আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

গুদামে আগুন, পুড়ে ছাই হলো ৪ হাজার মণ পাট

প্রকাশিত:বুধবার ২১ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের একটি পাটের গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গুদামে থাকা প্রায় চার হাজার মণ পাট পুড়ে গেছে। একই সঙ্গে পাশের তিনটি বাড়িও পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. আরিফ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার মহিমাগঞ্জ বাজারের আজাহার আলীর পাটগুদামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার সকালে হঠাৎ গুদামে আগুন লাগে। এ সময় আগুন মুহূর্তে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। পাশের তিনটি বাড়িতেও আগুন লাগে। সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ক্ষতিগ্রস্ত গুদাম মালিক আজাহার আলী জানান, বুধবার সকালে আমার গুদামে এ ঘটনা ঘটেছে। কীভাবে গুদামে আগুন লেগেছে সেটি এখনও জানি না। আমার কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

এ বিষয়ে কর্মকর্তা মো. আরিফ হোসেন জানান, বুধবার সকালে সংবাদ পেয়ে তিনটি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষতির পরিমাণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।


আরও খবর



৭ ঘণ্টায়ও নেভেনি মুন্সীগঞ্জের সুপার বোর্ড কারখানার আগুন

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার হোসেন্দীর সিকিরগাঁওয়ে সুপার বোর্ড কারখানায় লাগা ভয়াবহ আগুন এখনো নেভেনি। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট ছাড়াও দুটি জাহাজ চেষ্টা করেও আগুন নেভাতে পারেনি।

কর্তৃপক্ষ বলছে, ২০১৩ সালে এই ফ্যাক্টরিতে লাগা আগুন পুরোপুরি নেভাতে সময় লেগেছিল ৫ দিন। অপরদিকে, আগুনের কারণ উদঘাটনে জেলা প্রশাসন ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

গজারিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন অফিসার ইনচার্জ রিফাত মল্লিক জানান, দুপুর ১টার দিকে ওই কারখানায় আগুন লাগে। রাত ৮টা পর্যন্ত আগুন পুরোপুরো নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করছে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকাল থেকে ওই কারখানায় কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। দুপুর ১টার দিকে কারখানায় আগুন দেখা যায়। এ সময় শ্রমিক ও স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। কারখানার পাশেই নদীতে পাটখড়ি বোঝাই তিনটি ট্রলার ছিল। এক পর্যায়ে কারখানার আগুনে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার তিনটি পুড়ে যায়।

প্রতিষ্ঠানের কর্মী আবুল কাসেম বলেন, কারখানার ভেতরে প্রচুর পাটখড়ি ও কাঠের গুড়া ছিল। সকালে কাজ করেছিলাম। প্রতিষ্ঠানের এক পাশে সামান্য আগুন দেখা যায়। পরে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। পাটখড়িতে লাগা আগুন মুহূর্তেই সম্পূর্ণ কারখানায় ছড়িয়ে যায়। পরে প্রতিষ্ঠান ভেতর আমরা যারা ছিলাম, তারা নিরাপদে বেরিয়ে আসি।

হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু বলেন, কারখানাটিতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ ছিল না। এ বিষয়ে আমরা একাধিকবার তাদের সতর্ক করলেও তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি।

এ বিষয়ে টিকে গ্রুপের ডিরেক্টর মো. সফিউল আতাহার তাসলিম জানান, আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব হয়নি। একদিনে এ আগুন নেভানো সম্ভব হবে না বলে মনে হচ্ছে। ক্ষতির পরিমাণ এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।

গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার বলেন, আগুন সম্পূর্ণ বন্ধ না হলেও নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে শুরু করেছে। তবে কী কারণে, কীভাবে আগুন লেগেছে বা কতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, জানা যায়নি।


আরও খবর



সব বাধা ডিঙিয়ে আল-আকসায় তারাবিতে ফিলিস্তিনিদের ঢল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুর ঝুঁকি। কারণ ইসরাইলি সেনারা বন্দুক হাতে দাঁড়িয়ে আছে আল-আকসা মসজিদের ভেতরে বাইরে। কোনো কারণ ছাড়া গুলি করছে। এতে প্রতিদিন শত শত ফিলিস্তিনি নিহত হচ্ছেন। এত নির্যাতনের পর তারা দমে যায়নি। বরং যেটুকু শক্তি আছে তার সঙ্গে সাহসকে সঙ্গি করে স্বাধীনতার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। তার প্রমাণ আবার মিলল আল-আকসা মসজিদে তারাবির জামায়াতে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নারী-পুরুষের অংশগ্রহণের মধ্যমে।

জানা যায়, রমজানের প্রথম দিন পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে নামাজ পড়তে আসেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি।

সোমবার (১১ মার্চ) ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থানে নামাজ আদায় করেন তারা। ভেতরে প্রবেশের সুযোগ না পেয়ে বাইরে জামাতে সালাত আদায় করেন অনেকে। ওয়াফার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।

ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি আল-আকসা মসজিদে নামাজ আদায় করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা ওয়াফাকে জানিয়েছে, অনেক যুবককে মসজিদে প্রবেশ করতে বাধা দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

এর আগে, রোববার (১০ মার্চ) রমজানের প্রথম তারাবি পড়তে গেলে ফিলিস্তিনিদের বাধা দেয় নিরাপত্তাকর্মীরা। এমনকি লাঠিচার্জ আর ধরপাকড়ও চালায়। তৈরি হয় ব্যাপক বিশৃঙ্খলা।

গত মাসে এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনিদের রমজানের শুরুতে আল আকসায় মিছিল করার আহ্বান জানিয়েছিলেন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া। মসজিদ কম্পাউন্ডে নতুন করে কড়াকড়ির ঘোষণা দেয় ইসরায়েলি প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, আল-আকসা মসজিদ মুসলমানদের কাছে ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। ইহুদিরা এলাকাটিকে টেম্পল মাউন্ট বলে। প্রাচীনকালে দুটি ইহুদি মন্দিরের স্থান এখানে ছিল বলে দাবি তাদের।

১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ জয়ের মধ্য দিয়ে আল আকসার নিয়ন্ত্রণ হারায় মুসলমানরা। জায়গাটি দখল করে ইসরায়েল। এর আগে, এটি জর্ডানের শাসকদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। বর্তমানে আকসা কমপ্লেক্স ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও মসজিদ পরিচালিত হয় জর্ডান-ফিলিস্তিনের একটি ওয়াকফ প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে।

বর্তমানে এ মসজিদে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত। এর প্রবেশপথগুলোতে মোতায়েন করা থাকে ইহুদি দখলদার সেনা। ইসরায়েলের মুসলিম বাসিন্দা এবং পূর্ব জেরুজালেমে বসবাসরত ফিলিস্তিনিরা মসজিদুল আকসায় প্রবেশ ও নামাজ আদায় করতে পারেন। যদিও গাজার অধিবাসীদের জন্য বিধিনিষেধ অনেক বেশি কঠোর।


আরও খবর



হাসপাতালে ভর্তি অভিনেতা সব্যসাচী

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী। এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা।

এদিকে, টলিপাড়ায় এ খবর জানার সাথে সাথেই চিন্তা পরে গেছেন সবাই।

সব্যসাচীর কী হয়েছে তা জানতে সব্যসাচীর স্ত্রী মিঠু চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, এ বিষয়ে খুব বেশি কথা বলতে রাজি হননি। তবে সব্যসাচী যে হাসপাতালে ভর্তি সেই বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।

সম্প্রতি পুত্র গৌরব ও পুত্রবধূ ঋদ্ধিমা ঘোষের সন্তান ধীরের অন্নপ্রশনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সব্যসাচী। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সব কিছুর তদারকি করেছেন। নাতির সঙ্গে সময় কাটাতে যে পছন্দ করেন সব্যসাচী, সে কথাও এর আগে আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছিলেন গৌরব। আপাতত সব্যসাচীর শারীরিক অসুস্থতার খবরে চিন্তিত অনুরাগীদের একাংশ।

গত বছর শোনা গিয়েছিল, সব্যসাচী নাকি আর অভিনয় করবেন না। বাংলাদেশের একটি সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানিয়েছিলেন অবসর নেয়ার কথা। তবে, পরে তিনি আনন্দবাজার অনলাইনকে জানান, তার বক্তব্যের অন্য মানে বার করা হয়েছে। অভিনয় কম করলেও তিনি যে অবসর গ্রহণ করেননি, সে কথাও স্পষ্ট করেছিলেন অভিনেতা। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, তিনি শুভ্রজিৎ মিত্র পরিচালিত দেবী চৌধুরাণী ছবিতে অভিনয় করছেন।


আরও খবর
বাংলাদেশে আসছেন আতিফ আসলাম

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

চেক প্রতারণার পৃথক তিন মামলায় ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সোমবার (০৪ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারাহ দিবা ছন্দার আদালত এ আদেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী সাকিবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে এসব মামলায় তাদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়। আসামিরা হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এর আগে এ মামলায় তাদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়। ওইদিন আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে বুধবার (১৭ জানুয়ারি) তিনি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত রাসেলের জামিন মঞ্জুর করেন। একই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন আদালতে হাজির হননি।

এদিকে আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মাদ রাসেল গত রবিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারের জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার কার্যক্রমে অংশ নেন।

সেখানে তিনি বলেন, ইভ্যালির কাছে প্রত্যেক পাওনাদারের দেনা পরিশোধ করা হবে। এক্ষেত্রে যারা অভিযোগ করেছেন অথবা যারা অভিযোগ করেননি সবাইকেই তালিকা অনুযায়ী টাকা পরিশোধ করা হবে।


আরও খবর



আত্মসমর্পণের বিকল্প নেই সোমালি জলদস্যুদের: পান্টল্যান্ড পুলিশ

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মিকারী সোমালি জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ ছাড়া উপায় নেই বলে জানিয়েছে মালিয়ার পান্টল্যান্ড পুলিশ।

যে জলদস্যু দল সাগরে থাকা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ নিয়ন্ত্রণ করছে, তাদের সঙ্গে ভূমির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে অভিযান শুরু করা হয়েছে। সোমালিয়ার স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পান্টল্যান্ডের নুগাল পুলিশ বিভাগের কমান্ডারের বরাত দিয়ে বিবিসি সোমালি শুক্রবার (২২ মার্চ) এ খবর দিয়েছে।

পুলিশ কমান্ডার মোহাম্মদ আলী আহমেদ মারদুউফ বলছেন, এমভি আবদুল্লাহ এখন আছে জিফলের উপকূলীয় এলাকায়।

তিনি বলেন, জলদস্যুদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য আমরা পূর্বাঞ্চলে একটি অভিযান শুরু করেছি, যাতে তারা এই এলাকার ভূমি থেকে আর কোনো সহযোগিতা না পায়। আমরা এখন তীরে আছি। আমাদের পরিকল্পনা হল, জলদস্যুরা যাতে নিজেদের সংগঠিত করতে না পারে এবং এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে যারা আছে, তারা যাতে তীর থেকে আর কোনো সাহায্য না পায়। সমুদ্রের অংশে তারা আন্তর্জাতিক বাহিনীর ঘোরওয়ের মধ্যে আছে। তাই সেদিক থেকেও তারা বিচ্ছিন্ন।’

পুলিশ কমান্ডার মারদুউফ আরও বলেন, জাহাজে থাকা জলদস্যুদের হাতে এখন দুটি বিকল্প আছে। হয় তাদের পান্টল্যান্ড কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করে কৃতকর্মের জন্য শাস্তি ভোগ করবে, অথবা আগের জাহাজ, অর্থাৎ বিদেশি বাহিনী যেমন এমভি রুয়েন থেকে জলদস্যুদের ধরে নিয়ে গেছে, সেই পরিণতি ভোগ করতে হবে।’

গত বছরের নভেম্বর থেকে ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুর যে প্রায় দুই ডজন জাহাজে হামলা করেছে, তার মধ্যে সর্বশেষ দস্যুদের হাতে জিম্মি হয়েছে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।

মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাত যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরের সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ২৩ নাবিকের সবাইকে জিম্মি করে। নাবিকরা সবাই বাংলাদেশি।

নুগাল পুলিশ প্রধান মারদুউফ বলেন, জাহাজ ও ক্রুদের বাঁচাতে যেকোনও অভিযানে অংশ নিতে তারা প্রস্তুত।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, পান্টল্যান্ড পুলিশ কয়েক দিন আগে একটি নৌযান জব্দ করে, যাতে করে আবদুল্লাহ জাহাজে থাকা জলদস্যুতের জন্য খাত’ নামের এক ধরনের মাদক সরবরাহ করা হচ্ছিল।

জলদস্যুদের যে দলটি আবদুল্লাহকে দখল করে রেখেছে, সেই দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতারও করেছে স্থানীয় পুলিশ।

বিবিসি সোমালি জানিয়েছে, পান্টল্যান্ড কর্তৃপক্ষ নিজেদের উপকূল জলদস্যুমুক্ত করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে মাঠে নেমেছ।

এদিকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সোমালিয়া উপকূলে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আবদুল্লাহর কাছেই একটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের কথা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেভাল ফোর্স-ইইউএনএভিএফওআর এর আটলান্টা অপারেশন।

ইউরোপীয় এই বাহিনী বৃহস্পতিবার রাতে এক বার্তায় বলেছে, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে দস্যুতার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। তিনটি বাণিজ্যিক শহর জাহাজে হামলা হয়েছে। যার মধ্যে একটি এমভি আবদুল্লাহ এখনও জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে আছে। ওই এলাকায় আটলান্টা অপারেশনের যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন আছে।’

মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্স এ ইইউএনএভিএফওআরের পোস্টের সঙ্গে যুক্ত একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিওতে এমভি আবদুল্লাহর অদূরে অপারেশন আটলান্টার যুদ্ধ জাহাজটি অবস্থান করতে দেখা গেছে। এছাড়া আবদুল্লাহর কাছাকাছি চক্কর দিচ্ছিল একটি হেলিকপ্টার।


আরও খবর