হন্ডুরাসে একটি মহিলা কারাগারে ভয়াবহ
দাঙ্গা-সহিংসতার ঘটনায় কমপক্ষে ৪১ নারী নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ওই দাঙ্গার
ঘটনা ঘটে। এই দাঙ্গার জন্য ‘মারা’ গ্যাংকে দায়ী করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।
ওই গ্যাংরা এর আগেও কারাগারে এ ধরনের সহিংসতার সঙ্গে জড়িত ছিল।
হন্ডুরাসের জাতীয় পুলিশ তদন্ত সংস্থার
মুখপাত্র ইউরি মোরা বলেছেন, বেশিরভাগ নারীকেই পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। তবে রাজধানী তেগুসিগালপা
থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩০ মাইল) উত্তর-পশ্চিমের তামারার নামের ওই কারাগারে বন্দীদের
গুলি বা ছুরিকাঘাত করা হয়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
বন্দুকের গুলি ও ছুরির আঘাতে জখম হওয়া
অন্তত ৭ নারীকে তেগুসিগাল্পা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ওই হাসপাতালের কর্মীরা
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ইউরি মোরা জানিয়েছেন, ফরেনসিক টিম এখন পর্যন্ত ৪১ নারীর মরদেহ
উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন<< তাইওয়ানের স্বাধীনতার দাবিকে সমর্থন করে না আমেরিকা
হাসপাতালের বাইরে আহত এক বন্দীর সাক্ষাত্কার
নিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম। ওই নারী বলেন, দুর্ধর্ষ ব্যারিও ১৮ গ্যাংয়ের বন্দীরা একটি
সেল ভেঙে প্রবেশ করে এবং অন্যান্য বন্দীদের এলোপাতাড়ি গুলি করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়।
হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট জিওমারা কাস্ত্রো
অভিযোগ করেছে, নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের সম্মতিতে এবং তাদেরকে অবগত করে মারা গ্যাংয়ের
একটি পরিকল্পিত দাঙ্গা এটি। ওই দাঙ্গার পর পরই সামাজিক মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, আমি কঠোর
ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি।
এদিকে ওই কারাগারে থাকা বন্দিদের ক্ষুব্ধ
আত্মীয়-স্বজনরা সেখানে ছুটে এসেছে। তাদের প্রিয়জনের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা জানার চেষ্টায়
কারাগারের বাইরে জড়ো হয়েছেন তারা।
এক নারী বলেন, আমরা এখানে তীব্র উদ্বেগে
মারা যাচ্ছি। তার মেয়ে ওই কারাগারে ছিলেন। তিনি বলেন, আমাদের কাছে কোনও তথ্য নেই।
এর আগে ২০১২ সালে হন্ডুরাসে ভয়াবহ দাঙ্গার ঘটনায় ৩৬১ বন্দির মৃত্যু হয়।