রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বাসায় শিকলে
বেঁধে রেখে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় প্রেমিক সানসহ চার
আসামিকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন
ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত সবার নাম
যেন অভিযোগপত্রে আসে তা নিশ্চিত করতে তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন আদালত।
রিমান্ড যাওয়া আসামিরা হলেন- সান, হিমেল,
রকি ও সালমা ওরফে ঝুমুর।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার
সাব ইন্সপেক্টর ফারুকুল ইসলাম আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন
করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ
জামিনের বিরোধিতা করে রিমান্ডের পক্ষের শুনানি করেন।
শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেন,
আসামি সান ঘটনার বিষয়ে কিছু জানে না। আসামির সঙ্গে বাদীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ে
না করার কারণে এই মামলা সৃষ্টি হয়েছে। এরপর সান আদালতের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি কিছুই জানি
না। আমি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নেই। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে
বিচারক বলেন, ‘যত বড় ব্যক্তি হোক না কেন, সংশ্লিষ্টদের সবার নাম
যেন অভিযোগপত্রে আসে।’
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকে
আসামির তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
অভিযোগ উঠেছে, রাজধানীর মোহাম্মদপুরের
একটি বাসায় শিকলে বেঁধে রেখে ২৫ দিন ধরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয় এক তরুণীকে। নবীনগর
হাউজিংয়ের একটি বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণের অভিযোগে গত ৩১ মার্চ
রাতে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী তরুণী। এর আগে তরুণীর চিৎকার শুনে জাতীয়
জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে এক ব্যক্তি কল করলে পুলিশ ওই তরুণীকে শিকলে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার
করে। পরে ওই তরুণী মামলা করেন।