ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয়
প্রদেশ মহারাষ্ট্রের গোথানে গ্রামের কাছের এক গহীন জঙ্গলে বিশেষ প্রজাতির একটি গুই
সাপকে (বেঙ্গল মনিটর লিজার্ড) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই জঙ্গলের একমাত্র গুই সাপটিকে
ধর্ষণের পর রান্না করে খাওয়ার অভিযোগ ইতিমধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করেছে মহারাষ্ট্র
পুলিশ।
মহারাষ্ট্রের
সহিদারি টাইগার রিজার্ভে এই ঘটনা দেশটিতে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। প্রায় সাড়ে
৪ ফুট দীর্ঘকায় এই সাপটির সঙ্গে যৌনাচারে অভিযুক্ত চারজন হলেন, সন্দীপ তুকারাম, পাওয়ার
মঙ্গেশ, জনার্দন কামটেকার এবং অক্ষয় সুনীল।
প্রদেশের বন অধিদফতরের
কর্মকর্তারা বলেছেন, অবৈধভাবে ওই চার ব্যক্তি বনে ঢুকে শিকার করছিলেন। পরে তাদের ফোন
তল্লাশি করে দেখা যায়, চারজন মিলে বনের একমাত্র বেঙ্গল মনিটর লিজার্ডটিকে ধর্ষণ করেছেন।
অভিযুক্তদের ফোনে এই ধর্ষণের ভিডিও রয়েছে।
জঙ্গলের বিভিন্ন
জায়গায় থাকা সিসিটিভি ফুটেজে প্রাথমিকভাবে সাপটিকে ধর্ষণের ঘটনা ধরা পড়ে। পরে সেই ফুটেজ
দেখে শনাক্ত করার পর অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
এই ঘটনার তদন্ত
করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্ত চারজন আসলে চোরাশিকারী। শিকারের উদ্দেশ্যে জঙ্গলে
যান তারা। বিভিন্ন ধরনের পশুপাখি শিকার করেন এবং সেসবের ছবিও পাওয়া গেছে তাদের ফোনে।
ভারতের বন্যপ্রাণী
সুরক্ষা আইন-১৯৭২ অনুযায়ী, বেঙ্গল মনিটর লিজার্ড মহারাষ্ট্রের ওই জঙ্গলের সংরক্ষিত
একটি প্রাণী। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই চারজনের ৭ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। এর
পাশাপাশি চোরাশিকারের অভিযোগ প্রমাণিত হলে পৃথক সাজাও হতে পারে তাদের।
অভিযুক্ত চারজনকে গত ১ থেকে ৫ এপ্রিলের মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের বন
বিভাগের কর্মকর্তারা অভিযুক্তদের ফোনে গুই সাপটিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা ও রান্না
করে খাওয়ার ছবি এবং ভিডিও পেয়েছেন।
বন বিভাগের কর্মকর্তা
বিশাল মালি বলেছেন, এমন অপরাধ আমি কখনও দেখিনি। অভিযুক্তদের সবার বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের
মধ্যে। তারা মজা করার জন্য এটি করেছে বলে মনে হচ্ছে। এতে ধর্মীয় অথবা কালো জাদুর মতো
কোনো বিষয় ছিল না।
দেশটির বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন-১৯৭২ এর আওতায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনা করা হয়েছে।