্বজন হারানোর হাহাকার। বাতাসে লাশের গন্ধ। বিধ্বস্ত কংক্রিটের ভাঁজে ভাঁজে রক্তের ছাপ। ধূলিসাৎ হয়ে গেছে মসজিদ, পার্ক, ঐতিহাসিক ভবনসহ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। বুলেট-বোমা, ক্ষুধায় এবার বিষণ্ন ঈদ গাজায়। বাড়িতে খাবার নেই। নতুন পোশাক নেই। জীবনেরও কোনো নিয়শ্চয়তা নেই। ইসরাইলের অমানবীয় অত্যাচারে আনন্দহীন ঈদ কাটাবে গাজাবাসী। আলজাজিরা।

গাজা উপত্যকায় যা ঘটছে তা প্রত্যক্ষ করা হৃদয়বিদারক। ইহুদিবাদীরা তাদের পৈশাচিক আচরণ এবং ঘৃণ্য পেশা দিয়ে শোক ও বেদনাকে ছড়িয়ে দিয়েছে গাজায়। অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে শুধুই দুর্ভিক্ষ। অনেকেই স্বজন হারিয়ে একাকী ঈদের দিনটি কাটাবে। তবুও অসংখ্য গাজাবাসীর আশায় দিন কাটাচ্ছে তাদের দুঃখের অবসান হবে। তাদের মতে, শহিদদের রক্ত ইসরাইলের বর্বর সামরিক দখলদারিত্ব থেকে মুক্তির পথকে উন্মুক্ত করে দেবে।

এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে ফিরতে শুরু করেছেন সেখানকার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা। সোমবার দলে দলে ফিলিস্তিনিরা বিধ্বস্ত শহরে ফিরছেন। দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী আংশিক সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর এই ফিরে আসা শুরু হয়েছে। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে। খান ইউনিসে অনেকেই নিজের শহরকে চিনতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন।

ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অসংখ্য ভবন, অ্যাপার্টমেন্ট ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব হারিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্কুল ও হাসপাতাল। সড়কগুলোতে বুলডোজার চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। বাস্তুচ্যুত হওয়া নাজওয়া আয়াশ নামের আরেকজন বলেছেন, তার পরিবারের অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের তৃতীয়তলায় তিনি যেতে পারছেন না। কারণ সিঁড়ি নেই। ধ্বংসস্তূপ বেয়ে উপরে ওঠে তার ভাই সন্তানদের জন্য কিছু জিনিসপত্র নিয়ে এসেছেন। বাসেল আবু নাসের আরেক বাসিন্দা বলেছেন, শহরটি ধ্বংসনগরী হয়ে গেছে। জীবনের কোনো স্পন্দন নেই। তারা কিছুই অবশিষ্ট রাখেনি।

যুদ্ধবিধ্বস্ত অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজাতে ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে এক কোটি লিটার জ্বালানি পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ইরাক সরকার। এছাড়া গাজার আহত ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ এবং তাদের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।

রোববার ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি এ ঘোষণা দেন। এক বিবৃতিতে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী জানান, তার দেশ গাজার বাসিন্দাদের জন্য এক কোটি লিটার জ্বালানি পাঠাবে। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে জ্বালানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে গাজা উপত্যকায়। জ্বালানির অভাবে সেখানকার হাসপাতাল, পানি ব্যবস্থাপনা, বেকারি ও ত্রাণ কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। তাই ফিলিস্তিনি নাগরিকদের সুবিধার্থে এই সহায়তা দিচ্ছে ইরাক।

অন্যদিকে অবরুদ্ধ গাজায় ৩০০টিরও বেশি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। সোমবার এই ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রতিদিন ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের সর্বোচ্চ সংখ্যা এটি। দুর্ভিক্ষগ্রস্ত অঞ্চলটিতে খাদ্য সহায়তা প্রবেশের জন্য ইসরাইলকে ক্রমবর্ধমানভাবে চাপ দিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এরই মধ্যে দেশটি সোমবার ফিলিস্তিনি এই ভখণ্ডে ৩২২টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করানোর কথা জানিয়েছে। তবে অঞ্চলটির অনাহারে ভোগা লাখ লাখ ফিলিস্তিনির জন্য গাজায় সোমবার প্রবেশ করা এই সংখ্যক ট্রাক যথেষ্ট নয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া একটি বিবৃতিতে ইসরাইলের কোঅর্ডিনেটর অব গভর্নমেন্ট অ্যাক্টিভিটিস ইন দ্য টেরিটরি (সিওজিএটি) বলেছে, ত্রাণবাহী গাড়িবহরের ২২৮টি ট্রাকে খাদ্যপণ্য ছিল। এই ট্রাকগুলো মোট সংখ্যার ৭০ শতাংশ। রাফাহ থেকে আলজাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজউম জানিয়েছেন, অন্য ট্রাকগুলোও কারেম আবু সালেম সীমান্ত দিয়ে গিয়েছিল। এই সীমান্তটি ইসরাইলিদের কাছে কেরেম শালোম নামে পরিচিত। তিনি বলেন, মানবিক সহায়তা বহনকারী গাড়ি বহরের অধিকাংশ গাড়িই পানি, চিনি, আটা ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বোঝাই ছিল।


আরও খবর



বিএনপি ক্ষমতায় গেলে গোটা দেশ গিলে খাবে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি-জামায়াতের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক ও সাবধান থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এরা ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব গিলে খাবে, গণতন্ত্র গিলে খাবে, মানুষের নিরাপত্তা গিলে খাবে, গোটা বাংলাদেশ গিলে খাবে।

শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে মতিঝিল টিএন্ডটি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে শেখ হাসিনার নির্দেশে যুবলীগের ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এখন গলার জোড় আর মুখের বিষ ছাড়া শক্তিহীন হয়ে পড়েছে। শক্তি যখন কমে যায় তখন মুখের বিষ বেড়ে যায়। শক্তি কমে গেছে, নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি, আন্দোলনের ব্যর্থ হয়েছে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথা ব্যথার কারণ নেই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় আছেন ততদিন গণতন্ত্র, স্বাধীনতা নিরাপদ থাকবে এই কথা আমি গভীর প্রত্যয়ের সঙ্গে বলতে চাই।

তিনি বলেন, প্রতিদিন সকালে উঠে পত্রিকায় তাকালেই দেখি মির্জা ফখরুল বলছেন দেশে এক ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে, কোথায়? বাংলাদেশের একটা লোক না খেয়ে মরেছে? সংকট আছে, কষ্ট আছে। দুনিয়ার অনেক দেশের চেয়ে আমরা ভাল আছি, আল্লাহর রহমতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকের সংকট কেটে যাবে আশা করি।

শেখ হাসিনা মানবিক নেত্রী উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা কত মানবিক নেত্রী, যেখানে আওয়ামী লীগের মত বড় দলের বড় বড় পার্টি করার কথা। আমরা পার্টি করছি না, শেখ হাসিনা বলেছেন ইফতার গরিবের মাঝে বিতরণ করতে হবে। অথচ বিএনপি-জামায়াত এক সাথে ইফতার পার্টি করে, আওয়ামী লীগের গীবত গায়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। সভা সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।


আরও খবর



প্রতিদিন লিপস্টিক ব্যবহার করেন? জেনে নিন কী হয়

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

প্রায় সব নারীরই সাজের অন্যতম অংশ হলো লিপস্টিক। পোশাক, অন্যান্য অনুষঙ্গ, ব্যক্তিত্ব আর রুচি অনুযায়ী নারীরা লিপস্টিকের রং নির্বাচন করেন। যারা লিপস্টিক পছন্দ করেন তাদের একটি বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি। তা হলো, নিয়মিত লিপস্টিক ব্যবহারের অভ্যাস আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে, কীভাবে? লিপস্টিকে বেশ কিছু বিপজ্জনক উপাদান রয়েছে যা মানুষের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এবং বেশ কিছু স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।

আপনি কি জানেন যে খাবার খাওয়ার সময় লিপস্টিক শরীরে প্রবেশ করে? কেউ লিপস্টিক ব্যবহার করে ভুলবশত তা গিলে ফেললে অ্যালুমিনিয়াম, ক্রোমিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো বিপজ্জনক পদার্থও পেটে চলে যায়। তাই আপনার লিপস্টিকটি এই ধরনের বিপজ্জনক উপাদান মুক্ত কি না তা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত লিপস্টিক ব্যবহারের ৩টি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নিন-

শুষ্ক এবং ফাটা ঠোঁট : লিপস্টিক ঠোঁট শুকিয়ে ফেলতে পারে এবং ঠোঁট ফাটার কারণ হতে পারে। এটি উদ্বেগের বিষয়। এক্সফোলিয়েশন এবং ময়েশ্চারাইজেশনের মতো নিয়মিত ঠোঁটের যত্ন নেওয়া জরুরি। এগুলো লিপস্টিক ব্যবহারের ফলে তৈরি শুষ্কতা রোধ করতে সাহায্য করে।

অ্যালার্জি : কোনো কোনো লিপস্টিক হতে পারে ব্যবহারকারীর অ্যালার্জির কারণ। বিশেষ করে সস্তা এবং নন ব্র্যান্ডেড লিপস্টিক ব্যবহার করলে এ ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। স্বনামধন্য প্রসাধনী সংস্থাগুলি কঠোর নিরাপত্তা অনুসরণ করে তাদের পণ্যগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষার পর বাজারে আনে। তাই সেগুলো ব্যবহারে অ্যালার্জির ভয় কম।

পিগমেন্টেশন : লিপস্টিক পরলে কারও কারও ঠোঁটের প্রাকৃতিক রঙ পরিবর্তন হতে পারে। তবে জেনেটিক্স এবং ইউভি এক্সপোজার ঠোঁটের পিগমেন্টেশন নির্ধারণে একটি প্রধান ভূমিকা পালন করে। লিপস্টিক ব্যবহার করার পাশাপাশি ভালো মানের সানস্ক্রিন ঠোঁটের প্রাকৃতিক রঙ ধরে রাখতে সাহায্য করতে পারে।


আরও খবর



লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে রকেট হামলা

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবদুলহামিদ আল-দাবিবাহের বাসভবনে রকেট হামলা হয়েছে। তবে এ হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লিবিয়ার একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ওই মন্ত্রী বলেন, গতকাল রোববার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে রকেটচালিত গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে ভবনটির একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

রাজধানী ত্রিপোলির দুই নাগরিক রয়টার্সকে জানান, ত্রিপোলির বিলাসবহুল হে আন্দালুস পাড়ার সমুদ্র তীরবর্তী জায়গায় তারা বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। ওই এলাকায় প্রধানমন্ত্রী দবেইবার বাসভবন রয়েছে। এ ঘটনার পর হে আন্দালুস পাড়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ায় ২০১১ সালে ন্যাটো অভিযান শুরু করে। এরপর ২০১৪ সালের দিকে পূর্ব লিবিয়া ও পশ্চিম লিবিয়াদুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় দেশটি। দুই অংশের আলাদা আলাদা প্রশাসনের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত বৈরি।

প্রধানমন্ত্রী দিবেইবার নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যের সরকার বিরোধ মেটানোর চেষ্টা করছে। ২০২১ সালে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল দেশটিতে। কিন্তু সেই নির্বাচন এখনো অনুষ্ঠিত হয়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, খুব শিগগির লিবিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম।

চলতি মাসের শুরুর দিকে লিবিয়ার গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতারা বলেছিলেন, তারা একটি নতুন ঐক্যবদ্ধ সরকার গঠনের ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন। কারণ দিবেইবা জানিয়েছেন, তিনি জাতীয় নির্বাচন ছাড়া নতুন সরকারের হাতে ক্ষমতা করবেন না।


আরও খবর



জাতির জনকের সমাধিতে বিএসএমএমইউ’র নবনিযুক্ত ভিসির শ্রদ্ধা নিবেদন

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)র নবনিযুক্ত উপাচার্য প্রখ্যাত চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নূরুল হক শুক্রবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।

পরে জাতির পিতাসহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানার দীর্ঘায়ু কামনা এবং দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এরপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সের বঙ্গবন্ধু ভবনে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নূরুল হক। এরপর তিনি টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদি পৈতৃক বাড়ি ও বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজরিত স্থান সমূহ পরিদর্শন করেন।

পরে সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত বঙ্গবন্ধুর পরিবারের শহীদ সকল সদস্যের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং উপাচার্য হিসেবে তাঁকে নিয়োগ দেয়ায় বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম মেডিক্যাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়কে সমগ্র বিশ্বের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে ও দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণে সর্বশক্তি নিয়োগ কথা উল্লেখ করে চিকিৎসাসেবা, গবেষণা ও শিক্ষায় বিশ্বমান নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেন। এসময় তিনি সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে চিকিৎসাসেবায় স্টেট অব আর্ট খ্যাত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গরূপে দ্রুত চালুর ঘোষণা দেন।

এ সময় সম্মানিত উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ মনিরুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল, হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান, চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোঃ শওকত কবীর, লিভার রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, সাবেক রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, অধ্যাপক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু, অধ্যাপক ডা. এইচএম জহিরুল হক সাচ্চু, অধ্যাপক ডা. একেএম সালেক, অধ্যাপক ডা. সুভাষ কান্তি দে, অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুন্ডু, অধ্যাপক ডা. তোহিদ মো. সাইফুল হোসেন দিপু, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোঃ রেজাউর রহমান, স্বাচিপ নেতা সহযোগী অধ্যাপক ডা. আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার টিটো, সহযোগী অধ্যাপক ডা. কেএম তারিকুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক ডা. রেজাউল আমিন, অতিরক্তি রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন সিদ্দিক, সহকারী অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেন সুমন, অতিরিক্ত পরিচালক ডা. পবিত্র কুমার দেবনাথ, ডা. আশরাফুজ্জামান সজীব, ডা. জাহান শামস নিটোল, ডা. সমরেশ চন্দ্র সাহা, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, টুঙ্গিপাড়া পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফোরকান বিশ্বাস, পুলিশ সুপার আলবেলী অফিফা, উপাচার্যের জ্যেষ্ঠ সন্তান আসিফ মোহাম্মদ নূর, কন্যা জারা দীন নূর,  একান্ত সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম পলাশ, জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার মজুমদার, আইন কর্মকর্তা এ্যাডভোকেট তানিয়া আক্তার প্রমুখসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স, কর্মচারীবৃন্দ, স্বাচিপ এর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের চিকিৎসকবৃন্দ, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের পরিবারের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)র নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নূরুল হক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে পৌঁছানোর পর তাঁকে স্বাগত গোপালগঞ্জ জেলার স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী সংগঠনসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ স্বাগত জানান।

উল্লেখ্য, বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নূরুল হক এর পিতা হলেন মরহুম মাহতাব উদ্দিন আহমেদ এবং মাতা মরহুমা আফজালুন্নেছা। ব্যক্তি জীবনে তিনি ৫ সন্তানের পিতা। তাঁর সন্তানদের মধ্যে রয়েছেন-পুত্র দীন মোহাম্মদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ মোহাম্মদ নূর, ফার ইস্ট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক রিসাত মোহাম্মদ নূর, মেডিকেল স্টুডেন্ট জাদিত মোহাম্মদ নূর, মেডিকেল স্টুডেন্ট তৌসিফ মোহাম্মদ নূর এবং একমাত্র কন্যা স্টুডেন্ট জারা দীন নূর। তাঁর সহধির্মিনী হলেন মিসেস রোজিনা হক। তাঁর গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার হোসেন্দী মধ্যপাড়া ও মিরাপাড়া গ্রামে।

 তিনি ১৯৫৫ সালের ১লা সেপ্টেম্বরে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষা জীবনে এমবিবিএস, এফসিপিএস (চক্ষু), রয়েল আলেকজান্দ্রা হাসপাতাল, পেইজলী, ইউকে থেকে চক্ষু বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, জার্মানী, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, চীন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিংগাপুর, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, নেপাল ইত্যাদি দেশে আন্তর্জাতিক সভা, সেমিনার ও প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। কর্মজীবনে তিনি ১৯৮১ সালে চকুরীতে যোগদান করেন। এ সময় তিনি অধ্যাপক (চক্ষু), স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকা, অধ্যাপক (চক্ষু), ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, পরিচালক ও অধ্যাপক, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা, লাইন ডাইরেক্টর, ন্যাশনাল আই কেয়ার (জাতীয় অন্ধ নিবারণ কর্মসূচী), মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ পদে সফলতার সাথে শিক্ষকতাসহ দায়িত্ব পালন করেছেন।


আরও খবর