আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

হাড় মজবুত করবে যে খাবার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

পায়েস হোক বা পোলাও, একমুঠো কাজুবাদাম পড়লে যেন স্বাদ আরও দ্বিগুণ হয়ে যায়। বিভিন্ন তরকারিতেও কাজুবাদামের পেস্ট ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে বাদাম কেবল খাবারের স্বাদ বাড়ায় না, বরং শরীরের সুস্থ থাকতেও অবদান রাখে। এতে রয়েছে ফাইবার, প্রোটিন, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, কপারের মতো উপকারী উপাদান।

এ ছাড়াও, কাজুবাদাম ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬ এবং থায়ামিন সমৃদ্ধ, যা শরীরের নানা সমস্যা দূর করে অতি সহজেই। এই কারণেই পুষ্টিবিদরা প্রতিদিন কাজু খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে কাজুবাদামের পর্যাপ্ত পুষ্টি পেতে হলে দুধের সঙ্গ লাগবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুধে কাজু ভিজিয়ে খেলে হাড় ও পেশীর বিকাশ ঘটে, কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও মুক্তি মেলে।

এ ছাড়াও, দুধে কাজুবাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার একাধিক উপকারিতা রয়েছে। তাই এ সম্পর্কে আমাদের সবার ধারণা রাখা উচিৎ। 

এক গ্লাস দুধে কাজুবাদাম ভিজিয়ে খেলে কী কী উপকার মিলতে পারে। দুধে ভেজানো কাজুবাদাম খেলে হাড় শক্তিশালী হয়। দুধে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। আর, কাজুবাদামে রয়েছে ভিটামিন কে, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি৬ এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো পুষ্টি উপাদান।

এই সব ভিটামিন এবং খনিজগুলি হাড়কে শক্তিশালী করে, জয়েন্টের ব্যথা থেকেও মুক্তি দেয়। তাই, হাড়ের ব্যথা কমাতে বয়স্ক ব্যক্তিরা অবশ্যই রোজ দুধে কাজুবাদাম ভিজিয়ে খান। দুধে সারা রাত কাজুবাদাম ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সেই দুধ খান।

প্রতিদিন দুধে কাজুবাদাম ভিজিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। কাজুবাদাম ও দুধ উভয়ই ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ। আর, একসঙ্গে এই দু'টি খাবার খাওয়া হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে পারে।

ত্বকের লক্ষণ দেখেই বোঝা যাবে শরীরের হাল হকিকত! কোন লক্ষণ কোন রোগের ইঙ্গিত দেয়? ত্বকের লক্ষণ দেখেই বোঝা যাবে শরীরের হাল হকিকত! কোন লক্ষণ কোন রোগের ইঙ্গিত দেয়?

যদি প্রতিদিন দুধে কাজুবাদাম ভিজিয়ে খান তাহলে আপনার শরীরে থাকা ফ্রি র্যা ডিক্যালস ধ্বংস হবে। আর, ফ্রি র্যা ডিক্যালের কারণে হওয়া ক্ষতি থেকেও রক্ষা পাবে শরীর। তাই, শরীর এবং ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে রোজ খান কাজুবাদাম। কী ভাবে দুধে ভেজানো কাজুবাদাম খাবেন? এক গ্লাস দুধে ৩-৫টি কাজু ভিজিয়ে সারা রাত রেখে দিন।

সকালে দুধ আর কাজু ভালো করে ফুটিয়ে নিন। ফোটানো হয়ে গেলে কাজুবাদাম চিবিয়ে খান আর তার সঙ্গে দুধ পান করুন। তবে অত্যধিক কাজুবাদাম খাবেন না। কারণ কাজুবাদাম শরীর গরম করে, আর দুধ ও কাজুবাদামে ক্যালোরি এবং হেলদি ফ্যাট থাকে, যা আপনার ওজন বাড়াতে পারে। তাই কম পরিমাণ খাওয়া উচিৎ।


আরও খবর
ডেঙ্গুতে ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৩৫৭

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশে এই প্রথম ডেঙ্গু টিকার সফল পরীক্ষা

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




শরিফুলের জোড়া আঘাতে ম্যাচে ফিরল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

এশিয়া কাপের সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলংকার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটে নামা লংকানদের প্রথম উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। তবে ৩৪ রানে প্রথম ব্যাটার হিসেবে দিমুথ করুনারত্নের ফেরার পর উইকেটে জমে গিয়েছিলেন পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস। এই জুটিতে ৭৪ রান আসার পর অবশেষে সেটি ভাঙে পেসার শরিফুল ইসলামের আঘাতে। নিশাঙ্কাকে ফেরানোর পর ফেরান মেন্ডিসকেও।

নিশাঙ্কা ফেরেন দলীয় ১০৮ রানে, ২৩.২ ওভারের সময়। শরিফুলের বল নিশাঙ্কা ব্যাটে নিতে পারলেও সেটি আগে আঘাত হানে প্যাডে। সঙ্গে সঙ্গে জোরালো আবেদন বাংলাদেশের। আম্পায়ারও আঙুল উঁচু করে আউটের ঘোষণা দিয়ে দেন। পরে রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি নিশাঙ্কা (৪০)। ১১৭ রানের মাথায় শরিফুলের বলে তাসকিন আহমেদের হাতে ক্যাচ উঠিয়ে দেন মেন্ডিস (৫০)।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৭ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ১২৩ রান করেছে শ্রীলংকা। উইকেটে আছেন কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রামা।

এর আগে, দলীয় ষষ্ঠ ওভারে করুনারত্মের উইকেট হারায় লংকানরা। হাসানের বলে খোঁচা দিতে গিয়ে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের ক্যাচে পরিণত হন দিমুথ (১৮)।

কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় ম্যাচটি শুরু হয়। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ফাইনালে যেতে হলে বাংলাদেশকে এ ম্যাচে জিততেই হবে। কেননা সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হেরেছিল দলটি। বাংলাদেশ একাদশে একটি পরিবর্তন হয়েছে। দলে আফিফ হোসেনের জায়গায় স্পিনার নাসুম আহমেদকে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। শ্রীলংকা দলে কোনো পরিবর্তন নেই। গ্রুপপর্বে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচের একাদশ নিয়েই নামছে স্বাগতিকেরা।


আরও খবর



মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে কারো পুলকিত হওয়ার কারণ নেই: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

হাছান মাহমুদ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা ও বহুমাত্রিক সম্পর্ক দিন দিন দৃঢ়তর হচ্ছে। সুতরাং কোনো একটা ভিসানীতি বা কিছু নিয়ে কারো পুলকিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা ও বহুমাত্রিক সম্পর্ক দিন দিন দৃঢ়তর হচ্ছে। সুতরাং কোনো একটা ভিসানীতি বা কিছু নিয়ে কারো পুলকিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এই নীতি তাদের বিরুদ্ধেই প্রযোজ্য হবে, যারা নির্বাচনে বাধা দেবে।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ সেটিই প্রমাণ করে।

রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাবে উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অকুতোভয় বিপ্লবী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের ৯১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের আলোচনা সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আজকে বিএনপি নানা ধরণের কথা বলে। ভিসানীতি ঘোষণার পর এক কথা বলে, আবার পত্রিকায় গত পরশু দিন খবর আসার পর আরেক ধরণের কথা বলে। এগুলো বলে কোনো লাভ নেই।

আরও পড়ুন>> মার্কিন ভিসা নীতিতে পুলিশ বাহিনীর ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না: ডিএমপি

হাছান বলেন, ১৯৭১ সালে যারা দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তাদেরই নতুন সংস্করণ হচ্ছে বিএনপি। এবং তাদের সহযোগী হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী, যারা দেশের স্বাধীনতার শুধু বিরোধিতাই করেনি, স্বাধীনতা সংগ্রামে এদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষ হয়ে অস্ত্রধারণ করেছিল। তাই এই বিএনপি-জামাত চক্র আজকে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে, আগামী নির্বাচনকে ভন্ডুল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

কিন্তু, সমস্ত ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে আগামী নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে এবং সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে-এই প্রত্যয় ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, সেই নির্বাচনে যদি বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসে আমরা স্বাগত জানাই। তবে কেউ না আসলেও কোনো অসুবিধা নাই। এই নির্বাচন আমাদের, এই দেশ আমাদের, এখানে নির্বাচন কিভাবে হবে সেটি আমরা ঠিক করবো। আমাদেরকে কারো গণতন্ত্র শেখাতে হবে না। গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চা আমরা জানি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অবশ্যই অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



বিএসএমএমইউতে ভর্তি মন্ত্রিপরিষদ সচিব

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অসুস্থতা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি হয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহাবুব হোসেন।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ৫ মিনিটে বিএসএমএমইউর কেবিন ব্লকের ৪১১ নম্বর কেবিনে ভর্তি হন তিনি।

বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ জানায়, সকাল ১০টার দিকে শারীরিক অসুস্থতাবোধ করায় বিএসএমএমইউতে নিয়ে আসা হয় তাকে। বিএসএমএমইউর কেবিন ব্লকের ৪১১ নম্বর কেবিনে তিনি ভর্তি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের একান্ত সচিব কাজী শাহজাহান বলেন, স্যারের ডেঙ্গু হয়নি। জ্বর ও কাশি হওয়ায় আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে স্যার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।


আরও খবর
তিন দিনের ছুটিতে ঢাকার রাস্তা ফাঁকা

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় সুলাওয়েসি দ্বীপের মিনাহাসা উপদ্বীপে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৩।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দেশটিতে ভূমিকম্প আঘাত হানে। তবে ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিক হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্স জানায়, ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। তবে ইন্দোনেশিয়ার ভূপদার্থবিদ্যা সংস্থা বিএমকেজি বলেছে, অগভীর এ ভূমিকম্পের কারণে সুনামির সম্ভাবনা নেই।

এশিয়ার বৃহত্তম দ্বীপদেশ ইন্দোনেশিয়ার জন্যসংখ্যা সাড়ে ২৭ কোটির বেশি। ভূতাত্ত্বিক অবস্থানের কারণে দেশটিতে প্রায়ই ভূমিকম্প, অগ্নুৎপাত ও সুনামির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে থাকে। সবশেষ গত ২৯ আগস্ট ভোরে দেশটির অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র বালিসহ লম্বক অঞ্চলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প হয়।

এদিকে, গত ৮ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার কিছু পরে উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোয় দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে নিহতের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়েছে।


আরও খবর



সাইবার নিরাপত্তা আইনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ টিআইবির

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের নামে নতুন মোড়কে মূলত একই ধরনের নিবর্তনমূলক ধারা সম্বলিত সাইবার নিরাপত্তা আইন (সিএসএ) ২০২৩ তড়িঘড়ি করে সংসদে পাস করার ঘটনায় হতাশা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

নতুন এই আইনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতোই মুক্ত চিন্তা, ভিন্নমত, বাকস্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মতো সাংবিধানিক অধিকারসমূহকে খর্ব করার ঝুঁকি সৃষ্টি করা হয়েছে। অথচ যে বিষয়গুলোর অন্তর্ভুক্তি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল, সেই সাইবার অবকাঠামো, ইন্টারনেট ও সংশ্লিষ্ট সকল ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের নিরাপত্তা-সংক্রান্ত অনেক বিষয়কেই উপেক্ষা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছে টিআইবি।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সিএসএ যেন ডিএসএর প্রতিরূপ না হয়, তা নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয় ও সংসদীয় কমিটিতে তুলনামূলক পর্যালোচনা ও সুপারিশ শীর্ষক একটি কার্যপত্রও প্রেরণ করেছিল টিআইবি। তাড়াহুড়া করে আইনটি পাস করা হলো জাতীয় সংসদে, যেখানে প্রতিশ্রুতি থাকলেও টিআইবিসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের পরামর্শ ও সুপারিশ আমলে নেওয়া হয়নি।

ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে ৫ সেপ্টেম্বর বিলটি সংসদে উত্থাপনের পর মাত্র আট দিনের মধ্যে তা কণ্ঠভোটে পাস করা হলো। মুক্তচিন্তা, মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মতো মৌলিক মানবাধিকার চর্চাকে অনেক ক্ষেত্রেই আবারও অপরাধ হিসেবে সাব্যস্ত করা হলো, যা চরম হতাশাজনক।

বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা ও হামলার চেষ্টার ঘটনা, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো, ডোমেইন অ্যাকাউন্টস, ব্যাংক ও ডেটাবেজ থেকে সংবেদনশীল তথ্য চুরির উদাহরণ রয়েছে। প্রয়োজনীয় ও পর্যাপ্ত আইনি কাঠামো তৈরি করার বিষয়গুলোকে আইনের আওতার বাইরেই রেখে দেওয়া হয়েছে। সাইবার স্পেসে নিরাপত্তাকে উপেক্ষা করে ভিন্নমত দমন ও গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের জন্যই সিএসএর মোড়কে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমালোচিত কালো আইন ডিএসএকেই বাস্তবে বহাল রাখা হলো। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো সাইবার নিরাপত্তা আইনও সাইবার মাধ্যম ব্যবহারকারীর জন্য হয়রানি, হুমকি, আতঙ্ক ও সাইবার নিরাপত্তাহীনতাবোধ সৃষ্টির হাতিয়ার হিসেবে প্রণীত হলো।


আরও খবর