দোহার-নবাবগঞ্জ
থেকে নাজনীন
ঢাকার দোহার উপজেলার
পালামগঞ্জ বাজার এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলায় আহত সাজু
মন্ডল (২৪) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। কিন্তু ঘটনার দুই মাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও
আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেনি থানা পুলিশ। শিঘ্রই আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায়
আনার দাবিতে সোমবার সকালে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। নিহতের পরিবার স্বজন
ও এলাকাবাসী এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন। মানববন্ধনটি দোহার উপজেলার পালামগঞ্জ বাজার
এলাকায় ঘন্টাখানেক অবস্থানের পর বিক্ষোভ মিছিলের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
মানববন্ধনে নিহতের
ভাই আনোয়ার মন্ডল বলেন, আমরা মিলন শিকদারের এই জমির ব্যাপারে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নই।
চাউল নিয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। এসময় হাকিম ও তার ভাড়াটিয়া বাহিনী
আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমার ভাই সাজু নিহত হয়। আমি আমার
ভাইয়ের হত্যাকারী হাকিম আমিনসহ সকল আসামীদের ফাসি চাই।
এছাড়া আসামী গংরা
জামিনে এসে নিহত সাজু মন্ডলের পরিবারকে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ
করেন সাজুর বড় ভাই আনোয়ার মন্ডল।
নিহত সাজুর মা
কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, হাকিম আমার কলিজার ধনকে মেরে ফেলেছে। আমি সইতে পারছি না। আমি
হাকিমসহ যারা জড়িত তাদের ফাসি চাই।
নিহতের বাবা নুরু
মন্ডল বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ করি। আমার ছেলে সাজু ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের
সভাপতি। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হাত জোর করে দাবি করছি আমার নেত্রী যেনো
সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনার ব্যবস্থা করে দেয়।
এসময় স্থানীয়
ঝিন্টু বেপারি ও মো. মিলন বলেন, সাজুকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে তারা অনেক প্রভাবশালী।
তারা কয়েকটি সন্ত্রাসী বাহিনীর সাথে যুক্ত। আমরা এই নির্মম হত্যাকারীদের শাস্তির দাবি
জানাই।
জমির মালিক মৃত
হিরো শিকদারের ছেলে মিলন শিকদার বলেন, আমি আমার পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত জায়গায় দোকান
উঠাতে গেলে বিলেরপাড় এলাকার আব্দুল হাকিম (আমিন) বাঁধা দেয়। হাকিম দাবি করে সরকারি
খালসহ আমার জায়গাও লিজ এনেছে। সেখানে বাজারের ব্যবসায়ী সাজু মন্ডল ও আনোয়ার হোসেন মন্ডল
উপস্থিত ছিল। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে বিলেপাড় গ্রামের আব্দুল হাকিম আমিনের নেতৃত্বে
অর্তকিত হামলা করে সাজু মন্ডল ও আনোয়ার মন্ডলকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে। চিকিৎসা নিতে
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে সেখানে গিয়েও আব্দুল হাকিমের বাহিনী দ্বিতীয় দফায়
মারধর করে গুরুতর আহত করে। পরবর্তীতে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাজু মারা যায়।
এসময় মানববন্ধনে
আব্দুল হাকিমকে ভূমিদস্যু আখ্যায়িত করা হয় এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে সরকারি খাল লিজ নিয়েছে
তা বাতিলের দাবি জানানো হয়।