আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

‘গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার অপরাধের প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে’

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ জুলাই ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ জুলাই ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

গ্যাটকো দুর্নীতিতে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অপরাধের প্রাথমিক দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ হাইকোর্টের।

বুধবার (১৪ জুলাই) গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার বিষয়ে এই নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট।

২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পরদিন খালেদা জিয়া ও কোকোকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর জরুরি ক্ষমতা আইনে মামলাটি অন্তর্ভূক্ত করা হয়। পরের বছর ১৩ মে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোকে ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার ক্ষতি করেছেন।

মামলার ২৪ আসামির মধ্যে ছয়জন ইতোমধ্যে মারা গেছেন। তারা হলেন-সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া, এম কে আনোয়ার, জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী, চট্টগ্রাম বন্দরের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আহমেদ আবুল কাশেম ও বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো।

অন্য আসামিরা হলেন, বিএনপির সাবেক মন্ত্রী এম শামছুল ইসলাম, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, প্রয়াত মন্ত্রী কর্নেল (অব.) আকবর হোসেনের স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন এবং এ কে এম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, সাবেক নৌ-সচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদ, গ্লোবাল অ্যাগ্রোট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের (গ্যাটকো) পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, গ্যাটকোর পরিচালক সৈয়দ তানভির আহমেদ ও সৈয়দ গালিব আহমেদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এ এস এম শাহাদত হোসেন, বন্দরের সাবেক পরিচালক (পরিবহন) এ এম সানোয়ার হোসেন এবং বন্দরের সাবেক সদস্য লুৎফুল কবীর।


আরও খবর



সড়কের গাছ কাটলেন চেয়ারম্যান, জব্দ করলেন ইউএনও

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

চলছে সড়ক উন্নয়নের কাজ। উন্নয়নের পাশাপাশি সড়কের গাছ কেটে হরিলুটের রমরমা ফন্দি এটেছিলেন চেয়ারম্যান ও তার লোকজন। এমন সময় হঠাৎ ঘটনাস্থলে হাজির সদর উপজেলা ইউএনও। সমস্ত গাছ জব্দ করে ইউনিয়ন পরিষদ নেয়ার নির্দেশ ও সাময়িকভাবে সড়কের কাজ বন্ধ ঘোষণা করলেন। ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের বড়গাঁও ইউনিয়নের ভুল্লি-ফাড়াবাড়ির সড়কে।

শনিবার (১৬ মার্চ) বিকালে অবৈধভাবে সরকারি গাছ কাটার খবর পেয়ে সরজমিনে গিয়ে ইউএনও বেলায়েত হোসেন কথা বলেন গাছ কাটা শ্রমিক ও স্থানীয়দের সঙ্গে। তারা জানান, বড়গাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফয়জুর রহমানোর নির্দেশে গাছগুলো কর্তন করা হচ্ছে। এ সময় শ্রমিকরা জানান, প্রায় দুই শতাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। গাছ কাটার মজুরি চেয়ারম্যান দেবেন বলেও জানান শ্রমিকরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সড়কের পাশে সরকারি জমিতে চুক্তিভিত্তিক গাছ রোপনের পর তা ৩০ বছর ধরে পরিচর্যা করে আসছেন স্থানীয় কয়েকজন উপকারভোগী নারী। ভুল্লি বড়গাঁও থেকে ফারাবাড়ি প্রায় ৮ কিলোমিটার এ সড়কে ১৯৯২ সালে গাছ লাগানো প্রকল্পের আওতায় প্রথম পক্ষ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পরিষদ, দ্বিতীয় পক্ষ অরগানাইজেশন ফর রুরাল ডেভলপমেন্ট (ওআরডি) ও তৃতীয় পক্ষ বনলতা মহিলা উন্নয়ন দলের স্থানীয় ১০ জন নারীর সঙ্গে চুক্তি নামা হয়। এ চুক্তিনামায় প্রত্যেক নারী ১৫০ গাছ রোপন করলে মোট ১৫০০ গাছ রোপন করা হয়। যা ২০২৬ সাল পর্যন্ত কার্যকরের মেয়াদ রয়েছে। এ সময়ের পর গাছগুলো সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কেটে মুনাফার একটি অংশ পাবেন সেসব নারীরা।

কিন্তু এরইমধ্যে সড়ক প্রসস্থকরণ কাজ শুরু করে এলজিইডি। তবে সরকারি কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সড়কের প্রায় দুই শতাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে বলে উপকারভোগী নারীদের অভিযোগ।

তাদের অভিযোগ, আমাদের কাউকে কিছু না জানিয়ে গাছগুলো কাটা হয়েছে। আমরা ইউএনওকে মুঠোফোনে জানালে তিনি গাছগুলো জব্দ করেন। কিন্তু এরই মাঝে কিছু গাছ হরিলুট হয়ে গেছে বলে জানান নারীরা।

বড়গাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফয়জুর রহমানের দাবি, গত শুক্রবার ঠিকাদার রাস্তার বক্সকাটিং করার সময় ভেকু মেশিন ব্যবহার করার ফলে গাছগুলো উপড়ে গেছে। গাছ যাতে লুট না হয় সেই জন্য ইউনিয়ন পরিষদে নেয়া হয়েছে।

তবে ঠিকাদারের দাবি, গাছ উপড়ে ফেলার মতো কোন নির্দেশনা ভেকু চালকের প্রতি তার ছিলো না। তিনি বলেন, যেখানে গাছ কাটা হয়েছে সেখানে এর আগে কয়েক কিলোমিটার রাস্তা বক্স কাটিং করা হয়েছে। কয়েকদিন ধরে বক্সকাটিংয়ের কাজ চলছে। কোন গাছ কাটা বা উপড়ে ফেলা হয়নি।

সড়ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সরকারি গাছ কাটার ক্ষেত্রে কি নিয়ম আছে জানতে চাইলে সদর উপজেলার ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল কাদের কোন তথ্য জানাতে পারেননি।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, সড়ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সরকারি গাছ কাটার প্রয়োজন হলে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার ইউএনওকে চিঠি দেবেন। পরবর্তীতে ইউএনও বন বিভাগকে চিঠি দিয়ে সেসব গাছ চিহ্নিতকরণ ও দাম নির্ধারন করতে বলবেন এবং নিলামে গাছ বিক্রি করবেন।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, গাছ কার নির্দেশে কাটা হয়েছে বা উপড়ে ফেলা হয়েছে এগুলো তদন্তের বিষয়। তবে এতগুলো গাছ কাটার ঘটনায় যা হয়েছে তা অনৈতিক। আপাতত সড়কের বক্স কাটিং-এর কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হবে, তদন্ত হবে এবং দোষীরা আইনের আওতায় আসবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।


আরও খবর



বগুড়ায় প্রায় ৬০ মেট্রিক টন মধু আহরণের লক্ষ্য

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
বগুড়া প্রতিনিধি

Image

বগুড়ায় চলতি মৌসুমে প্রায় তিন কোটি টাকার ৬২ মেট্রিকটন মধু উৎপাদন হয়েছে। তবে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল আড়াই কোটি টাকা মূলের ৬০ মেট্রিকটন মধু উৎপাদনের। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) বগুড়া বেসরকারিভাবে এই লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চলতি রবি মৌসুমে সরিষা থেকে প্রায় এক কোটি টাকার ৩০ মেট্রিকটন মধু উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করেছে।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) সূত্রে জানা গেছে, বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারিভাবে মধু উৎপাদনের লক্ষ্য থাকলেও কয়েক বছর তা বন্ধ আছে। এরপরেও বিসিক বগুড়া নানাভাবে মধু উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে উদ্যোক্তদের সহযোগিতা করে আসছে।

এরমধ্যে অন্যতম হলো সরিষা থেকে সংগৃহীত মধু। এছাড়া লিচু ও কালোজিরা থেকেও মধু সংগ্রহ করবেন মৌমাছি প্রতিপালনকারী উদ্যোক্তরা।

বিসিক সূত্রে আরও জানা গেছে, সরিষা ফুলে উৎপাদিত মধুর কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, লিচুর মধু ৫০০ এবং কালোজিরা থেকে উৎপাদিত মধু বিক্রি হয় প্রতি কেজি ৬০০ টাকায়। প্রতি কেজি মধুর গড় দাম ৪শ টাকা ধরলে বগুড়ায় এ মৌসুমে উৎপাদিত মধুর মূল্য দাঁড়ায় দুই কোটি ৪০ লাখ টাকা।

এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়া সূত্র বলছে, গত বছর রবি শস্য চাষ মৌসুমে সরিষার ফুল থেকে সাড়ে ১৭ মেট্রিক টন মধু উৎপাদন হয়। আর চলতি মৌসুমে প্রায় এক কোটি টাকার ৩০ মেট্রিকটন মধু উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।

মোট ১৪২ জন উদ্যোক্ততা বগুড়ার মাঠে থাকা সরিষার জমি থেকে মধু সংগ্রহে তাদের প্রতিপালিত মৌমাছি নিয়ে কাজ করছেন।

মধু উৎপাদনকারী উদ্যোক্তরা বলছেন, সরিষা চাষ মৌসুমে প্রতিটি বাক্স থেকে প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ কেজি মধু সংগ্রহ করা যায়। তবে সেক্ষেত্রে আবহাওয়া রৌদ্রোজ্জ্বল থাকতে হয়। আগাম ও নাবী সরিষা চাষের ফলে প্রায় তিন মাস শুধু সরিষার ফুল থেকে সর্বাধিক পরিমাণ মধু সংগ্রহ হয়। সরিষার পর বরই, আম, লিচুর ফুল থেকেও মধু সংগ্রহ হয়।

শীতকালে কালোজিরা, জ্যৈষ্ঠ মাসে তিল ও বাদাম ফুল থেকে শেষ মধু সংগ্রহ করা হয়। ৫০টি মৌবাক্স থেকে প্রায় ১১০ কেজি মধু সংগ্রহ হয়। মধু সংগ্রহ করতে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগে। বছরের প্রায় ছমাস মধু সংগ্রহ করা গেলেও আষাঢ় থেকে অগ্রহায়ণ এই ছমাস মৌমাছিকে বিকল্প খাবার দিতে হয়।

দুই ভাগ চিনি ও এক ভাগ পানি মিশিয়ে সিরাপ তৈরি করে মৌমাছির বিকল্প খাবারের ব্যবস্থা করতে হয়। ফাউল ব্রুড রোগ মৌমাছির একটি মারাত্মক ব্যাধি। এছাড়াও আরও কিছু সংক্রামক রোগ ও উপদ্রবের কারণে মৌচাক নষ্ট হয়ে যায়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়ার উপ-সহকারি পরিচালক ফরিদুর রহমান বলেন, সরিষার জমি থেকে মধু সংগ্রহ করতে জেলায় ১৪২ জন উদ্যোক্তা কাজ করছেন। গত বছর সাড়ে ১৭ মেট্রিকটন মধু সংগ্রহ হলেও এবার ৩০ মেট্রিকটন মধু সংগ্রহের লক্ষ্য রয়েছে। তিনি আরও বলেন, মৌমাছি সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহের ফলে ফলনও বাড়ে।

বিসিক জেলা কার্যালয় বগুড়ার উপ-মহাব্যবস্থাপক একেএম মাহফুজুর রহমান বলেন, মধু উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে বিসিক বগুড়া জেলা কার্যালয় নানাভাবে উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করছে। বিশেষ করে বাজারজাতকরণে বিসিকর খাঁটি মানের নিশ্চিয়তা ও বিভিন্ন মেলাতে স্টল বরাদ্দে ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়াও মধু চাষে মৌমাছি প্রতিপালন ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির ব্যাপারে পরামর্শ প্রদান করা হয়।

তিনি আরও বলেন, বিগত বছরগুলোতে মধু উৎপাদনে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প থাকলেও বর্তমানে তা বন্ধ আছে। তবে খুব দ্রুতই নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে আবারও সরকারিভাবে মধু উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।


আরও খবর



অসুস্থ মমতার আরোগ্য কামনা করলেন মোদি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বাড়ির চত্বরে হাঁটার সময় পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় তাকে দ্রুত কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে কপালে তিনটি এবং নাকে একটি সেলাই দেওয়া হয়।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঘাত নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজনৈতিক মহল। শুধু বন্ধু-দল নয়, মমতার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন বিরোধী দলের নেতা-মন্ত্রীরাও। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন। তিনি লিখেছেন, আমি মমতা দিদির দ্রুত সুস্থতা ও সবসময় সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।’

এছাড়াও ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখর, মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে অরবিন্দ কেজরিওয়াল, নবীন পাটনায়েক এবং এম.কে. স্ট্যালিন, রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মো. সেলিম এবং রাজ্য বিজেপি প্রধান সুকান্ত মজুমদার মমতার সুস্থতা কামনা করেছেন।

পুলিশসূত্রে জানা গেছে, মমতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়ালসহ সিনিয়র অফিসারদের বলেছেন, তাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় কোনো এফআইআর করা হয়নি। তবে তদন্ত চলছে।

মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় ‍আরও বলেন, হাসপাতালে রাতে তাকে থেকে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি বাড়ি ফিরে যেতে চান। শুক্রবারও (১৫ মার্চ) হাসপাতালে আনা হবে। বাড়িতেও তাকে পর্যবেক্ষণে রাখবেন চিকিৎসকরা।’


আরও খবর



বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার সময় আসামে তালিকাভুক্ত ২ অপরাধী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার সময় দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে আসাম পুলিশ। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন আইএসআইএসের ওই দুই শীর্ষ নেতার ভারতে নাশকতার পরিকল্পনা ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও এর সহযোগী এজেন্সিগুলোর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) একটি দল ধুবড়ি সেক্টরে তালিকাভুক্ত ওই দুই যুবককে গ্রেপ্তারে মোতায়েন করা হয়। এদের ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাও (এনআইএ) খুঁজছিল।

পুলিশের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় এসটিএফ দল আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় তল্লাশি শুরু করে এবং বুধবার (২০ মার্চ) ভোরে ধুবড়ির ধর্মশালা এলাকায় দুই সন্দেহভাজনকে আটক করে।

আসাম পুলিশের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণবজ্যোতি গোস্বামী এক বিবৃতিতে বলেন, দু'জনকেই গ্রেপ্তার করে গুয়াহাটিতে স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

গ্রেপ্তারদের নাম হরিশ আজমল ফারুকি ওরফে হরিশ আজমল ফারুখি ও অনুরাগ সিং ওরফে রেহান। পুলিশ জানিয়েছে, ফারুকি উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনের বাসিন্দা এবং অনুরাগ সিং হরিয়ানার পানিপথের বাসিন্দা। তারা সেখানে কী করছিল তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। অনুরাগ সিং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন এবং তার স্ত্রী বাংলাদেশি নাগরিক।

দু'জনকেই ভারতে আইএসআইএস-এর উচ্চ প্ররোচিত ও অনুপ্রাণিত নেতা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, যারা সদস্য নিয়োগ, সন্ত্রাসে অর্থায়ন এবং ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত।

নিউজ ট্যাগ: আসাম আইএস

আরও খবর



ক্যানসারের ইঙ্গিত দেয় যেসব লক্ষণ

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

বিশ্বজুড়ে ২০৫০ সালের মধ্যে ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭৫ শতাংশের বেশি বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটির ক্যানসারবিষয়ক আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইএআরসি) জানিয়েছে, ২০১২ সালে বিশ্বজুড়ে ক্যানসার আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১ কোটি ৪১ লাখ এবং ৮২ লাখ। এক দশক পর এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে ২ কোটি ও ৯৭ লাখে।

সংস্থাটির পূর্বাভাস বলছে, ২০৫০ সালের মধ্যে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে আরও সাড়ে তিন কোটি, যা ২০২২ সালের চেয়ে অন্তত ৭৭ শতাংশ বেশি।

তবে ৭০ এর দশকের পর থেকে ক্যানসারে আক্রান্তদের বেঁচে থাকার হার তিনগুণ বেড়েছে। মূলত সঠিক সময়ে ক্যানসারের চিকিৎসা করালেই ভালো হওয়ার সম্ভবনা থাকে।

যুক্তরাজ্যের ক্যানসার গবেষণা সংস্থার এক গবেষণা অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের অর্ধেকের বেশি বাসিন্দা জীবনের কোন না কোন সময়ে এমন কোন উপসর্গে ভুগেছেন যেটি আসলে ক্যানসারের উপস্থিতির জানান দেয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। কিন্তু মাত্র ২ শতাংশ মনে করেছেন যে এর কারণে তাদের ভুগতে হতে পারে এবং এক তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ একে কোন ধরণের পাত্তাই দেননি এবং এর ফলে চিকিৎসকের কাছেও যাননি। এমন কিছু লক্ষর সম্পর্কে চলুন জেনে নিই-

হুট করে ওজন কমে যাওয়া : ক্যানসার আক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষই কোন না কোন সময় ওজন হারাতে শুরু করে। যখন আপনি কোন ধরনের কারণ ছাড়াই ওজন হারাতে শুরু করেন, এটাকে বলা হয় ব্যাখ্যাহীন ওজন হারানো। আর এই ব্যাখ্যাহীন ওজনহীনতা ক্যানসারের প্রথম লক্ষণ হতে পারে। অগ্ন্যাশয়, পাকস্থলী, খাদ্যনালী বা ফুসফুসের ক্যানসারের ক্ষেত্রে ওজন কমে যাওয়ার এই লক্ষণ বেশি দেখা যায়।

জ্বর : ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের সবচেয়ে সাধারণ একটি উপসর্গ হচ্ছে জ্বর। এছাড়া ক্যানসার শরীরে ছড়িয়ে পড়লে প্রায়ই জ্বর দেখা দেয়।

ক্লান্তি : এখানে ক্লান্তি বলতে বোঝায় চরম ক্লান্তিভাব যা বিশ্রাম নেয়ার পরও দূর হয় না। ক্যানসার বাড়ার সাথে সাথে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ হিসেবে দেখা দিতে পারে। কিছু কিছু ক্যানসার যেমন লিউকেমিয়ার ক্ষেত্রে শুরুর দিকেই ক্লান্তি দেখা দিতে পারে। কিছু কোলন বা মলাশয় ও পাকস্থলীর ক্যান্সারের ক্ষেত্রে রক্তপাত হতে পারে তবে এটা সবক্ষেত্রে হয় না। এর কারণেও ক্যান্সারের সময় ক্লান্তি দেখা দিতে পারে।

ত্বকে পরিবর্তন : ত্বকের ক্যানসার ছাড়াও আরো কিছু ক্যানসার রয়েছে যাতে আক্রান্ত হলে আপনার ত্বকে পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। যেমন- ত্বক কালো হয়ে যাওয়া বা হাইপারপিগমেনটেশন, ত্বক ও চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া বা জন্ডিস, ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, চুলকানি, মাত্রাতিরিক্ত চুলের বৃদ্ধি, অন্ত্রের ক্রিয়া বা মূত্রাশয়ের কার্যক্রমে পরিবর্তন কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া ইত্যাদি। অন্যদিকে প্রস্রাব করার সময় ব্যথা, প্রস্রাবে রক্তপাত বা মূত্রাশয়ের কার্যক্রমে পরিবর্তন যেমন আগের তুলনায় কম বা বেশি প্রস্রাব করা ইত্যাদি মূত্রাশয় বা প্রোস্টেট ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।

রক্তপাত : ক্যানসারের ক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থায় কিংবা তা ছড়িয়ে পড়ার পর অস্বাভাবিক রক্তপাত হতে পারে। কাশির সাথে রক্ত বের হওয়া ফুসফুস ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। এছাড়া আপনার যদি মলের সাথে রক্ত বের হয়, তাহলে মলদ্বারে ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।

শরীরের যে কোন স্থান শক্ত হয়ে যাওয়া : অনেক ক্যানসার ত্বকের মাধ্যমে শনাক্ত করা যেতে পারে। এ ধরনের ক্যানসার সাধারণত স্তন, অণ্ডকোষ, গ্রন্থি এবং শরীরের নরম টিস্যুতে হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে দেহে শক্তভাব বা মাংস জমে আছে- এ ধরনের অনুভূতি হয়। এটা এসব ক্যানসারের প্রাথমিক বা বিলম্বিত উপসর্গ হতে পারে।


আরও খবর