আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

হারিয়ে যাচ্ছে সুরের ফেরিওয়ালা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

একটা সময় ঢাকায় ব্যান্ড পার্টি ছাড়া বিয়েই হতো না। ধনী-গরিব নির্বিশেষে সব শ্রেণিপেশার মানুষের বিয়েতেই থাকতো ব্যান্ড পার্টি। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় সেই চিত্র পাল্টে গেছে। এখন ব্যান্ড পার্টির দেখা খুব একটা যায় না। বিয়েবাড়িতে নেই ব্যান্ড পার্টির সেই প্যাঁ পো আওয়াজ। ঐতিহ্যবাহী ব্যান্ড পার্টির এমন উৎসব থেকে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে সুরের ফেরিওয়ালারা। কালেভদ্রে দু'একজায়গায় ব্যান্ড পার্টির দেখা মিললেও এখন বেশিরভাগই জায়গা পেয়েছে সাউন্ড সিস্টেম, ডিজে।

খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। যখন রাজধানীতে বিয়ের আয়োজনে বাদ্য-বাজনা আর ঢাক ঢোলের আওয়াজ থাকতো। ব্যান্ড পার্টির সদস্যদের মাথায় থাকতো রং বেরঙের টুপি। গায়ে ঝলমলে রাজকীয় পোশাক। হাতে একেক ধরনের বাদ্যযন্ত্র দিয়ে সাজানো বহর। যেকোনো উৎসবে নজর কাড়তো এরা। শুধু বিয়ে নয়ই নয়, কারও জন্মদিনে, মাজারে সিন্নির দিনে, আকিকা, সুন্নতে খাৎনাসহ যেকোনো অনুষ্ঠানে সবার আগে ডাক পড়তো ব্যান্ড পার্টির। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বিলীন হয়ে যাচ্ছে সুরের এ ধ্বনি তরঙ্গ। ডিজিটাল যুগে এসে কেউ ব্যান্ড দল ভাড়া করতে চায় না। ডিজিটালাইজেশনের এই যুগে ডিজে ছাড়া পুরনো ব্যান্ড পার্টি কেউ নিতে চায় না বিয়ে বাড়িতে। এর ফলে কর্মহীন হয়ে পড়ছে এই পেশার সঙ্গে যুক্তরা।

ব্যান্ড দল বিয়েবাড়ি'র সদস্য ভৈরব চন্দ্র রায়। ১৯৬০ সাল থেকেই ব্যান্ড দলের সঙ্গে কাজ করে আসছেন। তাঁর বাবাও ছিলেন এ পেশায় ৷ ১৫ বছর বয়সে বাবার সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যেতেন তিনি। সেখান থেকে আস্তে আস্তে হয়ে যান ব্যান্ড দলের সদস্য। এখন তাঁর বয়স ৮০র কাছাকাছি। এখনোও যুক্ত আছেন ব্যান্ড দলের সঙ্গে। আগের মতো কাজ করতে না পারলেও ভালোবাসার পেশাটাকে কখনো ছাড়তে পারেননি।

ভৈরব চন্দ্র বলেন, মানুষ যত বড়ই হোক না কেন তাঁর শেকড় যেন ভুলে না যায়। আমি জীবনের প্রায় ৬০ বছর মানুষকে আনন্দ দিয়ে পার করেছি। যতদিন বেঁচে আছি ততদিন মানুষকে আনন্দ দিতে চাই। যখন কারও বিয়ে হয় আর আমি সানাই বাজাই তখন আমার খুব ভালো লাগে। আমি কাজকে কখনো ছোট করে দেখিনি। দুই বেলা পরিবার নিয়ে খেতে পেয়েছি এটিই আমার জন্য যথেষ্ট ছিল। আগে অনেক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতাম। কিন্তু এখন সেভাবে ডাক পাইনা। বয়সও এখন বড় বাধা। তবুও মাঝেমধ্যে সানাই বাজাই। ঢোল তবলায় সুরের মুর্ছনা তুলি। মানুষকে আনন্দ বিলিয়ে বেড়াই।

ব্যান্ড পার্টির সঙ্গে যুক্ত অনেকেই এখন জীবিকার তাগিদে অন্য পেশায় চলে গেছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যেখানে আগে সপ্তাহে ৩ থেকে ৪টা অনুষ্ঠানে ডাক পড়ত, সেখানে এখন মাসে একবারও ডাক পড়ে না। তাই বাধ্য হয়েই অনেকেই অন্য পেশায় নিজেকে জড়িয়েছেন। অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত সবচেয়ে চাহিদা থাকতো তাদের। অনেক সময় সিরিয়ালও পাওয়া যেতো না। আর এখন উৎসবের ভরা মৌসুমেও ডাক পড়ে না! তবুও অনেকেই এখনো এই ঐতিহ্যবাহী ব্যান্ড পার্টিকেই শেষ সম্বল হিসেবে আকড়ে ধরে রেখেছেন। কারণ তাদের পুর্বপুরুষেরাও এই পেশার সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন। বাপ দাদার এই পেশাকে ছাড়তে নারাজ অনেকেই। তাই অনেক কম রোজগারের ফলেও কেউ কেউ আগলে ধরে আছেন ঐতিহ্যবাহী পেশাটিকে।

পুরান ঢাকায় এখনো কিছু ব্যান্ড দল রয়েছে। তবে, আগের মতো কাজ না থাকায় অধিকাংশ সদস্য ব্যান্ড দল ছেড়ে অন্য কাজ করেন। কোনো অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেলে সকল কাজ ফেলে আবার একত্রিত হয় দলের সবাই। অনুষ্ঠানে ডাক পেলে তবেই সবাই একত্রিত হয়ে অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ করে।

পুরান ঢাকার ব্যান্ড পার্টি সুরের মেলা। এর মালিক নির্মল গুহ। তিনিই এখন সুরের মেলা পরিচালনা করেন। ১৯৫০ সাল থেকে নির্মলের দাদা শঙ্কর গুহ সর্বপ্রথম এই ব্যান্ডটি চালু করেন। পুরান ঢাকার নাজিরাবাজার থেকে শুরু হয় এই ব্যান্ডের যাত্রা। এরপর শঙ্করের মৃত্যু হলে নির্মল গুহের বাবা হরিদাস গুহের কাঁধে এসে পড়ে ব্যান্ডের দায়িত্ব। এভাবেই এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের কাঁধে এসে পড়ছে ব্যান্ডের দায়িত্ব।

নির্মল গুহ জানান, আমাদের এই ব্যান্ড অনেক পুরনো। আমার বাপ দাদাসহ অনেকেই ব্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আমিও পারিবারিক ব্যান্ডের দায়িত্ব নিয়ে পরিচালনা করছি।  আগে ব্যান্ডের অনেক প্রচলন ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী এ শিল্প। আজ থেকে ১০-১৫ বছর আগেও আমাদের এত পরিমাণ কাজ আসতো যে আমরা সব অনুষ্ঠান করতে পারতাম না। কিন্তু এখন সপ্তাহে একটা বা মাসে দুয়েকটা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাই। ব্যান্ডের এই দুর্দশায় রোজগারের পরিমাণ কমে গেছে। তাই অনেকেই বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। অনুষ্ঠানে ডাক পেলে সকলে একত্রিত হই।

সনাতন ধর্মাবলম্বী এক মেয়ের বাবা তার মেয়ের বিয়েতে একটি ব্যান্ড দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। বিয়ের আয়োজন নিয়ে বলেন, আমার একমাত্র মেয়ে- তাই ধুমধাম করেছি। ব্যান্ড দলকে আনা হয়েছে দুই দিনের জন্য। তারা দুই দিন টানা ঢোল, বাঁশির সুরে সবাইকে মুগ্ধ রাখবে এই ছিল চিন্তা।

আগেরকার বিয়েগুলো এমনই হতো জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের সময় যখন বিয়ে হয়েছে তখন ঢাক-ঢোল পিটিয়ে, সানাই বাজিয়ে হৈ-হুল্লোড়ের মধ্যে বিয়ে হয়েছে। যেগুলো এখনো মনে পড়লে অন্যরকম এক ভালোলাগা কাজ করে। আগেরকার দিনের বিয়ে মানে ছিল অন্য রকম উত্তেজনা। কিন্তু এখন আর সেসবের দেখা মেলে না। এখন সবাই চায় চুপচাপ কোনো হৈ-হুল্লোড় ছাড়াই বিয়ের কাজটা সেরে ফেলতে। কিন্তু মানুষ একবারই বিয়ে করে আর সেটি যদি ব্যান্ডের তালে তালে উৎসবমুখর না হয় তাহলে তো কোনো আনন্দই থাকবে না। তাই আমার মেয়ের বিয়েতে আমি ব্যান্ড দল ভাড়া করে এনেছি। যেন বিয়েটা জমজমাটভাবে হয়। আমার নাতি-নাতনিরা যেন বলতে পারে আমার বাবা মায়ের বিয়ে কেমন ধুমধাম করে হয়েছিল।

১৫ বছরের মধ্যেই পাল্টে গেলো ব্যান্ড পার্টির স্বর্ণযুগ। ২০০০ সনের পরেও বেশ জনপ্রিয় ছিল এই দলগুলো। কেউ বাবা-কাকাকে দেখে হাতে তুলে নিয়েছিলো ট্রাম্পেট, ক্ল্যারিনেট, স্যাক্সোফোন, সানাই, ড্রাম বা ঝুনঝুনি। অথচ সেই যন্ত্রগুলো সময়ের স্রোতে বড় ভারি লাগে অনেকের কাছে! এই ভারি লাগার কারণ গুরুত্ব কমে যাওয়া, আয় কমে যাওয়া।

জোহর উদ্দিন এখন আর সানাই বাজান না। সুর তোলেন না। তবে ভালোবাসার কমতি নেই। ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, সানাই বাজানো ছেড়েছি আরেও পাঁচ বছর আগে। বাবা-চাচারা যে শিক্ষা দিয়েছিল অনেকদিন সেই সুর তুলেছি এখন আর সাউন্ড সিস্টেমের কাছে এই সুর ভালো লাগে না। তাই ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা করছি। সময় যাচ্ছে বয়ে। পরিবর্তন আসছে জগৎ সংসারে। এর মধ্যে কতো কিছু যুক্ত হয়ে আবার কতো কিছু নীরবেই হারিয়ে যায়। ব্যান্ড পার্টি এখন অনেকের কাছে সোনালি অতীতের মতো...।

নিউজ ট্যাগ: ব্যান্ড পার্টি

আরও খবর



রাবি ও চবিতে অধিভুক্ত হলো ৯ সরকারি কলেজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের সরকারি ৯ কলেজকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অধিভুক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৫ কলেজকে চবি এবং ৪ কলেজকে রাবির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা ও অনুশাসন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চট্টগ্রামের ৫ কলেজকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহীর ৪ কলেজকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার জন্য মন্ত্রণালয়ের এ বিভাগ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলো হলো- ১. চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ, ২. হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি কলেজ, ৩. স্যার আশুতোষ সরকারি (বোয়ালখালী) কলেজ ৪. সরকারি কমার্স কলেজ ও ৫. সাতকানিয়া সরকারি কলেজ।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলো হলো- ১. রাজশাহী সরকারি কলেজ, ২. রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ, ৩. রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ ও ৪. রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উক্ত অনুশাসন যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যকরী পদক্ষেপ ও অপরাপর করণীয় বিষয় সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে এ বিভাগে প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।


আরও খবর



ঝড়-বৃষ্টির কারণে যেসব অঞ্চল থেকে দেখা যাবে না বিরল সূর্যগ্রহণ

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিরল সূর্যগ্রহণ দেখার জন্য অধীর আগ্রহে আছেন দর্শনার্থীরা। তবে তাদের জন্য দুঃসংবাদের খবর দিচ্ছে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া। অনেক স্থান থেকেই বিরল এই সূর্যগ্রহণ দেখার কথা থাকলেও খারাপ আবহাওয়ার কারণে তা নাও দেখা যেতে পারে বলে সিএনএনর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিরল এই সূর্য গ্রহণের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দৃশ্য হলো ভরদুপুরে ঘুট ঘুটে অন্ধকার দেখা যাবে। মনে হবে রাতের অন্ধকার।

বিরল সূর্য গ্রহণ দেখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দুটি স্থানকে আদর্শ জায়গা হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছিল। কিন্তু আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে ভারমাউন্ট এবং দক্ষিণ ইন্ডিয়ানার মিসৌরিতে আকাশে মেঘ থাকতে পারে। এজন্য এ অঞ্চল থেকে পরিষ্কারভাবে সূর্যগ্রহণের দেখা পাওয়া যাবে না। এছাড়া টেক্সাসের কিছু এলাকার আবহাওয়া মেঘ যুক্ত থাকতে পারে। ফলে এখানকার বাসিন্দারাও পরিষ্কারভাবে সূর্যগ্রহণের দেখা নাও পেতে পারে।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ক্লেভিল্যান্ড, ওহিও, ইরি, পেনে সকাল থেকেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি শেষ হলেও মেঘ সরে যাওয়ার ক্ষেত্রে ধীরগতি পরিলক্ষিত হতে পারে। নিউইয়র্ক মহরের পূর্বাঞ্চলের বাফেলো এবং রচেস্টারেও আকাশ মেঘলা থাকবে। ফলে এসব এলাকা থেকে সূর্যগ্রহণ স্পষ্টভাবে নাও দেখা যেতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরের আকাশে শুধু মেঘ নয়, এখানে ঝড়ের সম্ভবনা রয়েছে। ডালাসের জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, সূর্যগ্রহণের পূর্বে এখানের আকাশ মেঘে ঢাকা থাকবে। এছাড়া ওই সময়ে ঝড়েরও পূর্বাভাস রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: সূর্যগ্রহণ

আরও খবর



ঈদযাত্রায় চলন্ত ট্রেনে সন্তান জন্ম দিলেন প্রসূতি

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

রাজশাহীগামী আন্তনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেন ঈশ্বরদী জংশন অতিক্রম করার সময় ট্রেনের মধ্যেই সন্তান জন্ম দিয়েছেন এক প্রসূতি।

সোমবার (৮ এপ্রিল) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে ট্রেনে সন্তান জন্ম দেন ওই নারী। পরে মা ও নবজাতককে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

প্রসূতি স্বর্ণা খাতুন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পান্তাপাড়া ইউনিয়নের ইয়াসিন আরাফাতের স্ত্রী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খুলনা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল সোয়া ৯টার দিকে দর্শনা রেলস্টেশনে পৌঁছালে ওই প্রসূতি তার পরিবারসহ নম্বর বগিতে ওঠেন। ট্রেনটি বেলা পৌনে ১১টার দিকে ভেড়ামারা রেলস্টেশনে এলে ওই নারীর প্রসব বেদনা শুরু হয়। তাৎক্ষণিকভাবে ট্রেনে কোনো চিকিৎসক আছেন কি না জানতে চেয়ে মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়। ঘোষণা শুনে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. নাজনীন আক্তার দ্রুত নম্বর বগিতে এসে নিজের পরিচয় দেন। পরে তার সহযোগিতায় ১১টা ৪০ মিনিটে একটি ছেলেসন্তান জন্ম দেন ওই প্রসূতি।

এ বিষয়ে ডা. নাজনীন আক্তার জানান, তিনি ট্রেনে আলমডাঙ্গা থেকে রাজশাহী যাচ্ছিলেন। মাইকিং শুনে বগিতে ছুটে যান। সেখানে কাপড় টাঙিয়ে তিন সিটের একটি চেয়ারে শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়।

জন্ম প্রসবে কোনো সমস্যা হয়নি, তাই বর্তমানে মা ও শিশু সুস্থ আছেন বলে জানান এ চিকিৎসক।

এ প্রসঙ্গে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ বলেন, ট্রেনটি রাজশাহী স্টেশনে পৌঁছানোর পর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে মা ও শিশু সুস্থ আছেন।


আরও খবর



সেতু থেকে খাদে পড়ে ৪৫ বাসযাত্রীর মৃত্যু, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু পার হওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ১৬৫ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায় যাত্রীবাহী একটি বাস। এতে ৪৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে। তবে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে একটি শিশু। খবর বিবিসির।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি বাস সেতু থেকে প্রায় ৫০ মিটার (১৬৫ ফুট) গভীর খাদে পড়ে যাওয়ার পর ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। অবশ্য বৃহস্পতিবারের এ ঘটনায় আট বছর বয়সী এক মেয়ে শিশুকে একমাত্র জীবিত অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং গুরুতর আহত অবস্থায় পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তর-পূর্ব লিম্পোপো প্রদেশে। জোহানেসবার্গের প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঘটনাস্থলটি। দুর্ঘটনার শিকার সবাই ছিলেন তীর্থযাত্রী এবং তারা বতসোয়ানার রাজধানী গ্যাবোরোন থেকে মোরিয়া শহরে ইস্টার সার্ভিসে যাচ্ছিলেন।

জানা গেছে, বাসটি পথিমধ্যে জোহানেসবার্গের প্রায় ৩০০ কিলোমিটার (১৯০ মাইল) উত্তরে মোকোপানে এবং মার্কেনের মধ্যে অবস্থিত মামামতলাকালা পর্বত গিরিপথের একটি সেতু পার হওয়ার সময় হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারায়। এ অবস্থায় সেতুর ব্যারিয়ারে ধাক্কা দিয়ে ছিটকে ১৬৫ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায় যাত্রীবাহী বাসটি। খাদে আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আগুনও ধরে যায় বাসটিতে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন দেশটির পরিবহন মন্ত্রী সিন্দিসিওয়ে চিকুঙ্গা। একই সঙ্গে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার মৃতদেহ ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে এবং দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে পূর্ণ তদন্ত করবে।

এ সময় ইস্টার উইকএন্ড উপলক্ষে রাস্তায় মানুষের ভিড় বৃদ্ধি পাওয়ায় আরও বেশি সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্বশীলভাবে গাড়ি চালানোর জন্য অনুরোধ করেন মন্ত্রী।


আরও খবর



বন কর্মকর্তা হত্যা: ৯ দিন পর প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারের বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান সজল (৩০) হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাপ্পীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

রোববার (৩১ মার্চ) মাঝ রাতে পাহাড়ের মাটি কেটে পাচারের সময় বাঁধা দেন উখিয়ায় বন বিট কর্মকর্তা সজল। এরপর ডাম্পার চাপা দিয়ে তাকে হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে।

বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গভীর রাতে উখিয়ার হরিণমারা এলাকায় পাহাড় কেটে ডাম্প ট্রাকে করে মাটি পাচার করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে মোটরসাইকেলে করে সাজ্জাদুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। এ সময় পাহাড় কেটে মাটি পাচার কাজে ব্যবহৃত একটি ডাম্পার তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। তার সঙ্গে থাকা বনরক্ষী মোহাম্মদ আলী (২৭) আহত হন। পরে আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।


আরও খবর