আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

হেফাজতকে 'জঙ্গি সংগঠন' ঘোষণা করে নিষিদ্ধের দাবি ৫৫১ আলেমের

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ এপ্রিল ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ২৪ এপ্রিল ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
বর্তমানে ইসলাম রক্ষার কথা বলে হেফাজতের কিছু চিহ্নিত দায়িত্বশীল নেতা হাজার বছর ধরে প্রচলিত ইসলামের মৌলিক বিধানের ওপর হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে। শরীয়তের শাশ্বত বিধান পাল্টে দিয়ে চুক্তিভিত্তিক

রাষ্ট্রবিরোধী উস্কানি ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং সহিংসতার মাধ্যমে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে হেফাজতে ইসলামকে 'উগ্র জঙ্গি সংগঠন' ঘোষণা দিয়ে এর কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে সুন্নীয়তপন্থী সংগঠন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বাংলাদেশের শীর্ষ ৫৫১ আলেম। তাদের মতে, রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের উচ্চাভিলাস থেকে দেশজুড়ে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড এবং মানবিক বিয়ে বা চুক্তিভিত্তিক বিয়ের নামে জঘন্য অপরাধ ঢাকতে হেফাজত ইসলামের মৌলিক বিধিবিধানের ওপর হস্তক্ষেপ করছে। তাদের এমন কর্মকাণ্ডে দেশের আলেম সমাজ লজ্জিত।

শনিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে আহলে সুন্নাতে ওয়াল জামাআতের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়।

বিবৃতিতে আলেমরা বলেন, সামাজিক অনাচারে যুক্ত হওয়া, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করা, জানমালের ক্ষতিসাধন করা ইসলাম সমর্থন করে না। এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তি বা সংগঠনের কাছে দেশ-মিল্লাত-মাযহাব কখনও নিরাপদ নয়। ২০১০ সালে হেফাজতের জন্মের পর থেকেই তারা সহিংসতা ছড়িয়ে দিচ্ছে। কখনও ইসলাম প্রচারক আল্লাহর ওলিদের মাজার-খানকাহ শরীফ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। আবার কখনও দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ সুফিবাদি জনতাকে প্রকাশ্যে হামলার হুমকি দিয়ে তারা এদেশে উগ্র জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

হেফাজতের সাথে ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসের দূরতম সম্পর্কও নেই উল্লেখ করে আহলে সুন্নাতের আলেমরা বলেন, 'ইসলাম হেফাজতের নামে উগ্র হেফাজতিদের রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের উচ্চাভিলাস ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে গোটা আলেম সমাজ আজ লজ্জিত হয়েছে।

হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিতর্কিত বিয়ের প্রসঙ্গ টেনে সুন্নী আলেমরা বিবৃতিতে বলেন, ইসলামে নারী-পুরুষের বন্ধনের বৈধ পন্থা হল বিয়ে। আল্লাহ বিয়েকে হালাল করেছেন, বিপরীতে বিবাহ বহির্ভূত সব অবৈধ মেলামেশা নিষিদ্ধ করেছেন। চার মাযহাবের ইমামগণসহ সমস্ত আইম্মায়ে কিরামের ঐক্যমত হল-নিকাহের বিপরীতে চুক্তিভিত্তিক সাময়িক যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা সম্পূর্ণ হারাম ও ইসলামের দৃষ্টিতে তা শাস্তিমূলক অপরাধ।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বর্তমানে ইসলাম রক্ষার কথা বলে হেফাজতের কিছু চিহ্নিত দায়িত্বশীল নেতা হাজার বছর ধরে প্রচলিত ইসলামের মৌলিক বিধানের ওপর হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে। শরীয়তের শাশ্বত বিধান পাল্টে দিয়ে চুক্তিভিত্তিক সাময়িক বিয়ের প্রবর্তন করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে; যা সমাজে অবাধ অনাচার, যৌনাচার ও যুবসমাজকে বিকৃত পথে চলতে উৎসাহ দেবে। ইসলাম সম্পর্কে ভুল বার্তা পৌঁছাবে। অন্যদিকে ইসলামী সামাজিক রীতিনীতি ও পরিবার প্রথা ভেঙে সামাজিক অশান্তি সৃষ্টির পথ দেখাবে।

আলেমরা আরো বলেন, হেফাজতের তথাকথিত দায়িত্বশীলরা মূলত নিজের কৃত জঘন্য অপরাধ ঢাকতেই ইসলামকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কখনও মানবিক বিয়ে বা কখনও চুক্তিভিত্তিক বিয়ের কথা বলে নিজেকে রক্ষা করতে চাইলেও সবকিছু বিবেচনা ও পর্যবেক্ষণ করে শরীয়তের ফয়সালা হল- ইসলামে চুক্তিভিত্তিক বিয়ে হারাম। সুতরাং যে বা যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকবে, বিবাহিত হলে প্রমাণসাপেক্ষে তাদেরকে পাথর নিক্ষেপ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার বিষয়ে ইসলামে ফয়সালা দেয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে তারা সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, হেফাজতকে উগ্র জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করুন। দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখুন। দেশে প্রচলিত শিক্ষানীতি, আইন এবং নীতিমালা বিরোধী কওমি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-বোর্ডগুলোর উপর পরিপূর্ণ সরকারি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করুন।

এছাড়াও দেশবাসীকে আলেম লেবাসধারী এই জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করারও আহ্বান জানিয়েছেন আহলে সুন্নাতের নেতারা।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের হাটহাজারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্নস্থানে পুলিশের সঙ্গে হেফাজতের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়। দেশের বিভিন্নস্থানে সহিংসতায় হতাহত, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় তাণ্ডবের পর হেফাজতের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যায় সরকার। এরই মধ্যে হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ শীর্ষ নেতাদের অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছেন।


আরও খবর



ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে বাংলাদেশি জাহাজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়েছে বাংলাদেশের পতাকাবাহী একটি জাহাজ। জাহাজটির নাম এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপ।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বেলা একটায় জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ার খবর জানতে পারে গ্রুপটি।

কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম জানান, জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে। জাহাজের ২৩ জন নাবিক নিরাপদে আছেন। ঘটনাটি জানার পর তারা জাহাজের নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন বলে মেহেরুল করিম জানিয়েছেন।

জাহাজটি গত বছর সংগ্রহ করে কেএসআরএম গ্রুপ। ২০১৬ সালে তৈরি জাহাজটি লম্বায় ১৯০ মিটার। কেএসআরএম গ্রুপের বহরে যুক্ত হওয়ার পর সাধারণ পণ্য পরিবহন করে আসছিল জাহাজটি।


আরও খবর



বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক অটল মারা গেছেন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সিনিয়র সাংবাদিক, দৈনিক করতোয়ার চিফ রিপোর্টার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আহমদ অটল মারা গেছেন।

শুক্রবার (৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১২টার দিকে তার লাইফ সাপের্ট খুলে দেওয়া হয়। সৈয়দ আহমদ অটলের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে তার ছেলে রাফসান জানি জিসান জানিয়েছেন, আজ বাদ জুমা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি জানান, বেশ কিছু দিন ধরে সৈয়দ আহমদ অটল বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আসগর আলী হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।

সৈয়দ আহমদ অটলের জন্ম বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুর ১৯৫২ সালের ১০ মার্চ। তিনি ছয় ভাই তিন বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।

বগুড়ার চকযাদু প্রাইমারি স্কুল, বাংলা স্কুল, সরকারি আযিযুল হক কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজে লেখাপড়া করেন। ছাত্র অবস্থায় তিনি একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ অংশ নেন। ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি।


আরও খবর



রেলের ২৩ হাজার একর জমি বেদখলে: রেলমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, রেলের আওতাধীন জমি দখলমুক্ত করার কাজ শুরু করেছি। ভুয়া কাগজ তৈরি করে অনেকেই রেলের জমি ভোগ দখল করছেন। সারাদেশে এ রকম ২৩ হাজার একর জমি আছে, যেগুলো বেদখল হয়ে গেছে। ধাপে ধাপে সব দখলদারকে উচ্ছেদ করা হবে।’

শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে রাজবাড়ি জেলার পাংশা উপজেলা পরিষদের হল রুমে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

জিল্লুল হাকিম বলেন, ঢাকায় একেকটি জমির মূল্য ১০০ কোটি টাকার ওপরে। বঙ্গবাজারের মতো জায়গাসহ ঢাকার ১১টি বড় স্থান রেলের, যেগুলো বেদখল হয়ে আছে। একটি স্বায়িত্বশাসিত সংস্থা বঙ্গবাজারে মার্কেট নির্মাণ করতে চাইছিল। আমি দ্বায়িত্ব পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে ওইসব মার্কেটের কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। রেলের জমি ভোগ করলে প্রথমে রেলের জমিদারি দখলত্ব মানতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, রেলের জায়গা পুনরুদ্ধারের জন্য আমি আমার নিজের নির্বাচনী এলাকা রাজবাড়ী-২ থেকে শুরু করেছি। এরই মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। রেলের কার্যক্রমকে বেগবান করার জন্য রেল ভবনসহ স্থাপনা তৈরিতে রেলের প্রচুর জমির প্রয়োজন। যে কারণে দ্রুতই সারাদেশে অভিযান শুরু হবে। একটি মহল রেলের জমি দখল করে ভুয়া কাগজ তৈরি করেছে তারাও পার পাবে না। জেলা প্রশাসনসহ রেলের লোকজনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যাদের সঠিক কাগজপত্র আছে সেগুলো যাচাই-বাছাই করে অবৈধদখল মুক্ত করা হবে।’

রেলমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সবচেয়ে কম টাকায় যাতায়াতের বাহন রেলকে ঢেলে সাজানোর প্রক্রিয়া চলমান আছে। ভাঙ্গা থেকে পায়রা বন্দরের নতুন রেললাইনের কাজ দ্রুত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রেলের সুদিন ফিরিয়ে আনতে নতুন নতুন কোচ, ইঞ্জিন আমদানি করা হয়েছে। জনবল বাড়াতে নিয়োগ কার্যক্রম চলমান আছে।’

সভায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সফিকুল মোরশেদ আরুজ, রেলওয়ে পশ্চিমের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুজ্জামান, পাংশা উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান ওদুদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ঢাকায় পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুক। সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে বিশেষ ফ্লাইটে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন তিনি।

মহান মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল বন্ধুরাষ্ট্র ভুটান। সময়ে-অসময়ে বন্ধুত্বের হাত বাড়ানো দেশটির সর্বোচ্চ নেতৃত্ব আবারও এলেন বাংলাদেশে। প্রায় এক যুগ পর স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতায় যোগ দিতেবাংলাদেশ সফরে এসেছেন ভুটানের রাজা।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুক চার দিনের বাংলাদেশ সফর এসেছেন মূলত স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে। এর পাশাপাশি উচ্চপর্যায়ের বেশ কয়েকটি বৈঠকেও অংশ নেবেন তিনি।

এই সফরে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করবেন ভুটানের রাজা। স্বাক্ষর হতে পারে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগসহ অন্তত তিনটি সমঝোতা স্মারক।


আরও খবর



ডায়াবেটিস রোগীরা সেহরিতে কী খাবেন

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

ডায়াবেটিস রোগীদের টানা দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে রক্তে শর্করা কমে যাওয়ার বা হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা রোজা রাখলে তাদের জন্য সেহরি বাধ্যতামূলক।

একজন ডায়াবেটিস রোগী সঠিক নিয়মে সঠিক খাবার দিয়ে সেহরি করলে, খুব সহজে ওই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবেন। আসুন জেনে নিই কিছু টিপস; যা আপনাকে দীর্ঘ একটি দিনেও রোজা রাখতে সাহায্য করবে।

১. অনেকে মনে করেন, সেহরি পেটপুরে খেলে সারা দিনে ক্ষুধা লাগে না। তাই অনেককে সেহরি বেশি খেতে দেখা যায়। শেষ সময় পর্যন্ত অনেকে পানি পান করতেই থাকেন। এটি বরং অস্বস্তি তৈরি করবে।

২. অন্য সময় দুপুরে বা নৈশভোজে যা খেতেন, সেহরি সেই স্বাভাবিক খাবারটাই খাবেন। পরিমিত পরিমাণে ভাত অথবা রুটি, সঙ্গে মাছ বা মাংস, ডাল, সবজি, সালাদ। শেষে এক কাপ দুধ বা দই।

৩. ডায়াবেটিস রোগীরা সেহরি আতপ চালের ভাত খাবেন না। লাল চালের ভাত খাওয়া ভালো। কারণ, সেদ্ধ মোটা চাল ও লাল চালের গ্লাইসিমিক ইনডেক্স অনেক কম। এতে ফাইবার বেশি, তাই ধীরে শোষিত হয়। তাই সারা দিন ধীরে ধীরে শক্তি সরবরাহ করবে। ভাতের বদলে লাল আটার রুটিও খেতে পারেন।

৪. অনেক বেশি খাবার খেলে বদহজম, গ্যাসের সমস্যা হওয়া ছাড়াও পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে।

৫. সবজির পাশাপাশি কিছু শাক অবশ্যই খাবেন। শাকের সেলুলুজ আপনাকে সারা দিনে পেট ভরে থাকার মতো অনুভূতি দেবে। এ ছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করবে।

৬. সেহরি শেষ সময়ের ১০-১৫ মিনিট আগে খাওয়া শেষ করতে হবে। অনেকের স্বভাব, মাঝরাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়া। ডায়াবেটিস রোগীরা তা কখনো করবেন না।

৭. বিরিয়ানিপোলাও বা খিচুড়ির মতো খাবার খাবেন না। এগুলো পানির চাহিদা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়।

৮. প্রোটিন হিসেবে মাংসের বদলে মাছ খান অথবা ঘন ডাল রাখুন।

৯. অনেকে ওজন কমাতে কিছু না খেয়েই রোজা রাখেন। এটা স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।

১০. চাইলে একটা খোসাসহ ফল খেতে পারেন।

১১. সন্ধ্যা থেকে সেহরি পর্যন্ত দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করবেন। সেহরি চাকফি পান করলে ডিহাইড্রেশন বাড়বে।

সেহরি কোনো কিছুই বেশি খাবেন না। চাহিদার বেশি খাবার খেলেই বিপত্তি ঘটবে। শরীর প্রয়োজনীয় খাবার নিয়ে বাকিটা ফ্যাট হিসেবে আপনার শরীরে জমা করে রাখবে। ফলে ওজন বেড়ে যাবে।

নিউজ ট্যাগ: ডায়াবেটিক রোগী

আরও খবর