আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

হেফাজতের তান্ডবে পুলিশের যত ক্ষতি

প্রকাশিত:বুধবার ৩১ মার্চ ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ৩১ মার্চ ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে এবং ঢাকা ও চট্টগ্রামে মাদরাসাছাত্রদের ওপর পুলিশের হামলার খবরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত ২৬ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের চালানো তাণ্ডবে জেলা পুলিশের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি শতাধিক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে জেলা পুলিশ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৬ মার্চের তাণ্ডবে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ৪৩টি জানালার গ্লাস, নিয়ন্ত্রণ-কক্ষের সিসি ক্যামেরার মনিটর, কম্পিউটার, ফটোকপি মেশিন, জেনারেটর, ট্র্যাফিক পুলিশের ভাস্কর্য, রিকুইজিশন করা দুটি মাইক্রোবাস, একটি পাজেরো জিপ ও ১৩টি মোটরসাইকেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া ওইদিন সদর মডেল থানার ২নং ফাঁড়ির ৫২টি জানালার গ্লাস, ৪টি সিসি ক্যামেরা, দুটি সিলিং ফ্যান, ৬টি মোটরসাইকেল ও ৪টি দরজার থাই গ্লাসসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

২৮ মার্চ পুলিশের রিজার্ভ অফিসের দরজা-জানালা, ১নং গেইটের সেন্ট্রি পোস্টের দরজা-জানালা, পুলিশ লাইনস গেইট ও সীমানা প্রচীরের লাইট, মসজিদের জানালা, পুলিশ লাইনস স্কুলের জানালা, খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার পজ মেশিন, স্প্রিড গান, অ্যালকোহল ডিটেক্টর, আরএফআই গান, ক্যামেরা, ওয়ারলেস সেট, কম্পিউটারসহ অন্যান্য আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া একই দিনে আশুগঞ্জ টোল প্লাজার পুলিশ ফাঁড়ির ৯২টি জানালা, দুটি হেলমেট, ৬ জোড়া ল্যাগগার্ড, দুটি ওয়াকিটকি চার্জার, চায়না রাইফেলের ২০টি গুলি, একটি ল্যাপটপ, একটি ভিডিও ক্যামেরাসহ অন্যান্য আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুটপাট করে হরতালকারীরা।

নিউজ ট্যাগ: হেফাজতের তান্ডব

আরও খবর



বুয়েটে ভর্তির পরীক্ষার ফল প্রকাশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথমবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে বুয়েটের ওয়েবসাইটে ভর্তি পরীক্ষার এ ফল প্রকাশ করা হয়।

বুয়েটের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি কমিটির সভাপতি ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জীবন পোদ্দার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গত ৯ মার্চ বুয়েটের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তির জন্য মূল ভর্তি পরীক্ষা লিখিত আকারে বুয়েট ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়। প্রকৌশল বিভাগগুলো ও নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের জন্য মডিউল-এ এবং প্রকৌশল বিভাগ সমূহ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ ও স্থাপত্য বিভাগ এর জন্য মডিউল-বি দুই শিফটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রথম শিফটে মডিউল- সকাল ১০টা হতে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এই শিফটে গ্রুপের জন্য গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং দ্বিতীয় শিফটে মডিউল-বি বেলা ২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। এই শিফটে গ্রুপের জন্য উন্মুক্ত পাঠ্যসূচিতে মুক্তহস্ত অঙ্কন এবং দৃষ্টিগত ও স্থানিক ধীশক্তি বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা প্রাক-নির্বাচনি ও মূল ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বাছাইকৃত সব সঠিক আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ১৫ হাজার ৪৪৩ জন শিক্ষার্থী গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে প্রাক-নির্বাচনি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।

বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষার ফল দেখতে ক্লিক করুন এখানে।


আরও খবর



১১ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতির ঘোষণা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আবু বকর সিদ্দিক, মোংলা প্রতিনিধি

Image

বাংলাদেশ লঞ্চ লেভার অ্যাসোসিয়েশন নৌযান শ্রমিকদের ১১দফা দাবি আদায়ের লক্ষে পহেলা মার্চ শুক্রবার সকাল ৯ টায় বাংলাদেশ লঞ্চ লেভার অ্যাসোসিয়েশনের মোংলা শাখা কার্যালয়ে বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ নৌজান শ্রমিক  ফেডারেশন, বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে এক বিশাল শ্রমিক সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

উক্ত শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশিকুল আলম পটল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো: শাহ আলম ভূঁইয়া, নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মো: বাহারুল ইসলাম বাহার, নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ শাহাদাত মাস্টার, নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের নারায়ণগঞ্জ শাখার সভাপতি আজিজ মাস্টারসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, ৪ মার্চ সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ১১দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত নাগাতার কর্মবিরতি পালন করা হবে।


আরও খবর



সিএনজি স্ট্যান্ডের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গোলাগুলি, যুবক নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

কুমিল্লায় লেগুনা-সিএনজি স্ট্যান্ডের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়েছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে অর্নব (২৬) নামে একজন নিহত ও ৩ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুর ৩টার দিকে কুমিল্লার শাসনগাছা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত অর্নব কুমিল্লার শাসনগাছা এলাকার আজহার উদ্দিনের ছেলে। তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্র বলে জানা গেছে।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, শাসনগাছা লেগুনা স্ট্যান্ডের বিরোধ নিয়ে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর দুই গ্রুপ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় অর্নব নামে আহত একজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয়।

আহতদের মধ্যে নাজমুল ও অনিক নামে গুলিবিদ্ধ দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, তাদেরকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া নিশু নামে আরও একজন কুমিল্লা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন।

ওসি আরও জানান, এটা কোনো রাজনৈতিক বিরোধের ঘটনা নয়। লেগুনা-সিএনজি স্ট্যান্ডের আধিপত্য নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। র‌্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ঘটনাস্থলে রয়েছে।


আরও খবর



‘কুপ্রস্তাবে রাজি না হয়ে অন্যায় করেছি, আজ আমি অনার্স ফেল’

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার বিচারের দাবিতে উত্তাল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। ঠিক সে সময়ে উঠে এল আরেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। অবন্তিকার মতো শিক্ষক কর্তৃক যৌন হয়রানি ও কুপ্রস্তাবের শিকার হন ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের ১৩তম আবর্তন ব্যাচের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মিম। সম্প্রতি দেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

মিম জানান, দুই বছর আগে যৌন হয়রানি ও মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ তুলে এখনো বিচার পাননি তিনি। উল্টো তাকে বিভিন্ন পরীক্ষায় ফেল করানো হয়েছে। এমনকি তার মা-বাবাকে অভিযোগ প্রত্যাহারের চাপ দেওয়া হয়েছে।

সাক্ষাৎকারে ওই ছাত্রী বলেন, কুপ্রস্তাবে রাজি না হয়ে অন্যায় করেছি বলে আমার মনে হয়। কারণ, আজকে আমি ফেল। আমার চরিত্র নিয়ে কথা বলে। কোনো মহিলা টিচারের অনুপস্থিতিতে আমাকে দরজা আটকে জোর জবরদস্তি করা করা হয়। আমি হয়ত তার মতো সাহসী হতে পারি নাই। তার জন্য হয়ত আমি মারা যাই নাই। কে জানে এর পর আমি বেঁচে থাকব কি না। আমাকে একঘরে করে দিয়েছে শিক্ষকেরা। আমাকে অনার্সের ভাইভায় ফেল করানো হয়েছে। প্রতিবাদের ফলাফলস্বরূপ আজকে আমি অনার্স ফেল। একজন শিক্ষক আমাকে ৪০ মার্কের ইনকোর্স পরীক্ষায় ডাবল শূন্য দিয়েছে। এটা তো খুন। এভাবে সমাজে একের পর এক মেধাবী ছাত্রছাত্রীকে খুন করে ফেলা হচ্ছে।’

‘আমি যখন অভিযোগ দায়ের করি, তখন কোনো সেল ছিল না। কোনো সেল না থাকায় আমাকে সরাসরি উপাচার্য স্যার বরাবর অভিযোগ দায়ের করতে হয়েছিল। উপাচার্য স্যার বরাবর অভিযোগ দায়ের করায় আমার ওপর অনেক ধরনের প্রেশার আসে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি তারা আমার গ্রামের বাড়িতে পর্যন্ত চলে গিয়েছিল। আমার বাবা-মা অসুস্থ, তাদের ওপর প্রেশার করেছে অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য। অভিযোগ প্রত্যাহার না করায় আমাকে বিভাগের রুমে কোনো মহিলা টিচারের অনুপস্থিতিতে দরজা আটকে জোর জবরদস্তি করা হয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সাংবাদিক সমিতি আছে সেখানে ওই টিচার ক্ষমতাবলে ভয়ভীতি দেখিয়ে বলেছে আমার প্রসঙ্গে যেন কোনো নিউজ না আসে।’

ওই ছাত্রী আরও বলেন, আমি যে এত স্বাভাবিকভাবে কথা বলার চেষ্টা করছি- আমি ভেতর থেকে এতটা স্বাভাবিক না। আমার একটা অভিযোগ দায়ের করার কারণে ওইটা যেন অপরাধ হয়ে উঠেছে। আমার ক্লাসমেটরা আমার সঙ্গে মিশতে ভয় পায়। আমি দুই বছর যাবৎ কারও সঙ্গে মিশতে পারি না। আমাকে একা করে ফেলা হয়েছে। ওই শিক্ষক ডিপার্টমেন্ট বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াই। উনাকে কোনো লিভে পাঠানো হয় নাই। আমাকে এইট সেমিস্টারে ফেল করানো হয়েছে। আমার এসাইমেন্ট টিচাররা নিতে চাই না। আমাকে সেভেন সেমিস্টারে ফেল করানো হয়েছে। আমাকে অনার্স ফাইনাল ইয়ারের ভাইভায় ফেল করানো হয়েছে।’

‘আমি আজীবন পড়াশোনা ব্যতীত কিছুই করিনি। আমি ননপলিটিক্যাল ছাত্রী। আমি কোনো অর্গানাইজেশনে জড়িত না। সেখান থেকে আমার জন্য সহজ ছিল না প্রতিবাদ করার। আমার দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার কারণে আমি প্রতিবাদ করেছি। সেই  প্রতিবাদের ফলাফল স্বরূপ আজকে আমি অনার্স ফেল। প্রতিবাদ করা আমার অন্যায় ছিল। আমার বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আমি মিশতে পারি না। আমি যতই হাই ক্যালিভার আমি প্রকাশ করি- আমি  মার্কস পাই না। আমার কি তাহলে উচিত ছিল ওই শিক্ষকের কুপ্রস্তাবে রাজি হওয়া। আমি রাজি না হয়ে অনেক বড় অন্যায় করেছি। আমি মার্কসিট পুণর্মূল্যায়নের আবেদন জানালেও তা করা হয়নি। এবার চেয়ারম্যান স্যার উনার দুইটা কোর্সে আমাকে ১০০ এর মধ্যে তিন দিয়েছেন। একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি কতটুকু খারাপ মেধার অধিকারী হলে আমি তিন পাই। আমার প্রসঙ্গে আমি বুজতে পারি আমার মেরুদণ্ড কতটা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আমাকে কাউন্সিলিং নিতে হয়। আমিতো স্বাভাবিক না। আমার বিভাগে এমনকি ক্যাম্পাসে অনেক আছে- এই একটা কারণে কেউ প্রকাশ করে না।’

‘আজকে যে অবন্তিকা মারা গেল, দেড় বছর আগে থেকে যুদ্ধ করে আসছে- মেয়েটা যদি বিচার পেত তাহলে কি আজ মারা যেত? এটা তো খুন। এভাবে সমাজে একের পর এক মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের খুন করে ফেলা হচ্ছে। সে বিচার পেলে আজ এই ঘটনা ঘটত না।’

অভিযুক্ত কে ছিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে ওই ছাত্রী বলেন, উনি ছিলেন ইমপ্রেস টেলিফিল্মের একজন এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার। উনি সিনেমা নির্মাণ করেন, আবার আমার বিভাগের লেকচারার ছিলেন। এখনো উনি বহল আছেন। উনি আমাকে কাজের জন্য উনার অফিস রুমে ডেকে নিয়ে হ্যারাজ করেন। এটা নিয়ে আমি অনেকদিন ভুগেছি। যখন আমার দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে- আমাকে প্রতিনিয়ত ফেল করানো হচ্ছে, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু বলা হচ্ছে। আমার বাবাকে বলা হচ্ছে-আপনার মেয়েকে বহিষ্কার করে দেব। নতুন করে যে কিমিটি করা হয়, এখন যিনি ভিসি আছেন তিনি ওই কমিটির একজন সদস্য ছিলেন। ভিসি সাদেকা হালিম ম্যাডাম অনেক নারী বান্ধব।’

‘কিন্তু ম্যাডামের উপস্থিতি থাকা স্বত্বেও আমি এখন পর্যন্ত বিচার পেলাম না। কয়েক দফা রিপোর্ট আসা স্বত্বেও ওই আবু সাইদ ইমন যিনি শিক্ষক এবং উনাকে সাহায্যকারী আমাদের বিভাগের চেয়ারম্যান স্যার অধ্যাপক জুনাইদ হালিম এতগুলো তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আসার পরও উনারা সুপ্রিম কোর্টে রিট করেছন। একজন শিক্ষক কতটা বেহায়া হলে নিজের দোষ ঢাকতে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যায়। সুপ্রিম কোর্ট থেকেও তারা হেরে গেছেন। তারা সিন্ডিকেটের প্রতিবেদন না মেনে সুপ্রিম কোর্টে রিট করেছেন। উনি ইমপ্রেস টেলিফিল্মের একজন এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার বলে ক্ষমতা বলে কি সকাল জায়গায় পার পেয়ে যাবেন।’

অন্যরা অভিযোগ না করার বিষয়ে ওই ছাত্রী বলেন, ফেল করার ভয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আবু সাইদ ইমনের বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রীরা কোনো কথা বলেন। আমিতো ফেল করে গেছি। আমারতো স্টুডেন্ডশিপের কোনো ভয় নাই। আমি রাস্তা দিয়ে যখন চলাফেরা করি-তখন আততায়ীরা আমাকে ফেরে ফেলতে পারে। আমি সারাক্ষণ অনিরাপত্তায় ভুগি। আমার পরিবার অনিরাপত্তায় ভোগে। কিন্তু অন্যায়ের প্রতিবাদ করছে না বা প্রকাশ করছে না তারাও যে নিরাপদ না বিষয়টা তেমন না। একজন শিক্ষার্থী যখন যৌন হয়রানির অভিযোগ দেয়-তখন তার চরিত্র নিয়ে যেসব কথা বলা হয় তা প্রকাশ করা যায় না। আমার বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে যখনই কেউ কথা বলেন-তখনই আমার চরিত্র নিয়ে কথা বলেন।’


আরও খবর



এমবাপের নৈপুণ্যে পিএসজি’র জয়

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

মৌসুম শেষে পিএসজি ছাড়ার জোর গুঞ্জনের মাঝেই কিলিয়ান এমবাপে জ্বলে উঠলেন দারুণভাবে। চমৎকার ফিনিশিংয়ে করলেন দুটি গোল। রেয়াল সোসিয়েদাদকে ফের হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠল লুইস এনরিকের দল।

সোসিয়েদাদের মাঠে মঙ্গলবার (০৫ মার্চ) রাতে শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে ২-১ গোলে জিতেছে পিএসজি। প্রথমার্ধে দলকে এগিয়ে নেওয়া এমবাপে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। শেষ সময়ে মিকেল মেরিনোর গোলে স্বাগতিকদের পরাজয়ের ব্যবধানই কমে শুধু। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ গোলের অগ্রগামিতায় পরের ধাপে জায়গা করে নিল ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।

পঞ্চম মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় পিএসজি। বক্সে ফাবিয়ান রুইসের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে এমবাপের ডান পায়ের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। দশম মিনিটে এমবাপের পাসে কাছ থেকে বারকোলার শট ঠেকান সোসিয়েদাদ গোলরক্ষক আলেক্স রেমিরো।

পঞ্চদশ মিনিটে দারুণ গোলে দলকে এগিয়ে নেন এমবাপে। উসমান দেম্বেলের থ্রু বল বক্সের ভেতর বাঁ দিকে নিয়ন্ত্রণে নেন তিনি। এরপর প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে জায়গা বানিয়ে ডান পায়ের শটে দূরের পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়ান বিশ্বকাপ জয়ী তারকা।

প্রথম লেগেও দলের প্রথম গোলটি করেছিলেন এমবাপে। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে চলতি মৌসুমে ৪০ গোলে সম্পৃক্ত থাকলেন তিনি (৩৩ গোল, ৭ অ্যাসিস্ট)। সংখ্যাটা বাড়তে পারত ২৯তম মিনিটে। ডান দিক থেকে বারকোলার পাসে কাছ থেকে এমবাপের নিচু শট কোনোমতে পা দিয়ে ঠেকান রেমিরো।

আক্রমণে আধিপত্য ধরে রেখে প্রথমার্ধে গোলের জন্য ৬টি শট নিয়ে ৪টি লক্ষ্যে রাখে পিএসজি। এই সময়ে সোসিয়েদাদের ২ শটের একটি লক্ষ্যে ছিল। ৫৬তম মিনিটে গোলের সংখ্যা বাড়িয়ে দলকে শেষ আটের পথে এগিয়ে নেন এমবাপে। মাঝমাঠ থেকে লি কাং-ইনের বাড়ানো বল ধরে বক্সে ঢুকে ডান পায়ের শটে কাছের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৬৯ ম্যাচে এমবাপের গোল হলো ৪৬টি। চলতি মৌসুমে ৬ গোল করে যৌথভাবে সর্বোচ্চ স্কোরার তিনি। ৬৩তম মিনিটে সোসিয়েদাদের আন্দের বারেনেক্সিয়া হেডে পিএসজির জালে বল পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি। ৭৯তম মিনিটে বেনাত তুরিয়েন্তের প্রচেষ্টা দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক জানলুইজি দোন্নারুম্মা।

নির্ধারিত সময় শেষের এক মিনিট বাকি থাকতে সান্ত্বনাসূচক গোলটি পায় সোসিয়েদাদ। ডান দিকের বাইলাইনের কাছাকাছি থেকে একজনের শট দোন্নারুম্মা ঠেকানোর পর ছয় গজ বক্সের মুখ থেকে লক্ষ্যভেদ করেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার মেরিনো।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪