আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

গভীর রাতে ফিলিপাইনে আবারও শক্তিশালী ভূমিকম্প

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আবারও শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে দক্ষিল-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইন। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) গভীর রাতে দেশটিতে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৮। এ নিয়ে টানা তিনদিন শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল ফিলিপাইন। সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার ভোরে ফিলিপাইনের মিন্দানাওতে ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস (জিএফজেড) জানিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৮ কিলোমিটার (২৩.৬১ মাইল)।

জিএফজেড অবশ্য এর আগে ভূমিকম্পের মাত্রা ৬.৩ ছিল বলে জানিয়েছিল। এছাড়া মার্কিন সুনামি সতর্কতা ব্যবস্থা বলেছে, ভূমিকম্পের পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে সুনামির কোনও আশঙ্কা নেই।

এর আগে রোববারও শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ফিলিপাইন। জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস (জিএফজেড) জানায়, রোববার হওয়া এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৪। 

আরও পড়ুন>> তানজানিয়ায় ভারী বর্ষণে নিহত ৪৭

জিএফজেড বলছে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়। তবে রোববারের এই ভূমিকম্পে কোনও ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহত হয়েছে কি না তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।

এর আগে গত শনিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৩৭ মিনিটের দিকে ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় মিন্দানাও দ্বীপে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মিন্দানাও ও এর আশপাশের এলাকাও।

ওই ভূমিকম্পের পর দেশটির উপকূলীয় এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। দেশটির সুরিগাও দেল সুর, দাভাও ওরিয়েন্টালের উপকূলীয় এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে সুনামি সতর্কতা বাতিল করে বাসিন্দাদের বাড়িঘরে ফেরার অনুমতি দেয় দেশটির ভূকম্পবিদ্যা সংস্থা ফিভোলকস।

এর আগে, গত মাসে ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ১৭ নভেম্বরের সেই ভূমিকম্পে দেশটির সারাঙ্গানি, কোটাবাটো এবং দাভাও প্রদেশে অন্তত আটজনের প্রাণহানি হয়। এছাড়া ভূকম্পনে আহত হন আরও ১৩ জন। ভূমিকম্পে দেশটিতে অর্ধ-শতাধিক বাড়িঘর এবং অন্যান্য ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 

আরও পড়ুন>> লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজে হামলা

তারও আগে গত জুন মাসের মাঝামাঝিতে ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার শক্তিশালী এক ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর আগে গত মার্চের প্রথম সপ্তাহে ৬ মাত্রার এবং ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে দেশটিতে গভীর রাতে আঘাত হানে ৬ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প।

এর আগে ফিলিপাইনে সর্বশেষ ভূমিকম্প আঘাত হানে ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে। সে সময় ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল দেশটি। ওই বছরেই জুলাইয়ে ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর ভূমিধসে ১১ জন প্রাণ হারান।

উল্লেখ্য, ফিলিপাইনে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়ে থাকে। দেশটি ভূতাত্ত্বিকভাবে ভূমিকম্প সক্রিয় অঞ্চল প্যাসিফিক রিং অব ফায়ারে রয়েছে যা জাপান থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরজুড়ে বিস্তৃত।


আরও খবর



নাবিকরা ভালো আছেন, আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

সোমালিয়ায় জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধার প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সর্বমুখী প্রচেষ্টা পরিচালনা করা হচ্ছে। যারা হাইজ্যাক করেছে তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে এবং নাবিকরা ভালো আছে। তাদের খাবার-দাবারেরও কোনো অসুবিধা নেই। তারা কেবিনে আছে। যেহেতু আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে, আমরা আশা করছি, সহসা তাদের মুক্ত করা সম্ভব হবে।

শনিবার (৬ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নগরের দেওয়ানজি পুকুর লেন ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সেই জাহাজের আশপাশে বিদেশি জাহাজও প্রস্তুত আছে। আলোচনার পাশাপাশি হাইজ্যাকারদের ওপর নানামুখি চাপও রয়েছে। আমরা আশা করছি, সহসা জাহাজ এবং নাবিকদের মুক্ত করা সম্ভব হবে। সেইজন্য দিনক্ষণ বলা সম্ভবপর নয়। তবে, এক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। জাহাজে যারা চাকরি করে ঈদের আগে-পরে হিসেব করে তাদের কোনো ছুটি হয় না। তারা যায় ছয়মাস কিংবা একবছরের জন্য। এই জাহাজ যদি হাইজ্যাক নাও হতো তারা ঈদের আগে জাহাজ ছেড়ে পরিবারের সাথে মিলিত হওয়ার কথা ছিল না।


আরও খবর



বিচারককে হেয়প্রতিপন্ন : খুলনার এক পিপিকে হাইকোর্টে তলব

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আদালত অবমাননা এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে বিচারকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হেয়প্রতিপন্নমূলক বক্তব্য সম্বলিত ভিডিও প্রকাশ করায় ব্যাখ্যা দিতে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২-এর বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম পলাশকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।

আগামী ৭ মে তাকে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার ঘটনায় কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

বুধবার (৩ এপ্রিল) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিতভাবে এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা।

এর আগে গত ৩১ মার্চ খুলনা মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক তরিকুল ইসলাম তাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে মিথ্যা ও হেয়প্রতিপন্নমূলক ভিডিও প্রকাশ এবং আদালতে অশালীন আচরণের ঘটনায় খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২-এর বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর জহিরুল ইসলাম পলাশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রধান বিচারপতি বরাবর চিঠি দেন।

চিঠিতে বলা হয়, একটি মামলার শুনানিকে কেন্দ্র করে আদালত কক্ষে আইনজীবী  জহিরুল ইসলাম পলাশের সঙ্গে কিছুটা বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এ কারণে ন্যায়বিচারের স্বার্থে আমি মামলাটি না শুনে চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিই। তখন জহিরুল ইসলাম পলাশ বলে উঠেন, আপনি আমাকে না শুনেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন? আমি বললাম, এটা কোর্টের প্রসিডিউর, যেহেতু আপনার সাথে কিছুক্ষণ আগে আমার কিছুটা বাগ্‌বিতণ্ডা হলো। তখন প্রত্যুত্তরে উচ্চস্বরে তিনি বললেন যে, আপনার চেয়ে আমি এই বারে আগে আসছি। আমি প্রসিডিউর ভালো বুঝি। আপনার ব্যবহার সবচেয়ে খারাপ। আপনি অনিয়ম করেন। আমরা খুলনা বারে ২০০০ জন আর আপনারা মাত্র ৫০ জন। আমি আপনাকে চিনি। আপনার বাড়ি চিতলমারী। আমার বাড়িও চিতলমারী। আমি... (অমুক) এর ছেলে। আপনাকে আমি ভালো করে চিনি। আপনার বিরুদ্ধ আমি চিফ জাস্টিসের কাছে যাব। আপনি আমাকে ইংলিশ শোনান। বারের প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারিতে কাজ হবে না। এমন অনেক বিচারক ছিলেন যারা এখান থেকে বিদায় নিয়ে যাওয়ারও সময় পায় নাই, এটা মনে রাইখেন। আপনি আপনার ফিউচারের জন্য প্রস্তুত থাকেন। উচ্চস্বরে এমন বক্তব্য প্রদান করার পর তিনি আমার এজলাস ত্যাগ করেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে বাদীপক্ষের আইনজীবীর এমন আচরণে বিব্রতবোধ করায় বিজ্ঞ আইনজীবী মামলাটি চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, খুলনা মহোদয়ের নিকট বিচার ও নিষ্পত্তির জন্য প্রেরণ করি।

চিঠিতে আরও বলা হয়, আইনজীবী জহিরুল ইসলাম পলাশ সেদিনই সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে First NewsBD 24 নামের একটি পেজে লাইভে আসেন এবং আদালতে ঘটে যাওয়া ঘটনার সত্যতা ও কোর্ট প্রসিডিউরকে পাশ কাটিয়ে বিষয়টি ভিন্নভাবে উপস্থাপন করেন। ওই বিষয়টি গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভার শুরুতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২-এর বিচারক জানান যে, তার ব্যক্তিগত ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে ওই আইনজীবী সোশ্যাল মিডিয়াতে তার প্রদত্ত ভিডিও চিত্র সেন্ড করেছেন। যা উপস্থিত খুলনা বিচার বিভাগে কর্মরত আমার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ (মাননীয় মহানগর দায়রা জজ ও মাননীয় সিএমএম মহোদয়) ও অন্যান্য বিচারকরা জেনেছেন, শুনেছেন। ওই ভিডিওতে বিচারক হিসেবে আমাকে দুর্নীতিবাজসহ আরও অনেক বিষয়ে মিথ্যা, বানোয়াট এবং সম্মানহানিকর বক্তব্য দেওয়া হয়েছে।

পরে প্রধান বিচারপতি জহিরুল ইসলাম পলাশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আবেদনটি হাইকোর্টে পাঠান। তার ধারাবাহিকতায় বিষয়টি আজ শুনানির জন্য ওঠে।

নিউজ ট্যাগ: হাইকোর্টে রিট

আরও খবর



দুই মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট, ঘরমুখো মানুষের চরম ভোগান্তি

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুর থেকেই দেখা দিয়েছে গাড়ির দীর্ঘ সারি। এতে ঈদে ঘরমুখো হাজারো মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এদিন দুপুরে ছুটি পেয়ে গাজীপুর থেকে লাখ লাখ গার্মেন্টস শ্রমিক ঈদযাত্রায় শামিল হয়েছেন। এত এত যাত্রীর তুলনায় পরিবহনের সংখ্যা খুবই কম। পরিবহন সংকটে পড়ে বাস, ট্রাক, পিকআপ ও ড্রাম্প ট্রাকে করে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন অনেকে।

গাজীপুর ছাড়াও গাবতলী, আশুলিয়া, বাইপাল, সাভার ও নবীনগর এলাকা থেকে ছেড়ে আসা বাসগুলো চন্দ্রা এলাকা পার হয়ে উত্তরবঙ্গের ২৩ জেলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এ পরিস্থিতি বাড়তে থাকলে ভুগতে হবে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষদের।

অপরদিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে যাত্রীদের অপেক্ষায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে স্বল্প দূরত্বের চলাচলকারী বাস, মিনিবাস, ট্রাক ও পিকআপ। এসব পরিবহনগুলো দীর্ঘ সময় দাঁড় করিয়ে ইচ্ছে মতো ভাড়া হাঁকিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে।

মাওনা হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মাহবুব মোর্শেদ বলেন, আজ দুপুর থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঈদে ঘরমুখো মানুষদের বেশ উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

তিনি বলেন, যাত্রী উঠানামা করাতে গাড়িগুলো দাঁড়াচ্ছে, এতে সামান্য সময়ের জন্য যানজটের তৈরি হচ্ছে। গাড়িগুলো চলে যাওয়ার পর মুহূর্তেই আবার যান চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে। মহাসড়কের মোড়ে মোড়ে যানজট কমাতে পুলিশ কাজ করছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, ঈদযাত্রায় মহাসড়কে যানবাহন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। এখন পর্যন্ত এই পথে গাজীপুর অংশে কোথাও যানজটের খবর পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



রমজানে কদর বেড়েছে মহিষের দইয়ের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
ফিরোজ মাহমুদ, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)

Image

পবিত্র রমজান মাসে রোজাদারদের মধ্যে মহিষের দইয়ের কদর বেড়েছে। সারা বছরই মিরসরাইয়ের মহিষা দইয়ের চাহিদা রয়েছে চট্টগ্রামজুড়ে। রমজান মাসে এর চাহিদা বেড়ে গেছে। প্রতিদিন সকাল থেকে ইফতারের আগে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে জমজমাট বিকিকিনি চলছে।

মিরসরাই উপজেলার উপকূলীয় ইছাখালী ইউনিয়ন, বামনসুন্দর ও রহমতাবাদ এলাকা থেকে দই তৈরি করে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। এখানকার দইয়ের স্বাদেও আছে কিছুটা ব্যতিক্রম। অন্যান্য এলাকায় টক দই হলেও এখানকার দই হয় মিষ্টি।

মিরসরাই কলেজ রোডে কথা হয় রহমতাবাদ থেকে দই বিক্রি করতে আসা জাহেদুল ইসলামের সাথে। তিনি জানান, প্রথমে এলাকার বিভিন্ন খামারীর কাছ থেকে মহিষের দুধ সংগ্রহ করা হয়। এরপর সেই দুধ থেকে দই তৈরি করে বিভিন্ন বাজারে নিয়ে বিক্রি করে থাকি। আবার অনেকে বিয়ে, জেয়াফত, আকিকা অনুষ্ঠানের জন্য অগ্রিম দইয়ের অর্ডার দিয়ে থাকে। তবে রমজানে চাহিদা বেশী থাকে।

ইছাখালী এলাকার আরেক দই বিক্রেতা নুরনবী বলেন, আগের তুলনায় মহিষের দই অনেক কমে গেছে। শিল্পজোন হওয়ার কারণে মহিষের চারণভূমি না থাকায় এখন খামারে মহিষ রাখছে না মালিকেরা। যে খামারীর কাছে আগে শতাধিক মহিষ ছিল, এখন অর্ধেকে নেমে এসেছে। দুধের দামও বেড়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, রমজান মাস উপলক্ষে বেচাকেনা বেড়েছে। আমি আবুরহাট, মিঠাছরা, মিরসরাই ও আবুতোরাব বাজারে নিয়মিত দই বিক্রি করে থাকি।

আরেক বিক্রেতা নজরুল ইসলাম জানান, তারা প্রতি কেজি দুধ কিনে নেন ১শ টাকা করে। দই তৈরী করে বিক্রি করেন ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা। মাটির হাঁড়িতে দই বসিয়ে তৈরি করা হয়। কোন অনুষ্ঠানের জন্য কেউ অর্ডার করলে বেশি পরিমাণে বানানো হয়। এবং অর্ডারকারীর বাড়ি পৌঁছে দেয়া হয়।

স্কুল শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, মিরসরাই উপজেলার উপকূলীয় এলাকার দই সাধারণত খাঁটি, এখানে কোন ধরণের ভেজাল মেশানো হয়না। এখানে দইয়ের বেশ কদর রয়েছে। চট্টগ্রাম শহর থেকে এসেও অনেক দই নিয়ে যায়।

মিঠাছরা বাজারে মহিষের দই ক্রয় করতে আসা নুরুল আফছার বলেন, রমজানে দই ছাড়া চলে না। ইফতারের পর পরিবারের সবাই এক গ্লাস করে দই খাই সবাই।

খামারী শাহজালাল বলেন, আমাদের চরশরৎ এলাকায় আগে অনেকে মহিষ পালন করত। মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠায় চারণভূমি না থাকায় দিন দিন মহিষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। অনেক খামারি এখন অন্য পেশা বেছে নিয়েছে।

মিরসরাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: জাকিরুল ফরিদ বলেন, উপকূলীয় এলাকায় মহিষের দই পাওয়া যায় এখানে উন্নত মানের ঘাস সেগুলো খেয়ে এখানে প্রচুর গরু-মহিষ ও ভেড়া লালন পালন হয়। সেসব মহিষের দুধ থেকেই নির্ভেজাল দই তৈরী হয়।

তিনি বলেন, মহিষের দই হজমে সহায়তা করে। এর ল্যাকটোবেসিলিসের মতো উপকারী ব্যাকটেরিয়া, যেগুলো প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া নামে পরিচিত, তারা শরীরের জন্য ভিটামিনকে তৈরি করে ও পেটের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বিতাড়িত করে। প্রতিদিন মহিষের দই খেলে হৃদরোগ প্রতিরোধ হবে।


আরও খবর



ড. ইউনূসের স্থায়ী জামিন হয়নি, মেয়াদ বাড়িয়েছেন ট্রাইব্যুনাল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্থায়ী জামিন দেননি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। তবে ওই মামলায় ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন আদালত। আগামী ২৩ মে পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন পর্যন্ত তাদের জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ আউয়াল এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ ও এস এম মিজানুর রহমান। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বরত চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী। এসময় ড. ইউনূসসহ অন্য তিন বিবাদী গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থায়ী জামিন আবেদন করেন ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। এরপর বেলা ১১টায় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হন ড. ইউনূস।

এর আগে গত ৩ মার্চ ড. ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছিলেন শ্রম আপিলের ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আজ (১৬ এপ্রিল) দিন ধার্য করেন আদালত। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ আউয়াল এ আদেশ দেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সেটি শুনানির জন্য আসে।

এই মামলায় ১ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

রায় ঘোষণার পর উচ্চ আদালতে আপিল করার শর্তে ড. ইউনূসসহ চারজনকে এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত।

২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। গত বছরের ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। গত বছরের ২২ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।

মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি।


আরও খবর