আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

হরিহর নদে ৫৫ পুকুর, চলছে মাছ চাষ

প্রকাশিত:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
যশোর প্রতিনিধি

Image

যশোরের হরিহর নদ। হিসাবে ৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। তটসহ চওড়া গড়ে ৭০ মিটার। কিন্তু বাস্তবে ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটারে নদের বৈশিষ্ট্যই এখন আর নেই। একের পর এক বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করায় হরিহর যেন গুচ্ছ পুকুরে পরিণত হয়েছে। শুধু মাছ চাষ নয়, কোথাও কোথাও শুকিয়ে ধান চাষের পাশাপাশি বালু তুলে বিক্রি করছেন দখলকারীরা।

সম্প্রতি ঝিকরগাছা, মণিরামপুর ও যশোর সদর উপজেলার চার-পাঁচটি গ্রাম সরেজমিনে ঘুরে এবং তীরবর্তী গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে দখলের এই চিত্র দেখা গেছে। দুই কিলোমিটার সরেজমিনে ঘুরে অর্ধশত পুকুরের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। আর নদজুড়ে দেড় শর বেশি বাঁধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন তীরবর্তী মানুষ ও দখলমুক্ত আন্দোলনকারীরা।

দখলকারীদের দাবি, বন্দোবস্ত নিয়ে নদীর জমি ব্যবহার করছেন তারা। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, অবৈধভাবে নদী দখল করে রাখার কোনো সুযোগ নেই। খনন শুরু হলে উচ্ছেদ করা হবে।

পাউবো সূত্রে জানা গেছে, হরিহর নদটি ঝিকরগাছা উপজেলার কাটাখাল নামক স্থানে কপোতাক্ষ নদ থেকে উৎপত্তি হয়ে মণিরামপুর ও সদর উপজেলা দিয়ে কেশবপুর উপজেলার আপারভদ্রা নদীতে সংযুক্ত হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৮ সালে এ নদীর সীমানা নির্ধারণ করা হয়। ২০২১ সালের জুন মাসে নদের উজানে ১৫ কিলোমিটার খনন করা হয়েছে।

ঝিকরগাছা উপজেলার কৃত্তিপুর ও মল্লিকপুর গ্রামের মাঝ বরাবর রয়েছে হরিহর নদের রেখা। নদটির পূর্ব তীর মল্লিকপুর এবং পশ্চিম তীর কীর্তিপুর গ্রাম। গত সোম ও মঙ্গলবার ওই অংশে সরেজমিনে দেখা যায়, নদজুড়ে বিশাল বিশাল পুকুর। কোথাও কোথাও ধান চাষ হচ্ছে।

জানা গেল, একটি পুকুরের মালিক ঝিকরগাছা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর সাইফুল আলম সুজন। কীর্তিপুর গ্রামে তাঁর বাড়ি। সেখানে গিয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে আমরা নদীর ওই জায়গা ভোগদখল করছি। আমাদের কাগজপত্র আছে।

সেখান থেকে এগিয়ে মল্লিকপুর গ্রাম। এখানে নদের তটে কয়েকটি বাড়িঘর। সেখানেও নদের বুকে সারি ধরে পুকুর। গ্রামের মধ্যপাড়ায় কথা হয় প্রবীণ রওশন আরা বেগমের সঙ্গে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এই নদীতি আমরা সাঁতার কাটিছি, মাছ ধরিছি। আর এখন নদীরি সব দখল কইরে পুকর বানায়ে ফেইলেছে। আমাগের পানিতি নামতিও দেয় না।

কথা হয় মল্লিকপুর গ্রামের বাসিন্দা তাহের আলীর সঙ্গে। তিনি জানান, দখলদারদের বাঁধের কারণে তারসহ অনেক কৃষকের জমির ফসল একাধিকবার ডুবে নষ্ট হয়েছে।

একই উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামে নদের পারে গিয়ে যায়, এখানেও নদের বুকে পুকুরের পর পুকুর। একটি পুকুরে মাছের খাবার দিচ্ছিলেন জাহাঙ্গীর নামের মাঝবয়সী এক ব্যক্তি। তিনি জানান, নদের বুকে তার পুকুরটির আয়তন তিন বিঘা। পুকুরে পাবদা মাছের চাষ করেছেন। নদের বুকে কিভাবে পুকুর করলেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাপ-দাদাদের কাছ থেকে পাওয়া।

নদের পারে মণিরামপুর উপজেলার স্মরণপুর ও পটি গ্রামে গিয়েও দেখা যায় একই চিত্র। নদের বুকজুড়ে সারি সারি পুকুর। কিছু কিছু পুকুরে নদের বুকে বাঁধ শক্ত করতে দখলদাররা গাছ লাগিয়েছেন। এসব গাছ এখন বিশাল আকার ধারণ করেছে।

স্মরণপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাঁধ দিয়ে পানি শুকিয়ে নদের একাংশ থেকে এক্সকাভেটর দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। দুটি ট্রাক্টরের পেছনে জোড়া দেয়া ট্রলিতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেই বালু। সেই পুকুরের পাশেই নদের বুকে একটি মাছ চাষের পুকুরে দেয়া হচ্ছে ভূগর্ভ থেকে উত্তোলন করা পানি।

সেখানে কথা হয় পটি গ্রামের ইজাহার আলী নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে। তিনি জানান, তার নিজ গ্রাম পটি এবং স্মরণপুরে হরিহর নদের মধ্যে এমন ৫০টির মতো পুকুর হতে পারে। এক্সকাভেটর দিয়ে যে পুকুরটি খনন করা হচ্ছে তার মালিক ইকবাল সর্দার। আর পাশের যে পুকুরে পানি দেয়া হচ্ছে সেখানে মাছ চাষ করেন আনছার সর্দার ও শমসের মোড়ল। এর বেশি তিনি আর কিছু বলতে রাজি হননি।

ইজাহার আলীর কথার সূত্র ধরে ওই দুই গ্রামের দুই কিলোমিটার নদের তীর ঘুরে ৫০ থেকে ৫৫টি পুকুরের অস্তিত্ব পাওয়া গেল।

একই উপজেলার এড়েন্দা গ্রামে নদের মধ্যে দেখা গেল বড় বড় গভীর গর্ত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বৃদ্ধা বলেন, নদীর মধ্যি মেশিন লাগায়ে বালি তোলে। ভয় করে কখন যে বাড়িঘর ধইসে পড়ে। বালি যারা তোলে তারা ক্ষমতাবান। ভয়তে কাউরি কতি পারিনে।

যশোর সদর উপজেলার নদের পারে গোয়ালদহ বাজার। এই এলাকায়ও নদ দখলের একই চিত্র। স্থানীয়রা জানায়, এখানে পাউবোর নদসংক্রান্ত একটি সাইনবোর্ড ছিল। দখলদাররা সেই সাইনবোর্ডও তুলে ফেলেছে।

যশোর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ তাওহীদুল ইসলাম বলেন, উজানে নদের ১৫ কিলোমিটার খনন সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ৩০ কিলোমিটার খননের জন্য একটি প্রকল্প দাখিল করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে সিএস ম্যাপ অনুযায়ী খনন করা হবে।

নিউজ ট্যাগ: যশোর হরিহর নদ

আরও খবর



মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে জুড়ি উপজেলার পূর্ব গোয়ালবাড়ি গ্রামে মখলিছ মিয়ার বাড়িতে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। একই পরিবারের শিশুসহ পাঁচ জন বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যাওয়ায় গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

নিহতরা হলেন- ফয়জুর রহমান (৫২), শিরি বেগম (৪৫), সামিয়া (১৬), সাবিনা (১৩) ও সায়েম উদ্দিন (৮)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোরে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বসতঘরের ওপর পরলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সোনিয়া আক্তার (৬) নামে এক শিশু আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাইনুদ্দিন বলেন, মরদেহগুলো জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে। সকাল সাড়ে ৮টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এবারও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ঈদের নামাজের ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এক ঘণ্টা পরপর অনুষ্ঠিত হবে এসব জামাত।

সোমবার (২৫ মার্চ) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু বকর সিদ্দীক এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে ঈদের প্রধান জামাত সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে।

সম্প্রতি ঈদুল ফিতর উদযাপনে সরকারি কর্মসূচি নির্ধারণে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলেও জানান তিনি।

মূলত ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ঈদের প্রধান জামাত আয়োজনের দায়িত্বে রয়েছে। তারা এ বিষয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। 

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ বা ১১ এপ্রিল মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। ঈদুল ফিতরের দিন রাজধানীতে ঈদগাহ ও বিভিন্ন মসজিদে মুসল্লিরা দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করবেন।

জানা গেছে, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ঈদের নামাজের ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। এক ঘণ্টা পরপর ৪টি এবং বেলা পৌনে ১১টায় সবশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




গাজায় দুর্ভিক্ষ, ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৭৫ ফিলিস্তিনি

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের অবিরাম গণহত্যা অভিযানে তছনছ হয়ে যাওয়া ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষ হানা দিয়েছে। সেখানে ভিক্ষা দেওয়ার মতো মানুষ নেই। অনাহারে মারা যাচ্ছে শিশুরা। খাবারের অভাবে অপুষ্টির কারণে এরই মধ্যে শিশুসহ ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। তবে ইসরায়েল অসহায় ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা-হাঙ্গামা জারি রেখেছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) জুমা দিনে মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়ে অন্তত ৭৫ জনকে হত্যা করেছে। এসব ঘটনায় প্রায় দেড়শ মানুষ আহত হয়েছে। এ নিয়ে ৭ অক্টোবর থেকে গতকাল পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩২ হাজার ৬০০ ছড়িয়ে গেছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, ইতোমধ্যে উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে, যা সম্ভবত সম্পূর্ণরূপে বিরাজমান।’

জাতিসংঘ বারবার সতর্ক করে বলছে, মে মাসে পুরো গাজায় দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়বে। এ অব্স্থায় গাজায় বাধাহীন ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিতে গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। পরদিন শুক্ররার মার্কিন এক কর্মকর্তা উত্তর গাজার দুর্ভিক্ষ নিয়ে মুখ খুললেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই মার্কিন কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, গাজার মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে এখনও দুর্ভিক্ষ শুরু হয়নি, তবে ঝুঁকি রয়েছে। ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির অর্থ হলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই জরুরিভাবে’ উত্তর গাজায় খাবার পাঠাতে হবে।

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থা-ইউএনআরডব্লিউএর মুখপাত্র তামারা আলরিফাই এর আগে আলজাজিরাকে বলেছিলেন, প্রতিদিন গড়ে ১৫৫ ট্রাক গাজায় প্রবেশ করছে, সেখানে ফিলিস্তিনিদের চাহিদা মেটাতে ন্যূনতম ৫০০ ট্রাক খাবার প্রয়োজন।

গতকাল জাতিসংঘ শিশু তহবিলের মুখপাত্র জেমস এলডার বলেছেন, গাজায় যার সঙ্গেই কথা হচ্ছে, তিনি বলছেন; আমাদের খাদ্য প্রয়োজন। সব কথার আগে তারা এটিই বলছেন।’

গত সপ্তাহে জাতিসংঘ-সমর্থিত একটি প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছিল, মার্চের মাঝামাঝি থেকে মে মাসের মধ্যে যে কোনো সময় উত্তর গাজা দুর্ভিক্ষের শিকার হতে পারে। এতে আরও বলা হয়, গাজার ২৩ লাখ জনসংখ্যার ৭০ শতাংশেরও বেশি মানুষ বিপর্যয়কর ক্ষুধার সম্মুখীন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার গণহত্যা অভিযান থামাতে তেমন কোনো উদ্যোগ নেননি। গত বৃহস্পতিবার রাতে জো বাইডেনের একটি তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে তার বিরুদ্ধে স্লোগান দেন একদল মানুষ। তাদের বলতে শোনা যায়, মিস্টার প্রেসিডেন্ট, আপনার হাতে ফিলিস্তিনিদের রক্ত। ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনে গণহত্যা থামাতে বলুন।’ এ সময় অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সাবেক দুই প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও বারাক ওবামা।

পবিত্র রজমান মাসে গাজায় যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল, তা নজিরবিহীন। গাজার এক বাসিন্দা আলজাজিরাকে বলেছেন, আমরা মৃত্যু মুখেও রোজা রাখছি।’


আরও খবর



হাজারীবাগে ঝাউতলা বস্তিতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর হাজারীবাগের ঝাউচরের মোড় এলাকার একটি টিনশেড বস্তিতে আগুন লেগেছে। নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার জানান, বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে আমাদের কাছে খবর আসে হাজারীবাগ বেড়িবাঁধ সংলগ্ন ঝাউতলা বস্তিতে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে হাজারীবাগ ফায়ার স্টেশনের ২টি, লালবাগের ২টি, মোহাম্মদপুরের ২টি ও সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের ১টিসহ মোট ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে।

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।


আরও খবর
শিশু হাসপাতালে আগুন নিয়ন্ত্রণে

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




চলতি বছর ছাড়াতে পারে তাপমাত্রার রেকর্ড

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চৈত্রের প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস মানুষ। রাজধানীসহ অনেক জেলায় বইছে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ। গত বছরের চেয়ে চলতি বছরজুড়ে তাপমাত্রা বেশি থাকবে। এর মধ্যে এপ্রিলে গরমের তীব্রতা পৌঁছাতে পারে সর্বোচ্চ পর্যায়ে বলে জানিয়েছে আবহওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি হওয়ায় গরমে অস্বস্তি আরও বাড়ছে। ২০২৩ সালের তুলনায় এবছর তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।  বাংলাদেশে সাধারণত মার্চ থেকে মে মাসকে বছরের উষ্ণতম সময় ধরা হয়। এর মধ্যে এপ্রিল মাসেই সাধারণত তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে।

বিশেষজ্ঞের মতে, নির্বিচারে গাছ কাটা, জলাশয় ভরাট করা, এসির অত্যধিক ব্যবহারের কারণে রাজধানীর তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে।

এ বছরের তাপপ্রবাহ তীব্র হওয়ার আশঙ্কা কেন?

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের গত কয়েকদিনের পূর্বাভাসের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে এখন বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করছে।

এর কারণ হিসেবে আবহাওয়াবিদরা জানান, বাংলাদেশের ঐ অঞ্চলের দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ ইত্যাদি রাজ্যের অবস্থান। কিন্তু এইসব প্রদেশের তাপমাত্রা অনেক বেশি। এসব জায়গায় বছরের এই সময়ে তাপমাত্রা ৪২ থেকে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মাঝে ওঠানামা করে।

এ নিয়ে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, গত বছর ভারতের ওইসব অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেহেতু ওগুলো উত্তপ্ত অঞ্চল, তাই ওখানকার গরম বাতাস চুয়াডাঙ্গা, যশোর, কুষ্টিয়া, রাজশাহী হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং তা আমাদের তাপমাত্রাকে গরম করে দেয়।

এই আন্তঃমহাদেশীয় বাতাসের চলাচল ও স্থানীয় পর্যায়েও তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে দেশব্যাপী এবছর তাপপ্রবাহ তুলনামূলক বেশি থাকতে পারে বলে মনে করেন এই আবহাওয়াবিদ।

ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বিগত বছরের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে এটা প্রতীয়মান হচ্ছে যে ২০২৪ সাল উত্তপ্ত বছর হিসেবে যাবে। আমরা এ বছর তাপপ্রবাহের দিন এবং হার বেশি পেতে যাচ্ছি।


আরও খবর