গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ পরিস্থিতির অবসানসহ জিম্মিদের মুক্তির জন্য হামাসের প্রস্তাব বাতিল করেছে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। ইসরায়েলের উচ্চ পর্যায়ের দুই সরকারি কর্মকর্তা আমেরিকান বার্তাসংস্থা এক্সিওস-কে তথ্যটি নিশ্চিত করেছে। সোমবার (১ জানুয়ারি) মধ্যস্থতাকারী দুই দেশের মাধ্যমে পাঠানো প্রস্তাবটি ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভায় বাতিল হয়।
জানা গেছে, সোমবার ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেই প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা শেষে সভার অধিকাংশ সদস্য সেটি বাতিলের পক্ষে মতামত দেন। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিসভার এক সদস্য এক্সিওসকে বলেন, ‘আমাদের কাছে মনে হয়েছে প্রস্তাবটি ভিত্তিহীন এবং অসম্পূর্ণ। এ কারণেই এটি বাতিল করা হয়েছে। তবে আমরা আলোচনার দরজা বন্ধ করিনি। আশা করছি হামাস আরও গ্রহণযোগ্য প্রস্তাব পাঠাবে।’
এর আগে, রোববার দুই মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার এবং মিসরের মাধ্যমে ইসরালের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা বরাবর প্রস্তাব পাঠিয়েছিল গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। হামাসের পাঠানো প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, ইসরায়েল যদি গাজায় তিন মাসের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে, উপত্যকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয় এবং কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেয়, তাহলে প্রথম মাসে ৪০ জন ও পরের ২ মাসে ৪০ জনের বেশি করে জিম্মিকে ছেড়ে দেবে হামাস। এমনকি যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর যেসব সদস্যকে বন্দি করেছে হামাস যোদ্ধারা, তাদেরও মুক্তি দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, আড়াই মাসেরও বেশি সময় ধরে ব্যাপক যুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে নতি স্বীকার করে ২৫ নভেম্বর অস্থায়ী বিরতি ঘোষণা করে হামাস এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ। ১ ডিসেম্বর তা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত ৭ দিনের অস্থায়ী নিজেদের কব্জায় থাকা জিম্মিদের মধ্যে থেকে অর্ধেককে মুক্তি দিয়েছে হামাস। অপরদিকে বিভিন্ন কারাগার থেকে বন্দি ফিলিস্তিনিকেও ছেড়ে দেয় ইসরায়েল।
হামাস-আইডিএফের গত প্রায় তিন মাসের যুদ্ধে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসকে সম্পূর্ণ ধ্বংস এবং গাজা উপত্যকাকে পরিপূর্ণভাবে নিরস্ত্রীকরণের আগ পর্যন্ত সেখানে সেনা অভিযান থামানো হবে না।