আজঃ শনিবার ২২ জুন ২০২৪
শিরোনাম

হরিজন পল্লী উচ্ছেদের প্রতিবাদে শেরপুরে বিক্ষোভ

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
মো. নাজমুল হোসাইন, শেরপুর

Image

বাংলাদেশের ৪০০ বছরের ইতিহাস সমৃদ্ধ ঢাকার বংশালের মিরনজিল্লা হরিজন পল্লী উচ্ছেদের প্রতিবাদে শেরপুরের হরিজনরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।

১৫ জুন শনিবার বেলা ১১ টায় শহরের শীতলপুরস্থ হরিজন পল্লী থেকে হরিজনরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের নিউমার্কেট মোড়ে জড়ো হয়। পরে তারা সেখানে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।

বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদের শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি বিমল হরিজনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে হরিজনদের আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা করে বক্তব্য রাখেন,

জেলা জাসদের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন, বিডিইআরএমের সাধারণ সম্পাদক তাপস বিশ্বাস ও সাংগঠনিক সম্পাদক বিদ্বান বিশ্বাস, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ছাত্র কল্যাণ পরিষদ শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি শুভঙ্কর সাহা, বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদ শেরপুর জেলা শাখার কোষাধক্ষ্য বিপ্লব হরিজন, নারী নেত্রী মুক্তা হরিজন, সন্তোষ হরিজন, নন্দ কিশোর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা এসময়, বাংলাদেশের ৪০০ বছরের ইতিহাস সমৃদ্ধ হরিজন সম্প্রদায়কে অনৈতিকভাবে উচ্ছেদের প্রতিবাদ জানান। সেই সাথে তাদের পুনর্বাসনসহ চারটি পৃথক দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো, ঢাকা বংশালে মিরনজিল্লা হরিজন পল্লীর উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করতে হবে এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক অন্যায়ভাবে উচ্ছেদ অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে, শত শত বছর ধরে বসবাসকারী হরিজনদেরকে তাদের বসবাসকৃত ভূমিতে মালিকানা প্রদান এবং মানসম্মত বাসস্থান নির্মাণ করতে হবে, প্রতি হরিজন পরিবার থেকে অন্তত একজনকে ঢাকাসহ সকল সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভায় চাকরি প্রদানসহ সকল হরিজনদের চাকরির নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।

আদালতের বেঁধে দেওয়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকার দাবি না মানলে পরবর্তী আন্দোলনে যাবেন বলে জানান হরিজন নেতৃবৃন্দরা।


আরও খবর



জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ১০ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটে জমিজমা সংক্রান্ত জেরে কৃষক সামছুল ইসলাম হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়।

সোমবার (৩ জুন) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা জজ আদালতের সরকারি সহকারী কৌশলী আবু নাছিম মো. শামীমুল ইমাম শামীম।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের মৃত হাফেজের ছেলে ছাবদুল, ছাবদুলের চার ছেলে হেলাল ওরফে হেলু, আলম, ইদ্রিস ও রেজাউল, ছাবদুলের স্ত্রী ফাতেমা, আলমের স্ত্রী ফারজানা, হেলালের স্ত্রী লিলিফা, আমেজ উদ্দীনের ছেলে হেলাল উদ্দীন ও আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দীপুর গ্রামের জিয়াউল হকের স্ত্রী ফুত্তি বেগম। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে দুইজনকে খালাশ দেওয়া হয়।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের ছাবদুলের কাছ থেকে প্রায় ৪০ শতক জমি কবলা করে প্রায় ২১ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছিলেন একই গ্রামের কৃষক সামছুল ইসলাম। পরে সেই জমি নিয়ে আসামীরা তার সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন।

২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর দুপুরে সামছুল ও তার বাবা সেই জমিতে আলুর বীজ বপণ করছিলেন। সেই সময় আসামীরা পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সেখানে এসে সামছুল ও তার বাবাকে মারপিট করে আহত করেন।

এসময় সামছুলকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে জয়পুরহাট সদর, পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল ও ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে বাড়িতে আনা হলে সেখানে ২০১২ সালের ২০ জানুয়ারি সে মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মেরিনা বেগম বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় মামলা দায়ের করলে আদালত আজ এ রায় দেন।


আরও খবর



অতিরিক্ত ভাড়ায় ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক পিকআপে ছুটছে মানুষ

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

প্রিয়জনের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগ করে নিতে গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অতিরিক্ত ভাড়ায় ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রাক, পিকআপে বাড়ি ফিরছে মানুষ।

শনিবার (১৫ জুন) সকাল থেকে গাজীপুরের চন্দ্রা, পল্লী বিদ্যুৎ, কোনাবাড়ি, চান্দনা চৌরাস্তা, ভবানীপুর, পল্লী বিদ্যুৎ মোড় ও মাওনা চৌরাস্তা এলাকা থেকে যাত্রীদের ট্রাক, পিকআপে যেতে দেখা যায়।

ভবানীপুর এলাকার একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী মাহমুদুল হাসান। বাসে অতিরিক্ত ভাড়া এড়াতে তিনি পিকআপে করে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে রওনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকেও বাস পাইনি। বাস পেলেও তিনগুণ চারগুণ ভাড়া দাবি করছে। যা বোনাস পেয়েছি তা বাস ভাড়াতেই খরচ হয়ে যাবে। তাই যাতায়াত খরচ কমাতে পিকআপে উঠেছি।

চান্দনা চৌরাস্তা থেকে ময়মনসিংহের ভাড়া ১০০ থেকে ১২০ টাকা। কিন্তু ঈদ যাত্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দাবি করছে জানিয়ে আরেক যাত্রী নাইমুল ইসলাম বলেন, ঢাকা থেকে যেসব বাস চলাচল করছে তার অধিকাংশই ফেরার পথে গাড়িভর্তি যাত্রী নিয়ে আসছে। কোনো বাস পাওয়া গেলেও দেখা যাচ্ছে সিট ছাড়াই ৪০০/৫০০ টাকা দাবি করছে। লোকাল বাসের চিত্রও একই। তাই পরিবার নিয়ে পিকআপেই রওনা দিয়েছি।

সালনা হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহমেদ বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কোথাও কোনো সমস্যা নেই। গাড়িগুলো সুন্দরভাবে চলাচল করছে। তবে মহাসড়কের গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি, বাঘেরবাজার এলাকায় গাড়ির কিছুটা চাপ রয়েছে। যেসব ট্রাক, পিকআপ যাত্রী পরিবহন করছে আমাদের সামনে পড়া মাত্রই আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।

নিউজ ট্যাগ: গাজীপুর

আরও খবর



হজে গিয়ে ১৫ বাংলাদেশির মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চলতি বছর হজে গিয়ে সৌদি আরবে এ পর্যন্ত বাংলাদেশী মোট ১৫ জন হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গতকালই দুইজন মারা গেছেন। এছাড়া হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ৭৯ হাজার ৫৫৯ জন বাংলাদেশী হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।

মঙ্গলবার (১১ জুন) হজ পোর্টালে আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

হজ বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, সৌদি আরবের মোট ১৫ জন বাংলাদেশী হজযাত্রী মারা গেছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ১৪ জন, নারী একজন। মক্কায় ১১ জন এবং মদিনায় চারজন মারা গেছেন। মারা যাওয়া হজ যাত্রীদের মধ্যে রয়েছেন, রাজধানীর কদমতলীর মো. শাজাহান (৪৮), কুমিল্লা কোতোয়ালুর মো. আলী ইমাম ভূইয়া (৬৫), কক্সবাজার মহেশখালীর জামাল উদ্দিন (৬৯), কক্সবাজারের রামুর মো. নুরুল আলম (৬১), কক্সবাজারের চকোরিয়ার মাকসুদ আহমেদ (৬১), ফরিদপুর নগরকান্দার মমতাজ বেগম (৬৩), ঢাকা রামপুরা বনশ্রীর শেখ আরিফুল ইসলাম (৫৭), গাইবান্ধা সাঘাটার মো. সোলাইমান (৭৩), রংপুর পীরগঞ্জের মো. শাহাজুদ আলী (৫৫) ও রংপুর তারাগঞ্জের মো. গোলাম কুদ্দুস (৫৪)।

এছাড়া সর্বমোট ৭৯ হাজার ৫৫৯ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ৫ হাজার ২৯৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ৭৪ হাজার ২৬২ জন।

এখন পর্যন্ত সৌদি আরব যাওয়ার ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ২০১টি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ১০৫টি,

সৌদিয়া এয়ারলাইনস পরিচালিত ফ্লাইট ৬৮টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস পরিচালিত ফ্লাইট ২৮টি। সৌদিতে আগামী ১৫ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার প্রথম ফ্লাইট গত ৯ মে শুরু হয়। আগামী ১২ জুন পর্যন্ত সৌদি যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।


আরও খবর



রাত পোহালেই ভোটগ্রহণ, কঠোর নিরাপত্তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

রাত পোহালেই শুরু হবে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩য় ধাপে আনোয়ারায় নির্বাচন । অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণের জন্য ব্যাপক নিরাপত্তার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে নির্বাচনী সরঞ্জাম। ভোর চারটায় পাঠানো হবে ব্যালট পেপার। সাথে থাকবে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

জানা গেছে, ২৯ মে আনোয়ারার ১১টি ইউনিয়নের ৭৪টি ভোট কেন্দ্রে ব্যালেট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ উপজেলায় ২ লাখ ৩৩ হাজার ১০৯ জন ভোটার সংখ্যা রয়েছে। এরমধ্যে ১ লাখ ২৩ হাজার ৮৮৮জন পুরুষ এবং ১ লাখ ৯ হাজার ২২১জন মহিলা ভোটার। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নিবার্চন অফিস সূত্র জানায়, অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে বিবেচিত কেন্দ্রগুলোতে ৪৯ হাজার ৮৪১ জন জন ভোটার রয়েছে। যা মোট ভোটারের প্রায় ২২ শতাংশ। তবে ভোটারেরা যাতে নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে যেতে পারে ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে নিবার্চন কমিশন। সোমবার থেকে মাঠে নেমেছে বডার্র গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

ভোটের মাঠে থাকবে ১৪ জন ম্যাজিস্ট্রেট, মোবাইল টিম, ১ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ১১টি পুলিশ স্ট্রাইকিং টিম, ৪ প্লাটুন বিজিবি ও র‌্যাব ফোর্স। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি রিজার্ভ ফোর্স রাখা হয়েছে।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আনোয়ারা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু জাফর ছালেহ জানান, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণের জন্য আনোয়ারায় ব্যাপক নিরাপত্তার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে বলা চলে আনোয়ারায় নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে নেওয়া হয়েছে। আশা রাখি কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা হবে না।

আরও খবর



প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ল ৪ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২০২৪-২৫ সালের বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে ৪২ হাজার ১৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। গত অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৩৭ হাজার ৮০২ কোটি টাকা। এটি গতবারের চেয়ে ৪ হাজার ২১২ কোটি টাকা বেশি। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকালে জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিরক্ষা সার্ভিসে ৪০ হাজার ৮২ কোটি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য সার্ভিসে ১ হাজার ৮৮৬ কোটি ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের জন্য ৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়।

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর উত্থাপিত প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার প্রতিপাদ্যে এ বাজেট বিদায়ী ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটের তুলনায় ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। টাকার অংকে ৩৫ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বেশি। বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটের আকার সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।

নতুন বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরে ছিল ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। নতুন বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয়েছে দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ লাখ ৪৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরে ছিল ৫ লাখ কোটি টাকা।

জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৪তম বাজেট। এছাড়া বর্তমান সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের প্রথম বাজেট, টানা ১৬তম এবং আওয়ামী লীগ সরকারের ২১তম বাজেট এটি।


আরও খবর