মহামায়া কায়াকিং কর্তৃপক্ষ জানান, বাংলাদেশে কাপ্তাইয়ের পরে এখানেই আছে কায়াক নৌকা। আর কোথাও এমন অ্যাডভেঞ্চার নেয়ার সুযোগ নেই যাত্রীদের
মিরসরাই থেকে ফিরোজ মাহমুদ
হ্রদের টলটল স্বচ্ছ জলে কায়াকিং করতে কার না ভালো লাগে। কায়াকের বৈঠা টানার ছলাৎ ছলাৎ শব্দ মন মাতোয়ারা করে তুলে। মনে হয় এ যেন স্বর্গীয় কোন জলসংগীত। যে সংগীত হৃদয়ে ঢেউ তুলে। আর সে কায়কিং যদি নিজে করার সুযোগ থাকে তাহলে তো কথাই নেই।
ভ্রমনপিপাসু মনের তৃষ্ণা মিটিয়ে প্রশান্তিতে ভরে তুলতে পারে প্রাকৃতিক অপূর্ব সৌন্দর্যে ঘেরা চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের মহামায়া লেক। এ যেন এক মায়াজাল। একবার যিনি আসবেন বার বার আসতে চাইবেন তিনি। নৈসর্গিক সৌন্দর্যের এক অপূর্ব লীলা ভ‚মি পুরো লেকটি। লেকের স্বচ্ছ নীলাভ জলরাশি, চার পাশের সবুজের চাঁদোয়া আর শুনসানরিবতায় হারিয়ে যাওয়া যায় কায়াকিং অ্যাডভেঞ্চার নিয়ে।
চারিদিকে সবুজের চাদরে মোড়ানো অথৈই জলে নিজেই চালাবেন নৌকা। এমন অ্যাডভেঞ্চার নিশ্চয়ই কেউ হাতছাড়া করতে চাইবেন না। আর সে কারণেই মহামায়া কায়াকিং পয়েন্টে বাড়ছে পর্যটকদের ভীড়। প্রতিদিন কায়াকিং করছেন শতাধিক দর্শনার্থী।
মহামায়া কায়াকিং কর্তৃপক্ষ জানান, বাংলাদেশে কাপ্তাইয়ের পরে এখানেই আছে কায়াক নৌকা। আর কোথাও এমন অ্যাডভেঞ্চার নেয়ার সুযোগ নেই যাত্রীদের। তিনি জানান, মহামায়ার কায়াক গুলো অন্যস্থান থেকে আরো উন্নত ও নিরাপদ।
এগুলো আমদানী করা হয়েছে সুদূর ব্রাজিল থেকে । প্রতিটি কায়াকিং নৌকা প্রতি ঘন্টায় ৩’শ টাকায় ভাড়া দেয়া হয়। তবে শিক্ষার্থীদের জন্য ছাড় দেয়া হয় ১’শ টাকা। রয়েছে নিধারিত সীমানা রেখা। এর বাইরে গেলে পর্যটকদের গুনতে হয় ১ হাজার টাকা জরিমানা।
কায়াকিং করতে গিয়ে কথা হয় দর্শনার্থী আজাদ, রিপন, জহির, রিয়াদ ও জিয়াদুলের সাথে। তারা জানান, নিজ হাতে নৌকা চালিয়ে পাহাড় আর সুবজের নীলাভ জলের বুক চিরে ইচ্ছেমতো ঘুরতে দারুন লাগে। কায়াকিং পয়েন্টের লোকরাই শিখিয়ে দেয় কিভাবে কায়াকিং করতে হয়। যার কারণে চালাতে তেমন বেগ পেতে হয়না। বিষয়টাতে দারুন অ্যাডভেঞ্চার রয়েছে।