ঠাকুরগাঁওয়ের
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীবাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত
হওয়ার দুই দিন পর স্কুলছাত্র জয়ন্ত কুমারের (১৫) মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।
মঙ্গলবার (
১০ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে দুটায় উপজেলার ধনতলা সীমান্তের নিটালডোবা গ্রামের ৩৯৩ নম্বর
পিলারের কাছে তাঁর মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
ঠাকুরগাঁও ৫০
বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল তানজীর আহাম্মদ লাশ হস্তান্তরের বিষয়টি মুঠোফোনের মাধ্যমে
নিশ্চিত করেন। এর আগে মঙ্গলবার দুপুর থেকেই মরদেহ ফেরত দেবে বলে কয়েক দফায় সময়ক্ষেপণ
করা হয়।
মরদেহ ফেরতের
সময় ভারতের পুলিশ ও বিএসএফ এবং বাংলাদেশের পক্ষে বালিয়াডাঙ্গী থানার পরিদর্শক (তদন্ত)
দিবাকর অধিকারী, এসআই শামীম, বিজিবির ধনতলা বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার জাহাঙ্গীর আলমসহ
জয়ন্তের স্বজন ও প্রতিবেশী উপস্থিত ছিলেন। মরদেহ ফেরতের পরপরই রাত আড়াইটার সময় জয়ন্তের
শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।
গত সোমবার ভোর
রাতে ধনতলা সীমান্তের নিটালডোবা গ্রামের ৩৯৩ নম্বর পিলার এলাকা দিয়ে জয়ন্ত কুমার ও
তার বাবা মহাদেব চন্দ্র (৪৩) এবং প্রতিবেশী দরবার হোসেনসহ (৫০) আরও ১৫-২০ জন অবৈধভাবে
সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ভারতের ডিঙ্গাপাড়া বিএসএফর সদস্যরা তাদের
লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় জয়ন্ত কুমার। তার বাবা মহাদেব
ও প্রতিবেশী দরবার হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে পালিয়ে আসেন। পরে সোমবার সকালেই জয়ন্তের মরদেহ
নিয়ে যায় বিএসএফ।
নিহত জয়ন্ত
কুমার উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের ঠুমনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও লাহিড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের
সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
ঘটনার পর সোমবার
ও মঙ্গলবার দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যকার কোম্পানি কমান্ডার
ও ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে কমান্ডারদের চারটি পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সীমান্ত হত্যার
ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানায় বিজিবি।
ঠাকুরগাঁও ৫০
বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল তানজীর আহাম্মদ সোমবার সন্ধ্যায় জানিয়েছিলেন, পতাকা বৈঠকে
বিএসএফকে বলা হয়েছে, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে পাল্টা জবাব দেবে বিজিবি।