আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

হামাসের হামলায় ৩৩১ ইসরায়েলি সেনা নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৯ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে। হামাসের দাবি, মাত্র ২০ সেকেন্ডে ইসরায়েলে তারা পাঁচ হাজার রকেট ছুড়েছে। সেই সঙ্গে হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের সীমান্ত ভেঙে দেশটিতে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা এক হাজার ৪০০ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে তিন হাজারের বেশি।

আজ রবিবার ইসরায়েলি বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৩১ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। হামাসের কাছে জিম্মি রয়েছে ৩২ জন। এদিকে হামাসের হামলার জবাবে গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।

এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা আট হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে ১০ হাজারের বেশি। এ ছাড়া গতকাল শনিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলা দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। গতকাল শনিবার এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি বলেন, আমরা জিতব। আমরা জয়ী হব। হামাসকে পরাজিত করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। 

আরও পড়ুন>> কাজাখস্তানে খনিতে আগুন লেগে ৩৩ জনের মৃত্যু

নেতানিয়াহু বলেছেন, ইহুদিদের টিকিয়ে রাখতে এটি তিন হাজার বছরের পুরনো যুদ্ধ। একে দীর্ঘমেয়াদী ও কঠিন যুদ্ধ আখ্যা দিয়েছেন তিনি। হামাসকে পরাস্ত করতে ইসরায়েলি অতিরিক্ত স্থল বাহিনী এখন গাজা উপত্যকার সর্বত্র মোতায়েন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ করব এবং আমরা আত্মসমর্পণ করব না। আমরা স্থলে বা আকাশে কোথাও সৈন্য প্রত্যাহার করব না। পশ্চিমা দেশ ও আরব বিশ্বের মিত্ররা ইসরায়েলের পাশে আছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।


আরও খবর



উদ্বোধনের ৫ মাস পরও খুলনা-মোংলা রুটে চালু হয়নি ট্রেন

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উদ্বোধনের ৫ মাস পরও খুলনা-মোংলা রুটে ট্রেন চালু হয়নি। কবে নাগাদ ট্রেন চলাচল শুরু হবে তা এখনও অনিশ্চিত। ৮টি স্টেশন ও রেল ক্রসিংসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য জায়গায় এখনও জনবল নিযুক্ত করা হয়নি। এ অবস্থায় যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চালুর বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলতে পারছেন না প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এই রুটে ট্রেন চালুর অপেক্ষায় রয়েছে মোংলা ও খুলনার ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ এবং মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ অক্টোবর খুলনার ফুলতলা থেকে মোংলা পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল করে। এরপর ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যৌথভাবে ভার্চুয়ালি খুলনা-মোংলা রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। কিন্তু এরপর ৫ মাস পেরিয়ে গেলেও যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়নি।   

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলওয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, এই রেলপথে ৮টি স্টেশন নির্মাণ করা হলেও সবগুলোতে এখনও আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য সরঞ্জাম দেয়া হয়নি। রেল স্টেশন ও রেল ক্রসিংগুলোতে নিযুক্ত করা হয়নি কোনো জনবল। এছাড়া মোট কতটি ট্রেন চলবে, ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়া এখনও নির্ধারণ হয়নি।

খুলনা-মোংলা রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী আহমেদ হোসেন মাসুম জানান, উদ্বোধনের সময় কিছু ফিনিশিং কাজ বাকি ছিল। সেগুলো ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে এখনও জনবল নিয়োগ সম্পন্ন হয়নি। এই রুটে পণ্য পরিবহনকে প্রাধান্য দেয়া হবে, সেই সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনও চলবে।

খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান বলেন, খুলনা-মোংলা রেল লাইন এখন যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত। ঈদের পরে ট্রেন চলাচল শুরু করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

প্রকল্প অফিস সূত্রে জানা গেছে, খুলনা-মোংলা রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। এই রেলপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ৯০ কিলোমিটার। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে ভারতীয় দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লার্সেন অ্যান্ড টুবরো এবং ইরকন ইন্টারন্যাশনাল। ভারতের ঋণ সহায়তায় এ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ২৬০ কোটি টাকা।

এই রেলপথে রূপসা নদীর উপর ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রেল সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। ৯টি স্থানে ভেইকেল আন্ডারপাস-ভিইউপি (রেল লাইনের নিচ দিয়ে যাওয়ার রাস্তা) নির্মাণ করা হয়েছে। ভিইউপি এর কারণে ট্রেন চলাচলের সময় রেল ক্রসিংগুলোতে যানবাহন আটকা পড়বে না। এছাড়া দুর্ঘটনারও ঝুঁকি থাকবে না। এই রেলপথে স্টেশন রয়েছে ৮টি। সেগুলো হলো ফুলতলা, আড়ংঘাটা, মোহাম্মদনগর, দ্বিগরাজ, কাটাখালি, চুলকাঠি, বাঘা ও মোংলা।

খুলনা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মফিদুল ইসলাম টুটুল বলেন, আমরা চাই দ্রুত এই রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হোক। ট্রেন চালু হলে মোংলার সঙ্গে রেলপথে যাতায়াত সুবিধার পাশাপাশি আরও গতিশীল হবে মোংলা বন্দর। পর্যটকরাও খুলনা থেকে ট্রেনে করে সুন্দরবনে যেতে পারবে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের একজন কর্মকর্তা বলেন, পদ্মা সেতুর পর রেল সংযোগ মোংলা বন্দরের জন্য একটা আশীর্বাদ। এখন নদী ও সড়কপথে পণ্য বন্দরে আনা-নেয়া করা যায়। তবে রেলের মাধ্যমে কন্টেইনার পরিবহন সবচেয়ে সাশ্রয়ী একটা মাধ্যম। মোংলার সঙ্গে ঢাকা ও উত্তরাঞ্চলের কন্টেইনার পরিবহন সহজ হবে। কমলাপুর আইসিডি ও ঢাকা থেকে আমদানি-রপ্তানি পণ্য কন্টেইনারে মোংলা বন্দরে আনা-নেয়া সহজ হবে। মোংলা বন্দরে জাহাজের আগমন বৃদ্ধি পাবে।


আরও খবর



টি-টোয়েন্টি সিরিজ: সন্ধ্যায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে আজ (শুক্রবার) মাঠে নামবে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।

টি-টোয়ন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এই সিরিজে টাইগার ম্যানেজমেন্ট বেশ কয়েকটি জায়গা পরীক্ষা করবে। যার প্রথমটি হলো সাইফউদ্দিন। ১৮ মাস পর দলের ফেরা এই ক্রিকেটারকে যাচাই করতে মূল একাদশে রাখবে কোচ এবং অধিনায়ক।

বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিয়েছেন, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই সিরিজ শুধু পরীক্ষা-নিরীক্ষার সিরিজ নয়। অর্থাৎ বিশ্বকাপের দল নির্বাচনে যাচাইবাছাইয়ের একটি সুযোগ থাকলেও সিরিজ জয়ই হবে টাইগারদের লক্ষ্য।

এদিকে মোস্তাফিজ না থাকায় তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে দিয়ে পেস বোলিং ডিপার্টমেন্ট সাজাতে পারে বাংলাদেশ।

এর বাইরে স্পিনার কোটায় লেগ স্পিনার রিশাদ ও অফ স্পিনার শেখ মেহেদি থাকতে পারেন। এই ৫ বোলারের সঙ্গে ব্যাটার হিসেবে লিটন দাস, বাঁহাতি তানজিদ হাসান তামিম, অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও জাকের আলী অনিক কোচের অটোচয়েজ।

টাইগারদের সম্ভাব্য একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম,তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, রিশাদ হোসেন, শেখ মেহেদি, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।


আরও খবর



ঈদে সবার জীবনে নেমে আসুক সুখ ও শান্তি : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঈদে সবার জীবনে আনাবিল সুখ-শান্তি নেমে আসুক। আগামী দিনগুলো আরও সুন্দরভাবে যাক সেটাই কামনা করি।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) গণভবনে উপস্থিত নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শেখ রেহানা ও নিজের পক্ষ থেকে তাদের সবার পরিবারকে ঈদের শুভেচ্ছা পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানান। আনন্দের এসময় নিজের পরিবারকে সময় দেওয়ার পরামর্শ দেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিতে আসেনি মানুষকে দিতে এসেছে। মানুষের জন্য অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের ব্যবস্থা করা আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আজকের দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বাবা, মা, ভাই-বোন সব হারিয়েছি। তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। শ্রদ্ধা জানাই ৩০ লক্ষ শহিদের প্রতি। শ্রদ্ধা জানায় জাতীয় চার নেতার প্রতি।

নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমি আহ্বান করেছিলাম, ইফতার পার্টি না করে জনসাধারণের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করার জন্য। আপনারা আমার ডাকে সাড়া দিয়ে মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। এ জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। এতে প্রমাণ হয়েছে, আওয়ামী লীগ নিতে আসে না, মানুষকে দিতে আসে।

তিনি বলেন, অনেকে অহংকার করে বলেন এক হাজার লোক নিয়ে ইফতার করেছি। আসলে আওয়ামী লীগ খায় না, দেয়। আমরা সেটা প্রমাণ করেছি। আমরা ইফতার পার্টি করিনি, ইফতার মানুষের মধ্যে বিতরণ করেছি।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী নিজের ও তার বোন শেখ রেহানার পক্ষ থেকে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান। আওয়ামী লীগকে বার বার নির্বাচিত করায় দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, ডাক্তার দীপু মনি, নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপপ্রচার সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম সহ-কেন্দ্রীয় মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা, সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



অতিতীব্র তাপদাহে ফের তিন দিনের হিট অ্যালার্ট

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র হতে অতিতীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। পুড়ছে পুরো দেশ, বিপর্যস্ত জনজীবন। চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় পঞ্চম দফায় হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। যা আজ রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে শুরু হয়েছে।

আবহাওয়া ও ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রধান ড. শামীম হাসান মিয়া এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে এ দফায় বাদ পড়ছে সিলেট অঞ্চল। কারণ সেখানে প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টির আভাস থাকছে।

সর্বশেষ ২৫ এপ্রিল ৭২ ঘণ্টার তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বা হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল, যার মেয়াদ শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু গরমের তীব্রতা না কমায় আজ থেকে ৫ম দফায় নতুন করে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট শুরু হয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, দিন দিন এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ বাড়ছে আর কমছে বজ্রঝড়ের সংখ্যা। চলতি এপ্রিল মাসে গত ৭৬ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে তাপপ্রবাহ চলছে।

আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, প্রতি বছর এপ্রিল মাসে ৭-৮টি কালবৈশাখী-বজ্রঝড় হয়। কিন্তু এই বছর হয়েছে মাত্র একটি। এবার এ ঝড়ের সংখ্যা সামান্য। যা হয়েছে সিলেট বিভাগেই।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চূয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রাজশাহীতে ৪১ দশমিক ৫, পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪১ দশমিক ৫, সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে ৪০ দশমিক ৪, যশোরে ৪১ দশমিক ৬, কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।


আরও খবর



ফতুল্লায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে চীনা নাগরিকের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পঞ্চবটি এলাকায় পাওয়ার প্ল্যান্টের ভবন থেকে নিচে পড়ে ঝাং জি বিন (৫৫) নামের এক চীনা নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি একটি কোম্পানির ইলেক্টিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফতুল্লার পঞ্চবটি বিসিক শিল্পনগরীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক বেলা ১১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

টিবিইএ কোম্পানি লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠানটির দোভাষী মো. সেলিম জানান, তারা পঞ্চবটি বিসিক এলাকায় একটি পাঁচ তলা ভবনে বিদ্যুৎ পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরির কাজ করেন। সেখানকার ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ওই চীনা নাগরিক। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি ওখানে কাজ করছেন। আজ সকালে ভবনটির দ্বিতীয় তলায় ফ্লোরে বিদ্যুতের তার সঞ্চালনার ফাঁকা জায়গায় একটি কাঠ পেতে তার ওপর দাঁড়িয়ে কাজ করছিলেন ওই চীনা নাগরিক। হঠাৎ সেই কাঠটি ভেঙে ফাঁকা জায়গা দিয়ে বেসমেন্ট পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি।

পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে এক চীনা নাগরিককে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।


আরও খবর