আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

হেসেখেলে জিতল আফগানিস্তান

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

এশিয়া কাপ ২০২২ এর প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকাকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে আফগানিস্তান৷ ম্যাচটিতে দুর্দান্ত বোলিং করে লংকানদের মাত্র ১০৫ রানে বেঁধে ফেলেন আফগান বোলারররা। এরপর দাপুটে ব্যাটিংয়ে মাত্র ১০.১ ওভার খেলে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আফগানিস্তান। এ ম্যাচ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে খেলতে নামে আফগানিস্তান। আর দ্বিতীয় ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছে তারা।

১০৬ রানের জবাবে খেলতে নেমে শুরুতেই ঝড় তোলেন আফগান ওপেনার হযরত উল্লাহ জাজাই ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ।গুরবাজ ১৮ বলে ৪০ রান করে আউট হলেও জাজাই ২৮ বলে ৩৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন।

এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে শ্রীলংকা। ম্যাচের পুরোটাই ছিল আফগান বোলারদের দাপট। শেষ পর্যন্ত সেই দাপটের মুখে শ্রীলংকা ২ বল বাকি থাকতেই ১০৫ রান করে অলআউট হয়ে যায়।

ম্যাচের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে কুশাল মেন্ডিসকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন ফারুকি। পরের বলেই চারিথ আসালাঙ্কাকেও এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন। পরপর দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন ফারুকি।দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে পাথুম নিশাঙ্কাকে ফেরান নাভিন-উল হক।

তিন উইকেট হারানো এরপর কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে শ্রীলংকা। কিন্তু অষ্টম ওভারে গুনাথিলাকাকে ফিরিয়ে আফগানদের খেলায় ফিরিয়ে আনেন মুজিব উর রহমান। এরপর দশম ওভারে হাসারাঙ্গাকেও ফেরান মুজিব উর রহমান। পরের ওভারেই শানাকাকে আউট করেন মোহাম্মদ নবি। ১২তম ওভারে রাজপাকশেকে রান আউট করেন মোহাম্মদ নবি। পরের বলেই রান আউট হন থিকসানা।

কয়েক বল পরে পাথিরানা আউট হয়ে গেলে মনে হচ্ছিল শ্রীলংকা বুঝি ১০০ রানের নিচে অলআউট হয়ে যাবে।তবে জুটিতে করুনারত্নের একক প্রচেষ্টায় শ্রীলংকার রান একশ পার হয়।


আরও খবর



রিক্রুটিং প্রক্রিয়ায় আইনের আওতায় আসছে মধ্যস্বত্বভোগীরা

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বৈদেশিক কর্মসংস্থানের রিক্রুটিং প্রক্রিয়ায় মধ্যস্বত্বভোগীরা আইনি কাঠামোর আওতায় আসছে। এক্ষেত্রে নিবন্ধনের মাধ্যমে তারা স্বীকৃতি পাবে। এমন বিধান যুক্ত করে রোববার বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী (সংশোধন) বিল- ২০২৩ জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ বিলটি সংসদে তোলেন। পরে এটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠান হয়।

বিলের সংজ্ঞায় সাব এজেন্ট বা প্রতিনিধি সংজ্ঞা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, সাব এজেন্ট বা প্রতিনিধির অর্থ হচ্ছে এই আইনের অধীনে নিবন্ধিত কোনো ব্যক্তি, যিনি কোনো রিক্রুটিং এজেন্টের সাব এজেন্ট বা প্রতিনিধি হিসেবে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য এই এজেন্টের চাহিদা অনুযায়ী অভিবাসীকর্মী সংগ্রহ করেন।

এ ছাড়া বিলে অভিবাসীকর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের কল্যাণে ব্যাংক ঋণ, কর রেয়াত, সঞ্চয়, বিনিয়োগ, আর্থিক সহায়তা, বৃত্তি দেওয়া ইত্যাদি প্রবর্তন ও সহজ করার ব্যবস্থা করার বিধান রাখা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বৈদেশিক কর্মস্থলে নারী অভিবাসীকর্মীদের সম্মান, মর্যাদা, অধিকার, নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ আর্থিক ও অন্যান্য কল্যাণমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা যাবে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে মন্ত্রী বলেন, বিলে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো জবাবদিহিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিদ্যমান প্রশাসনিক ব্যবস্থার অতিরিক্ত হিসেবে অপরাধ সংঘটনের জন্য রিক্রুটিং এজেন্সিকে অন্যূন ৫০ হাজার টাকা এবং অনধিক ২ লাখ টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে। তদন্ত ও শুনানি ব্যতিরেকে অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনায় রিক্রুটিং লাইসেন্সের কার্যক্রম স্থগিতকরণের বিধান করা হয়েছে। বৈদেশিক কর্মসংস্থানের রিক্রুট প্রক্রিয়ায় মধ্যস্বত্বভোগীদের আইনি কাঠামোর জবাবদিহির আওতায় আনার লক্ষ্যে সাব-এজেন্ট বা প্রতিনিধি নিয়োগ এবং সংশ্লিষ্টদের দায়-দায়িত্বের বিধান সংযোজন করা হয়েছে।


আরও খবর



‘শেখ হাসিনা থাকলে ত্রিশ লক্ষ শহীদের স্বপ্নের বাংলাদেশ থাকবে’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

Image

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেন, ৭১ এর পরাজিত শক্তিরা ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে তাদের প্রতিশোধ নিয়েছিলো। কিন্তু আজ আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের মনে রাখতে হবে, শেখ হাসিনা থাকলে ত্রিশ লক্ষ শহীদের স্বপ্নের বাংলাদেশ থাকবে। সম্ভ্রম হারানো দুই লক্ষ মা-বোনের বাংলাদেশ থাকবে। আজ আবারও পরাজিত সেই শক্তিরা মাথা চারা দিয়ে উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বিকালে জেলার নাজিরপুর উপজেলার শেখ রাসেল স্টেডিয়ামে ১৫ আগস্টের জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য কালে তিনি এ কথা বলেন।

আরও পড়ুন>> আওয়ামী লীগ কখনও চোরাগলি পথে ক্ষমতায় আসেনি: কৃষিমন্ত্রী

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আরও বলেন, হত্যার দায়ে সাজা প্রাপ্ত তারেক রহমান ও দুর্নীতির দায়ে সাজা প্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে ক্ষমতায় আনতে চায়। তাই একটি সুদখোরের পক্ষে বিশ্বের কিছু ভাড়াটিয়াদের দিয়ে বিবৃতি দিচ্ছেন। আমাদের সকল চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। মনে রাখতে হবে শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনা।


এ সময় তিনি উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, পরাজিত শক্তিরা আগামী নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতকে ক্ষমতায় আনতে চাচ্ছে তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে আ.লীগ থেকে যাকে মনোনয়ন দিবে তার পক্ষে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর কন্যারা বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ উন্নত হবে। আমাদের সকলের অস্থিত্বও বেঁচে থাকবে

আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা কৃষ্ণ কান্ত মজুমদারের সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এম খোকন কাজীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য এ্যাড. চন্ডী চরন পাল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাড. আব্দুর রাজ্জাক খান বাদশা, মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোজিনা নাসরিন রোজী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কাজী রুহিয়া বেগম হাসি, পিরোজপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. এমডি আউয়াল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অনিরুজ্জামান অনিক, পিরোজপুর সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এসএম বায়েজিদ হোসেন, নাজিরপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মো. মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জু   প্রমুখ।


আরও খবর



রাজাপুরে ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাঈম, রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি

Image

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা সদরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থান ময়লা-আবর্জনায় ভাগারে পরিণত হয়েছে। ডাষ্টবিন না থাকায় যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। ফলে আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে উপজেলা সদরের বসবাসরত এলাকাবাসী।

ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করার জন্য নেওয়া হয়নি কোন উদ্যোগ। যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে রাজাপুর উপজেলা শহর এখন আবর্জনার শহরে পরিনত হচ্ছে। কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না করায় দুর্গন্ধে বাতাস দূষিত হচ্ছে। এ ছাড়া টানা বৃষ্টির পানিতে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা ভেসে যেখানে সেখানে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দুর্গন্ধে পথচারী, বসবাসরত আবাসিক এলাকার মানুষ, শিক্ষার্থী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন অফিসগামী মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, রাজাপুর উপজেলার সদরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত রাজাপুর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের পাশে টিএন্ডটি অফিসের (পশ্চিম-দক্ষিণ) দুই পাশে, বাগরী বাজারের খালে, রাজাপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে সরকারি পুকুরের পাড়ে, বাজার ব্রিজ এর নিচে ও মন্দিরের পাশের খালে, বাইপাশ মোড়ে ও বাইপাশ খালে, ফায়ারসার্ভিসের উত্তর পাশে মহাসড়কের পাশে,পুরাতন জেলখানার পশ্চিম পাশে মহাসড়কের পাশে মেডিকেল মোড়েসহ সদরের মূল স্থানগুলোতে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ একাকার। উপজেলা শহরের কোথাও ময়লা ফেলার সুনির্দিষ্ট স্থান ও ডাষ্টবিন না থাকায় শহরবাসী পলিথিনে ভরে যেখানে সেখানে ফেলে রাখছেন ময়লা-আবর্জনা।

দিনের পর দিন ময়লা পড়ে থাকার ফলে বৃষ্টির পানিতে এসব ময়লার স্তূপ যেখানে সেখানে ছড়িয়ে পড়ছে। সৃষ্টি হচ্ছে ডেঙ্গু মশা ও মাছির আবাসস্থল। দিন দিন এ ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলা শহর জুড়েই ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। ফলে অলিগলিতে পড়ে আছে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ, এ কারনে পথচারীরা স্বাভাবিকভাবে হাটতে পারেনা। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

এছাড়াও বাঘড়ী হাটের ময়লা, বাজারের ময়লা, হোটেল রেস্টুরেন্ট এর ময়লা, দধির হাঁড়ি, অগণিত পলিথিন সব খালে ও বিভিন্ন রাস্তার পাশে, ডোবায় ফেলা হচ্ছে, ফলে খালগুলি দ্রুত ভরে যাচ্ছে ও রাস্তায় চলাচল করতে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। উপজেলা শহরের সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে ২ টি পুকুরে পলিথিনসহ ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে ২টি পুকুরে মাছ চাষের অনুপযোগী হয়ে গেছে।

শহরের বসবাসকারী মাহিন, সাইফুলসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, আবর্জনার দুর্গন্ধে আমরা অতিষ্ঠ। রাস্তা-ঘাটে যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় সৃষ্টি হয় দুর্গন্ধ ও দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। উপজেলা শহরের কোথায়ও ময়লা ফেলার সুনির্দিষ্ট স্থান ও ডাষ্টবিন না থাকায় বাধ্য হয়ে খোলা জায়গায় ময়লা আবর্জনা ফেলছে এলাকাবাসী। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়ছে সাধারন পথচারীরা।

উপজেলার ব্যবসায়ি এম মুরাদ, নয়ন তালুকদার, আরিফ, মিজান, আমিনুল সহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, শহরের আবাসীক বসতবাড়ি, দোকান, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, কনফেকশনারি, কয়েকটি ক্লিনিক, হাট বাজারের ইজারা এবং ট্রেড লাইসেন্স থেকে ইউনিয়ন পরিষদ বছরে অনেক টাকা নিলেও তাদের থেকে সেবা পাচ্ছেনা জন-সাধারণ ও ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো।

এবিষয়ে রাজাপুর উপজেলার ৩নং সদর ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম স্বপন তালুকদার বলেন, আমরা সবার সাথে এবিষয় কথা বলেছি। সবাই একত্রে বসে আলোচনা করে খুব শীঘ্রই দুইজন লোক রেখে নির্দিষ্ট একটা স্থান ঠিক করবো এবং সেখানে ময়লা ফেলার ব্যবস্থা করা হবে।

এবিষয়ে "পরিছন্ন বাংলাদেশের স্বপ্ন" বিডি ক্লিন এর ঝালকাঠি শাখার সদস্য রাহাত মাহমুদ জিবন বলেন, আমরা মানুষদের সচেতন করার জন্য বিভিন্ন সময় সচেতনতা মূলক লিফটে বিতরণ করেছি। শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করেছি। তারপরও মানুষ সচেতন হচ্ছে না। এরকম যদি যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলতে থাকে তাহলে পরিবেশ দূষণ হবে এবং পানি জমে ডেঙ্গু মশা তৈরি হবে।

এবিষয়ে পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ ঝালকাঠি শাখার প্রেসিডেন্ট এডভোকেট মোঃ আককাস সিকদার বলেন, ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য নির্দিস্ট স্থান নির্ধারণ, ডাস্টবিন স্থাপন এবং ময়লা অপসারণের দায়িত্ব ইউনিয়ন পরিষদের। রাজাপুর উপজেলা সদরে উপজেলা পরিষদ এবং ইউনিয়ন পরিষদ মিলে ময়লা অপসারণ এবং ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণের উদ্যোগ নিতে পারে।

এবিষয়ে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাঃ ফারহান তানভীর তানু বলেন, ময়লা-আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় যেখানে সেখানে ফেলার কারণে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে এবং পানি জমে ডেঙ্গু মশা জন্ম নিচ্ছে। এতে উপজেলা বাসী ঝুঁকিতে আছে। সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ৫৩জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এবিষয়ে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, পৌরসভা না থাকায় সরকারি কোন কর্মচারী এবং সরকারি কোন অর্থ বরাদ্দ নেই। তাই এই বিষয়ে উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদসহ সবার সাথে আলোচনা করবো এবং স্থায়ী ভাবে সমাধানের জন্য চেষ্টা করবো।


আরও খবর



নির্বাচনে অংশ নেবে জাতীয় পার্টি: রওশন এরশাদ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। তিনি বলেন, আমরা আশা করি, আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। আর সেই নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের ২৪তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

রওশন এরশাদ বলেন, জাতীয় পার্টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের পূর্ণ প্রস্তুতি নিচ্ছে। জাতীয় পার্টি তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সব জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। আমরা গণতান্ত্রিক ধারায় বিশ্বাস করি বলেই কখনও নির্বাচন বয়কট করিনি।

তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হলেও উদ্বেগ কাটেনি। এরই  মধ্যে এটি পাস হয়েছে। তার আগে সাংবাদিক, আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী ও নাগরিক সমাজের মতামত নেওয়া যেত। অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ এখনও শেষ হয়ে যায়নি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সম্মান দিয়ে এই উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনেক কিছুর দাম বেড়েছিল। কিন্তু বিশ্ব বাজারে এখন দাম কমেছে। দেশে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় টিসিবির দীর্ঘলাইন এখন সাধারণ চিত্র। এখানে যুক্ত হচ্ছে মধ্যবিত্ত। প্রবৃদ্ধি বাড়াতে পদক্ষেপ ও সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি পদক্ষেপ জরুরি। তা নাহলে মানুষের ওপর চাপ আরও বাড়বে। অস্থিরতা তৈরি হবে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ব বাজারের দোহাই দিয়ে অর্থনীতির সংকটের কথা বলার অবকাশ এখন নেই। দেশে ডলার সংকট দীর্ঘদিনের। অনিয়মের কারণে ব্যাংক খাত বারবার আলোচনায় আসছে। ডলার সংকট কাটাতে উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।


আরও খবর



ঝিনাইদহ থেকে খুলনার পথে বিএনপির রোডমার্চ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:

সরকার পতনের একদফা দাবিতে আজ ঝিনাইদহ থেকে খুলনা অভিমুখে রোডমার্চ শুরু করেছে বিএনপি।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে উদ্বোধনী সমাবেশের পর রোডমার্চ শুরু হয়।

১৬০ কিলোমিটার দীর্ঘপথে মাগুরায় ২টি, যশোরে ৩টি ও খুলনার প্রবেশমুখে একটি পথসভা হবে। খুলনা শহরের শিববাড়ি মোড়ের জিয়া হল চত্বরে সমাপনী সমাবেশের মাধ্যমে রোডমার্চ শেষ হবে। রোডমার্চে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল নিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মী রোডমার্চে যোগ দিয়েছেন। পথে পথে মাগুরা, যশোরসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী রোডমার্চের বহরে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন নেতারা।

ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী সমাবেশে বিএনপি ভাইস- চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য সৈয়দ মেহেদী হাসান রুমী, খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিদ্য ইসলাম আমিত, ছাত্রবিষরক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, বিএনপি স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এসএম জিলানী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান বক্তব্য দেন। সঞ্চালনায় ছিলেন, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা।

উল্লেখ্য, সরকারের পদত্যাগ দাবিতে ১৯শে সেপ্টেম্বর থেকে আগামি ৫ অক্টোবর পর্যন্ত লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রংপুর থেকে দিনাজপুর, বগুড়া থেকে রাজশাহী, ভৈরব থেকে সিলেট ও বরিশাল থেকে পিরোজপুর পর্যন্ত চারটি রোডমার্চ করেছে তারা। এ ছাড়া রাজধানীতে একাধিক সমাবেশ করেছে দলটি।

এদিকে আগামি ১ অক্টোবর ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ, ৩ অক্টোবর ফরিদপুর বিভাগে ও ৫ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রোডমার্চ অনুষ্ঠিত হবে।

নিউজ ট্যাগ: বিএনপি ঝিনাইদহ

আরও খবর