চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনটা বাংলাদেশের হলে আজ দ্বিতীয় দিনটা পাকিস্তানের। দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে ৫৭ ওভার বোলিং করেও যে পাকিস্তানের একটা উইকেট ফেলা সম্ভব হলো না। এর আগে দিনের শুরুতে শেষ ছয় উইকেটে বাংলাদেশকে ৭৭ রানের বেশি যোগ করতে দেয়নি পাকিস্তানি বোলাররা।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশকে ৩৩০ রানে বেঁধে রেখে পাকিস্তান ১৪৫ রান করে দিনের খেলা শেষ করেছে কোনো উইকেট না হারিয়ে। সেঞ্চুরির পথে আছেন পাকিস্তান ওপেনার আবিদ আলী। বাংলাদেশ বোলারদের কোনো সুযোগ না দিয়ে ১৮০ বলে ৯৩ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। নয় চারের সঙ্গে আবিদ তাঁর ইনিংসটি সাজিয়েছেন দুই ছক্কায়। তাঁর সঙ্গী আবদুল্লাহ শফিকও অভিষেকেই ফিফটি ছাড়িয়ে গেছেন। মুমিনুল হককে ছক্কা মেরে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি পূর্ণ করেন শফিক।
দুজনের দারুণ ব্যাটিংয়ে হতাশার একটি দিন কাটিয়েছে বাংলাদেশ। তবে আবিদ-শফিকের ১৪৫ রানের জুটি ভাঙতে পারত ৩১ রানেই। তাইজুল ইসলামের করা ১৩তম ওভারের পঞ্চম বলে আউট হতে পারতেন অভিষিক্ত শফিক। তাইজুলের আর্মার বলটা তাঁর পায়ে লাগলে এলবিডব্লিউর আবেদন করেন তাইজুল-লিটনরা। আম্পায়ার সাড়া না দেওয়ায় রিভিউও নেয়নি বাংলাদেশ। পরে টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বলটি আগে প্যাডে লেগেছে এবং সেটি আঘাত হানত স্টাম্পে। ১ রানে বেঁচে যাওয়া শফিক দিন শেষে অপরাজিত আছেন ৫২ রানে।
এর আগে দিনের শুরুতে আগের দিনের দলীয় সংগ্রহ ২৫৩ রানকে বাড়িয়ে নিতে পারেননি লিটন আর মুশফিক। প্রথম দিনের সঙ্গে আর কোনো রান না যোগ করেই ফিরে যান লিটন (১১৪)। সেঞ্চুরিবঞ্চিত হওয়ার হতাশায় পোড়েন মুশফিকুর রহিম। টেস্ট ক্যারিয়ারে চতুর্থবার ‘নার্ভাস নাইনটিতে’ আউট হওয়ার আগে করেন ৯১ রান। তবে এক প্রান্তে চেষ্টা করেছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। সঙ্গীর অভাবে মিরাজ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৩৮ রানে।