ভারতের সুপ্রিম কোর্ট দেশটির কর্ণাটকের হিজাব মামলায় বিভক্ত রায় দিয়েছেন। দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলায় ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেননি। এতে বিষয়টি এখন সুপ্রিম কোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের আওতায় চলে যাবে। ভারতীয় একাধিক সংবাদ মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
রায়ে বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত কর্ণাটক হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে আবেদন খারিজ করে দেন। কিন্তু বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া মুসলিম ছাত্রীদের আবেদনের যৌক্তিকতা মেনে কর্ণাটক হাইকোর্টের রায় খারিজ করেন। ধুলিয়া বলেন, হিজাব পরা না–পরা মুসলিম ছাত্রীদের পুরোপুরি পছন্দের বিষয়, অন্যকিছু না। তিনি আরও বলেন, আমার কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মেয়েদের শিক্ষার প্রসার।
চলতি বছরের গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বিজেপি শাসিত রাজ্যটির ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের হিজাব পরা নিষিদ্ধ করে। রায়ের পর কর্ণাটক সরকারের শিক্ষামন্ত্রী বিসি আরও বলেন, আমরা সুপ্রিম কোর্টের বিচারকে স্বাগত জানাই। কিন্তু আজকে আমি একটা নির্দেশের প্রত্যাশা করেছিলাম। বিষয়টি এখন সুপ্রিম কোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের আওতায় যাবে। তাই এখন পর্যন্ত রাজ্যের বিদ্যালয়ে হিজাব নিষিদ্ধ থাকছে।
কর্ণাটকের একটি বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে জানুয়ারি মাসে হিজাব পরিহিত মুসলিম ছাত্রীদের বসতে বাধা দেওয়া হয়। সেখানকার কর্তৃপক্ষ জানায়, ইউনিফর্মের বাইরে কাউকে অন্য কোনো পোশাক পরতে দেওয়া হবে না। সেই সিদ্ধান্তের বিতর্ক অচিরেই সারা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর কর্ণাটকের বিজেপি সরকার বিদ্যালয়ে পোশাকসংক্রান্ত নির্দেশ জারি করে জানায়, যেখানে পোশাক বিধি আছে, সেখানে তা মানতে হবে। ওই সিদ্ধান্তের বাইরে কিছু মুসলিম ছাত্রী হাইকোর্টে নির্দেশের বিরুদ্ধে মামলা করেন।