দিনাজপুরের হিলিতে গত এক সপ্তাহ থেকে ক্রেতা সংকট ও অতিরিক্ত গরমের কারণে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ গুদামেই পচতে শুরু করেছে। তাই বাধ্য হয়ে আমদানি খরচের চেয়ে অর্ধেক দামে বিক্রি করতে হচ্ছে এসব পেঁয়াজ। এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন আমদানিকারকরা।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক আব্দুস সালাম জানান, সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে বন্যা দেখা দেওয়ায় পেঁয়াজের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এতে সরবরাহ কমে গিয়ে দেশটির অভ্যন্তরে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিরুৎসাহিত করতে ভারত সরকার গত ১৮ আগস্ট থেকে ৪০ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করে। এতে প্রতিকেজি পেঁয়াজ আমদানিতে ১০-১২ টাকা খরচ বেড়ে যায়।
এতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। তাই লোকসানের শঙ্কায় পাইকাররা আসা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে অধিকাংশ পেঁয়াজ বিক্রি না হওয়ায় গুদামেই নষ্ট হচ্ছে। বাধ্য হয়ে অর্ধেক দামে বিক্রি করতে হচ্ছে এসব পেঁয়াজ।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম জানান, আগে যেখানে প্রতিদিন ৫-৬ লাখ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হতো, এখন এক লাখ টাকার পেঁয়াজও বিক্রি হয় না। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত গরমে পেঁয়াজ গুদামে নষ্ট হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে পুঁজি হারিয়ে পথে বসতে হবে।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) হিলি বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী আবু তাহের ও রুবেল জানান, বাজারে ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর নাসিক ও পাটনা জাতের পেঁয়াজের দাম বেশির কারণে হিলি বাজারে পাওয়া যায় না।
হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহের ৬ কর্মদিবসে ১৮৫টি ভারতীয় ট্রাকে ৫ হাজার ৫১০ টন ইন্দোর, নাসিক ও পাটনা জাতের পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে।