সরকারি ও বেসরকারি
দুই দিকেই খরচ বাড়ল হজযাত্রীদের। নতুন প্যাকেজে সরকারিভাবে প্যাকেজ-১-এ খরচ হবে ৫ লাখ
৮৬ হাজার ৩৪০ টাকা আর প্যাকেজ-২-এ খরচ হবে ৫ লাখ ২১ হাজার ১৫০ টাকা।
আজ বৃহস্পতিবার
(২৬ মে) দুপুরে মন্ত্রণালয়ে এ তথ্য জানান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। হজ ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত
নির্বাহী কমিটির সভা শেষে তিনি এ সিদ্ধান্ত জানান। প্রতিমন্ত্রী জানান, একইভাবে বেসরকারি
খরচে হাব ঘোষিত টাকার পরিমাণও ৫৯ হাজার টাকা বাড়বে।
এর আগে গত ১১
মে চলতি বছরের হজ প্যাকেজ ঘোষণা করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। ঘোষণা অনুযায়ী সব প্যাকেজেই হজ
করতে দেশের হাজিদের বিগত বছরের চেয়ে লাখ টাকার বেশি খরচ করতে হবে।
ওই দিন সচিবালয়ে
এক সংবাদ সম্মেলনে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান হজ প্যাকেজের ঘোষণা দেন। তিনি জানান,
এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার সর্বনিম্ন প্যাকেজ (প্যাকেজ-২) ৪ লাখ ৬২ হাজার
১৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই প্যাকেজের আওতায় হজযাত্রীরা মক্কার মসজিদুল হারামের
১ হাজার ৫০০ মিটারের মধ্যে অবস্থান করবেন। এ ছাড়া প্যাকেজ-১-এ হজে যেতে ৫ লাখ ২৭ হাজার
৩৪০ টাকা খরচ হবে। এই প্যাকেজের যাত্রীরা মসজিদুল হারামের ১ হাজার মিটার দূরত্বের মধ্যে
থাকবেন।
প্রতিমন্ত্রী
বলেন, ‘বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের জন্য
৪ লাখ ৫৬ হাজার ৫৩০ টাকার প্যাকেজ প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজ
এজেন্সিগুলো সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজ-১ ও প্যাকেজ-২-এর সঙ্গে মিল রেখে একাধিক প্যাকেজ
ঘোষণা করতে পারবে।’
২০২০ সালের তুলনায়
এবার সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজ-১-এ খরজ বাড়বে ১ লাখ ২ হাজার ৩৪০ টাকা এবং প্যাকেজ-২-এ
খরচ বাড়বে ১ লাখ ২ হাজার ১৫০ টাকা।
করোনা সংক্রমণের
কারণে গত দুই বছর হজ করার ক্ষেত্রে নানা সীমাবদ্ধতা ছিল। গত বছর শুধু সৌদি আরবের লোকজন
হজ করতে পেরেছিলেন। তবে করোনা মহামারি পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় চলতি বছর দুটি শর্ত
সাপেক্ষে ১০ লাখ হজযাত্রীকে হজ করতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব। সৌদির হজ ও
ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, হজযাত্রীদের বয়স ৬৫ বছরের নিচে হতে হবে এবং পূর্ণ ডোজ
টিকা নিতে হবে। আর সৌদির উদ্দেশে রওনা করার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ
সনদ লাগবে। স্বাস্থ্য পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বর্ধিত হজযাত্রীর এই সংখ্যা কোটা অনুযায়ী
দেশগুলোর মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।