
গত ১৬ বছরে দেড় লাখ মামলা নিষ্পত্তি করেছেন হবিগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। এর ফলে হবিগঞ্জ আদালতে মামলাজট অনেকটাই কমে এসেছে। বুধবার (১ নভেম্বর) বিকেলে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ দিবস উপলক্ষে হবিগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হারুন অর-রশীদ জানান, ২০০৭ সালের পৃথক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির যাত্রাকালে ১৩ হাজার ২৩৭টি মামলা নিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়। ২০২২ সাল পর্যন্ত মোট মামলা দায়ের হয় ১ লাখ ৫০ হাজার ২৯৯টি এবং মোট নিষ্পত্তি হয় ১ লাখ ৫১ হাজার ৫৭২টি। এই সময়ে মোট সাক্ষ্য গৃহীত হয় ১ লাখ ৩০ হাজার ৪৮০ জনের।
পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে আরও দেখা যায়, ২০০৮, ২০০৯, ২০১০, ২০১২, ২০২২ সালে যথাক্রমে মোট মামলা হয় ১১ হাজার ৮৪২টি, ১১ হাজার ১৪২টি, ১০ হাজার ২৮৫টি, ১০ হাজার ৮৭৩টি ও ১২ হাজার ৮৭৬টি। অধিক পরিমাণে মামলা নিষ্পত্তি হয় ২০০৮, ২০০৯, ২০১২, ২০১৫, ২০১৯, ২০২১ ও ২০২২ সালে যথাক্রমে ১১ হাজার, ১০ হাজার ৪০৩টি, ১০ হাজার ১৫৮টি, ১০ হাজার ৯৬টি, ১১ হাজার ৩১২টি, ১০ হাজার ৯০২টি ও ১৭ হাজার ২৩টি মামলা।
এই সময়ের মধ্যে ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত করোনা মহামারির কারণে নিয়মিত আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়নি। এ ছাড়া ম্যাজিস্ট্রেসি পৃথক হওয়ার পর প্রয়োজনীয় কর্মচারী ও অবকাঠামো এবং পৃথক অফিস ভবন না থাকায় নিয়মিত বিচার কার্যে বিঘ্ন ঘটে।
মামলার পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২০ সালে মামলা নিষ্পত্তি হয় ১০৩ দশমিক ৩২ শতাংশ, ২০২১ সালে ১১৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ ও ২০২২ সালে ১৩২ দশমিক ২১ শতাংশ। বর্তমান ২০২৩ সালে সেপ্টেম্বর মাস শেষে মোট মামলার বিচারাধীন আছে ১০ হাজার ৪৯৩টি, যা ২০১৯ সালে ছিল ১৯ হাজার ৬৭১টি, ২০২০ সালে ১৭ হাজার ৭৬৮টি, ২০২১ সালে ১৭ হাজার ৫৬৪টি, ২০২২ সালে ১৬ হাজার ১১১টি এবং ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে মোট মামলা ছিল ১১ হাজার ৯৬৪টি।
বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন পরিসংখ্যান মোতাবেক, মামলার নিষ্পত্তির দিক থেকে হবিগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসি সারা দেশের মধ্যে ১-৪নং নম্বর অবস্থানে ছিল গত ২০২১ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত।