অনুকুল আবাহওয়া আর প্রয়োজনীয় পরিচর্যায় মেহেরপুরের গাংনীতে ফুলকপির আবাদ ভালো হলেও তা রপ্তানি করতে না পারাই চাষীদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাজ। বিশেষ করে বড় ধরনের লোকসান গুনতে হবে বর্গা চাষীদের। উৎপাদন ব্যয় বেশি হলেও কপি বিক্রির অর্থ অনেক কম।
কৃষি বিভাগ বলছে, চাষীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়ায় উৎপাদন ভালো হয়েছে। আর ব্যবসায়ী বলছেন, হরতাল ও অবরোধে রপ্তানী বাধাগ্রস্ত হওয়ায় কপির দর পতন।
গাংনী কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ২০৩ হেক্টর জমিতে ফুলকপি চাষ হয়েছে যা গত বছরের তুলনায় ৩০ হেক্টর বেশি। এখান মাটি ও আবহাওয়া দু’ই সবজি চাষের উপযোগি। বিশেষ করে ফুলকপি দাম বেশি হওয়ায় চাষিরা এ আবাদে ঝঁকে পড়েছে। অনেকেই জমি লিজ ও বর্গা নিয়ে ফুলকপির আবাদ করছেন। বিষমুক্ত সবজী চাষে চাষিদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
গাংনী উপজেলার সাহারবাটী গ্রামের সাইফুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমের দুই তিন জমিতে তিনি ফুলকপি আবাদ করেছেন। বিঘা পতি উৎপাদন খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ফুলকপি রপ্তানি করা সম্ভব হলে উৎপাদন খরচের দ্বিগুন লাভ হতো। কিন্তু হরতাল ও অবরোধের কারনে কপি রপ্তানি করতে না পারায় বাধ্য হয়ে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে উৎপাদন খরচ উঠছেনা।
বর্গা চাষী নওপাড়া গ্রামের আক্তারুজ্জামান জানান, তিনি এক বিঘা জমি বর্গা নিয়ে ফুলকপি আবাদ করেছিলেন। লিজ খরচসহ মোট ব্যয় হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। আর সেই কপি বিক্রি হয়েছে মাত্র ২৫ হাজার টাকায়। এতে মোটা অংকের টাকা লোকসান হয়েছে তার।
একই কথা জানালেন বর্গাচাষী সামীম হোসেন। তিনি দুই বিঘা জমি লিজ নিয়ে ফুলকপি আবাদ করেছিলেন। এক বিঘা জমির কপি ২৮ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বাকি এক বিঘা কপির দাম হাঁকছেন ২০ হাজার টাকা। এতে মোটা অংকের টাকা লোকসান গুনতে হবে তাকে।
বামন্দী বাজারের কয়েকজন সবজী ব্যবসায়ী জানান, এমনিতেই ভরা মৌসুমে সবজীর দাম কিছুটা কম থাকে। তার উপর হরতাল ও অবরোধের কারনে কপি রপ্তানি করতে পারছেনা চাষীরা। তাই দর পতন।