আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

হাঁসের খামারে স্বাবলম্বী জয়পুরহাটের রেহেনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

সংসারে অভাব অনটনের পরিবারে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে কিনে আনলেন ৩০টি হাঁস। খামারের অভিজ্ঞতা না থাকলেও ধীরে ধীরে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ বিভাগের নানা প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে নিজেকে ঝালিয়ে নিলেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে অভিজ্ঞতা। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে হাঁসের সংখ্যাও।

মাত্র ৩০টি হাঁস দিয়ে শুরু করা পারিবারিক খামারে এখন হাঁসের সংখ্যা ১ হাজার ৬০০। পাশাপাশি তিনি নিজ বাড়িতেই স্থাপন করেছেন একটি মিনি হ্যাচারি। এ হ্যাচারিতে ডিম থেকে হাঁসের বাচ্চাও উৎপাদন করছেন তিনি। এসব হাঁসের বাচ্চা সরবরাহ করছেন জয়পুরহাটসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায়।

গল্পটি জয়পুরহাটে খামারি রেহেনা বেগমের। এ খামার থেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন তিনি। পরিবারকে করেছেন সচ্ছল। জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নের শাইলগুন গ্রামের সাহসী এই নারী হাঁসের খামার করে হয়েছেন নন্দিত।

কালাই উপজেলার মাত্রাই শালগুইন গ্রামের আজিজার রহমান ও আছিয়া বেগমের তৃতীয় সন্তান মোছা. রেহেনা বেগম। বাবার সামর্থ্য না থাকায় লেখাপড়া তেমন করা হয়নি তার। মাত্র ১৫ বছর বয়সে একই গ্রামের রেহেনার চেয়ে ১০ বছরের বড় ইউসুফ আলী সঙ্গে বিয়ে হয়। বর ইউসুফ সহজ সরল হওয়ায় পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হন। কিশোরী রেহেনা অপরিপক্ব বয়সের ঘোর লাগা চোখে চেয়ে দেখলেন ঘোর দুর্যোগ। এ অবস্থা সামাল দেবেন কীভাবে বুঝে উঠতেই বেগ পেতে হয় তাকে। এরপরও দমে যাননি রেহেনা। তখন থেকেই হাঁস ও মুরগি পালন করে সংসার চালিয়েছেন। এরই মধ্যে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের মা হয়েছেন তিনি। বর্তমানে ছেলে ও স্বামী মিলে রেহেনার হাঁসের হ্যাচারি দেখাশোনা করেন।

নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খামারি রেহেনা বেগম বলেন, আমার পরিবারের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো ছিল না। সে জন্য নিজের সচ্ছলতা বাড়ানোর জন্য ৩০টি হাঁস কিনে পালন শুরু করি। এরপর হাঁস ও ডিম বিক্রি করে লাভ হওয়ায় হাঁসের সংখ্যা আরও বাড়াতে থাকি। এখন আমার খামারে ১ হাজার ৬০০ হাঁস রয়েছে। এর মধ্যে শতাধিক হাঁস প্রতিদিন ডিম দেয়। সেই ডিম তিন দিন পরপর বিক্রি করি।

অদম্য রেহেনার সহায়তায় এগিয়ে এসেছে স্থানীয় একটি এনজিও। তাদের কারিগরি সহায়তায় বাড়িতে একটি মিনি হ্যাচারি স্থাপন করেছেন রেহেনা। হ্যাচারির নাম দিয়েছেন মেসার্স রেহেনা হ্যাচারি। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। খামারে উৎপাদিত ডিম থেকে নিয়মিত এই হ্যাচারিতে বাচ্চা উৎপাদন হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকার মানুষ এসে কিনে নিয়ে যাচ্ছে ডিম ও বাচ্চা।

রেহেনার এই খামারের বর্তমান খরচ ৩ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে প্রায় ৮ লাখ টাকার বিনিয়োগ আছে তার। এ ছাড়া প্রতি মাসে ডিম ও বাচ্চা বিক্রি করেই ৩০-৪০ হাজার টাকা আয় হয় রেহেনার। 

প্রতিবেশী চান্দা আক্তার বলেন, রেহেনা বেগমের খামার দেখে খুব ভালো লাগছে। আমারও ইচ্ছা আছে এ রকম খামার করার। মোশারফ হোসেন নামের আরেক গ্রামবাসী বলেন, একজন নারী খামারি হয়ে এতটা সফল হয়েছে। এটা আমাদের সবার জন্যই গর্বের। সরকারি সহযোগিতা পেলে আমরাও হাঁসের খামার করব।

এ বিষয়ে জয়পুরহাট প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাফুজার রহমান বলেন, রেহেনা বেগম একজন সফল খামারি। আমরা তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। এ ছাড়া যারা এ রকম খামার করছেন তাদের জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে নিয়মিত প্রশিক্ষণসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।

নিউজ ট্যাগ: জয়পুরহাট

আরও খবর



আবারও বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড বাংলাদেশের

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিদ্যুৎ উৎপাদনের আবারও রেকর্ড ছাড়ালো বাংলাদেশ। দেশের ইতিহাসে মঙ্গলবার সর্বোচ্চ পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।

বলা হয়, রাত ৯টায় দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়ছে। এ সময় ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে।

এর আগে গত ২২ এপ্রিল ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছিল। তার আগের দিন রাতে পিক আওয়ারে রেকর্ড ১৫ হাজার ৬৬৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছিল।

বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) সূত্রে পাওয়া তথ্য বলছে, দেশে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনসক্ষমতা প্রায় ২৬ হাজার মেগাওয়াট। উৎপাদন করা হচ্ছে ১৩ হাজার থেকে সাড়ে ১৫ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত। চাহিদা আছে সাড়ে ১৩ হাজার থেকে ১৭ হাজার মেগাওয়াট।


আরও খবর



৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ইসরায়েলে ইরানের হামলা!

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরান থেকে ইসরায়েলের ওপর সরাসরি হামলা আসন্ন বলে মনে করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ হামলা পরবর্তী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হতে পারে। ইহুদি রাষ্ট্রের দক্ষিণ বা উত্তর অংশকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে ইরান। বিষয়টির সঙ্গে জানা আছে এমন একজন ব্যক্তিকে উদ্ধৃত করে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

তবে ইরান সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একজন ব্যক্তি জানান, হামলার পরিকল্পনা সম্পর্কে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। অবশ্য হামলা নিয়ে দেশটির নেতাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির একজন উপদেষ্টা বলেছেন, হামলার পরিকল্পনা সুপ্রিম লিডারের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং তিনি এখন এর রাজনৈতিক ঝুঁকির কথা ভেবে দেখছেন।

গত সপ্তাহে সিরিয়ায় ইরানের কনসুলেটে বিমান হামলা চালিয়ে দুই শীর্ষ কমান্ডারসহ ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের সাত সদস্যকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এরপর ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তারা গত সপ্তাহে ইঙ্গিত দিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলি বা আমেরিকান লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলা আসন্ন বলে বিশ্বাস করা হচ্ছে।

তবে মার্কিন গোয়েন্দারা এখন ইঙ্গিত করছেন, ইরান মধ্যপ্রাচ্যের অন্য কোথাও মার্কিন বা ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুর পরিবর্তে সরাসরি সম্ভবত ইহুদিবাদী দেশটির মাটিতেই প্রতিশোধমূলক হামলার দিকে মনোনিবেশ করছে।

খামেনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, কনস্যুলেটে হামলা করে ইসরায়েল যেন ইরানের মাটিতেই হামলা চালিয়েছে। তারা একটি ভুল করেছে। এর শাস্তি তাদেরকে পেতেই হবে।

হামলার আশঙ্কায় ইসরায়েলে মার্কিন দূতাবাস বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করে কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের রাজধানীর কেন্দ্রীয় এলাকার বাইরে ভ্রমণ না করার জন্য সতর্ক করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত করেছে, মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক অভিযানের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ডের কমান্ডার জেনারেল মাইকেল এরিক কুরিলা বৃহস্পতিবার ইসরায়েলে গিয়েছেন।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি ইরান এবং এর আঞ্চলিক সহযোগী শক্তিগুলোর ক্রমবর্ধমান হুমকির মুখে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার জন্য দৃঢ় মার্কিন সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

দূতাবাস কম্পাউন্ডে ইসরায়েলের বিমান হামলার পর ইরানের পাল্টা হামলার হুমকির মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় এ অঞ্চলের দেশগুলোকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া ও জার্মানি।

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে জার্মানির এয়ারলাইন্স লুফথানসা প্রথমে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ইরানে যাওয়া-আসার ফ্লাইট স্থগিত করেছিল। বৃহস্পতিবার এর মেয়াদ আরও দুদিন বাড়িয়ে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত করেছে এয়ারলাইন্সটি।


আরও খবর



তীব্র তাপপ্রবাহ: ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতরসহ বেশ কয়েকটি ছুটির সমন্বয়ে টানা ২৬ দিন ছুটি কাটিয়ে আগামী রোববার (২১ এপ্রিল) খুলছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে এরই মধ্যে দেশের তাপমাত্রা অসহ্য অবস্থায় পৌঁছানোয় কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও ৭ দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সংগঠনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চলে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। মানুষকে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধ করছে প্রশাসন। এর মধ্যে স্কুল কলেজ খুললে অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই দেশের সব স্কুল-কলেজ-মাদরাসা আগামী ৭ দিনের জন্য শ্রেণি শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, এ বছর শিখন ঘাটতি পূরণে মাধ্যমিকে ১৫ দিন ছুটি কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রমজানের শুরুতে প্রায় দুই সপ্তাহ ক্লাস হয়েছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। অন্যদিকে, রমজানের প্রথম ১০ দিন ক্লাস চালু ছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। একইভাবে সব কলেজ ও মাদরাসায়ও ছুটি কমিয়ে রমজানের শুরুর দিকে প্রায় দুই সপ্তাহ ক্লাস হয়। ছুটি শেষে রোববার থেকে পুরোদমে চালু হচ্ছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।


আরও খবর



দিনাজপুরে অনুষ্ঠিত হলো দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দিনাজপুর প্রতিনিধি

Image

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৯টায়  লাখ লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে ঈদের এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

ঐতিহাসিক এ ঈদের জামাতে অংশ নিতে সদর উপজেলা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও আশপাশের কয়েকটি জেলার মুসল্লিরা আসেন। জামাতে ইমামতি করেন দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদের ইমাম শামসুল হক কাসেমি।

বৃহৎ এ জামাতকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিল কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা। সিসিটিভি ক্যামেরার পাশাপাশি ছিল কঠোর গোয়েন্দা নজরদারি। মাঠের আশপাশে র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরাও তৎপর ছিলেন।

নামাজে অংশ নেন স্থানীয় সংসদ সদস্য হুইপ ইকবালুর রহিম ও প্রধান বিচারপতি (ভারপ্রাপ্ত) এনায়েতুর রহিম, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) তৌয়বুল আলম দুলাল, দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সর্বস্তরের জনগণ।

রংপুর জেলা থেকে ঈদের জামাতে আসা অলিউল ইসলাম ইসলাম বলেন, এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় ও দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতে নামাজ আদায় করার অন্য অনেক দিনে ইচ্ছে ছিল। আল্লাহ আজ সে আশা পুরণ করেছে। জীবনে প্রথম লাখ লাখ মুসল্লির সঙ্গে ঈদের নামাজ পড়তে পেরে ভালো লাগছে।

জেলার খানসামা  উপজেলা থেকে নামাজ পড়তে আসা ফারুক আহম্মেদ বলেন, আমি এর আগেও ঐতিহ্যবাহী এই ময়দানে নামাজ পড়েছি। সবাই মিলে একসঙ্গে লাখ লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করলাম। সবাই মিলে নামাজ পড়ে বেশ ভালো লাগলো।

নামাজ শেষে ঈদগাহ মাঠের সমন্বয়ক, পৃষ্ঠপোষক ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, আয়তনের দিক দিয়ে এটি উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মাঠ। এর আয়তন প্রায় ২২ একর। এবার দিনাজপুর জেলাসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলার প্রায় ছয় লাখ মুসল্লি এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।

তিনি আরও বলেন, মাননীয়  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থায়নে এ মাঠের সুন্দর মিনারটি নির্মিত হয়েছে। ভবিষ্যতে এটিকে আরও সুন্দর করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান ঈদগাহ মাঠের এ সমন্বয়ক।

ঈদের নামাজের আগে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) তৌয়বুল  আলম দুলাল, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমে, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম।

জানা যায়, বিভিন্ন স্থান থেকে বড় বড় ঈদগাহ মাঠের চিত্র নিয়ে এসে এ মাঠের নির্মাণ পরিকল্পনা করা হয়। সর্বপ্রথম মাঠের পশ্চিম প্রান্তে গত ২০১৫ সালে এ ঈদগাহ মাঠের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রায় দেড় বছর পর এটি নামাজের জন্য পুরো প্রস্তুত করা হয়। এ ঈদগাহে রয়েছে ৫২টি গম্বুজের দুই ধারে ৬০ ফুট করে দুটি মিনার, এর মধ্যের দুটি মিনার ৫০ ফুট করে এবং প্রধান মিনারের উচ্চতা ৫৫ ফুট। এসব মিনার আর গম্বুজের প্রস্থ হলো ৫১৬ ফুট। দেশের বড় ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ ময়দানের পশ্চিম দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এ ঈদগাহ মিনারটি। প্রত্যেকটি গম্বুজে দেওয়া হয়েছে বৈদ্যুতিক বাতি সংযোগ। ৫২টি গম্বুজ ২০ ফুট উচ্চতায় স্থাপন করা হয়েছে। গেট দুটির উচ্চতা ৩০ ফুট নির্মাণে নান্দনিক স্থাপনা দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

উল্লেখ্য, আগে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হতো কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়। এখন দিনাজপুরের ৫২ গম্বুজের ঈদগাহ মাঠে সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর



কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

১৪ বছরের কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪এর বিচারক শাহরিয়ার কবির এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরী বাবার সঙ্গে রাজধানীর কেরানীগঞ্জ এলাকায় বসবাস করত। কিশোরীর মা বিদেশে থাকতেন। ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বাসায় ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে তার জন্মদাতা বাবা। এ ঘটনায় ওই কিশোরী বাদী হয়ে রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় বাবার বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ধর্ষণের মামলা করে। পুলিশ কিশোরীর বাবাকে গ্রেপ্তার করে। পরে তিনি মেয়েকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ৩০ আগস্ট কিশোরীর বাবার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ছয়জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।


আরও খবর