ঢাকাই চলচ্চিত্রের
আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনির বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশানের অল কমিউনিটি ক্লাবে ভাঙচুরের
অভিযোগ উঠেছে।
৭ জুন গভীর রাতে
অভিনেত্রী পরীমনি যে ওই ক্লাবে গিয়েছিলেন, তার একটি সিসিটিভির ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে,
পরীমনির সঙ্গে আসা ব্যক্তিটি হাফপ্যান্ট ও স্যান্ডেল পরে ক্লাবে এসেছেন। এতে বাধা দেওয়ায়
উত্তেজিত হয়ে ভাংচুর করেছেন পরীমনি ও তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন। গণমাধ্যমে এ অভিযোগ অস্বীকার
করেছেন পরীমনি।
বুধবার সন্ধ্যায়
গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন ক্লাবটির প্রেসিডেন্ট কে এম আলমগীর ইকবাল। তিনি বলেন, পরীমনি সেই রাতে ১৫টি গ্লাস, নয়টি স্ট্রে
এবং অনেকগুলো হাফপ্লেট ছুড়ে মেরে ভেঙেছেন। ঘটনার দিন পরীমনির সঙ্গে এক ভদ্রলোক ছিল
হাফপ্যান্ট পরা, আরেকজন নারীও ছিল। এটা রাত প্রায় সোয়া ১টা বা দেড়টার ঘটনা।
এ বিষয়ে পুলিশের
গুলশান বিভাগে উপকমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ৭ জুন জাতীয় জরুরি সেবা
৯৯৯ এর মাধ্যমে ফোন পেয়ে পুলিশ অল কমিউিনিটি ক্লাবে গিয়েছিল। পুলিশ সেখানে যাওয়ার পর
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পরে পুলিশ থানায় এসে নিয়ম অনুযায়ী ঘটনার বিষয়ে থানায় একটি
সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে।
আলমগীর ইকবাল
বলেন, ক্লাবের কিছু নিয়ম-কানুন আছে। কোনো মেইল যদি ক্লাবে আসে তাকে কিছু নিয়ম কানুন
মেনে চলতে হয়। কিন্তু পরীমনির সঙ্গে আসা ভদ্রলোক হাফপ্যান্ট ও স্যান্ডেল পরে এসেছেন।
তখন ক্লাব থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন আমাদের ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ডিরেক্টর ও ক্লাবের
এক ম্যানেজার। ওনারা সেটা দেখে বলেছেন, আপনিতো ক্লাব রুলস ভায়োলেট করেছেন। আপনিতো হাফপ্যান্ট
পরে এখানে আসতে পারেন না। তখন তারা ক্ষিপ্ত হয়ে যান। তাদের আচার-আচরণ গ্রহণযোগ্য না
হওয়ায় ওনারা (ডিরেক্টর ও ম্যানেজার) বলেছেন, রাত অনেক হয়ে গেছে আপনারা চলে যান। কিন্তু
তারা চলে যাচ্ছিল না বিধায় আমাদের দুই পরিচালকই ক্লাব থেকে চলে যান।
পরবর্তীতে ঘটনার
বর্ণনায় ক্লাব প্রেসিডেন্ট বলেন, তারপর যেই সদস্যের মাধ্যমে ওনারা এসেছিলেন উনিও তাদেরকে
চলে যাওয়ার জন্য অনেক অনুরোধ করেন। কিন্তু ওনারা যাচ্ছিলেন না বিধায় ওই সদস্যও চলে
যান। এরপর ওনারা (পরীমনি ও সঙ্গীরা) হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে চেচামেচি শুরু করেন এবং গ্লাস
ও স্ট্রে ছুড়ে মারতে থাকেন। তখন আর কেউ ছিল না ক্লাবে। দু’জন ওয়েটার আর এই তিন চারজন মানুষ ছিল।
একপর্যায়ে তারা ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশ কল করেন। পুলিশ আসার পর তারা দেখতে পান, এগুলো
উনি ছুড়ে মারছেন। তখন পুলিশ তাদেরকে জিজ্ঞেস করে আপনারা কেন এসেছেন, কেন আমাদের কল
করেছেন? তখন তারা বলেন, আমাদের হেনস্থা করা হয়েছে। তখন পুলিশ বলেন, কিছুতো দেখছি না।
এরপর তারা কিছুটা ঠাণ্ডা হন ও পুলিশের উপস্থিতিতে ঘটনাস্থল থেকে সরে যান।