আজঃ রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

হাঁসের খামারে স্বাবলম্বী জয়পুরহাটের রেহেনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

সংসারে অভাব অনটনের পরিবারে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে কিনে আনলেন ৩০টি হাঁস। খামারের অভিজ্ঞতা না থাকলেও ধীরে ধীরে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ বিভাগের নানা প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে নিজেকে ঝালিয়ে নিলেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে অভিজ্ঞতা। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে হাঁসের সংখ্যাও।

মাত্র ৩০টি হাঁস দিয়ে শুরু করা পারিবারিক খামারে এখন হাঁসের সংখ্যা ১ হাজার ৬০০। পাশাপাশি তিনি নিজ বাড়িতেই স্থাপন করেছেন একটি মিনি হ্যাচারি। এ হ্যাচারিতে ডিম থেকে হাঁসের বাচ্চাও উৎপাদন করছেন তিনি। এসব হাঁসের বাচ্চা সরবরাহ করছেন জয়পুরহাটসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায়।

গল্পটি জয়পুরহাটে খামারি রেহেনা বেগমের। এ খামার থেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন তিনি। পরিবারকে করেছেন সচ্ছল। জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নের শাইলগুন গ্রামের সাহসী এই নারী হাঁসের খামার করে হয়েছেন নন্দিত।

কালাই উপজেলার মাত্রাই শালগুইন গ্রামের আজিজার রহমান ও আছিয়া বেগমের তৃতীয় সন্তান মোছা. রেহেনা বেগম। বাবার সামর্থ্য না থাকায় লেখাপড়া তেমন করা হয়নি তার। মাত্র ১৫ বছর বয়সে একই গ্রামের রেহেনার চেয়ে ১০ বছরের বড় ইউসুফ আলী সঙ্গে বিয়ে হয়। বর ইউসুফ সহজ সরল হওয়ায় পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হন। কিশোরী রেহেনা অপরিপক্ব বয়সের ঘোর লাগা চোখে চেয়ে দেখলেন ঘোর দুর্যোগ। এ অবস্থা সামাল দেবেন কীভাবে বুঝে উঠতেই বেগ পেতে হয় তাকে। এরপরও দমে যাননি রেহেনা। তখন থেকেই হাঁস ও মুরগি পালন করে সংসার চালিয়েছেন। এরই মধ্যে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের মা হয়েছেন তিনি। বর্তমানে ছেলে ও স্বামী মিলে রেহেনার হাঁসের হ্যাচারি দেখাশোনা করেন।

নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খামারি রেহেনা বেগম বলেন, আমার পরিবারের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো ছিল না। সে জন্য নিজের সচ্ছলতা বাড়ানোর জন্য ৩০টি হাঁস কিনে পালন শুরু করি। এরপর হাঁস ও ডিম বিক্রি করে লাভ হওয়ায় হাঁসের সংখ্যা আরও বাড়াতে থাকি। এখন আমার খামারে ১ হাজার ৬০০ হাঁস রয়েছে। এর মধ্যে শতাধিক হাঁস প্রতিদিন ডিম দেয়। সেই ডিম তিন দিন পরপর বিক্রি করি।

অদম্য রেহেনার সহায়তায় এগিয়ে এসেছে স্থানীয় একটি এনজিও। তাদের কারিগরি সহায়তায় বাড়িতে একটি মিনি হ্যাচারি স্থাপন করেছেন রেহেনা। হ্যাচারির নাম দিয়েছেন মেসার্স রেহেনা হ্যাচারি। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। খামারে উৎপাদিত ডিম থেকে নিয়মিত এই হ্যাচারিতে বাচ্চা উৎপাদন হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকার মানুষ এসে কিনে নিয়ে যাচ্ছে ডিম ও বাচ্চা।

রেহেনার এই খামারের বর্তমান খরচ ৩ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে প্রায় ৮ লাখ টাকার বিনিয়োগ আছে তার। এ ছাড়া প্রতি মাসে ডিম ও বাচ্চা বিক্রি করেই ৩০-৪০ হাজার টাকা আয় হয় রেহেনার। 

প্রতিবেশী চান্দা আক্তার বলেন, রেহেনা বেগমের খামার দেখে খুব ভালো লাগছে। আমারও ইচ্ছা আছে এ রকম খামার করার। মোশারফ হোসেন নামের আরেক গ্রামবাসী বলেন, একজন নারী খামারি হয়ে এতটা সফল হয়েছে। এটা আমাদের সবার জন্যই গর্বের। সরকারি সহযোগিতা পেলে আমরাও হাঁসের খামার করব।

এ বিষয়ে জয়পুরহাট প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাফুজার রহমান বলেন, রেহেনা বেগম একজন সফল খামারি। আমরা তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। এ ছাড়া যারা এ রকম খামার করছেন তাদের জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে নিয়মিত প্রশিক্ষণসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।

নিউজ ট্যাগ: জয়পুরহাট

আরও খবর



মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ফাঁকি দিয়ে ইরানি তেল কেনায় চীনের রেকর্ড

প্রকাশিত:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের কাছ থেকে চীনের জ্বালানি তেল কেনা রেকর্ড পর্যায়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ইরানের তেল উৎপাদন বাড়ছে; সেই সঙ্গে বাড়ছে চীনের কাছে তেল বিক্রি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির কারণে দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাস বাহিনীর হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতারা ইরানের ওপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করে আসছেন। ফিলিস্তিনের হামাস দীর্ঘদিন ধরে ইরানের পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছেএটাই অভিযোগ। তবে ইরান হামাস বাহিনীর সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে আসছে।

এ পরিস্থিতিতে ইরানের তেল ব্যবসার লাগাম টানতে যুক্তরাষ্ট্র নতুন ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছে। সেটা হলো, বিশ্বের যেসব বন্দর ও পরিশোধনাগার ইরানের তেল প্রক্রিয়াজাত করে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। সে লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র নতুন আইন প্রণয়নের চিন্তা করছে।

বিশ্বের বৃহত্তম অপরিশোধিত তেল আমদানিকারী দেশ হচ্ছে চীন। বছরের প্রথম ১০ মাসে, অর্থাৎ ২০২৩ সালের জানুয়ারি-অক্টোবর সময়ে চীন ইরানের কাছ থেকে দৈনিক গড়ে ১০ লাখ ৫ হাজার ব্যারেল তেল আমদানি করেছে। তারাই ইরানের তেলের সবচেয়ে বড় গ্রাহক। ২০১৭ সালে ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আসার আগের সময়ের চেয়ে যা ৬০ শতাংশ বেশি।

চলতি বছর তেহরান তেলের উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে বড় ধরনের ছাড়ে তেল বিক্রি করছে। সে জন্যও ইরানের কাছ থেকে চীনের তেল কেনা বেড়েছে।

অক্টোবরে ইরানের দৈনিক তেল উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেল। রয়টার্সের এক জরিপে জানা গেছে, ২০১৮ সালের পর এটাই সর্বোচ্চ।

এদিকে জাহাজের গতিবিধি পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ভরটেক্সার তথ্যানুসারে, অক্টোবরে ইরান থেকে চীন দৈনিক গড়ে ১৪ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল তেল আমদানি করেছে। মাসিক ভিত্তিতে দেখা যায়, চীন কখনোই ইরানের কাছ থেকে আগে এতটা তেল কেনেনি।

কিন্তু প্রশ্ন হলো, চীন কীভাবে ইরানের কাছ থেকে তেল কেনে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর ও ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে দুই কার্গো তেল কেনা ছাড়া ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসের পর চীন ইরানের কাছ থেকে আর কোনো তেল কেনেনি বলে কাগজপত্রে দেখা যায়। তবে ইরানের যত তেল চীনে প্রবেশ করে, তার প্রায় সবই মালয়েশিয়া বা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে আসে বলে দেখানো হয়।

নামগোত্রহীন ডার্ক ফ্লিটে এসব তেলে পরিবহন করা হয়। ইরানের বন্দর থেকে তেল ভরার সময় তাদের যেন চিহ্নিত করা না যায়, সে জন্য তারা ট্রান্সপন্ডার বন্ধ রাখে।

এ ছাড়া এসব জাহাজ নিজেদের অবস্থান লুকিয়ে বা নির্ধারিত স্থানের বাইরে আরেক জাহাজে তেল তুলে দেয় বা এমনকি প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও তেল পরিবহন করে। সে জন্য অনেক দেশের মধ্যেই সংশয়, পাছে যেন দূষণ না হয়।

চীন ইরান থেকে যত তেল কেনে, তার ৯৫ শতাংশই যায় সব ছোট ছোট তেল পরিশোধনাগারগুলোতে। ইরানের তেল বিশ্ববাজারের চেয়ে ব্যারেলপ্রতি ১০-১২ ডলার ছাড়ে পাওয়া যায়, যেখানে রাশিয়ার তেলে ছাড় পাওয়া পায় ব্যারেলে পাঁচ ডলার। নিষেধাজ্ঞার কবল থেকে বাঁচতে চীনের এই ছোট পরিশোধনাগারগুলো চীনা মুদ্রায় লেনদেন করে, ডলারে নয়। এ কৌশলের মধ্য দিয়ে ইরান নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে তেল কেনাবেচা করতে পারছে।

এ ছাড়া চীন মার্কিন নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত দেশ রাশিয়া ও ভেনেজুয়েলা থেকেও তেল কেনে। তাদের অবস্থান হলো, কোনো দেশ আরেক দেশের ওপর একপাক্ষিকভাবে নিষেধাজ্ঞা দিলে সেটা তারা মানবে না।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ২০২১ সালের পর থেকে ইরানের পেট্রোলিয়ামের সঙ্গে সম্পৃক্ত ১৮০টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, চলাচল নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ৪০টি জাহাজে।


আরও খবর



শ্রীলঙ্কার কোচ হচ্ছেন ডোনাল্ড!

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ভারতে চলমান ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর চলতি মাসেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডের। তবে দায়িত্ব ছাড়ার আগেই টাইমড আউট কাণ্ডে সাকিব আল হাসানের সমালোচনা করে বিপাকে পড়েছেন এই প্রোটিয়া কিংবদন্তি।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল। তবে অনুশীলনে দলের সঙ্গে থেকেও দূরে দূরে ছিলেন ডোনাল্ড। চুক্তি এখনো বলবৎ থাকার পরও, অনুশীলনে পেসাররা কোনো সাহায্যই পাননি তার।

গুঞ্জন আছে, বিশ্বকাপ শেষে টাইগারদের কোচিং প্যানেল ছেড়ে শ্রীলঙ্কা দলের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড। এজন্য লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি) থেকে ইতোমধ্যে চাকরির প্রস্তাব পেয়েছেন সাদা বিদ্যুৎ খ্যাত কিংবদন্তি পেস বোলার।

এদিকে টাইমড আউট ইস্যুকে কেন্দ্র করে দ্বিধাবিভক্ত পুরো ক্রিকেট বিশ্ব। অনেকেই সাকিবের পাশে আছেন, কেউ-বা বিপক্ষে অবস্থান। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও দলের সতীর্থদের পাশেই পেয়েছেন টাইগার কাপ্তান।

তবে স্রোতের বিপরীতে ছিলেন একজন, অ্যালান ডোনাল্ড। সাকিবের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে এসেছেন শিরোনামে। চুক্তি শেষ হতে বাকি অল্প কিছুদিন, তারপরও তার বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাচ্ছে বোর্ড। বিসিবির অধীনে থেকেও কিভাবে তিনি এমন বক্তব্য দিলেন, তা জানতে চায় বোর্ড।

ডোনাল্ডের যে দলের সঙ্গে মানসিকতা মিলছে না, মাঠের সবার সঙ্গে তার দূরত্বটা স্পষ্ট। মাঠে দল অনুশীলনে ব্যস্ত কিন্তু ডোনাল্ড একাকী হেঁটে বেড়ালেন মাঠ জুড়ে। দলের কোনো কিছুতেই যেন তার কোনো আগ্রহ নেই।

নেট সেশন শুরু হতেই তানজিম সাকিব ও শরিফুল ইসলাম বোলিং করলেও পুরোটা সময় নিরব দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন ডোনাল্ড। সাকিব প্রতিটা বল করেই এসে টিপস নিচ্ছিলেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের কাছ থেকে। কিন্তু ডোনাল্ড টুঁ শব্দটি করেননি।

কিন্তু বিশ্বকাপের প্রথমদিকে ঠিক অন্য এক ডোনাল্ডকে দেখা গিয়েছিল। পেসারদের নিয়ে সবসময় কাজ করেছেন, পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু অনুশীলনের প্রায় পুরোটা সময় পেস বোলারদের কাছ থেকে নিজেকে দূরে রেখেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি পেসার।

চুক্তির মেয়াদ শেষ না হলেও, হয়তো টাইগার ড্রেসিংরুমে আর মন টিকছে না তার। টিকবেও বা কিভাবে, এরই মধ্যে যে নতুন চাকরির প্রস্তাবও পেয়েছেন সাদা বিদ্যুত খ্যাত এই সাবেক পেসার।

গুঞ্জন আছে, বিসিবির সঙ্গে চুক্তি শেষে ডোনাল্ড দায়িত্ব নিচ্ছেন শ্রীলঙ্কা দলের পেস ডিপার্টমেন্টের। যদিও এখনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি। তবে দুইয়ে দুইয়ে চার মেলানো সহজই বলা যায়।


আরও খবর
ইউরো ২০২৪ এর ড্র অনুষ্ঠিত

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩




বাংলাদেশের নির্বাচনে বাইরের কারও হস্তক্ষেপ চায় না বেইজিং: চীনা রাষ্ট্রদূত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, বাংলাদেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ীই নির্বাচন দেখতে চায় চীন। বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে চীন বাইরের কারও হস্তক্ষেপ চায় না। চীন নিজেও অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না। বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সেমিনারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ইয়াও ওয়েন।

ঢাকায় চীন দূতাবাসের সহযোগিতায় ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব) বিআরআইর ১০ বছর: পরবর্তী সোনালি দশকের সূচনা শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে।

চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের নির্বাচনের বিষয়ে বাংলাদেশিরাই সিদ্ধান্ত নেবে। চীনের প্রত্যাশা, সব অংশীদার মিলে বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখবে। বাংলাদেশ জানে, কী ধরনের নির্বাচন প্রয়োজন।

বাংলাদেশে চীনের বিপুল বিনিয়োগের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে নির্বাচনের পরও স্থিতিশীলতার ওপর জোর দেন রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে ইয়াও ওয়েন বলেন, এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোই বলতে পারবে। চীন বাংলাদেশের সমাজে স্থিতিশীলতা চায়।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন, বাংলাদেশ, মিয়ানমার মিলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর চেষ্টা করছে। রোহিঙ্গারা এ দেশে অতিথি হিসেবে এসেছে। তাদের প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সমর্থনও প্রয়োজন। চীন দেখতে পাচ্ছে, অনেকেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চায় না।

সেমিনারে চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশের (সিইএবি) সভাপতি কে চ্যাংলিয়াং বলেন, বাংলাদেশের অনেক বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে চীন। আগামী দিনে চীন আরও প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশের পাশে থাকবে চীন।


আরও খবর
নবম দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ চলছে

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩




বিশ্বকাপ ফাইনালে আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের শিকার স্মিথ

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

এবারের বিশ্বকাপ বহুল আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। পিচ এবং নানাকিছু নিয়ে পুরো বিশ্বকাপ জুড়েই ছিল আলোচনা। এবার বিশ্বকাপের ফাইনালে আম্পায়ারের একটি সিদ্ধান্ত বড় সমালোচনার জন্ম দিলো।

বিশ্বকাপের ফাইনালে ২৪১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালোই শুরু করে অজিরা। ম্যাচের সপ্তম ওভারের শেষ বলে বুমরাহর একটি বল স্টিভ স্মিথের পায়ে লাগলে আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওর্থ আউটের সিদ্ধান্ত দেন।

স্টিভ স্মিথ রিভিউ নিবেন কিনা এটা অপর প্রান্তে থাকা ব্যাটার ট্রাভিস হেডের কাছে জিজ্ঞেস করলে তিনিও সম্ভবত এটা আউট হবে এমনটাই জানিয়েছিলেন স্মিথকে। যার দরুণ স্মিথ আর রিভিউ নেননি।

কিন্তু বল ট্রাকিংয়ে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। বল অফস্টাম্পের বাইরে পিচ করে আউটসাইড অফে প্যাডে লাগে। এর অর্থ হলো, স্মিথ যদি রিভিউ নিতেন তাহলে সেটি নটআউট হতো। বিশ্বকাপের মত বড় মঞ্চে আম্পায়ারের এমন ভুল সিদ্ধান্ত জন্ম দিয়েছে নানা সমালোচনার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে চলছে জোর চর্চা।

নিউজ ট্যাগ: স্টিভ স্মিথ

আরও খবর
ইউরো ২০২৪ এর ড্র অনুষ্ঠিত

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩




টস জিতে ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

সেমিফাইনালে যাওয়ার লক্ষ্যে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) আফগানিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতেছেন আফগান অধিনায়ক শহিদি। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

২০১৫-তে পার্থ, ১৯-এ ব্রিস্টল। বিশ্বকাপে দুই দেখাতেই অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছে আফগানিস্তান। তবে, এবারের বিশ্বকাপে এত সহজে অজিরা পার পাওয়ার আশা করছে না। এখন পর্যন্ত দু'দলই খেলেছে ৭টি করে ম্যাচ। অজিরা ৭ ম্যাচ শেষে ৫ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে আছে তিনে। সমান ম্যাচে চার জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ৬-এ আছে রশিদ-নবিরা। সেমির স্বপ্নে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাসই মিলছে ম্যাচে

আফগানিস্তানের দলে একটি পরিবর্তন এসেছে। ফজল হকের জায়গায় দলে ফিরেছেন নাভিন-উল হক। এদিকে অস্ট্রেলিয়ার দলেও রয়েছে দুই পরিবর্তন। কিছুটা অসুস্থ থাকায় আজ বাদ পড়েছেন স্টিভেন স্মিথ। আর ক্যামেরুন গ্রিনও হারিয়েছে তার জায়গা। এই দুইজনের পরিবর্তে দলে ফিরেছেন মার্শ ও ম্যাক্সওয়েল। 

অস্ট্রেলিয়া একাদশ : ট্র্যাভিস হেড, ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ, মারনাস লাবুশেন, জশ ইংলিশ (উইকেটরক্ষক), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টয়নিস, প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), মিচেল স্টার্ক, অ্যাডাম জাম্পা, জশ হ্যাজেলউড।

আফগানিস্তান একাদশ : রহমানুল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাশমাতুল্লাহ শাহিদি (অধিনায়ক), আজমতুল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবি, ইকরাম আলীখিল (উইকেটরক্ষক), রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, নূর আহমদ, নাভিন-উল হক।


আরও খবর
ইউরো ২০২৪ এর ড্র অনুষ্ঠিত

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩