আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

হাশেম ফুডসে অগ্নিকাণ্ড: সিআইডির তদন্ত শুরু

প্রকাশিত:শনিবার ১৭ জুলাই ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ১৭ জুলাই ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় গত ১৭ জুলাই সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হাশেমসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের হাশেম ফুডস লিমিটেডের সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জনের প্রাণহানির ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তে কাজ শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

আজ শনিবার দুপুরে সিআইডির অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ইমাম হোসেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে নিয়ে রূপগঞ্জের ভুলতা কর্ণগোপ এলাকায় হাশেম ফুডসের কারখানা পরিদর্শন করেন। পরে অতিরিক্ত ডিআইজি গণমাধ্যমকর্মীদের তদন্তের বিষয়ে অবহিত করেন। 

এ সময় ইমাম হোসেন বলেন, আমরা দ্রুত মামলাটির তদন্ত শেষ করে অভিযোগপত্র দাখিল করব। এরই মধ্যে অগ্নিকাণ্ডের মূল কারণ অনুসন্ধান করাসহ সব বিষয়ে আমরা তদন্ত শুরু করছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি মহোদয় আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন যত দ্রুত সম্ভব এই মামলার প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য।

অতিরিক্ত ডিআইজি আরও বলেন, তদন্তে ১০টি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এখানে সরকারি অন্যান্য সংস্থা যার যা দায়িত্ব ছিল তারা সেই দায়িত্ব পালন করেছে কি না সেটাও দেখা হবে।

গত ৮ জুলাই বিকেলে রূপগঞ্জের ভুলতা কর্ণগোপ এলাকায় হাশেম ফুডসের এই কারখানায় আগুন লাগে। আগুন লাগার পরপরই মিনা আক্তার (৪০) ও স্বপ্না রানী নামের দুই শ্রমিকের লাশ কারখানা থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে মুরসালিন (২২) নামের এক কর্মী রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি আগুন লাগার পর তিনতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত হয়েছিলেন। পরদিন ৯ জুলাই দুপুরে কারখানা থেকে উদ্ধার করা হয় ৪৯টি লাশ। লাশগুলো পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে নিয়ে আসা হয়।

অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় গত ১৭ জুলাই সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হাশেমসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই দিনই তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। শুনানি শেষে বিচারক ফাহমিদা খানম প্রত্যেকের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হাশেম, তার চার ছেলে হাসিব বিন হাশেম, তারেক ইব্রাহীম, তাওসীব ইব্রাহীম ও তানজীম ইব্রাহীম এবং প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শাহান শাহ আজাদ, হাশেম ফুড লিমিটেডের ডিজিএম মামুনুর রশিদ ও অ্যাডমিন প্রধান সালাউদ্দিন।


আরও খবর



পানি ও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকির বিপক্ষে মত দিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পানি ও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি দেওয়ার বিপক্ষে মত দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

আজ রবিবার (১০ মার্চ) ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে ঢাকা ওয়াসার ২০২২-২৩ অর্থ বছরে বিল কালেকশন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

ওই অনুষ্ঠানে তিনটি বেসরকারি ব্যাংক ও তিনটি মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়।

এ সময় পানি ও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি ব্যবস্থার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, মানুষের আয় বৃদ্ধির জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রচেষ্টা চালাতে হবে, যাতে মানুষ বিদ্যুৎ এবং পানি নিজের টাকায় কিনে খরচ করতে পারে।

একসময় কৃষিতে ভর্তুকি তুলে দিতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কৃষিক্ষেত্রে আমাদের কৃষক এবং তাদের উৎপাদিত পণ্যের বিপণন ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ক্ষেত্রেও আমাদের ভর্তুকি দিতে না হয়।

সেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আর্থিক স্বাবলম্বী হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে তাজুল ইসলাম বলেন, টেকসই ও উন্নতসেবা প্রদান করার জন্য সেবা সরবরাহকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আর্থিক স্বাবলম্বী হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রাথমিকভাবে সেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে ভর্তুকি দেওয়া হলেও তা দীর্ঘমেয়াদী কার্যকরী কোনো সমাধান নয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকেই ধীরে ধীরে নিজের সক্ষমতা তৈরি করে শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশের যে পথনকশা তৈরি করেছেন, সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে গেলে এছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য দেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিম, অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, ঢাকা ওয়াসার বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুজিত কুমার বালা।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




হলমার্ক কেলেঙ্কারি

তানভীর-জেসমিনসহ ১৮ জনের মামলার রায় আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. তানভীর মাহমুদ ও তার স্ত্রী জেসমিন ইসলামসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য আজ দিন ধার্য রয়েছে। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. আবুল কাশেম এ রায় ঘোষণা করবেন।

গত ১২ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. আবুল কাশেম রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।

এর আগে ২৮ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. আবুল কাশেম রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। এদিন ( ২৮ ফেব্রুয়ারি) এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন দুদকের আইনজীবী মীর আহম্মেদ সালাম মামলাটি রায় থেকে উত্তোলন পূর্বক দুইজন ম্যাজিস্ট্রেটের সাক্ষ্য নেওয়ার জন্য আবেদন করেন। আদালত দুদকের আবেদনটি মঞ্জুর করেন। এরপর আদালত মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৪ মার্চ দিন ধার্য করেন। এদিন (৪ মার্চ) তৎকালীন ঢাকার দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান ও কেশব রায় চৌধুরী আদালতে সাক্ষ্য দেন। এদিন তাদের সাক্ষ্য শেষে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ১২ মার্চ দিন ধার্য করেন। গত ১২ মার্চ রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, ভুয়া ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের হিসাবে সুতা রপ্তানির নামে ৫২৫ কোটি ৬২ লাখ ৯২ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের সুতা রপ্তানি করা হয় বলে নথিপত্রে দেখানো হয়। ওই হিসাবে পুরো অর্থ জমা করা হলে তা থেকে ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা হলমার্কের আরেক ভুয়া প্রতিষ্ঠান অ্যাপারেল এন্টারপ্রাইজের হিসাবে স্থানান্তর করা হয়, যা পরে তানভীর ও তার স্ত্রী তুলে নেন। ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ, পরস্পরের যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অর্থের অপব্যবহার এবং পাচারের অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলা করে দুদক। ২০১৬ সালের ২৭ মার্চ ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা মামলার অভিযোগ গঠন করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এ বদলির আদেশ দেন।

এ মামলার আসামিরা হলেন হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. তানভীর মাহমুদ, তার স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, তানভীরের ভায়রা ও গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমেদ।

টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান, ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিয়া, প্যারাগন গ্রুপের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা, নকশী নিটের এমডি মো. আবদুল মালেক ও সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকার।

এছাড়া সোনালী ব্যাংকের হোটেল শেরাটন বা রূপসী বাংলা শাখার সহকারী উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. সাইফুল হাসান, নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মতিন ও সোনালী ব্যাংক ধানমন্ডি শাখার জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নেসা মেরি। সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জিএম অফিসের জিএম ননী গোপাল নাথ ও মীর মহিদুর রহমান, প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, ডিএমডি মাইনুল হক, উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শেখ আলতাফ হোসেন ও সফিজউদ্দিন এবং এজিএম মো. কামরুল হোসেন খান। এর মধ্যে আসামি জামাল উদ্দিন সরকার, আলতাফ হোসেন জামিনে রয়েছেন। এছাড়া সাইফুল, মতিন, হুমায়ুন, গোপাল নাথ, তসলিম, সাইফুল, মেরী ও জাকারিয়া পলাতক রয়েছেন।


আরও খবর



সাহরিতে যেসব খাবার কখনোই খাবেন না

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

রমজান মাসে সাহরি সারা দিন রোজা রাখার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাহরির খাবার নির্বাচনের ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। কারণ এসময় খাওয়া খাবার থেকেই আপনি সারাদিনের শক্তি ও পুষ্টি পাবেন। অনেক সময় আমরা ভুল করে সাহরিতে এমন সব খাবার খেয়ে থাকি যা সারাদিন অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই এদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। কিছু খাবার আছে যেগুলো সাহরিতে এড়িয়ে চলতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

ভাজা খাবার : ভাজা খাবার যেমন সমুচা, পাকোড়া বা পেঁয়াজু-বেগুনিতে অস্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ক্যালোরি বেশি থাকে, যা রোজার সময় বদহজম, পেট ফোলা এবং অস্বস্তির কারণ হতে পারে। তাই এ ধরনের সমস্যা থেকে বাঁচতে সাহরিতে ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। সেইসঙ্গে ইফতারেও যতটা সম্ভব ভাজা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।

নোনতা খাবার : অতিরিক্ত লবণ খেলে তা রোজার সময় ডিহাইড্রেশন এবং তৃষ্ণার কারণ হতে পারে। নোনতা খাবার যেমন আলুর চিপস, লবণাক্ত বাদাম বা প্রক্রিয়াজাত মাংস সাহরির সময় এড়িয়ে চলুন। অন্যান্য সময়েও এ ধরনের খাবার যতটা কম খাওয়া যায় ততই ভালো।

চিনিযুক্ত পানীয় : ফলের রস, কোল্ড ড্রিংকস বা এনার্জি ড্রিংকসের মতো মিষ্টি পানীয়তে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। এগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। সাহরিতে এ ধরনের পানীয় পান করলে আপনি সারাদিন অতিরিক্ত ক্ষুধার্ত বোধ করতে পারেন। এতে রোজা থাকা কষ্টকর হবে। তাই সাহরিতে চিনিযুক্ত পানীয় খাবেন না।

অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার : স্যাচুরেটেড চর্বিযুক্ত খাবার যেমন চর্বিযুক্ত মাংস, ক্রিমি সস এবং ভাজা খাবার হজম হতে বেশি সময় নিতে পারে। এ ধরনের খাবার রোজার সময় অস্বস্তি এবং পেট ভারী হওয়ার কারণ হতে পারে। তাই সাহরিতে অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।

অতিরিক্ত মসলাদার খাবার : যদিও মসলা খাবারে স্বাদ যোগ করে কিন্তু অত্যাধিক মসলাদার খাবার পেটের আস্তরণে জ্বালার কারণ হতে পারে। এটি বুকে জ্বালাপোড়া বা অ্যাসিড রিফ্লাক্সের কারণ হতে পারে, বিশেষ করে যদি সাহরিতে খাওয়া হয়। তাই সাহরির খাবারের তালিকায় অতিরিক্ত মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন।

নিউজ ট্যাগ: সাহরি

আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

রোজায় আমাদের খাদ্যাভ্যাসে বড় পরিবর্তন আসে। তাই এর প্রভাবও পড়ে শরীরে। যে কারণে এসময় শরীরের জন্য সর্বোচ্চ উপকারী খাবার বেছে নিতে পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। রোজায় পানি কম পান করা হলে এবং ভাজাপোড়া ও মসলাদার খাবাার বেশি খাওয়া হলে তার প্রভাব পড়ে আমাদের ত্বকেও। এসময় ত্বক নির্জীব ও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। তাই রোজায়ও ত্বকের যত্ন নেওয়া জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক, রোজায় ত্বক ভালো রাখতে কী করবেন-

ক্লিনজিং : আমাদের ত্বকের উপর মরা চামড়া জমে লোমকূপ বন্ধ করে দিতে পারে। তাই ত্বক সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। বাইরে থেকে ফিরে ক্লিনজিং ব্যবহার করুন। ভালো মানের ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নেবেন। মুখে বারবার পানির ঝাপটা দেওয়ার চেষ্টা করুন। এতে ত্বক আরাম পাবে।

বরফ ব্যবহার : সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর একটি পরিষ্কার সুতির কাপড়ে এক টুকরা বরফ নিয়ে মুখে ঘষতে পারেন। তবে বরফ কখনোই সরাসরি মুখে লাগাবেন না। এতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। এভাবে বরফ ব্যবহারের ফলে মুখের ফোলাভাব অনেকটাই কমে যাবে। চোখের নিচের ফোলাভাব দূর করার জন্য ফ্রিজে একটি চা চামচ রেখে দিতে পারেন। এরপর সেই ঠান্ডা চামচ বের করে চোখের নিচে ধরে থাকলে আরাম পাবেন এবং চোখের ফোলাভাবও অনেকটাই দূর হবে।

স্ক্র্যাব করুন : সপ্তাহে দুইদিন ব্যবহার করতে পারেন স্ক্র্যাব। নিয়মিত ক্লিনজিং এর পরও অনেক সময় ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার হয় না। এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে স্ক্র্যাব। বাইরে থেকে না কিনে ঘরেই তৈরি করতে পারেন স্ক্র্যাব। যেমন ধরুন কফি আর মধু দিয়েই আপনি একটি স্ক্যাব তৈরি করে নিতে পারেন। অথবা চালের গুড়া, দুধের সর আর মধু দিয়েও হতে পারে স্ক্র্যাব। তবে এটি বেছে নিতে হবে আপনার ত্বকের ধরন বুঝে।

পাকা পেঁপের প্যাক : রোজায় ইফতারের সময় অনেকেই পাকা পেঁপে খেতে পছন্দ করেন। এটি কিন্তু এসময় আপনার ত্বক ভালো রাখতেও কাজ করবে। সেজন্য আপনার প্রয়োজন হবে দুই চা চামচ পাকা পেঁপের পেস্ট এবং দুই চা চামচ মধু। এবার এই দুই উপকরণ একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি ত্বকে ব্যবহার করতে হবে মিনিট পনেরো। এরপর শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিতে হবে। এতে উপকার পাবেন।


আরও খবর



কেজরিওয়াল গ্রেপ্তার: যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ এবং দ্রুত আইনি প্রক্রিয়া চাই আমরা।

এরপর ভারত সরকার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র মিশনের ভারপ্রাপ্ত উপপ্রধান গ্লোরিয়া বারবানাকে তলব করে। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে ৪০ মিনিটের বৈঠক করেন তার সঙ্গে।

বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এমন আচরণের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি জানায়। তারা জানান, প্রত্যেক রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার ও সার্বভৌমত্বের ওপর শ্রদ্ধাশীল থাকা উচিত। গণতন্ত্রের সঠিক চর্চার জন্য এই শ্রদ্ধাবোধ সবার দায়িত্ব। নাহলে অসুস্থ পরিবেশ তৈরি হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতের আইনি প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও স্বাধীন বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হয়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে ভারতে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে ইডি। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে প্রথম ক্ষমতাসীন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে গ্রেপ্তার হন তিনি। দিল্লির আবগারি নীতি সংক্রান্ত ওই মামলায় কেজরিওয়ালকে জেরা করার জন্য ৯ বার সমন পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু তিনি আসেননি। এই অভিযোগে গ্রেপ্তার হতে হয় তাকে।


আরও খবর