আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

হজে যেতে আগে থেকেই নিতে হবে করোনাভাইরাসের টিকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ মার্চ ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ মার্চ ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চলতি বছরে হজে যেতে হলে আগে থেকেই করোনাভাইরাসের টিকা নিতে হবে বলে সম্প্রতি ঘোষণা দেয় সৌদি সরকার। দেশে করোনা টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু হওয়ায় হজ পালনে দেশটির অনুমতি পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকবে বলে মনে করছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। তবে হজে যেতে নিবন্ধিতদের মধ্যে ৪০ বছরের কম বয়সীদেরও করোনা টিকা দেয়া নিশ্চিত করতে আহ্বান জানিয়েছে হজ এজেন্টদের সংগঠন হাব।

করোনাভাইরাসের কারণে গেল বছর সৌদি আরবের বাইরের কেউ হজ করার অনুমতি পাননি। সম্প্রতি সৌদি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এক আদেশের বরাত দিয়ে দেশটিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম জানায়, হজে যেতে হলে করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ হবে মূল শর্ত।

গত ফেব্রুয়ারি থেকে সরকার করোনা ভ্যাকসিন দেয়া শুরু করায় বাংলাদেশিরা এ বছর হজ পালনে সুবিধাজনক অবস্থান থাকবে বলে মনে করছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। করোনা পরিস্থিতিতে ২০২০ সালে হজে যেতে চূড়ান্তভাবে নিবন্ধন করেন ৬৭ হাজার। এর মধ্যে টাকা ফেরত নেন ৫ হাজার। তবে এবার কত জন হজ পালনের অনুমতি পাবেন সেটি নিশ্চিত নয়। তবে সৌদি সরকার অনুমতি দিলে নিবন্ধিত ৬২ হাজার জন প্রথমে অগ্রাধিকার পাবেন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত সচিব।

তিনি জানান, আমরা আশাবাদী সৌদি সরকার বাংলাদেশ হাজি নেবে। তবে কতজনকে নেবে এটা আমরা এখনো কনফার্ম না। কূটনৈতিকভাবে ও হজ মিশন থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের কোটা হচ্ছে এক লাখ ৩৭ হজার। যদি এ সংখ্যা নিতে আমাদের অনুমতি দেয়। আমরা প্রস্তুত রয়েছি।

দুই ডোজ টিকা নিতে সময় লাগায় নিবন্ধিতদের পাশাপাশি প্রাক নিবন্ধিতদের একাংশকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন হাব সভাপতি।

হজে যেতে এ পর্যন্ত এক লাখ ৭৭ হাজার জন প্রাক নিবন্ধন করেছেন ।


আরও খবর



নতুন নোট পাওয়া যাবে ব্যাংকের যেসব শাখায়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে নতুন নোট বাজারে ছাড়ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামী ৩১ মার্চ থেকে নতুন নোট সংগ্রহ করতে পারবেন গ্রাহকরা। ৯ এপ্রিল পর্যন্ত (সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত) নতুন নোট বি‌নিময় করতে পারবেন সাধারণ মানুষ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানায়, আগামী ৩১ মার্চ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন অফিসের কাউন্টারের মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে নতুন নোট বিনিময় করা হবে। এছাড়া, ঢাকা শহরের বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ৮০টি শাখা থেকেও আলোচিত সময়ে ৫, ১০,২০, ৫০ টাকা ও ১০০ টাকা মূল্যমান পর্যন্ত নতুন নোট প্রতিটি একটি প্যাকেট করে বিশেষ ব্যবস্থায় বিনিময় করা হবে।

জনতা ব্যাংকের পোস্তগোলা শাখা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের বনানী শাখা, এনসিসি ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখা, ব্যাংক এশিয়ার বনানী-১১ শাখা, উত্তরা ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখা, আইএফআইসি ব্যাংকের গুলশান শাখা, পূবালী ব্যাংকের সদরঘাট শাখা, যমুনা ব্যাংকের গুলশান কর্পোরেট শাখা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের বাবু বাজার শাখা, ন্যাশনাল ব্যাংকের মহাখালী শাখা, দি সিটি ব্যাংকের ইসলামপুর শাখা, সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার ব্যাংকের বিজয়নগর শাখা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের নবাবপুর শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখা, ওয়ান ব্যাংকের লালবাগ শাখা, ট্রাস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখা, জনতা ব্যাংকের আব্দুল গণি রোড কর্পোরেট শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বসুন্ধরা সিটি (পান্থপথ) শাখা।

অগ্রণী ব্যাংকের জাতীয় প্রেস ক্লাব কর্পোরেট শাখা, প্রাইম ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড শাখা, জনতা ব্যাংকের টিএসসি কর্পোরেট শাখা, সোনালী ব্যাংকের জাতীয় সংসদ ভবন শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের শ্যামলী শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কর্পোরেট শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের প্রধান শাখা, এনআরবিসি ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখা, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের লোকাল অফিস শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের সাত মসজিদ রোড শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের প্রধান শাখা (দিলকুশা), যমুনা ব্যাংকের লালমাটিয়া শাখা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের প্রধান শাখা।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের রায়ের বাজার শাখা, রূপালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের নিউমার্কেট শাখা, এক্সিম ব্যাংকের মতিঝিল শাখা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মিরপুর শাখা, এনসিসি ব্যাংকের দিলকুশা শাখা, এক্সিম ব্যাংকের মিরপুর শাখা, সোনালী ব্যাংকের রমনা কর্পোরেট শাখা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের মিরপুর শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের মৌলভীবাজার শাখা, অগ্রণী ব্যাংকের মিরপুর শাখা (মিরপুর-১), উত্তরা ব্যাংকের বাবু বাজার শাখা, জনতা ব্যাংকের রজনীগন্ধা কচুক্ষেত করপোরেট শাখা, দি সিটি ব্যাংকের মগবাজার শাখা, সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের ইব্রাহীমপুর শাখা, এনসিসি ব্যাংকের মগবাজার শাখা।

ন্যাশনাল ব্যাংকের উত্তরা শাখা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের মালিবাগ চৌধুরীপাড়া শাখা, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের উত্তরা মডেল টাউন শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কাকরাইল শাখা, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের দক্ষিণখানের এসএমই অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার শাখা, এনসিসি ব্যাংকের মালিবাগ শাখা, রূপালী ব্যাংকের উত্তরা মডেল টাউন করপোরেট শাখা, ইসলামী ব্যাংকের খিলগাঁও শাখা, সোনালী ব্যাংকের কোর্ট বিল্ডিং শাখা, অগ্রণী ব্যাংকের রামপুরা টিভি শাখা, ইসলামী ব্যাংকের গাজীপুর চৌরাস্তা শাখা, এবি ব্যাংকের প্রগতি স্বরণী শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ শাখা, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের প্রগতি সরণী শাখা, এক্সিম ব্যাংকের শিমরাইল শাখা।

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের দক্ষিণ বনশ্রী শাখা, এনআরবিসি ব্যাংকের ভুলতা শাখা, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ব্যাংকের বনশ্রী শাখা, ইসলামী ব্যাংকের কাঁচপুর শাখা, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ব্যাংকের নন্দীপাড়া শাখা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ শাখা, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের নন্দীপাড়া শাখা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সাভার শাখা, ওয়ান ব্যাংকের বাসাবো শাখা, প্রাইম ব্যাংকের সাভার শাখা, প্রাইম ব্যাংকের বসুন্ধরা শাখা, ট্রাস্ট ব্যাংকের কেরানীগঞ্জ শাখা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের বসুন্ধরা শাখা, সোনালী ব্যাংকের মুন্সিগঞ্জ কর্পোরেট শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের বনানী শাখা এবং ন্যাশনাল ব্যাংকের শ্রীনগর শাখা।


আরও খবর
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




দেশবাসীকে জয়ের ঈদ শুভেচ্ছা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। বৃহস্পতিবার সকালে ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই শুভেচ্ছা জানান।

জয় লিখেছেন, সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা। আজকের দিনটি সবার জন্য হোক আনন্দ ও উৎসবের। ঈদ বার্তা বয়ে আনুক শান্তি ও সম্প্রীতির। আনন্দ উদযাপনের পাশাপাশি আজকের দিনে সুবিধাবঞ্চিত সব শ্রেণির মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি সবাই, এটাই ইসলামের শিক্ষা। ঈদ মোবারক!

এদিকে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আরও খবর



থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আগামী ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল থাইল্যান্ড সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে এ সফরে যাবেন তিনি। সফরে প্রধানমন্ত্রী একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন। এ সময় তার সফরসঙ্গী হবেন বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

আজ বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, আগামী ২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন অভ্যর্থনা জানাবেন। একইসঙ্গে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। একইদিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী গভর্নমেন্ট হাউসে প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ড রাজপ্রাসাদে রাজা ও রানীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। শেখ হাসিনা তার সম্মানে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক আয়োজিত রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজেও যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।

সফরের সময় বেশ কয়েকটি চুক্তি ও এমওইউ স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইউএনস্ক্যাপের কমিশনের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। তিনি ২৫ ইউএনস্ক্যাপের অধিবেশনে বক্তব্য দেবেন। একইদিন জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি জেনারেল এবং ইউএনস্ক্যাপের এশিয়া ও প্যাসিফিকের নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় সফর হবে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে সরকারপ্রধান পর্যায়ের প্রথম সফর। এ সফর বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড উভয়ের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এটি দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।


আরও খবর



মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এলেন আরও ১৩ বিজিপি সদস্য

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধের জেরে দেশটির সেনা ও বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১৩ সদস্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে টেকনাফের নাফ নদ দিয়ে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো.শরীফুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, নতুন করে বিজিপির আরও ১৩ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। পরে তাদের বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের ১১ বিজিবিতে হস্তান্তর করা হয়।

বর্তমানে সেখানে মিয়ানমারের মোট ২৭৪ জন আশ্রয় রয়েছে। তিনি আরও জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন ১১ বিজিবির অধীনে থাকা ২৭৪ জনের মধ্যে বিজিপি ছাড়াও সেনা সদস্যও রয়েছে।

এর মধ্যে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ৪৬ জন পালিয়ে আসে। মঙ্গলবার দিনে প্রবেশ করেছিল ১৮ জন। তার আগের দিন সোমবার দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে দুই সেনা সদস্য পালিয়ে আসে। এর আগে রবিবার টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসে বিজিপির আরও ১৪ সদস্য। তারও আগে ওখানে মিয়ানমারের ১৮০ জন আশ্রয়রত ছিল। যাদের মধ্যে ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

এর আগে ১১ মার্চ আশ্রয় নেয় আরও ১৭৭ বিজিপি ও সেনা সদস্য। গত ফেব্রুয়ারির শুরুতে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল আরও ৩৩০ জন। যাদের ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।


আরও খবর



একশ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া নীলগাইয়ের দেখা মিলছে বাংলাদেশে

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) লাল তালিকা অনুসারে নীলগাইকে বিপদগ্রস্ত (থ্রেটেনড) হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। কারণ ভারত, নেপাল এবং পাকিস্তানে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে প্রাণীটি। কিন্তু বাংলাদেশে নীলগাইকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে প্রায় একশ বছর আগে।

২০২৩ সালের একটি গবেষণায় বাংলাদেশের গবেষকেরা ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ভারত এবং নেপাল থেকে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে নীলগাই প্রবেশের ১৩টি ঘটনা চিহ্নিত করতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর সংগ্রহ করেন।

বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে একসময় প্রচুর নীলগাই ছিল। ব্রহ্মপুত্র এবং গঙ্গা নদী প্রাকৃতিক বাধা হিসেবে কাজ করার কারণে তারা সহজেই আর পূর্বদিকে অগ্রসর হতে পারত না। বর্তমান দিনাজপুর ও রংপুর জেলার শালবন ও প্লাবনভূমিতেও একসময় এ প্রাণীটির প্রাচুর্য ছিল।

চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি গ্রামীণ এলাকায় এশিয়ান অ্যান্টিলোপ হরিণের সবচেয়ে বড় প্রজাতি নীলগাই ভারত থেকে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করে। এর পরে আর ফিরে যাওয়া হয়নি এটির। গ্রামবাসীরা নীল ষাঁড় হিসেবে পরিচিত নীলগাইয়ের খবর জানতে পেরে প্রাণীটিকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে। উত্তেজিত গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে ভিড় করে নীল ষাঁড়টিকে জবাই করে। পরে পশুটির মাংস ভাগ করে খেয়ে ফেলা হয়।

বৈশ্বিক বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ আইইউসিএনের এক কর্মকর্তা বলেন, অনিয়ন্ত্রিত শিকারের পাশাপাশি উপযুক্ত আবাসস্থল ধ্বংসের ফলে বাংলাদেশে নীলগাইয়ের স্থানীয়ভাবে বিলুপ্তি ঘটেছে। কিন্তু এখন আবার নীলগাইয়ের তার আবাসস্থলে ফিরে আসা এটা ইঙ্গিত দেয় যে, বাংলাদেশে আবারও এই প্রজাতি বাসস্থান তৈরি করতে পারে। যদি নীলগাই আবার ফিরিয়ে আনা হয়, তবে মানুষকে শিকার করতে এবং ষাঁড় ভেবে না খেতে শিক্ষামূলক প্রচারণা চালাতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: নীলগাই

আরও খবর
আজ বিশ্ব পানি দিবস

শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪