আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন হবে ঢাকায়, চুক্তি সই

প্রকাশিত:রবিবার ১৩ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শতভাগ হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন ও লাগেজ তল্লাশির কাজ ঢাকায় সম্পন্ন হবে। এ জন্য সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি সই হয়েছে। একই সঙ্গে দু-দেশের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি চুক্তি সই হয়েছে। বাংলাদেশ সফররত সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র উপমন্ত্রী নাসের বিন আব্দুল আজিজ আল দাউদের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে এ চুক্তি হয়। রোববার (১৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ বৈঠক হয়। বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের বলেন, আলোচনার পর আমরা দুটি এমওইউ সই করেছি। একটি হলো নিরাপত্তা সহযোগিতা চুক্তি, আরেকটি হলো রুট-টু-মক্কা সার্ভিস এগ্রিমেন্ট। প্রথমটিতে দু-দেশের নিরাপত্তা আরও কীভাবে উন্নতি করা যায়, সেই বিষয় আছে। প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয় এর মধ্যে রয়েছে। রুট-টু-মক্কার মধ্যে রয়েছে, আমাদের হজযাত্রীদের আরও কীভাবে সহযোগিতা দেওয়া যায়। এখান থেকে ইমিগ্রেশন ও সবকিছু ঠিকঠাক করে করে তারা উড়োজাহাজে উঠে যাবে। এ সুবিধাগুলো আগে পরীক্ষামূলকভাবে ছিল। এখন চুক্তি হলো। এখন ইমিগ্রেশন, ব্যাগেজ চেকিং সবকিছু বাংলাদেশের বিমানবন্দর থেকে হয়ে যাবে। এটাই হলো রুট-টু-মক্কা সার্ভিস এগ্রিমেন্টের বিষয়।

সুরক্ষাসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী বলেন, ২০১৯ সাল থেকে মৌখিকভাবে রুট-টু-মক্কা বাস্তবায়ন হচ্ছিল। এখন আনুষ্ঠানিকতা মেনে চুক্তি হলো। এরপর থেকে যারা হজে যাবেন, ইমিগ্রেশন আমাদের এখানে হবে। ওখানে বিমানবন্দরে নেমে গাড়িতে উঠে যাবেন। লাগেজও হোটেল চলে যাবে। এছাড়া আরও অনেক বিষয় নিয়ে আলাপ হয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যু আলোচনায় এসেছে। আমাদের দু-দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে প্রশিক্ষণ এবং পারস্পরিক তথ্য আদান-প্রদান। ভাতৃপ্রতিম মুসলিম দেশ, দু-দেশের সম্পর্ক আরও উন্নত করা যায়, সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের যে শ্রমিকরা যেখানে যাচ্ছে, দক্ষ শ্রমিকদের সেখানে পাঠানোর জন্য তারা অনুরোধ জানিয়েছেন। দক্ষ শ্রমিক পাঠালে তারা আরও ভালো সুবিধা পাবেন বলে আলোচনা হয়েছে। আমরা তাদের জানিয়েছি যে, আমরা ট্রেনিং ইনস্টিটিউট তৈরি করেছি। যখনই শ্রমিক বিদেশে যায় তারা এখান থেকে ট্রেনিং নিয়ে বিদেশে যায়, সরকার থেকে আমরা সেটা করে যাচ্ছি।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, আমরা আরও বলেছি, কীভাবে ভিসা আরও সহজ করা যায়। বাংলাদেশ থেকে প্রচুর হজ ও ওমরাহযাত্রী, ব্যবসায় ও চাকরির জন্য প্রতিনিয়ত সৌদি আরব যাচ্ছেন। তারা যে স্কলারশিপ দিচ্ছেন, সেটা আরও কীভাবে সহজ করা যায় সেটা নিয়ে এবং বিজনেস ভিসাটা আরও কীভাবে সহজ করা যায় সেটা নিয়ে বিস্তারিত আলাপ হয়েছে। সবকিছু তারা বিবেচনায় নেবেন বলে আমাদের জানিয়ে গিয়েছেন।

আগামী দিনগুলোতে সাইবার চ্যালেঞ্জ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, সৌদি আরবও সেটা মনে করে। এটা কীভাবে মোকাবিলা করবো সে জন্য এ চুক্তি হয়েছে। সাইবার ক্রাইম মোকাবিলায় যৌথভাবে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ জন্য আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ট্রেনিং দেবে। বিভিন্ন পেশায় তারা নিয়োজিত, আবার ব্যবসা-বাণিজ্যও করেন। সেই ব্যবসায় যাতে একটু সুবিধা পায় সেটা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সবকিছু নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আশাকরি আমাদের সম্পর্ক আরও গাঢ় হবে, আরও উন্নত হবে এ সফরের পর।

নতুন করে শ্রমিক নেওয়া ও সৌদি আরব থেকে এলএনজি আনার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান বলেন, এলএনজির কোনো বিষয় আলোচনায় আসেনি। শ্রমিকদের ই-পাসপোর্ট তাড়াতাড়ি দেওয়ার বিষয়ে তারা অনুরোধ করেছেন। আমরা বলেছি আমরা তাড়াতাড়িই করবো, কিন্তু প্র্যাকটিক্যালি এ অসুবিধাগুলো আছে।

রোববার সকাল সোয়া ১০টায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সৌদি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শুরু হয়। এর আগে সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র উপমন্ত্রীর নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি সচিবালয়ে এসে পৌঁছায়। এরপর তাদের গার্ড অব অনার ও লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বৈঠক চলে সোয়া ১২টা পর্যন্ত। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে ছিলেন জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, সুরক্ষাসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ অন্যান্য কর্মকর্তা।

নিউজ ট্যাগ: ইমিগ্রেশন

আরও খবর



জয়পুরহাট হিমাগারে আলু পচন, ক্ষুদ্ধ কৃষক ও ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের কালাইয়ে মান্নান অ্যান্ড সন্স বীজ হিমাগারে রাখা আলুতে পচন ধরেছে। এতে লোকসানে পড়েছেন স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। হিমাগার কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন তারা। আলুতে পচনের জন্য কৃষক ও ব্যবসায়ীদের দায়ী করেছে হিমাগার কর্তৃপক্ষ।

উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের একই মালিকের দুটি হিমাগার মান্নান অ্যান্ড সন্স বীজ হিমাগার এবং মুসলিমগঞ্জ মান্নান বীজ হিমাগারে রোমানা জাতের আলু প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ কেজি ওজনের ৩০ হাজার বস্তা পচা ও দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ নিরুপায় হয়ে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সংবাদ দিয়ে তাদের পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত আলু বের করে দিচ্ছে। বস্তা খুলে দেখা যায় ৬০ থেকে ৬৫ কেজি ওজনের মধ্যে প্রায় ৩০ কেজি আলু পচে গেছে। বাজারে যেখানে ৬০ কেজি আলুর দাম ২৫শ টাকা সেখানে হিমাগারে শেডে পাইকারি বিক্রি করছে এক হাজার থেকে ১২শ টাকা, এতে করে কৃষক ও ব্যবসায়ীর প্রতি বস্তায় লোকসান গুনতে হচ্ছে ১৩শ থেকে ১৫শ টাকা।

হিমাগার চুক্তিভিত্তিক আলু বাছাইকারী নারী শ্রমিক দেলোয়ারা বেগম, রওশন আরা, ফিরোজা জানান, প্রতি বস্তায় ৬০ থেকে ৬৫ কেজি আলু থাকে, সেখানে প্রায় ৩০ কেজি আলু পচে গেছে।

উদয়পুর ইউনিয়নের সানাইপুকুর গ্রামের খায়রল ইসলাম বলেন, নষ্ট আলু নিতে গেলে ক্ষতিপূরণ না দিয়ে উল্টো বস্তাপ্রতি ৩৪০ টাকা ভাড়া নিচ্ছে। এল্লাগাড়ি গ্রামের ইয়াছিন বলেন, অভিযোগ করলেও প্রতিকার পাই না।

হিমাগার কর্তৃপক্ষ জানায়, হিমাগারে নিয়ে আসা আলুর বয়স কম এবং আলুর সঙ্গে মাটি লেগে থাকার কারণে এই পচন ধরেছে। রোমানা জাতের আলু ছাড়া অন্য কোনো জাতের আলুতে পচন ধরেনি।

কালাই কৃষি কর্মকর্তা অরুণ চন্দ্র রায় জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই কথা বলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল হায়াত।


আরও খবর



শেরপুরে ৬টি গ্রামে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাজমুল হোসাইন, শেরপুর

Image

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে শেরপুরের ৬টি গ্রামে আগাম ঈদুল ফিতর পালিত হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) এইসব গ্রামে আগাম ঈদুল ফিতরের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।

গ্রামগুলো হলো শেরপুর সদর উপজেলার উত্তর চরখারচর ও দক্ষিণ চরখারচর, নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী পশ্চিমপাড়া ও গোবিন্দনগর ছয়আনি পাড়া, নকলা উপজেলার চরকৈয়া এবং ঝিনাইগাতী উপজেলার বনগাঁও চতল। তবে স্থানীয় লোকজন ছাড়াও জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকেও মুসল্লীরা ওইসব গ্রামে ঈদের নামাজ আদায় করতে যান। প্রতি বছর সদর উপজেলার বামনেচর গ্রামে আগাম ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হলেও এবার সেখানকার বেশ কিছু মুসল্লী নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী পশ্চিমপাড়া এলাকায় ঈদের নামাজ আদায় করেছেন বলে জানা গেছে।

বুধবার সকাল ৭টা থেকে ১০টার মধ্যে এসব গ্রামে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রত্যেকটি জামায়াতে দুইশ থেকে আড়াই'শ জন মুসল্লী অংশগ্রহণ করেন। এসব জামায়াতে পুরুষ মুসুল্লীদের পাশাপাশি নারী মুসল্লীরাও পর্দার ভিতরে নামাজে অংশ নেন।

জানা গেছে, বিগত কয়েক বছর ধরে শেরপুরের এসব এলাকায় সৌদির সাথে মিল রেখে একদিন আগেই পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করে থাকে। মুসুল্লীদের সংখ্যাও ধীর গতিতে বেড়ে চলছে বলে জানান এলাকাবাসী।


আরও খবর



তরমুজের বীজ খেয়ে নিজের ক্ষতি করছেন না তো?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

গরমে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পরলেও এই মৌসুমেই কিন্তু বিভিন্ন রসালো স্বাদের ফল পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ফল তরমুজ। গোটা কিংবা জুস যেভাবেই হোক তরমুজ পছন্দ করেন না এমন মানুষ পাওয়া দায়। তবে তরমুজ খাওয়ার বাধ সাধে তরমুজের বীজ।

একদম সাবধানভাবে বীজ ছাড়া তরমুজ খাওয়া বেশিরভাগ সময় সম্ভব হয় না। তাই দেখা যায় অনেকেই তরমুজের বীজ খেয়ে ফেলেন। বিশেষ করে শিশুরা। এখন প্রশ্ন আসে তরমুজের বীজ কী মানবশরীরের ক্ষতির কারণ হতে পারে। এর জবাব হচ্ছে একেবারেই না। 

অনেকেই ভাবেন, তরমুজের বীজ খেলে বোধ হয় পেটে সমস্যা হতে পারে। পুষ্টিবিদের মতে, তরমুজের বীজের ক্ষতিকর তো নয়ই উল্টো এটা স্বাস্থ্যকর। এই বীজে প্রোটিনের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। সুস্থ থাকতে সারা দিনে যে পরিমাণে প্রোটিনের প্রয়োজন হয় তার ৬০ শতাংশই মিলতে পারে এক কাপ তরমুজের বীজ থেকে।

পুষ্টিবিদের থেকে জানা যায়, তরমুজের বীজে আছে আয়রন, ফোলেট, লাইকোপেন এবং নিয়াসিনের মতো উপাদান। তবে যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তাদের কারও কারও ক্ষেত্রে এটা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতেই পারে। কারও আবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও হয়ে থাকে।

তরমুজের বীজ খেলে শরীরে নানান উপকার হয়। ভারতীয় গণমাধ্যম এ নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এক নজরে দেখে নিন সেগুলো।

১. প্রোটিনের পাশাপাশি তরমুজের বীজে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। ত্বকে কোনও প্রদাহ হলে তা-ও কমাতে সাহায্য করে। তাই ত্বক ও চুলের যত্ন নিতে খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে পারেন তরমুজের বীজ।

২. রক্তে থাকা এলডিএল কোলেস্টেরল হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ার কারণ। অন্যদিকে তরমুজের বীজে রয়েছে মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, যা রক্তে এই খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য কিন্তু বেশ উপকারী ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ তরমুজের বীজ।

৩. হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গেলে ক্যালসিয়াম ছাড়াও বেশ কিছু খনিজের প্রয়োজন হয়, এই খনিজগুলি যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে তরমুজের বীজে। এ ছাড়াও তরমুজের বীজ পেশির গঠনের প্রয়োজনীয় এই খনিজগুলোর অন্যতম উৎসব ।


আরও খবর



নববর্ষ ঘিরে ডিএমপির ট্রাফিক নির্দেশনা

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে আয়োজিত উৎসবে নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। রাজধানীতে যাতায়াত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ট্রাফিক নির্দেশনাও দিয়েছে ডিএমপি। শনিবার (১৩ এপ্রিল) ডিএমপির ট্রাফিক রমনা বিভাগের মিডিয়া শাখা থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রবিবার ভোর ৫টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রমনা বটমূল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কিছু রাস্তা বন্ধ বা রোড ডাইভারশন করে দেওয়া হবে।

সম্ভাব্য ডাইভারশন পয়েন্টগুলো হলো:

বাংলামোটর ক্রসিং, মিন্টোরোড ক্রসিং, অফিসার্স ক্লাব ক্রসিং, কাকরাইল চার্চ ক্রসিং, কদমফোয়ারা ক্রসিং, ইউবিএল ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ক্রসিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার ক্রসিং, জগন্নাথ হল ক্রসিং, ভাস্কর্য ক্রসিং, নীলক্ষেত ক্রসিং এবং কাঁটাবন ক্রসিং।

যানবাহন চলাচলের বিকল্প রাস্তা:

মিরপুর-ফার্মগেট থেকে শাহবাগ অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন বাংলামোটর-মগবাজার ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে। বঙ্গবাজার-হাইকোর্ট থেকে মৎস্য ভবন অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন কদম ফোয়ারা-ইউবিএল ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে। জিরো পয়েন্ট-কদম ফোয়ারা থেকে মৎস্য ভবন অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন ইউবিএল-নাইটিংগেল ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে। শান্তিনগর-রাজমনি থেকে গুলিস্থান ও সদরঘাট অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন নাইটিংগেল-ইউবিএল ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে।

নববর্ষের দিনে উপযুক্ত এলাকা অথবা রোডগুলো পরিহার করে বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করার জন্য নগরবাসীকে ডিএমপির পক্ষ থকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



গরমে পুড়ছে ফিলিপাইন, তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিপাইনে প্রচণ্ড গরমের কারণে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। এর ফলে দেশটিতে উৎপাদনমুখী ব্যবসা ক্ষতির কবলে পড়েছে। শুধু তাই নয় প্রচণ্ড গরমের কারণে দেশটির শিক্ষার্থীরাও সমস্যার মধ্যে পড়েছেন।

রয়টার্সের প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, ফিলিপাইনের বিভিন্ন অঞ্চলে ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্র বিদ্যমান। এল নিনো আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে দেশটিতে মার্চ থেকে মে পর্যন্ত এ ধরনের তাপমাত্রা থাকতে পারে।

প্রচণ্ড গরমের কারণে হাজার হাজার স্কুলে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে ৩৬ লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে দেশটির শিক্ষামন্ত্রণালয়ের এক তথ্যে বলা হয়েছে।

সেভ দ্য চিলড্রেন ফিলিপাইনের মৌলিক শিক্ষা উপদেষ্টা জেরক্সেস কাস্ত্রো বলেন, মে মাসেও শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তখন গরম আরও বাড়বে। অনেক অঞ্চলে তাপমাত্রা বেড়ে ৫২ ডিগ্রিতে পৌঁছাতে পারে।

সুতরাং এমন পরিবেশে কীভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব প্রশ্ন রাখেন তিনি।


আরও খবর