প্রতিরোধে ৬ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ
প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের
শহীদ মিনারের পাদদেশে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা দাবি দাওয়া তুলে ধরেন। এর আগে দুপুরে
ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,
গত ২৮ মার্চ মধ্যরাতে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের
আগমনের ফলে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ থাকা ছাত্র রাজনীতি নতুনভাবে ফিরে আসার পথ তৈরি হচ্ছে,
এরই প্রতিবাদে আজকের অবস্থান।
শিক্ষার্থীরা বলেন, বুয়েটে বর্তমানে চলমান
পাঁচটি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা আলোচনা করে কিছু সম্মিলিত সিদ্ধান্ত এবং দাবি দাওয়ায় উপনীত
হয়েছেন। ক্যাম্পাসের সবচেয়ে অগ্রজ ব্যাচ ইন্টার্ভাল প্রতিটি ব্যাচের ঐক্যবদ্ধ দাবিগুলোকে
সুসংগঠিত করে উত্থাপন করেছে।
তবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপকালে তাঁরা
নাম, বিভাগ ও বর্ষ জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবিগুলো হলো–
১. বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা
লঙ্ঘনের দায়ে ২৮ মার্চের মধ্যরাতে রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক ইমতিয়াজ রাব্বিকে বুয়েট
থেকে স্থায়ী বহিষ্কার।
২. ইমতিয়াজ রাব্বির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বুয়েটের
বাকি শিক্ষার্থীরা, যারা ওই সমাগমে জড়িত ছিল তাদের বিভিন্ন মেয়াদে হল এবং টার্ম বহিষ্কার
চাই।
৩. মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে যেসব রাজনৈতিক
ব্যক্তি প্রবেশ করলো তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা, তারা কীভাবে
প্রবেশের অনুমতি পেল এই ব্যাপারে বুয়েট প্রশাসনের সুস্পষ্ট সদুত্তর এবং জবাবদিহিতা
নিশ্চিত করা।
৪. ১ ও ২ নম্বর দাবি আগামীকাল সকাল ৯টার
মধ্যে বাস্তবায়ন করা, না হলে ডিএসডাব্লিউ’র পদত্যাগ।
৫. ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে বহিরাগতদের প্রবেশের
প্রতিবাদে আগামী ৩০ ও ৩১ মার্চের টার্ম ফাইনালসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন।
৬. আন্দোলনরত বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের
বিরুদ্ধে কোনো রকম হয়রানিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- এই মর্মে লিখিত প্রতিশ্রুতি।