আজঃ মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

হবিগঞ্জে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত ৩০

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ মে ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে বৃহস্পতিবার দুপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে আহতদের উদ্ধার করে।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে মাধবপুর থেকে সিলেটগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে মহাসড়কের নুরপুর এলাকায় সিলেট থেকে কুমিল্লাগামী অপর একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ বাধলে একটি বাস উল্টে খাদে পড়ে যায়। এতে অন্তত ৩০ যাত্রী গুরুতর আহত হয়।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার কাজ শুরু করে। গুরুতর আহত অবস্থায় ১৫ জনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ওসি আরও জানান, সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা, নিহত ১৯

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনের ভিড়ে আবারও নির্বিচার হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এতে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৯ জন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৩ জন।

ইসরায়েল এর আগেও গাজায় সাহায্যপ্রার্থীদের ওপর এই ধরনের হামলা চালিয়েছে। যদিও সাহায্যপ্রার্থীদের ওপর সর্বশেষ এই হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসরায়েল। রোববার (২৪ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় সাহায্যপ্রার্থীদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে অন্তত ১৯ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং ভূখণ্ডটির মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, গাজা শহরের দক্ষিণ-পূর্বে সাহায্যের অপেক্ষায় থাকা বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

গাজার মিডিয়া অফিস শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী একটি গণহত্যা চালিয়েছে। হাজার হাজার নাগরিক যখন আল-কুয়েত গোলচত্বরের কাছে আটা ও সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করছিল তখন সেখানে হামলা চালিয়ে ১৯ জন হত্যা এবং আরও ২৩ জন বেসামরিক নাগরিককে আহত করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এবং ট্যাংকগুলো মেশিনগান দিয়ে অভুক্ত লোকদের দিকে গুলি চালায় যারা আটা এবং সাহায্যের ব্যাগগুলো নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল। সেটিও আবার এমন একটি জায়গায় যা ইসরায়েলি বাহিনীর জন্য কোনও বিপদ সৃষ্টি করতে পারত না

গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেছেন, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ভারী গুলি চালানো হয়েছে এবং আহতদের নিকটবর্তী আহলি আরব হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু গাজার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়ার কারণে অনেককে বাইরে খোলা আকাশের নিচে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। অনেকে গুরুতর জখম হয়েছেন, তাদের মধ্যে কেউ কেউ ছুরির আঘাতে আহত হয়েছেন। বাস্তবতা দুঃখজনক, কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং।

এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সাহায্যপ্রার্থী জনতার ওপর গুলি চালানোর কথা অস্বীকার করেছে। এমনকি সাহায্য নিতে আসা এসব মানুষের ওপর গুলি চালানোর খবর ভুল বলেও দাবি করেছে ইসরায়েল।

সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, (ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী) একটি ত্রাণবাহী গাড়িবহরের কাছে থাকা বহু সংখ্যক গাজাবাসীকে আক্রমণ করেছে বলে যেসব প্রতিবেদনগুলোতে দাবি করা হয়েছে, তা ভুল।

বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, প্রাথমিক অনুসন্ধানে নির্ধারণ করা হয়েছে, কনভয়ের বিরুদ্ধে কোনও বিমান হামলা চালানো হয়নি এবং (ইসরায়েলি) বাহিনী ত্রাণ নিতে আসা লোকজনের ওপর গুলি চালিয়েছে বলে তেমন ঘটনাও পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



আইন পাস করে আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করছে ইসরাইল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করতে আইন পাস করেছে ইসরাইলের আইনসভা নেসেট। কয়েক দফা পর্যালোচনার পর সোমবার আইনটিকে সবুজ সংকেত দিয়েছেন ইহুদিবাদী দেশটির আইনপ্রণেতারা।

পাস হওয়া এই আইনের আওতায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী ইসরাইলে আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করতে পারবেন।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রথম বিল আকারে এটি উত্থাপিত হয়েছিল নেসেটে। চার-পাঁচ দফায় পর্যালোচনার পর সোমবার ইসরাইলি আইনপ্রণেতাদের ভোটে বিলটি আইনে পরিণত হলো।

নতুন এই আইন অনুসারে, ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় যদি কখনও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে আল-জাজিরাকে বন্ধ করে দিতে সুপারিশ করে, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে সংবাদমাধ্যমটির সম্প্রচার ইসরাইলে বন্ধ করা, আল-জাজিরার ইসরাইল শাখার কার্যালয় সিলগালা করা এবং সেখানকার সমস্ত মালপত্র বাজেয়াপ্ত করার এখতিয়ার পাবে রাষ্ট্রটির তথ্য মন্ত্রণালয়। শুধু তাই নয়, ইসরাইলে বিদেশি চ্যানেলগুলোও বন্ধ করতে পারবে কর্তৃপক্ষ।

আইনটি পাসের পর ইসরাইলে আল-জাজিরা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেশটির যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

সোমবার এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, আল-জাজিরা ইসরাইলের নিরাপত্তার ক্ষতি করেছে, ৭ অক্টোবরের গণহত্যায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছে এবং ইসরাইলি সৈন্যদের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে। 

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও গাজায় আল-জাজিরার অফিস রয়েছে। ২০২২ সালের মে মাসে আল-জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহকে হত্যা করে ইসরাইল। ওই সময় জেনিন শহরে ইসরাইলের একটি সামরিক অভিযানের খবর কাভার দিচ্ছিলেন তিনি।

নিউজ ট্যাগ: আল-জাজিরা

আরও খবর



তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। দিবসটি উপলক্ষে আগামী ২৫ মার্চ রাজধানীতে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের আয়োজন করবে দলটি।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির প্রচারবিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।

এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, ঢাকা মহানগর বিএনপি ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ড. ফরহাদ হালিম ডোনার, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুদু, বিলকিস জাহান শিরিনসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

কর্মসূচিগুলো হচ্ছে, ২৬ মার্চ ভোরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৭টায় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে যাত্রা এবং সেখানে পুষ্পমাল্য অর্পণ, সাভার থেকে ঢাকায় ফিরে শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ।

এ ছাড়া ২৫ মার্চ সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ এবং ২৭ মার্চ বেলা ১১টায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা।

সারাদেশে জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়নে পর্যায়ের সব কমিটি এবং দলের অঙ্গসংগঠনগুলোকে স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে পোস্টার প্রকাশ ও জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে বিএনপি।


আরও খবর



দেশের বৃহত্তম ঈদের জামাতের জন্য প্রস্তুত ঐতিহাসিক শোলাকিয়া

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

মাঠের রেওয়াজ অনুযায়ী, বন্দুকের ফাঁকা গুলির শব্দের মাধ্যমে প্রতি বছরের মত এবারও দেশের বৃহত্তম ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে। এবার ১৯৭তম ঈদুল ফিতর জামাতে ইমামতি করবেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, ইসলামি ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক ও শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের খতিব মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। নামাজ শুরু হবে সকাল ১০টায়।

মাঠ পরিচালনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, এবার শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের চারদিকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিচ্ছিদ্র করতে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া সারা মাঠে ৪টি উচু অস্থায়ী টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। এসব টাওয়ারে পুলিশ সদস্যসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা টাওয়ারের মাধ্যমে মাঠের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন।

শোলাকিয়া জামাতকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও ঈদগাহ মাঠ পরিচালনা কমিটি ইতোমধ্যে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করেছে। তাছাড়া বিভিন্ন সুযোগ সুবিধাসহ নির্বিঘ্নে নামাজ আদায়ে সর্বিক ব্যবস্থা সুসম্পন্ন করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, বৃহত্তম ঈদের জামাতকে কেন্দ্র করে ২০১৬ সালের জঙ্গি হামলার বিষয়টি মাথায় রেখে শোলাকিয়া ময়দানে চারস্তরের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এবারের জামাতের সারা মাঠ ও আশপাশ এলাকা নিরাপত্তা চাদরে ঢাকা থাকবে। পাঁচ প্লাটুন বিডিআর, ৭০০ পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি র‌্যার ও গোয়েন্দা পুলিশের উপস্থিতিতে শোলাকিয়া বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

রবিবার (৭ এপ্রিল) থেকে ঈদের রাত পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র‌্যাব মাঠে থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মেটাল ডিডেকটর দিয়ে সারা মাঠ তল্লাশি করবেন।

ঈদের দিন সকাল থেকে মাঠের ২৮টি গেইটে মেটাল ডিডেকটর দিয়ে তল্লাশি করে মুসুলিদের প্রবেশ করানো হবে। এছাড়া সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা গোয়েন্দা নজরদারিতে থাকবে। পুলিশের ডক স্কোয়াডের মাধ্যমে মাঠের চারদিকে বিশেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ পরিচালনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক আরও জানান, শোলাকিয়া জামাতে মুসল্লিদের আসা-যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে  ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে দুইটি শোলাকিয়া এক্সপ্রেস’ নামে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে।

ঈদের দিন ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে সকাল ৭টায় কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে। নামাজের পর বিশেষ ট্রেন ফিরতি যাত্রা করবে। এবার গত বছরের তুলনায় আরও বেশি সংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটবে-এমন ভাবনায় সবদিক থেকে শোলাকিয়া প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে নামাজ আদায়ের লক্ষ্যে যাবতীয় ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়েছে।

পৌরসভা, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ, জেলা চেম্বার অব কমার্সসহ সংশ্লিষ্ঠ বিভাগ সমূহ মাঠে অজু, গোসল এবং শোলাকিয়া মাঠে সহজে প্রবেশের ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অব্যাহত রাখাসহ মুসল্লিদের সার্বিক সু-ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।

শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (সদর) মো. আবু রাসেল জানান, এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উচ্ছ্বাস নিয়ে দেশের দূর-দূরান্ত, এমনকি বিদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি নামাজ আদায় করতে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে আসবে। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আলাদা কাতার রাখা হবে। নামাজের জন্য শোলাকিয়া মাঠ প্রস্তুত। সকাল ১০টায় জামাত শুরু হবে।

প্রসঙ্গত, ১৮২৮ সালে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাতে সোয়া লাখ মুসল্লির সমাগম ঘটেছিল। সোয়া লাখ থেকেই বিবর্তনের ধারায় এ মাঠের নাম শোলাকিয়া হয়েছে। দিন দিন এর প্রচারণা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতি বছরই মুসল্লিদের সমাগম বাড়ছে।


আরও খবর



মাথাপিছু ঋণ বেড়ে দেড় লাখ টাকা: সিপিডি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

গত তিন বছরে মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণ প্রায় ৫০ হাজার টাকা বেড়েছে বলে জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটি বলেছে, তিন বছর আগে মানুষের মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ছিল এক লাখ টাকা। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দেড় লাখ টাকা। শ্রীলঙ্কার মতো বাংলাদেশেও স্বল্পমেয়াদি ঋণ বাড়ছে, ফলে বাংলাদেশও শ্রীলঙ্কার মতোই বিপজ্জনক পথে আছে।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) গুলশানের একটি হোটেলে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ ও ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি ও এশিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সিপিডির চেয়ারম্যান ড. রেহমান সোবহান, সংস্থাটির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য; মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান।

সিপিডির চেয়ারম্যান ড. রেহমান সোবহান বলেছেন, আশির দশকে অনেক আফ্রিকান ও লাতিন আমেরিকান দেশ স্বল্পমেয়াদি ঋণ নিয়ে বিপদে পড়েছিল। সম্প্রতি এর বড় উদাহরণ শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশেও স্বল্পমেয়াদি ঋণ বাড়ছে, শ্রীলঙ্কার মতোই বিপজ্জনক পথে আছে এ দেশ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ঋণের বড় বাধা এখন ঋণগুলোর শর্ত এবং এর সঠিক বাস্তবায়ন।

আমরা যদি আশির দশকে ওপেকের সময় ঋণের সংকটের দিকে তাকাই, সেখানে দুটি পরিস্থিতি ছিল। একটি, লাতিন আমেরিকায় খুব বেশি ঋণ নিয়ে বিপদে পড়া। তারা বিপদে পড়েছিল স্বল্পমেয়াদি ঋণে, সেগুলো তাদের খুব সস্তায় দেওয়া হয়েছিল। ফলে তারা একসময় গিয়ে ঋণসংকটে পড়েছিল। একই ঘটনা শ্রীলঙ্কার ঋণ সংকটের। শ্রীলঙ্কার অনেক ঋণ স্বল্পমেয়াদি। শ্রীলঙ্কার একই সময় অনেক আফ্রিকান দেশেও একই সমস্যা তৈরি হয়েছে।’

ড. রেহমান সোবহান বলেন, একইভাবে বাংলাদেশও স্বল্পমেয়াদি ঋণ নিয়ে সংকটের পথেই আছে। এটা খুবই উল্লেখ করার মতো, এ ধরনের ঋণ এখন বাড়ছে। যেহেতু আমাদের রপ্তানি আফ্রিকার অনেক দেশের চেয়ে ভালো, তাই এ জায়গায় তেমন সংকট নেই।’

মূল প্রবন্ধে ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কয়েক বছর আগে পর্যন্ত আমাদের বিদেশি ঋণ ছিল সহনীয় পর্যায়ে। আমরা এখন যদি সতর্ক না হই, তাহলে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। তবে সরকার যে সতর্ক তা আইএমএফের কাছে ৪.৭ বিলিয়নের জন্য যে গেল সেটা থেকেই বোঝা যাচ্ছে।’

প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় তিনি বলেন, বিদেশি ঋণ শুধু বাংলাদেশের সমস্যা না, ১৯৮০ সালের দিকে লাতিন আমেরিকার দেশগুলো বিদেশি ঋণ নিয়ে এ ধরনের বড় সমস্যায় পড়েছিল। সাম্প্রতিক ঋণ নিয়ে দেউলিয়া হয়ে পড়া গ্রিস বড় উদাহরণ। পাশাপাশি শ্রীলঙ্কা ও ঘানার মতো দেশের উদাহরণ তো আছেই।’

আন্তর্জাতিকভাবে এ প্রভাব পড়ার বৈশ্বিক কারণগুলো হলো—কভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব, বিশ্বে মালামাল ও সেবার চাহিদা কমে যাওয়া। দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ কারণ—ঋণ ব্যবস্থাপনা অনেক দুর্বল, অনেক দেশ অদূরদর্শী ঋণ নিয়েছে। ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে কঠিন শর্তে ঋণ নেওয়া হয়েছে, মুদ্রার ওঠানামাও অনেক দেশে হয়েছে। এসব কারণ অভ্যন্তরীণ।’

গবেষণা প্রবন্ধে বলা হয়, জাতিসংঘের গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপ বলেছে, উন্নয়নশীল দেশগুলো উন্নত দেশের তুলনায় অনেক দ্রুত ও বেশি বিদেশি ঋণ নিয়েছে। অনেক উন্নয়নশীল দেশেই এ কারণে তা উদ্বেগের কারণ হয়েছে। ঋণের চাপে অনেকে আছে, অনেকে খেলাপি হয়েছে।

উন্নয়নশীল এসব দেশের সরকারি ঋণ ২০১০ সালে জিডিপির তুলনায় ৩৫ শতাংশ ছিল, ২০২১ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ শতাংশে। এর মধ্যে একই সময় দেশগুলোর বিদেশি ঋণ ১৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৯ শতাংশ হয়েছে। এসব বিদেশি ঋণের মধ্যে ব্যক্তি খাতের ঋণও একইভাবে বেড়েছে। একই সময় ব্যক্তি খাতের ঋণ ৪৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬২ শতাংশ হয়েছে বলে উল্লেখ করেন এই অর্থনীতিবিদ।

বিশ্বব্যাংকের গবেষণার একটি অংশ তুলে ধরে ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে বিদেশি ঋণের স্থিতি বেড়েছে ১০৯ শতাংশ, যেটি দেশগুলোর জিডিপির ৩৩ শতাংশ। পাবলিক অ্যান্ড পাবলিকলি গ্যারান্টেড (পিপিজি) ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪৩.৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

আইএমএফের সতর্কবাণী উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইএমএফ এসব দেশকে সতর্ক করে একটি প্রতিবেদন বানিয়েছে। আমরা কি আরেকটি ঋণ সংকটের দিকে যাচ্ছি?

তার মতে, বাংলাদেশের ঋণ ও পরিশোধের বাধ্যবাধকতা বাড়ছে, যা সরকারকে অপর্যাপ্ত রাজস্ব আদায়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধের জন্য ক্রমাগত নতুন ঋণ নিতে বাধ্য করছে।

তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে আমরা পাকলিক ও পাবলিকলি গ্যারান্টিযুক্ত ঋণের দায়বদ্ধতার একটি বড় অংশ পরিশোধের জন্য ঋণ নিচ্ছি। তাই দ্রুত অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ বাড়ানো ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।’

সিপিডি জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বৈদেশিক ঋণ এবং ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতার হার বেড়েছে। ২০২৩ সালের জুনে বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি বিদেশি ঋণ ছিল ৯৮.৯ বিলিয়ন ডলার, যা একই বছরের সেপ্টেম্বরে ১০০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।

অনুষ্ঠানে সিপিডি জানিয়েছে, ঋণ পোর্টফোলিওর গঠন দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। রেয়াতি ঋণের অনুপাত কমছে, অন্যদিকে রেয়াতি ও বাজারভিত্তিক ঋণের অংশ বাড়ছে। ঋণের শর্তাবলিও আরো কঠোর হচ্ছে।

বিশেষ করে জিডিপি, রাজস্ব আয়, রপ্তানি, রেমিট্যান্স ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সঙ্গে তুলনা করলে বৈদেশিক ঋণ ও ঋণ পরিশোধের দায়বদ্ধতা দ্রুত বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান।

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, এর সঙ্গে ঋণ বহনের সক্ষমতা ও ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা উদ্বেগ তৈরি করেছে। দিন শেষে অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ গুরুত্বপূর্ণ, যা অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি উভয় ঋণ পরিশোধের জন্য বিবেচনা করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, অভ্যন্তরীণ সম্পদের একটি ক্রমবর্ধমান অংশ দেশি ও বিদেশি ঋণের মূল ও সুদ পরিশোধে ব্যবহার করা হচ্ছে।

মেগাপ্রকল্প সংশ্লিষ্ট প্রতিটি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অর্থপাচারের সম্পর্ক আছে বলে মনে করেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, বড় আকারের অনেক প্রকল্পই অতিমূল্যায়িত করে খরচ বাড়ানো হয়েছে। আবার প্রকল্পের ভেতরে বাস্তবায়ন পর্যায়ে কোনো না কোনো স্বার্থগোষ্ঠীকে উৎসাহিত করা হয়েছে।

ড. দেবপ্রিয় বলেন, অন্যান্য দেশে জনগণের প্রাথমিক সঞ্চয়ের মাধ্যমে পুঁজি গড়ে উঠলেও বাংলাদেশে ব্যাংকের টাকা ফেরত না দিয়ে ও অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে জনসাধারণের টাকা লুটের মাধ্যমে পুঁজি গড়ে উঠেছে। বিদেশি ঋণ নেওয়া প্রকল্পগুলোর মাধ্যমেও ব্যক্তি খাতে পুঁজি গড়ে উঠেছে। এটা বিদ্যুৎ, জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতের জন্যই প্রযোজ্য।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে পুঁজি সঞ্চয়কারী অলিগার্ক তৈরি হয়েছে। এর ফলে রাজনৈতিক নেতারা যে আশায় এই প্রকল্পগুলো নিয়েছিলেন, সেটায় সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।

দেশি-বিদেশি ঋণ থেকে সরকারের দায় বৃদ্ধির প্রবণতা তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমানে সরকারের মাথাপিছু বিদেশি ঋণ তিন হাজার ১০ ডলার। আর অভ্যন্তরীণ উৎসর ঋণ মিলে সরকারের মোট ঋণ দাঁড়ায় আট হাজার ৫০ ডলারে। স্বাধীনতার এত বছর পরে সরকারের মাথাপিছু ঋণ এক লাখ টাকায় উঠেছিল অথচ তা পরের তিন বছরেই দেড়গুণ হয়ে গেছে।

কভিড, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতার কারণে ঋণ বেড়েছে বলে অনেকে দাবি করলেও প্রকৃত কারণ ভিন্ন বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ। ঋণ পরিশোধের চাপের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০১৮-১৯ সালেও সরকারের আদায় হওয়া রাজস্বের ২৬ শতাংশ ঋণ পরিশোধে ব্যয় হতো। অথচ এই হার এখন ৩৪ শতাংশে উঠেছে, যেখানে অভ্যন্তরীণ ঋণ যাচ্ছে ২৮ শতাংশ আর বিদেশি ঋণ সাড়ে ৫ শতাংশ।

বিদেশি ঋণ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই বলে অনেকেই দাবি করলেও বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মোডি বা স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওরস হিসেবে বাংলাদেশের ক্রেডিট রেটিং কমছে বলে দাবি করেন ড. দেবপ্রিয়। সামষ্টিক অর্থনীতির অস্থিরতাসহ বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক ফলাফলের মধ্যেও বিপুল পরিমাণ ঋণে নেওয়া মেগাপ্রকল্প প্রকৃত সুফল দিতে পারছে না বলে তিনি মন্তব্য করে বলেন, বিনিয়োগ না বাড়লে প্রকল্পের ফলাফল পাওয়া যাবে না।

ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ জিডিপির ২৩.৪ থেকে ২৩.৮ শতাংশে আটকে আছে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে। গত দেড় দশকের সাফল্য কেন বিনিয়োগে প্রতিফলিত হয়নি? এফডিআই কেন জিডিপির ১ শতাংশে আটকে আছে? প্রশ্ন রেখে ড. দেবপ্রিয় বলেন, ২০২৩ সালের ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ জিডিপির অনুপাতে সরকারের হিসেবেই কমেছে। এ ছাড়া শিক্ষা, ট্রেনিং বা কর্মে নেই এমন মানুষের হার বেড়েছে, বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তাহীন পরিবারের সংখ্যাও বেড়েছে। ২৫ শতাংশের বেশি মানুষ দৈনন্দিন প্রয়োজনে ঋণ করে চলে।

বড় প্রকল্পে অর্থায়ন করতে গিয়ে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের ক্ষতি হয়েছে মন্তব্য করে ড. দেবপ্রিয় বলেন, শিক্ষায় গত ১৫ বছরে কোনোভাবেই জিডিপির ২ শতাংশের বেশি এবং স্বাস্থ্যে ১ শতাংশের বেশি বরাদ্দ হয়নি। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে অবহেলার প্রতিফলন এই এসভিআরএস প্রতিবেদনেও এসেছে বলে তিনি জানান। এই ধরনের সমস্যা সমাধানে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি যথাযথ কাজ করছে না বলে মন্তব্য করেন এই অর্থনীতিবিদ।

তিনি বলেন, স্বচ্ছতা নিশ্চিতের জন্য তিন মাস পর আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী বিবৃতি দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয় না। এ ছাড়া অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে কেবিনেটের সাব কমিটি ক্রয় কমিটিতে পরিণত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


আরও খবর
লম্বা ছুটির পর আজ ব্যাংক খোলা

সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪