আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

গুজরাটকে হারিয়ে ফাইনালে চেন্নাই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

১৭৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮৮ রানের মাথায় নেই ৪ উইকেট। মূলত সেখানেই ম্যাচটা হাতছাড়া হয় গুজরাট টাইটান্সের। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হার্দিক পান্ডিয়া-ডেভিড মিলারদের ব্যাট হাসেনি। যার ফলে ঠিকঠাক লড়াইটাও করা হয়নি গতবারের চ্যাম্পিয়নদের। ব্যাটারদের পর বোলারদের নৈপুণ্যে ১৫ রানের জয়ে চলমান আইপিএলের ফাইনালে উঠল চেন্নাই সুপার কিংস।

আইপিএলে প্লে-অফ মানেই যেন চেন্নাইয়ের আধিপত্য। আইপিএলের ১৫ আসরের ৯টিতেই ফাইনাল খেলেছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্লে-অফের স্নায়ুচাপ তাদের জন্য নতুন কিছু নয়। সেই চাপকে কাজে লাগিয়ে গুজরাটকে হারিয়ে রেকর্ড দশমবারের মতো আইপিএলের ফাইনাল নিশ্চিত করল মহেন্দ্র সিং ধোনির দল।

গতকাল মঙ্গলবার (২৩ মে) চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করে ৭ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৭২ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায় চেন্নাই। জবাবে সব উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রানে বেশি তুলতে পারেনি গুজরাট।

আরও পড়ুন>>শেষ রক্ষা হলো না বেঙ্গালুরুর

চলতি আইপিল জুড়েই দুর্দান্ত ফর্মে ছিল চেন্নাইয়ের ওপেনাররা। এই ম্যাচেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে আস্থার প্রতিদান দেন চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও ডেভন কনওয়ে। গড়েন ৮৭ রানের উদ্বোধনী জুটি। এরপর দলীয় ৮৭ রানে মোহিত শর্মার বলে ডেভিড মিলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৪৪ বলে ব্যক্তিগত ৬০ রানে ফেরেন গায়কোয়াড়।

গায়কোয়াড়ের বিদায়ের পর মাত্র তিন রানের ব্যবধানে দ্বিতীয় ধাক্কা খায় চেন্নাই। এবার ৩ বলে ১ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন শিবাম দুবে। দ্রুতই দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। আজিঙ্কা রাহানেকে নিয়ে সেই চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন কনওয়ে। যদিও খুব বেশিক্ষণ প্রতিরোধ গড়তে পারেননি তারা। দলীয় ১২১ রানের মাথায় ১০ বলে ১৭ করে আউট হন রাহানে। তার বিদায়ের চার রানের মাথায় ফেরেন কনওয়ে। বাঁহাতি এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে আসে ৩৪ বলে ৪০ রান।

এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও শেষদিকে রবীন্দ্র জাদেজা ও আম্বাতি রাইডুদের দৃঢ়তায় ৭ উইকেটের বিনিময়ে স্কোরবোর্ডে ১৭২ রান দাঁড় করায় সিএসকে।

গুজরাটের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ শামি ও মোহিত শর্মা।

ফাইনালে যাওয়ার লক্ষ্যে জবাব দিতে নেমে প্রত্যাশিত শুরু করতে ব্যর্থ গুজরাটের দুই ওপেনার শুভমান গিল ও ঋদ্ধিমান সাহা। দলীয় ২২ রানের মাথায় ১১ বলে ১২ রান করে আউট হন সাহা। শুরুতে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া গুজরাট চাপ সামাল দেওয়ার আগেই ফের উইকেট হারায়।

এবার আউট হন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। ৭ বলে ৮ রান করেন এই হার্ডহিটার ব্যাটার। পান্ডিয়ার বিদায়ে বেশ চাপে পড়ে গুজরাট। দাসুন শানাকাকে নিয়ে সেই চাপ সামালের কাজটা করেন গিল। খুব বড় জুটি না গড়তে পারলেও এই দুইজনের ব্যাটে কিছুটা স্বস্তি পায় গুজরাট।

দলীয় ৭২ রানে ১৬ বলে ১৭ করে শানাকার আউটে বিপদ বাড়ে গুজরাটের। এরপর আর কোনো ব্যাটারই ক্রিজে থিতু হতে পারেনি। দলীয় ৮৮ রানের মিলারের বিদায়ে মহাবিপদে পড়ে গুজরাট। মিলারের পর একই ওভারে ফেরেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা গিল। আউটের আগে গিলের ব্যাট থেকে আসে ৩৮ বলে ৪২ রান।

গিলের বিদায়ের পর কার্যত জয়ের আশা শেষ হয়ে যায় গুজরাটের। এরপর বিজয় শঙ্কর ও রশিদ খান মিলে শেষ প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। তাতে খুব বেশি লাভ হয়নি। ১৫৭ রানে থামতে হয় তাদের।


আরও খবর
গেইলের রেকর্ড ভেঙে রোহিতের ইতিহাস

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




আদালত প্রাঙ্গণে মিছিল-সমাবেশ বন্ধে আপিল বিভাগের লিখিত আদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের সব আদালত প্রাঙ্গণে কোনো ধরনের মিছিল-মিটিং বা সমাবেশ না করার বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় কঠোরভাবে অনুসরণের নির্দেশনা দিয়ে লিখিত আদেশ প্রকাশ করেছেন আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ চার বিচারপতির সই করার পর এ আদেশ প্রকাশ করা হয়েছে। আদেশে বিএনপির সাত আইনজীবী নেতাসহ সব আইনজীবীকে মিছিল-মিটিং না করার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় কঠোরভাবে মেনে চলতে বলা হয়েছে।

গত ৩০ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণসহ দেশের সব আদালতে কোনো ধরনের মিছিল-সমাবেশ না করার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় কঠোরভাবে অনুসরণের জন্য আইনজীবীদের নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

একই সঙ্গে জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলীসহ বিএনপির সাত আইনজীবীনেতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানি ১৯ অক্টোবর দিন ধার্য করেন আদালত।

এর আগে গত বুধবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। এসময় অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

২০০৫ সালে বিচারপতি আব্দুল মতিন ও বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের মিছিল-সমাবেশ না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই রায় কঠোরভাবে আপিল বিভাগ আইনজীবীদের মেনে চলতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথি।

গত ২৯ আগস্ট আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করায় বিএনপির সাত আইনজীবীনেতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন দায়ের করা হয়। আইনজীবী নাজমুল হুদার পক্ষে অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি এ আবেদন করেন।

বিএনপিপন্থি ওই সাত আইনজীবী নেতা হলেন- জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল।

গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় বিচারপতিরা শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ উল্লেখ করে বক্তব্য দেওয়ায় আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। এছাড়া ওই দুই বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখতে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ নিয়ে মিছিল-সমাবেশও করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবী নেতারা।


আরও খবর



ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৮’শ ছাড়াল, হাসপাতালে ভর্তি আরও ২৫৯৮

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের, আর ঢাকার বাইরে ৯ জন। এ সময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ৫৯৮ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৮৮১ জন এবং ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৭১৭ জন। চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মোট ৮০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আজ শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০ হাজার ৩৩০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। ঢাকার হাসপাতালে ৪ হাজার ২০৪ জন এবং ঢাকার বাইরে ৬ হাজার ১২২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৬৪ হাজার ৫৬২ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে ঢাকায় ৭২ হাজার ৩৮৪ জন এবং ঢাকার বাইরে ৯২ হাজার ১৭৮ জন। এদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৪২৮ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৬৭ হাজার ৬২৪ জন এবং ঢাকার বাইরে ৮৫ হাজার ৮০৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।

চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মোট ৮০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্ষা মৌসুমের আগেই এত মৃত্যু এর আগে দেখেনি বাংলাদেশ। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ছয়জনের মৃত্যু হয়। ফেব্রুয়ারিতে মৃত্যু হয় দুজনের। মার্চে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কোনো মৃত্যুর ঘটনা না ঘটলেও এপ্রিল ও মে মাসে দুজন করে মারা যায়।

জুন মাসে এসে ভয়াবহ আকার ধারণ করে ডেঙ্গু। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়। জুলাই মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারায় ২০৪ জন। আগস্ট মাসে ৩৪২ জনের মৃত্যু হয়। আর চলতি সেপ্টেম্বর মাসের ১৬ দিনে মারা যায় ২১১ জন।


আরও খবর
ডেঙ্গুতে ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৩৫৭

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশে এই প্রথম ডেঙ্গু টিকার সফল পরীক্ষা

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে সরকার বদ্ধপরিকর: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগ সরকার দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, এদেশে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষ যুগ যুগ ধরে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি-ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। সকল শ্রেণি-পেশা, সম্প্রদায়ের জনগণের উন্নয়নই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে আমরা সব সম্প্রদায়ের মানুষের মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ জীবনযাপন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি।

আজ বুধবার জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বী সবাইকে জন্মষ্টমী উপলক্ষে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ ও শিক্ষা বাঙালির হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে। শ্রীকৃষ্ণের মূল লক্ষ্য ছিল সমাজে ভ্রাতৃত্ব এবং সাম্য প্রতিষ্ঠা করা।

তিনি আরও বলেন, শ্রীকৃষ্ণ আজীবন শান্তি, মানবপ্রেম ও ন্যায়ের পতাকা সমুন্নত রেখেছেন। তিনি তার জীবনাচরণ এবং কর্মের মধ্য দিয়ে মানুষের আরাধনা করেছেন।

সরকারপ্রধান বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট, উন্নত, অসাম্প্রদায়িক এবং শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে তুলব। প্রতিষ্ঠা করব সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ। বাণীতে দেশের সব নাগরিকের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।


আরও খবর



জাতিসংঘের গভীর সমুদ্র বিষয়ক চুক্তিতে সই করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

গভীর সমুদ্রে সম্পদ আহরণ ও সুষ্ঠু ব্যবহার সংক্রান্ত একটি জাতিসংঘ চুক্তিপত্রে সই করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় সময় বুধবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বায়োলজিক্যাল ডাইভারসিটি অব এরিয়াস বিয়ন্ড ন্যাশনাল জুরিসডিকশন-বিবিএনজে নামে এ চুক্তিতে সই করেন প্রধানমন্ত্রী। এর মাধ্যমে সমুদ্র সম্পদের সুষ্ঠু সংরক্ষণ ও আহরণে বাংলাদেশের যে প্রতিশ্রুতি ছিল সেটি আরও দৃঢ় হলো।

চুক্তিপত্রে যারা সই করবে ও অনুস্বাক্ষর করবে তাদেরকে গভীর সুমদ্রে ভাসমান সম্পদ আহরণের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।

এ নিয়মগুলো হলো- মেরিন প্রটেকটেড অঞ্চলে সম্পদ আহরণ করা যাবে না; উন্নয়নশীল দেশগুলো যাতে গভীর সমুদ্রে সম্পদ আহরণ করতে পারে সেজন্য সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে হবে; অতিরিক্ত মাত্রায় মাছ ধরা যাবে না; পরিবেশের ওপর প্রভাব পর্যালোচনা করতে হবে; সমুদ্র দূষণ রোধ করতে হবে ও গবেষণার জন্য অর্থ ব্যয় করতে হবে। 

আরও পড়ুন>> অতীতের ভুল এড়িয়ে সম্মিলিত শিক্ষা নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

চুক্তিপত্র অনুযায়ী, ২০০ নটিক্যাল মাইলের পরে ভাসমান সম্পদ, যা মেরিন জেনেটিক রিসোর্সেস নামে পরিচিত হবে। অন্য কোনো দেশ বা কোম্পানি আহরণ করলে তার একটি অংশ ওই অঞ্চলের মালিকানা দেশ পাবে।

জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী, যে কোনো দেশের তটরেখা বা উপকূল থেকে ৩৫০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত যে সমুদ্র রয়েছে সেটির ওপর ওই দেশের সার্বভৌম অধিকার রয়েছে। এরমধ্যে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত পানিতে ভাসমান অর্থাৎ মাছসহ অন্যান্য সম্পদ এবং সমুদ্রের তলদেশে যে সম্পদ রয়েছে তার মালিক ওই দেশ। কিন্তু ২০০ নটিক্যাল মাইলের পরে শুধু সমুদ্রের তলদেশে যে সম্পদ রয়েছে, তার মালিকও ওই দেশ।


আরও খবর



যশোর বোর্ডে প্রথম হলেন কুষ্টিয়ার ছেলে শেফাত

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

Image

যশোর বোর্ড থেকে ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুল মেধা তালিকায় প্রথম হয়েছেন মোঃ আহসানুল হক শেফাত। কুষ্টিয়া জিলা স্কুল থেকে তিনি বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। যশোর বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকা থেকে এ তথ্য জানা যায়। ঢাকা নটর ডেম কলেজে চান্স পেয়ে ইতিমধ্যে তিনি সেখানে ভর্তি হয়েছেন।

কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ এফতে খাইরুল ইসলাম বলেন, শেফাত মেধাবী এবং খুব পরিশ্রমী। ডায়নামিক একটি ছেলে। ভবিষ্যতে আরও সাফল্য তার জন্য অপেক্ষা করছে।

ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক মোঃ মারুফ হাসান বলেন, খুবই ভালো ছেলে। প্রায় সময় শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের কাছে পরিচিত মুখ। স্কুলে পড়ার সময় পড়ালেখার পাশাপাশি সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকত। অনেকবার জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।

জানা গেছে, কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার চাঁপড়া ইউনিয়নের ছেঁউড়িয়া বিশ্বাসপাড়া গ্রামে জন্ম মোঃ আহসানুল হক শেফাতের। বাবা এনামুল হক ও মা শেফালী বেগমের একমাত্র আদরের ছেলে। শিক্ষার হাতেখড়ি হয় ভাই ইঞ্জিনিয়ার সেলিম হক এর হাত ধরে। আনুষ্ঠানিক শিক্ষা জীবন শুরু হয় স্থানীয় সোনালী প্রিপারেটরি স্কুল মিলপাড়া কুষ্টিয়া।

২০১৭ সালে পিএসসি পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় নিজ ইউনিয়নে প্রথম হয় শেফাত। একই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২৩ এর বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পাস করেন। মাধ্যমিক পর্যন্ত নিজের গ্রামেই পড়ালেখা করেছেন তিনি। এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে সর্বোচ্চ ফলাফল করেন।

শেফাত বলেন, আমার পিতা-মাতাসহ শিক্ষক ও সহপাঠীবৃন্দ সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় আজ আমি এই পর্যায়ে আসতে পেরেছি। শিক্ষক এবং সহপাঠীর কারণে স্কুলের সময়টা আমার ভালোই কেটেছে। তাই আমি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর অশেষ রহমত এবং বাবা মা ও ভাইয়ের দোয়া আমার সাথে আছে। শিক্ষকমন্ডলী এবং বিশেষ কিছু মানুষের অনুপ্রেরণা সবসময় আমাকে উজ্জীবিত করেছে। আমি তাঁদের প্রতিও কৃতজ্ঞ প্রকাশ করছি।

স্কুলের সময় থেকে শেফাত বিভিন্ন সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমের সাথে যুক্ত ছিলেন। ইসলামী গজল, আজান, কোরআন তেলাওয়াত, বিতর্ক, বক্তৃতা, রচনা, কুইজ ও সংগীতসহ ইত্যাদি ক্ষেত্রে তার বিচরণ রয়েছে। ২০২৩ সালে বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতায় শেফাত বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন।

নিজের ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে শেফাত বলেন, যে পেশাতে থাকি না কেনো, নিজের দায়বদ্ধতা ও দায়িত্বশীলতা থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করবো। সর্বোপরি একজন ভালো মানুষ হতে চাই।


আরও খবর
স্বরূপকাঠিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩