আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

হাসপাতালে পুকুর ভরা পদ্ম

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নওগাঁর সাপাহার উপজেলা হাসপাতালে 'পুকুর ভরা পদ্ম'। ফুলে আর পাতায় ভরে গেছে সমস্ত পুকুর। পুকুরজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে পদ্মের আভা। যে পুকুরের দিকে একসময় কেউ ফিরেও তাকাত না, সেই পুকুরে ভাসমান পদ্মগুলোর সৌন্দর্য্য দেখতে আসছে দূরদূরান্তের দর্শনার্থীরা।

সরেজমিনে জানা যায়, এলাকাবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল। বর্তমানে শিশুবান্ধব হাসপাতাল নামে পরিচিতি লাভ করেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ রুহুল আমিন। তার অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল এখন রাজশাহী বিভাগ সেরা। ২০১৮ সাল থেকে তিন দফা গাছ লাগিয়ে তিন বছরের চেষ্টায় নয়াভিরাম পদ্ম ফুলে পুকুর ভরে গেছে। হাসপাতালে রোগীরা স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা অনেকেই এ পুকুরের পাড়ে দাঁড়িয়ে উপভোগ করেন পদ্মের সৌন্দর্য্য। মুগ্ধ হন তারা।

হাসপাতালে ঘুরতে আসা স্থানীয় দর্শনার্থী মনিরুজ্জামান বলেন, 'এ হাসপাতালে প্রবেশ করলেই রোগ অর্ধেক সেরে যায়। হাসপাতালের পরিবেশ দেখে সত্যিই খুব মুগ্ধ হই। প্রতিদিন সন্ধ্যায় পুকুর ঘাটে বসে থাকি। বন্ধুবান্ধব ত্যাগ করে এখন পুকুর পাড়টাই আমার চরম বন্ধু। এরকম পরিবেশ দেশের প্রতিটি হাসপাতালে থাকা দরকার।'

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, পদ্ম ফুল সৌন্দর্য্যের প্রতীক। গোবরে পদ্ম ফুল, পদ্ম পাতায় জল- বাংলা সাহিত্যে বাগধারা হিসেবে বহুল প্রচলিত। আলতাদিঘী রাশি রাশি পদ্ম মুগ্ধ করেছিল। ব্যাপারটা তখনই মাথায় আসে। সেই থেকে হাসপাতাল ক্যাম্পাসের পুকুরটাতে পদ্মরাশির স্বপ্ন দেখা শুরু। তারিখটা স্পষ্ট মনে আছে, ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর। সেই থেকে তিন দফা গাছ লাগিয়ে তিন বছরের চেষ্টায় স্বপ্ন সত্যি হলো। একটা সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছি। বর্তমানে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা থেকে শুরু করে বাইরের সব দৃশ্য সর্বস্তরের মানুষের নজর কেড়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, 'হাসপাতালের চিত্র কিছুদিন আগেও এমন ছিল না। হাসপাতাল পুকুরটি পতিত পড়ে ছিল। ওই পুকুরে সারা বছর ময়লা-আবর্জনা ভরে থাকত। এখন হাসপাতলের পুকুরটি যেন হেসে উঠেছে। ব্যতিক্রম এমন উদ্যোগ নেওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান তিনি।'

নওগাঁ সিভিল সার্জন আবু হেনা মো. রায়হানু উজ্জামান সরকার  বলেন, 'সরকারের উন্নয়নের অংশ হিসেবে পুকুরটির সৌন্দর্য্য বাড়াতেই এখানে পদ্মের কন্দ লাগিয়েছেন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে পুকুরটিতে সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছেন।  হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা থেকে শুরু করে বাইরের সব দৃশ্য সর্বস্তরের মানুষের নজর কেড়েছে। এ হাসপাতাল দেখে অনেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে।’

এ উদ্যোগের পেছনে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ রুহুল আমীনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

নিউজ ট্যাগ: নওগাঁ

আরও খবর
সময় এখন ক্যাম্পিংয়ের

বুধবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩




ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

চেক প্রতারণার পৃথক তিন মামলায় ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সোমবার (০৪ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারাহ দিবা ছন্দার আদালত এ আদেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী সাকিবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে এসব মামলায় তাদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়। আসামিরা হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এর আগে এ মামলায় তাদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়। ওইদিন আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে বুধবার (১৭ জানুয়ারি) তিনি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত রাসেলের জামিন মঞ্জুর করেন। একই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন আদালতে হাজির হননি।

এদিকে আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মাদ রাসেল গত রবিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারের জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার কার্যক্রমে অংশ নেন।

সেখানে তিনি বলেন, ইভ্যালির কাছে প্রত্যেক পাওনাদারের দেনা পরিশোধ করা হবে। এক্ষেত্রে যারা অভিযোগ করেছেন অথবা যারা অভিযোগ করেননি সবাইকেই তালিকা অনুযায়ী টাকা পরিশোধ করা হবে।


আরও খবর



হঠাৎ কেন পদত্যাগ করলেন নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

লোকসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে হঠাৎ পদত্যাগ করেছেন ভারতের নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল। এতে করে হঠাৎ বেশ বড় ধাক্কার সম্মুখীন হয়েছে প্রতিবেশী এই দেশটির নির্বাচন কমিশন। তার পদত্যাগে সৃষ্টি হয়েছে আলোড়নের। তবে হঠাৎ কেনই বা তিনি এখন পদত্যাগ করলেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য প্রত্যাশিত সময় ঘোষণার কয়েক দিন আগে শনিবার পদত্যাগ করেছেন। আইন মন্ত্রণালয়ের একটি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু আনুষ্ঠানিকভাবে অরুণ গোয়েলের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন এবং সেটি অবিলম্বে কার্যকর হয়েছে।

বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি বলছে, অরুণ গোয়েল তার পদত্যাগের জন্য ব্যক্তিগত কারণ-কে দায়ী করেছেন। যদিও তাকে পদত্যাগ করা থেকে বিরত রাখতে ভারতের সরকার থেকে প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল।

তবে সদ্য পদত্যাগ করা এই নির্বাচন কমিশনারের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ সংক্রান্ত জল্পনা দ্রুত খারিজ হয়ে যায় যখন শীর্ষ কর্মকর্তারা জানান, অরুণ গোয়েল নিখুঁতভাবে সুস্থ আছেন। নির্বাচন কমিশনের বেশ কয়েকটি সূত্র বলছে, অরুণ গোয়েল এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে।

ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশনে তিনজন সদস্য থাকেন, একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও দুইজন নির্বাচন কমিশনার। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন অনুপ পান্ডে। এরপর শনিবার বিকেলে হঠাৎ করেই আরেক নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন।

পরে তিনি প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান এবং সেটি গৃহীতও হয়ে যায়। ২০২৭ সালে অরুণ গোয়েলের অবসরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে মেয়াদ পূরণের ৩ বছর আগেই কেন তিনি হঠাৎ পদত্যাগ করলেন? তাও আবার লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার ঠিক আগে।

মূলত আগামী এপ্রিল-মে মাসেই ভারতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে লোকসভা নির্বাচন। সেই অনুযায়ী, মার্চ মাসেই নির্বাচনের দিন ঘোষণার কথা রয়েছে। জল্পনা রয়েছে, আগামী সপ্তাহেই লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হতে পারে।

আগামী সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মিরে যাওয়ার কথা নির্বাচন কমিশনের। উপত্যকার পরিস্থিতি ও ভোট প্রস্তুতি খতিয়ে দেখার পরই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করায়, একা প্রধান নির্বাচন কমিশনার জম্মু-কাশ্মির যাবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।

কী কারণে হঠাৎ নির্বাচন কমিশনার তার পদ থেকে ইস্তফা দিলেন, তা জানাননি অরুণ গোয়েল। আগামী বছরই প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের অবসরে যাওয়ার কথা রয়েছে। তারপর তারই প্রধান নির্বাচন কমিশনার হওয়ার কথা ছিল।

সূত্রের খবর, প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের সঙ্গে একাধিক বিষয়ে অরুণ গোয়েলের মতপার্থক্য ছিল। তবে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়েই তিনি পদত্যাগ করেছেন।

এবার নির্বাচন কমিশনের কী হবে?

একা একজন সদস্য দিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশন পরিচালিত হতে পারে না। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই শূন্যপদে কমিশনার নিয়োগ করা হবে। গত বছরই ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়।

আগে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিও নিয়োগ প্যানেলে থাকতেন। তবে নতুন আইন অনুযায়ী, এবার প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা বা একক বৃহত্তম বিরোধী দলের নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সম্মিলিতভাবে কোনও ব্যক্তিকে বাছাই করবেন এবং তার নাম প্রেসিডেন্টের কাছে সুপারিশ করবেন। সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই নতুন সিইসি বা ইসিকে নিয়োগ করবেন প্রেসিডেন্ট।

তবে যে কাউকে বাছাই করে নির্বাচন কমিশনার করা যায় না। প্রধানমন্ত্রীর কমিটি নাম সুপারিশ করার আগে একটি সার্চ কমিটি তৈরি হবে। এই কমিটিতে থাকবেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী ও দুই সচিব। তারা পাঁচজনের নাম বাছাই করবেন। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নিয়োগ কমিটি কাউকে বেছে তার নাম প্রেসিডেন্টের কাছে সুপারিশ করবে।

মূলত অরুণ গোয়েলের পদত্যাগের আগে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ ছিল গত বছরের শেষের দিকে নতুন এই আইন প্রণয়ন। এতে দেশের শীর্ষ নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিয়োগের প্রক্রিয়া পরিবর্তন করা হয়। সংশোধিত পদ্ধতিতে ভারতের প্রধান বিচারপতিকে এই বাছাই প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।

কে কী বলছে

কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে সোশ্যাল মিডিয়ায় অরুণ গোয়েলের আকস্মিক পদত্যাগের প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি প্রশ্ন করেছেন, বর্তমান পরিস্থিতি কি নির্বাচন কমিশনের নাম পরিবর্তন করে নির্বাচন অমিশন (অপসারণ) করার পক্ষে।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে তিনি জিজ্ঞাসা করেছেন, এটা নির্বাচন কমিশন নাকি নির্বাচন অমিশন? যদিও লোকসভা নির্বাচনের তারিখ কয়েকদিনের মধ্যে ঘোষণা করা হবে, আর ভারতে এখন মাত্র একজন নির্বাচন কমিশনার আছে। কেন?

তিনি আরও বলেন, যেমনটা আমি আগেই বলেছি, আমরা যদি আমাদের স্বাধীন প্রতিষ্ঠানের নিয়মতান্ত্রিক পতন বন্ধ না করি, তাহলে আমাদের গণতন্ত্র একনায়কতন্ত্রে পরিণত হবে!

কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, যেহেতু নির্বাচন কমিশনার বাছাইয়ের নতুন প্রক্রিয়াটি এখন কার্যকরভাবে ক্ষমতাসীন দল এবং প্রধানমন্ত্রীকে সমস্ত ক্ষমতা দিয়েছে, কেন নতুন নির্বাচন কমিশনার মেয়াদ শেষ হওয়ার ২৩ দিন পরেও নিয়োগ করা হয়নি? মোদি সরকারকে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এবং একটি যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা দিয়ে সামনে আসুন।

কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপালও দলীয় সভাপতি খাড়গের কথারই প্রতিধ্বনি করেছেন। তিনি বলেন, এটি বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের জন্য গভীরভাবে উদ্বেগজনক যে, নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল লোকসভা নির্বাচনের আগে পদত্যাগ করলেন।

কেসি ভেনুগোপাল সাংবিধানিক সংস্থাগুলোর ওপর সরকারের প্রভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সাকেত গোখলেও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, সাধারণ নির্বাচনের আগে এখন নির্বাচন কমিশনে দুজনকে নিয়োগ করা হবে।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল আকস্মিকভাবে পদত্যাগ করেছেন। আর ইসিতে আগে থেকে একটি পদ শূন্য রয়েছে। এতে করে নির্বাচন কমিশনে এখন কেবল একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার রয়েছেন।


আরও খবর



সেনেগালে নৌকাডুবিতে অন্তত ২০ অভিবাসীর মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সেনেগাল উপকূলে অভিবাসী বোঝাই ইউরোপগামী একটি নৌকা ডুবে ২০ জনেরও বেশি অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ২০ জনের বেশি অভিবাসীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সেনেগালের উপকূলগুলি আফ্রিকান অভিবাসীদের স্প্যানিশ ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে ইউরোপে প্রবেশ পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটেছে। খবর এএফপির।

সেন্ট-লুইসের আঞ্চলিক গভর্নর আলিউন বাদারা সাম্ব বলেছেন, আরও ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে। স্থানীয় উদ্ধারকারী ও নৌবাহিনী এ উদ্ধার কাজ পরিচালনা করে। তবে নৌকাটিতে কতজন যাত্রী ছিল তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে বেঁচে থাকা ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, সংখ্যা কয়েকশ হতে পারে। 

আরও পড়ুন>> ‘সুপার টুইসডে’র আগে আবারও ধাক্কা খেলেন ট্রাম্প

দেশটির সুদূর দক্ষিণের কাসামান্স থেকে বেঁচে যাওয়া মামাডি ডিয়ানফো বলেছেন, এক সপ্তাহ আগে যখন নৌকাটি সেনেগাল ছেড়েছিল তখন প্রায় ৩০৯ জন যাত্রী ছিল। আরেকজন জীবিত আলফা বাল্ডে ২০০ জন যাত্রীর কথা বলেছেন। ডিয়ানফো বলেন, আমরা নৌকার অধিনায়ককে আমাদেরকে সেনেগাল উপকূল দিয়ে নিয়ে যেতে বলেছিলাম। নৌকাটি মরক্কো পৌঁছালে অধিনায়ক বলেছিলেন, তিনি হারিয়ে গেছেন এবং আর যাত্রা চালিয়ে যেতে পারবেন না। নৌকাটি সেন্ট-লুইসের কুখ্যাত বিপজ্জনক স্থানে পৌঁছালে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

ইইউ সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্স অনুসারে, আটলান্টিক দ্বীপপুঞ্জ থেকে ইউরোপে আগত অভিবাসীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সেনেগাল এবং মরক্কোর নাগরিক। ২০২৩ সালে ক্যানারিতে পৌঁছানো অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৪০ হাজার, যা তিনগুণ বেড়েছে।


আরও খবর



বেইলি রোডে আগুন

স্বপরিবারে ইতালি যাওয়ার কথা ছিল নিহত পাঁচ জনের

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

পরিবারকে ইতালি নিয়ে যেতে বাংলাদেশে এসেছিলেন সৈয়দ আবুল মোবারক কাউছার (৫০)। ছেলের অনুরোধে কাচ্চি খেতে পরিবারকে নিয়ে রাজধানীর বেইলি রোডে কাচ্ছি ভাই রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন। হঠাৎ লাগা আগুনে পুড়ে পরিবারটির পাঁচ সদস্যের মৃত্যু হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে লাগা আগুনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের খন্দকার পাড়ার সৈয়দ আবুল মোবারক কাইছার তার (৫০), তার স্ত্রী স্বপ্না (৩৫), দুই মেয়ে সৈয়দা তাসফিয়া (১৫) ও সৈয়দা নুর এবং ছেলে সৈয়দ আবদুল্লাহ (৭)।

নিহত আবুল মোবারকের প্রতিবেশী চাচাত ভাই সিপন মিয়া ও খালাত ভাই আতিকুর রহমান বাদল জানান, সৈয়দ আবুল মোবারক কাউছার ইতালি প্রবাসী। তার পরিবারের সবাইকে ইতালি নেওয়ার জন্য দেশে এসেছিলেন। গতকালই ভিসা পেয়েছিলেন। আগামী ২২ মার্চ স্বপরিবারে তাদের ইতালি যাওয়ার কথা ছিল। ১ মাস আগে দেশে এসেছিলেন কাউছার। রাজধানীর হাতিরঝিলে তাদের ফ্লাট আছে। সে ফ্লাটে থেকে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া করাতেন। এক সপ্তাহ আগে ছেলে আবদুল্লাহর খাতনা করানো হয়। ছেলের অনুরোধে কাচ্চি খেতে স্বপরিবারে রাজধানীর বেইলি রোডে কাচ্ছি ভাই রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন তারা। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পরিবারের পাঁচ জনই নিহত হন। এ ঘটনায় আবুল মোবারকের মা হেলেনা বেগম (৮৫) কান্না ছাড়া কিছুই বলতে পারছে না।

আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর খন্দকার পাড়া নিহতদের বাড়িতে আসে লাশবাহী গাড়ি। গাড়ি বাড়িতে আসার পরই এলাকায় শুরু হয় স্বজনদের আহাজারি।

আজ আসর নামাজের পর নিহতদের জানাজা শেষে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।


আরও খবর



রোজার নিয়ত যেভাবে করবেন

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

মুমিন জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার রমজান। আত্মশুদ্ধি ও আত্মসংযমের মাধ্যমে আত্ম উন্নয়নের চেতনায় জীবনের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের জন্য করুণাময় আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমতের অফুরান ভান্ডার নিয়ে আসে রমজান।  প্রিয় নবি (সা.) এ মাসকে শাহরুন আজিম মহান সম্মানিত মাস এবং শাহরুম মোবারক বরকতময় মাস নামে আখ্যায়িত করেছেন।

কোনো আমল-ইবাদত বা কোনো কাজ সম্পাদন করার ইচ্ছা বা সংকল্প করাকে নিয়ত বলে। ইসলামি শরিয়তে নিয়তের গুরুত্ব অপরিসীম।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, প্রত্যেক ব্যক্তির আমল নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। (বুখারি, ১) কোনো ব্যক্তির আমল আল্লাহর কাছে ততক্ষণ পর্যন্ত কবুল হয় না, যতক্ষণ পর্যন্ত তার নিয়ত সঠিক হয় না। সুতরাং পবিত্র রমজানের রোজা রাখার ক্ষেত্রেও নিয়ত একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

রোজার নিয়ত কীভাবে করব?

নিয়ত এটি আরবি শব্দ। এর শাব্দিক অর্থ হলো মনে মনে ইচ্ছা করা। অতএব কেউ যদি সূর্যাস্তের পরবর্তী কোনো একসময়ে মনে মনে এই ইচ্ছা করে যে, আমি আগামীকাল রমজানের রোজা রাখব, তা হলে তার নিয়ত সংঘটিত হয়ে যাবে। নিয়ত সহিহ হওয়ার জন্য মুখে উচ্চারণ করা শর্ত নয়। তবে তা উত্তম। (ফাতাওয়া আলমগিরি-১/১৯৫)

রোজার নিয়ত কখন করব?

সূর্যাস্তের পর থেকে পূর্ব অর্থাৎ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্তের মধ্যবর্তী সময়ের আগ পর্যন্ত রমজানের রোজার নিয়ত করার অবকাশ আছে। তবে সুবহে সাদিকের আগেই নিয়ত করে নেওয়া উত্তম। (বাদায়েউস সানায়ে- ২/২২৯; আল বাহরুর রায়েক-২/২৫৯)

রোজার নিয়তের জন্য মুখ দিয়ে নির্ধারিত শব্দ বা বাক্য উচ্চারণ করা জরুরি নয়। বরং অন্তরের ইচ্ছাই যথেষ্ট। এমনকি রোজার জন্য সেহরি খাওয়াটাও নিয়তের স্থলাভিষিক্ত। কিছু লোক আরবিতে রোজার নিয়ত করাকে আবশ্যকীয় মনে করে থাকেন অথচ তা সঠিক নয় (জাওয়াহিরুল ফিক্হ ১/৩৭৮)। তবে আরবি নিয়ত করলে অসুবিধা নেই।

প্রত্যেক রোজার জন্য ভিন্ন ভিন্ন নিয়ত করা জরুরি (ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া ১/১৯৫)। অর্ধ দিনের আগে নিয়ত করলে রোজা বিশুদ্ধ হয়ে যাবে (ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া ১/১৯৫)।

আরবিতে : নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম মিন শাহরি রমাদানাল মুবারাকি ফারদাল্লাকা, ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নাকা আনতাস সামিউল আলিম।

বাংলায় : হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়্যত) করলাম। অতএব, তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোজা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।

নিয়ত সম্পর্কিত জরুরি কিছু মাসয়ালা সবার জেনে রাখা উচিতরমজানের প্রতিদিনই রোজার নিয়ত করতে হবে। এক দিনের নিয়ত পুরো রমজানের রোজার জন্য যথেষ্ট হবে না। (ইলমুল ফিকাহ, ৩/১৮)

রমজানুল মোবারকে মনে মনে শুধু এটুকু ভাবলেই নিয়ত হয়ে যাবে, আমি আজ রোজা রাখব। (বেহেশতি জেওর, ৩/৩)।


আরও খবর
ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪