আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

গুম নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য ভিত্তিহীন: কাদের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গুম নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যকে বাস্তবতাবিবর্জিত ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বিদেশিদের করুণা লাভের আশায় বিএনপি নেতারা ধারাবাকিভাবে গুম-খুন নিয়ে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির অন্তর্দ্বন্দ্ব ও কোন্দলের ফলে যেসব গুম ও খুনের ঘটনা ঘটেছে, সেটার দায় সরকারের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা চলছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিবৃতি তিনি এসব কথা বলেন তিনি। এতে ধর্ম ও অপহরণ নিয়ে বিএনপি নেতাদের অসত্য, মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, চট্টগ্রামের বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন নিখোঁজ হওয়ার পর তার দায় সরকারের ওপর চাপানো হয়েছিল। কিন্তু পরে দেখা গেছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বেই জামাল উদ্দিন নিজ দলের নেতাকর্মীদের দ্বারা গুমের শিকার হয়েছিল, যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। একইভাবে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ নিখোঁজ হওয়ার পর তার দায়ভারও সরকারের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা চালানো হয়। পরে দেখা যায় তিনি ভারতে আত্মগোপনে ছিলেন।

তিনি বলেন, এমনকি বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর গুমের ঘটনায় বিএনপির এক সিনিয়র নেতা তার বক্তব্যে বলেছেন, ইলিয়াস আলীকে বিএনপির লোকজনই গুম করেছে, যা পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়েছে। গুম নিয়ে বিএনপি মিথ্যা বয়ান তৈরির মধ্য দিয়ে সরকারের ওপর দোষ চাপিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার অপতৎপরতা চালাচ্ছে। অথচ তাদের গুমের নাটকের নেপথ্যের আখ্যান আজ দেশবাসীর অজানা নয়।

তিনি বলেন, বাংদেশে হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান অসংবিধানিক ও অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে। জিয়াউর রহমানই এ দেশে গুমের রাজনীতির সূচনা করে। স্বৈরাচার জিয়ার শাসনামলে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ বাবুকে রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে গুম করে হত্যা করা হয়। তার লাশটাও পরিবারের সদস্যরা খুঁজে পায়নি। চট্টগ্রামের যুবলীগ নেতা মৌলভী সৈয়দকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, জিয়াউর নিজের অবৈধ ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে তথাকথিত বিদ্রোহের অভিযোগে সেনা ও বিমান বাহিনীর শত শত মুক্তিযোদ্ধা অফিসার ও সহস্রাধিক সৈনিককে হত্যা করেছিল। এমনকী সেসব সেনা অফিসার ও জোয়ানদের অনেকেই লাশ পর্যন্ত পাওয়া যায় নি। তাদের পরিবারের সদস্যরা এখনও জানেন না তাদের কোথায় দাফন করা হয়েছে। সেসব ঘটনায় হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলোর শেষ চিহ্নটুকু পাওয়ার জন্য তাদের পরিবারের সদস্যরা আজও তীর্থের কাকের ন্যায় অপেক্ষা করে যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্র অব্যাহত রেখে পাহাড়সমান প্রতিকূলতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মধ্য দিয়ে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুখী-সমৃদ্ধশালী নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আমরা বদ্ধপরিকর; যেখানে সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী সব নাগরিকের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত ও সুসংহত হবে।


আরও খবর



সরকার পরিচালনাকারী সবাই ফেরেশতা নয় : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকার যারা পরিচালনা করেন তারা সবাই ফেরেশতা নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত।

সরকারের ব্যত্যয়-বিচ্যুতি ধরিয়ে দিতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, এ ধরনের সব সমালোচনাকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে যখন সমালোচনার নামে অপতথ্য, মিথ্যাচার, অপপ্রচারের মাধ্যমে এক ধরনের এজেন্ডা বেইজড, সিস্টেমেটিক মিথ্যাচার ছড়ানো হয়, সেগুলো আমরা বুঝি কে করছে, কারা করছে, কেন করছে। সেই বিষয়গুলোকে আমরা নিন্দা জানাই। কিন্তু গঠনমূলক সমালোচনাকে আমরা সব সময় স্বাগত জানাই এবং জানাবো। কারণ আমরা মনে করি না, সরকার যারা পরিচালনা করছেন, তারা সবাই ফেরেশতা। সবাই মানুষ। আমাদের ভুল-ত্রুটি হতে পারে, ব্যত্যয়-বিচ্যুতি থাকতে পারে, ব্যর্থতা থাকতে পারে। সেগুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য গণমাধ্যম আছে, এটি গণমাধ্যমের দায়িত্ব। গঠনমূলকভাবে ধরিয়ে দিলে সেটি স্বীকার করে নিতে এবং সেগুলো শুদ্ধ করে নিতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।

শনিবার (৪ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে ‌গ্রহের জন্য গণমাধ্যম: পরিবেশগত সংকট মোকাবিলায় সাংবাদিকতা শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে সম্পাদক পরিষদ।

বৈঠকে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি, আজকে পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে। এর জন্য প্রধানত দায়ী উন্নত বিশ্ব। এর প্রধান ভুক্তভোগী যারা হতে যাচ্ছে এর মধ্যে বাংলাদেশ একটি। বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ একটি লিডারশিপ রোল নিয়েছে ভুক্তভোগীদের পক্ষে। কাজেই এখানে আমাদের সরকারিভাবে যে নীতি গ্রহণ করা হয়েছে পরিবেশ সুরক্ষার ক্ষেত্রে, সেখানে পরিবেশ সুরক্ষার জন্য যে সাংবাদিকতা সেই সাংবাদিকতাকে আমরা প্রণোদনা, উৎসাহ, সমর্থন ও সুরক্ষা দিতে চাই। এখানে কোনো বিরোধের জায়গা আমি দেখি না। তবে হ্যাঁ, ক্ষেত্রবিশেষে তৃণমূলে বিভিন্ন ধরনের ব্যত্যয় ঘটে। সেই ব্যত্যয়গুলোকে আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরা তুলে ধরবেন। সরকারের অবস্থান পরিবেশ সুরক্ষার পক্ষে।

তিনি বলেন, শুধু পরিবেশ সুরক্ষা না, মুক্ত গণমাধ্যম, গণমাধ্যমের সুরক্ষা এবং মুক্ত গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সেই বিষয়েও আমাদের অঙ্গীকার আছে এবং থাকবে। তবে রাজনীতিতে যেমন অনেক ক্ষেত্রে অপরাজনীতি আছে, বিভিন্ন পেশায় যেমন কিছু নেতিবাচক দিক আছে, তেমন তথ্যের সাথেও আমরা অপতথ্যের বিস্মৃতি অনেক সময় দেখি। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেও আমরা অপসাংবাদিকতা আমরা দেখি। এটি শুধু আমি বলছি না, আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরাও বলেন। সব সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যেগুলোর রেজিস্ট্রেশন নেই, সেগুলো বন্ধ করে দেন।

মফস্বলের সাংবাদিকতা একটু কঠিন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ঢাকায় তো বিভিন্ন ধরনের প্রটেকশন পাওয়া যায়। এই কঠিনটা যাতে সহজতর হয়, সেই পদক্ষেপ আমরা নেব। আবার এটাও সত্যি, মফস্বলে অপসাংবাদিকতার চর্চা অনেক হয়। যেখানে পেশাদারিত্বের অভাব দেখা যায়। এই অপসাংবাদিকতার চর্চা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করে পেশাদার সাংবাদিকদের। তারা (সাংবাদিক সংগঠন) নিজেরাই এই কথা বলছেন। তারা বলছেন, এখানে শৃঙ্খলা আনা দরকার, আমরা (সরকার) বলছি না। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে গণমাধ্যমের রেজিস্ট্রেশনসহ এ ধরনের কিছু পদক্ষেপ আমি নিচ্ছি।

মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়েও বিশাল দাবি আছে। গণমাধ্যমকর্মী আইন গত সংসদে পাশ হওয়ার কথা ছিল। শেষের দিকে এসে এটি স্ট্যান্ডিং কমিটিতে গিয়েছিল। আমি সেই গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে নতুন করে আবার কাজ শুরু করছি। যতগুলো সাংবাদিক সংগঠন আছে সবাইকে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, প্রতিটি সংগঠন থেকে দুইজন করে প্রতিনিধি দেওয়ার জন্য। তাদের সঙ্গে বসে গণমাধ্যমকর্মী আইনটি পর্যালোচনা করে একটি পূর্ণাঙ্গ আইন করে আমরা দ্রুততম সময়ে সংসদে পাশ করার ব্যবস্থা করব।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয়, উন্মুক্ত হয়ে আছে। এখানে কোনো ধরনের শৃঙ্খলা ও আইনকানুন নেই। সাংবাদিক বন্ধুরাই বলছেন, এখানে শৃঙ্খলা আনা দরকার। তবে আমরা প্রচণ্ডভাবে বিশ্বাস করি, গণমাধ্যম যত মুক্ত হবে, তার স্বাধীনতা যত চর্চা করবে এবং অপতথ্যের বিপরীতে যত তথ্যের প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে ততই সমাজে গুজব, অপপ্রচার এগুলো রোধ হবে। এবং আমি মনে করি, সরকারের মধ্যে সেই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জায়গাও তৈরি হবে। আমরা (সরকার) মনে করি, গণমাধ্যম এবং পেশাদার সাংবাদিকতা আমাদের বন্ধু। তারা আমাদের সহযোগিতা করেন। কারণ যেসব সমস্যা আমাদের চোখে পড়ে না, সেটি তারা দেখিয়ে দেন এবং আমরা সেখানে গিয়ে কাজ করতে পারি।

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট যেটা আছে আছে, সেটা আমি পূর্ণাঙ্গভাবে বিশ্বাস করি। রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্টের অধীনে কোনো গণমাধ্যম জনগণের পক্ষে যে তথ্য চাইবে সেটা আমি তড়িৎ গতিতে দিতে বাধ্য থাকবো। এ ধরনের মানসিকতা তৈরি করার জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে আমরা ওরিয়েন্টেশন করবো। কারণ তথ্য দিলে আমার কোনো সমস্যা নেই তো। যদি না আমার মধ্যে কোনো গলদ থাকে। যে তথ্য পাওয়ার অধিকার মানুষের আছে, সেটি দিতে হবে। এটি আমি নিশ্চিত করবো। একইসঙ্গে বলতে চাই যেগুলো সংবেদনশীল তথ্য, যেগুলো প্রাইভেসি অ্যাক্টের মধ্যে পড়ে, এগুলো যদি কেউ চুরি করে প্রকাশ করার চেষ্টা করে, সে চোর। তার কোনো পেশা আমরা দেখবো না। এই ধরনের সেনসেটিভ অ্যান্ড সিক্রেট ইনফরমেশন প্রটেকশনের আইন সবদেশে আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠানগুলোকে সব তথ্য দিতে হবে যেগুলো মানুষের জানার অধিকার আছে। একইসঙ্গে সংবেদনশীল তথ্য গোপন রাখবে। কাজেই একটি সিস্টেম করতে হবে যাতে সব তথ্য তারা অবহিত করতে পারে, আবার সংবেদনশীল তথ্য প্রটেকশনটাও রাখা জরুরি। আমরা এটি ঘেটে দেখছি, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সেন্ট্রাল ব্যাংকগুলো কীভাবে অপারেট করে। সাংবাদিকদের এক্সেস কতটুকু আছে? আন্তর্জাতিক যে স্ট্যান্ডার্ড আছে, তার মধ্যে আমরা সবকিছু রাখার চেষ্টা করবো।

সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ও বণিকবার্তা সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদ হানিফের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক পিনাকী রায়। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সভাপতি ও সমকালের প্রকাশক একে আজাদ, সম্পাদক পরিষদের সহ-সভাপতি ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দেশ রূপান্তরের সম্পাদক মোস্তফা মামুন, পরিবেশবাদী সংগঠন বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান।


আরও খবর



পিরোজপুরে আওয়ামী যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন আজ

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

দীর্ঘ ৫২ বছর পর ১৮ মে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী যুবলীগের ত্রি-বার্ষিকী সম্মেলন ঘিরে পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে আনন্দ আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতা ও তাদের নিজ নিজ ছবি দিয়ে তোরণ-ফেষ্টুনে ছেয়ে গেছে রাস্তার দু’ধার। সম্মেলন উপলক্ষে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মঞ্চ ও প্যান্ডেল তৈরি করার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ও বরিশাল বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত থেকে এসব কাজ তদারকি করছেন। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

জানা গেছে, আজ শনিবার ১৮ মে সকাল ১১টায় ৫০ হাজার নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান ফুলুর সভাপতিত্বে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করবেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ। প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, সংসদ সদস্য মো. মাঈনুল হোসেন খান নিখিল।

পিরোজপুর যুবলীগ সূত্রে জানাগেছে ১৯৭২ পরবর্তী জেলা আওয়ামী যুবলীগের ত্রি-বর্ষিক সম্মেলন ছাড়া শুধুমাত্র বর্ধিত সভা’ করার পর কেন্দ্রীয় কমিটি জেলা কমিটি ঘোষনা দিতো। শেষ ২০১০ সালে জেলা আওয়ামী যুবলীগের কমিটি দিয়েছিলো কেন্দ্রীয় কমিটি। দির্ঘ ১৪ বছর বিভিন্ন অযুহাতে কমিটি দেয়নি কেন্দ্রীয় কমিটি।

বর্তমান কমিটির সভাপতি আক্তারুজ্জামান ফুলু ইতোমধ্যে জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, গাজী জিয়াউল আহসান জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন। এ ছাড়া এ কমিটির অন্যান্য সদস্যরাও আওয়ামীলীগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন।

এদিকে ১৪ বছর পর যুবলীগের নতুন কমিটিতে স্থান পাওয়ার জন্য পদ প্রত্যাশীরা কেন্দ্রে বায়োডাটা জমা দিয়ে তৎবির অব্যাহত রাখছেন। জেলা যুবলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক পদে একাধীক ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।

এর মধ্যে সভাপতি পদের দৌড়ে আছেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্যনির্বহী সদস্য ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক কামরুজ্জামান খান শামীম, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি জাহিদ হোসেন পিরু, জেলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল আহসান জিয়া, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের সাবেক ভিপি মাকসুদুল ইসলাম লিটন, বর্তমান যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান মানিক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইরতিজা হাসান রাজু।

সাধারণ সম্পাদক পদের দৌড়-ঝাপ করছেন সদ্য উপজেলা চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের সাবেক ভিপি এস এম বায়েজীদ হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বিপ্লব, পিরোজপুর পৌর যুবলীগের সভাপতি আবু সাঈদ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল, পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সদস্য শ. ম রেজাউল করিম, পিরোজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিনমহারাজ, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কানাই লাল বিশ্বাস, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান

সালমা রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান মালেক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য তাজ উদ্দিন আহমেদ, মো. জসিম মাতুব্বর, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বরিশাল বিভাগের দয়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মুহাম্মদ বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কাজী মো. মাজাহারুল ইসলাম সহ-সম্পাদক মো. গোলাম ফেরদৌস ইব্রাহিম প্রমূখ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় থাকবেন জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী জিয়াউল আহসান।

এ ব্যাপারে জেলা যুবলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান ফুলু বলেন, কেন্দ্রের নির্দেশে আমরা ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করেছি। পিরোজপুরের যুবলীগের ৫২ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সারা জেলা থেকে যুবলীগের ৫০ হাজার নেতা কর্মীর উপস্থিতিতে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে শুক্রবার বিকেলে পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য শ. ম রেজাউল করিম সম্মেলন স্থল পরিদর্শন করেন।


আরও খবর



চুক্তি ছাড়াই শেষ যুদ্ধবিরতি আলোচনা, রাফায় ইসরায়েলের ব্যাপক হামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি হামলা বন্ধে দুপক্ষের যুদ্ধবিরতির আলোচনা চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়েছে। চুক্তি ছাড়াই যুদ্ধবিরতি আলোচনা শেষ হওয়ায় ইসরায়েল রাফাতে হামলা চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানিয়েছে। তারা রাফা অঞ্চলে নতুন করে ব্যাপক বোমাবর্ষণ করেছে। এতে ওই অঞ্চল থেকে অন্তত ৮০ হাজার মানুষ পালাতে বাধ্য হয়েছে। শুক্রবার (১০ মে) বিবিসি ও বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী বৃহস্পতিবার রাফা অঞ্চলে বোমাবর্ষণ করেছে বলে ফিলিস্তিনি বাসিন্দারা জানিয়েছেন। অন্যদিকে রাফাতে হামলা করলে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার যে হুমকি প্রেসিডেন্ট বাইডেন দিয়েছেন তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

রয়টার্স বলছে, একজন সিনিয়র ইসরায়েলি কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার রাতে বলেছেন, গাজায় সংঘাত থামাতে কায়রোতে চলমান পরোক্ষ আলোচনার সর্বশেষ দফা শেষ হয়েছে এবং ইসরায়েল পরিকল্পনা অনুযায়ী রাফা এবং গাজা উপত্যকার অন্যান্য অংশে তাদের অভিযান চালিয়ে যাবে।

গাজায় আটক বন্দিদের মুক্তির চুক্তির জন্য হামাসের প্রস্তাবের বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীদের কাছে ইসরায়েল তার আপত্তি জমা দিয়েছে বলে ওই কর্মকর্তা বলেছেন।

এছাড়া নেতানিয়াহু এক ভিডিও বিবৃতিতে বলেছেন, যদি আমাদের প্রয়োজন হয়, আমরা আমাদের নখ দিয়ে লড়াই করব। কিন্তু আমাদের নখের চেয়ে অনেক বেশি আছে।’

এদিকে বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বেশিরভাগই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে আগেই। এখন বাকি রয়েছে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির রাফা শহর। গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় এই শহরেই এবার হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। আর এরই জেরে শহরটি ছেড়ে ইতোমধ্যেই পালিয়ে গেছেন ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ। জাতিসংঘ এই তথ্য সামনে এনেছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গাজার অন্যান্য অংশ থেকে তারা এখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সোমবার থেকে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ দক্ষিণ গাজার রাফা শহর থেকে পালিয়ে গেছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। এছাড়া রাফার বিভিন্ন অংশে ক্রমাগত বোমাবর্ষণের মধ্যে ইসরায়েলি ট্যাংকগুলি শহরের কাছাকাছি এসে জড়ো হচ্ছে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি এই আক্রমণের ফলে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে প্রায় ৩৫ হাজার লোক নিহত এবং আরও প্রায় ৮০ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।


আরও খবর



২ মে পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর ১৮ জনের মৃত্যুর ঘটনায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসার ক্লাস আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ সোমবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

এদিন আদালতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কয়েকটি দৈনিক পত্রিকার নিউজ উপস্থাপন করেন আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন। তিনি আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শনিবার (২০ এপ্রিল) দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। সে সময় বলা হয়, সারাদেশে চলমান তাপপ্রবাহ ও আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্কতা জারির প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন সব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পূর্বনির্ধারিত ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল খোলার পরিবর্তে আগামী ২৮ এপ্রিল যথারীতি খুলবে। শিগগিরই এ বিষয়ে অফিস আদেশ জারি করা হবে।

এরপর শনিবার (২৭ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আক্তারুন্নাহার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলমান তাপপ্রবাহের কারণে কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চলমান থাকবে। এক শিফটে বিদ্যালয় প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। আর দুই শিফটের বিদ্যালয়গুলোতে প্রথম শিফট সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট পৌনে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব পর্যায়ে অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।


আরও খবর



ভারতীয় তিন কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কে জড়িত থাকায় তিনটি ভারতীয় কোম্পানিসহ এক ডজনেরও বেশি সংস্থা, ব্যক্তি এবং জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ইরানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে অবৈধ বাণিজ্য থাকা এবং ড্রোন সরবরাহের কারণে ওই তিনটি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া ইরানের কাছ থেকে যেসব ড্রোন পেয়েছে তা গোপনে বিক্রিতে সহায়তা করেছে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া কোম্পানিগুলো। ইরানের এ বাণিজ্যিক কাজকে সামনে থেকে সমর্থন দিয়েছে ইরানি কোম্পানি সাহারা থান্ডার। এর সঙ্গে জড়িত থাকায় তিনটি ভারতীয় কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।

এ কোম্পানিগুলো হলো জেন শিপিং, পোর্ট ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এবং সি আর্ট শিপ ম্যানেজমেন্ট (ওপিসি) প্রাইভেট লিমিটেড। সাহারা থান্ডার ইরানি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং আর্মড ফোর্সেস লজিস্টিকসের পক্ষ থেকে চীন, রাশিয়াসহ একাধিক দেশে ইরানি পণ্য বিক্রয় এবং চালান করে থাকে।

চলতি মাসের শুরুতে সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। ওই হামলার জবাবে গত ১৩ এপ্রিল রাতে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে তিনশত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। এরপর ইরানের ওপর প্রথম দফায় নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ড্রোন প্রযুক্তি ও উৎপাদন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও কোম্পানিকে লক্ষ্য করে ১৯ এপ্রিল এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়।

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৩ এপ্রিল ইসরাইলে হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে, ইরানের এমন ইউএভি বা ড্রোন উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১৬ ব্যক্তি ও দুটি সংস্থাকে লক্ষ্য করে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।


আরও খবর