আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

হুমকির মুখে জামদানি শিল্প, ভালো নেই তাঁতিরা

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৬ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি:

এমন এক সময় আসবে যখন এই শাড়ির অনেক দাম থাকবে কিন্ত শাড়ি তৈরি করার কোনো লোক থাকবে না। তখন হয়তো জামদানি শাড়ি তৈরির যন্ত্রপাতিগুলো জাদুঘরে পড়ে থাকবে। কেউ এখন এটাকে পেশা হিসেবে নিতে চায় না। আক্ষেপের সুরে কথাগুলো বলছিলেন সোনারগাঁওয়ের আফজাল জামদানি হাউজের মালিক আফজাল হোসেন। তিনি বলেন, ২০ বছর ধরে এই কাজ করছেন। আমরা যারা এই শাড়ি তৈরি করি কেউই সঠিক মজুরি পাই না। তবে আমাদের কাছ থেকে কিনে যারা বিক্রি করছেন তারা ঠিকই লাভবান হচ্ছেন। ৫শ টাকার একটি শাড়ি তৈরি করতে আমাদের এক সপ্তাহ লেগে যায়। এই দামের শাড়ি প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ৪টা তৈরি করা সম্বব হয় আমাদের। আর যদি ২০ হাজার টাকার শাড়ি তৈরি করতে গেলে ৩ সপ্তাহ চলে যায়। বর্তমানে এই কাজ করে সঠিক মজুরি না পাওয়ায় অনেকেই এই পেশা ছেড়ে দিয়েছেন। জীবিকার তাগিদে ছোটবেলা থেকে আমি এই কাজ করে আসছি। বর্তমানে যারা এই পেশার সঙ্গে জড়িত তারা প্রত্যেকেই দীর্ঘদিন ধরে এই কাজ করে আসছেন। তাদের অন্য কোনো কাজের অভিজ্ঞতা তেমন নেই। এই শিল্পের খারাপ সময় যাওয়া সত্তে¡ও অনেকেই আবার মায়ার বন্ধনে আবদ্ধে হয়ে যাওয়ার কারণে এই পেশা ছাড়তে পাচ্ছে না। গতকাল বুধবার সকালে প্রাচীন বাংলার রাজধানী সোনারগাঁওয়ের বিভিন্ন জামদানি হাউজে গিয়ে তাঁতিদের এমন দুর্দশার কথা জানা যায়।

জামদানি শাড়ি একসময় গর্বের বস্তু ছিল। এই শাড়ি দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশেও রফতানি হয়। সোনারগাঁওয়ের জামদানিই সবার কাছে শ্রেষ্ঠ বলে সমাদৃত হয়। তাতিঁদের নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় শাড়িতে ফুঁটে উঠে বাংলার প্রাকৃতিক ফুল, লতা-পাতা, বিভিন্ন প্রাণীর দৃশ্যসহ বাহারি নকশা। জামদানি শাড়ির প্রতি সবসময় নারীদের প্রবল আগ্রহ থাকে। বাংলার এক অনবদ্য সাংস্কৃতিক নিদর্শন এই জামদানি শিল্প। ইউনেস্কো ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর জামদানিকে বাংলাদেশের ভৌগোলিক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। তবে এই শিল্পের কারিগররা নানা কারণে ভালো নেই। একদিকে কাজের তুলনায় ন্যায্যমূল্য না পাওয়া অন্যদিকে নতুন করে এই পেশায় জড়িত না হওয়ায় দিন দিন এখানে জামদানি হাউজের সংখ্যা কমছে। ফলে সোনারগাঁওয়ের ঐতিহ্যবাহী এই শিল্প হারাতে বসেছে।

কথা হয় বাবুল প্রধান জামদানি হাউজের কারিগর ইব্রাহীমের সঙ্গে। তিনি জানান, ২৫ বছর ধরে এই কাজ করে আসছেন তিনি।  যখন ছোট ছিলেন তখন তার মামা, খালারা এই কাজ করতেন। তাদের দেখে তার এই কাজে উদ্বুদ্ধ হওয়া। বর্তমানে এখানে ১৪ জন কারিগর রয়েছেন যারা সবাই দীর্ঘদিন ধরে এই কাজের সঙ্গে জড়িত। পূর্বে তাদের যে পারিশ্রমিক দেওয়া হতো তা দিয়ে তখন তাদের সংসার চললেও এখন তা দিয়ে চলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বেশিরভাগ কারিগররা আগের প্রজন্ম থেকে এই কাজ শিখলেও এখনকার প্রজন্মের কেউই এই কাজ শিখতে আগ্রহী নয় জানান তিনি। 

সোনারগাঁওয়ের বাসিন্দা শাহাদাৎ হোসেন শুভ জানান, ৩-৪ বছর পূর্বেও জামদানি শিল্পের অবস্থা তুলনামূলক ভালো ছিল। তখন জামদানি শাড়ির চাহিদা ও দাম দুটোই ভালো ছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের সময় জামদানি শিল্পের খারাপ অবস্থা হয়। ওই সময়টায় তারা কোনো শাড়ি বিক্রি করতে না পারায় বেশিরভাগ কারিগররা এই পেশা থেকে সরে গিয়ে বিভিন্ন পেশায় যুক্ত হয়ে যায়। আবার সুতার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় শাড়িরর দাম বেড়েছে। এর ফলে শাড়িরর চাহিদা অনেকটা কমে গেছে। এই তুলনায় কারিগরদের মজুরি তুলনামূলক বাড়েনি। এছাড়া এই কাজটা করতে অনেক ধৈর্য্য ও দক্ষ হতে হয়। যা সবার পক্ষে সম্ববপর হয়ে উঠে না। অন্যসব পেশায় সর্বোচ্চ ৮-১০ ঘণ্টা কাজ করতে হয় কিন্তু এই পেশায় কারিগরদের ১৪-১৫ ঘণ্টা একটানা কাজ করে যেতে হয়।

তিনি আরো বলেন, আগে আমাদের এলাকার ঘরে ঘরে এই জামদানি শাড়ির কাজ চলতো। তখন পরিবারের সবাই একসঙ্গে আনন্দ সহকারে এই কাজটি করতে থাকতো। কিন্তু এটি হারাতে বসেছে। এই শিল্পকে ধরে রাখতে হলে সরকারের কিছু উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। কৃষির জন্য সরকার লোন দিলেও জামদানি শিল্পের জন্য এখনো কোনো লোনের সিস্টেম চালু করেনি। এটি করলে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা ভবিষ্যতের জন্য আরো ভালো কিছু করতে পারবে।

সোনারগাঁওয়ের সাহিত্যিক, লেখক ও ছড়াকার হাসান মাহমুদ রিপন জানান, সোনারগাঁও একসময় জামদানি শাড়ির জন্য বিখ্যাত ছিল। বর্তমানে বিদেশী বিভিন্ন পোশাক এদেশে সহজলভ্য হয়ে যাওয়ায় জামদানি শাড়ির চাহিদা কিছুটা কমে গেছে। সরকার থেকে উচিত এই পেশায় যারা জড়িত তারা যেনো স্বল্পমূল্যে লোন এবং সঠিক মজুরি পায় সে ব্যবস্থা করে দেওয়া। এই কাজটা অন্যসব কাজের তুলনায় নিখুঁত এবং কষ্টসাধ্য। তাই নতুন কেউ এই পেশায় আসতে চায় না। বর্তমানে যেসব তাঁতি আছে তারা সবাই দীর্ঘদিন ধরে এই কাজ করে আসছে। তাদের দেখাদেখি বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা এই পেশায় উদ্বুদ্ধ হয় না। 

বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের সিনিয়র গাইড লেকচারার একেএম মুজাম্মিল হক মাসুদ জানান, জামদানি শিল্পের মূল সংকট হচ্ছে কারিগর সংকট। এই পেশায় সারাদিন কাজ করে সর্বোচ্চ ৫শ টাকা পাওয়া যায় আর অন্য পেশায় কাজ করলে আরো বেশি টাকা পাওয়া যায়। জামদানি শিল্প বিলুপ্ত হতে থাকার এটিই অন্যতম প্রধান কারণ। মহাজনরা এই ব্যবসা করে ঠিকই লাভবান হচ্ছেন কিন্তু কারিগররা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। এই শিল্পটা ধরে রাখার জন্য এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এই পেশায় উৎসাহিত করার জন্য আমরা সোনারগাঁওয়ে একটি বিপণন কেন্দ্র চালু করেছি। এছাড়া এখানে একটি কারুপল্লী রয়েছে যেখানে উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সোনারগাঁওয়ের বিখ্যাত মসলিন কাপড়ের ধারাবাহিকতায় বর্তমানে জামদানি শিল্প টিকে রয়েছে। আমরা এই শিল্প ধরে রাখার চেষ্টা করছি।


আরও খবর



মেহেদির রঙ গাঢ় করতে চান? জেনে নিন কৌশল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

আমাদের যেকোনো উৎসবের সঙ্গে মেহেদির সম্পর্ক প্রগাঢ়। মেহেদি পরতে ভালোবাসেন না এমন নারী খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আর ঈদ এলে তো কথাই নেই। তাদের ঈদের কেনাকাটায় যে জিনিসগুলো না হলেই নয় তার মধ্যে একটি হলো মেহেদি। চাঁদরাতে ঘরে ঘরে নারীর হাতে মেহেদি পরার ধুম পড়ে যায় যেন। তবে অনেকে মেহেদি দেওয়ার পর মনের মতো রং আসে না বলে মন খারাপ করেন। কিছু উপায় মেনে চললে মেহেদির রঙ গাঢ় করা সম্ভব। চলুন জেনে নেয়া যাক-

মেহেদির রঙ গাঢ় করার ক্ষেত্রে একটি কার্যকরী উপায় হতে পারে চিনি এবং লেবুর রস ব্যবহার। মেহেদি যখন শুকিয়ে যাবে তখন লেবুর রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে হাতে সেই মিশ্রণ লাগিয়ে নিতে হবে। এরপর শুকিয়ে গেলে হাত মুছে নিতে হবে। এতে রঙ গাঢ় হবে, সেইসঙ্গে হবে দীর্ঘস্থায়ী।

মেহেদি ব্যবহারের আগে হাত-পা শেভ কিংবা ওয়াক্স করবেন না। ফলে ত্বকের উপরের স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই পরে ওই ত্বকে মেহেদি ব্যবহার করলে গাঢ় রং পাওয়া যায় না। মেহেদি লাগানোর অন্তত ৩ থেকে ৪ দিন আগে এসব কাজ সম্পন্ন করুন।

মেহেদির রং গাঢ় করার ক্ষেত্রে লবঙ্গ কাজে লাগাতে পারেন। প্রথমে একটি লোহার কড়াই চুলায় বসিয়ে চুলা জ্বালিয়ে দিন। এরপর তাতে কয়েকটি লবঙ্গ দিন। কড়াই থেকে ধোঁয়া বের হলে তার ওপর আপনার হাত দুটি ধরে রাখুন। এতে মেহেদির রং সহজেই গাঢ় হবে। তবে সাবধান থাকুন, গরম কড়াই যেন হাতে না লাগে।

গাঢ় রং পেতে উৎসব বা অনুষ্ঠানের অন্তত ২৪ বা ৪৮ ঘণ্টা আগে মেহেদি ব্যবহার করুন। সেইসঙ্গে সর্বোচ্চ ৭ থেকে ১২ ঘণ্টা মেহেদি হাতে রাখুন। তাহলেই পাবেন গাঢ় রং।

সরিষার তেল ব্যবহার করুন মেহেদির স্থানে। তারপর একটি ব্যান্ডেজ দিয়ে স্থানটি ঢেকে ঘুমিয়ে পড়ুন রাতে। সকালে দেখবেন মেহেদির রং অনেকটাই গাঢ় হয়েছে।

মেহেদি তুলে ফেলার পর হাত গরম রাখতে হবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয় হাতে ভিক্স বা অন্য কোনো ব্র্যান্ডের সর্দি-কাশির বাম লাগিয়ে ঘুমাতে গেলে। এতে সারা রাত হাত গরম থাকবে। এরপর সকালে উঠে সুন্দর গাঢ় রঙ পাবেন। তবে হাতে বাম লাগানো অবস্থায় সেই হাত দিয়ে কোনো খাবার খাবেন না বা চোখে-মুখে ডলবেন না।

অন্যদিকে সাবান পানি দিয়ে কখনো মেহেদি তুলবেন না। এমনকি মেহেদি তুলে ফেলার পরও কমপক্ষে ১২ ঘণ্টা ওখানে পানি লাগাবেন না।


আরও খবর



বুধবার থেকে রাত ৯টার পরও চলবে মেট্রোরেল

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কেনাকাটার সুবিধা করে দিতে রাত ৯টার পরও চলবে মেট্রোরেল। আসন্ন ঈদের কারণে নিউমার্কেটসহ অনেক জায়গায় রাত পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। দোকান বন্ধ করার পর ক্রেতা ও বিক্রেতা বাসায় ফেরার সময় বিপাকে পড়েন। কেনাকাটার জন্য মানুষ বের হওয়ায় যাত্রীও বাড়বে। তাই ১৬ রোজা অর্থাৎ আগামী বুধবার (২৭ মার্চ) থেকে রাত ৯টার পরও মেট্রোরেল চালু রাখার উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। সংস্থাটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৬তম রোজার দিন মতিঝিল থেকে সর্বশেষ ট্রেন ৯টা ৪০ মিনিটে এবং উত্তরা থেকে সর্বশেষ ট্রেন ৯টা ২০ মিনিটে ছাড়বে। বাড়তি সময়ে ১২ মিনিট পরপর ট্রেন চলাচল করবে। এতে চলাচলরত ট্রেনের সংখ্যা ১০টি বাড়বে। এখন দিনে ১৮৪ বার ট্রেন চলে। তখন চলবে ১৯৪ বার। পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন মেট্রোরেল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন সিদ্দিক ট্রেনের বাড়তি সিডিউল ঘোষণা করবেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) জনসংযোগ কর্মকর্তা আফতাব মাহমুদ গালিব বলেন, আসন্ন ঈদে মানুষ দোকান পাট বেশি সময় খোলা রাখে। এসব যাত্রীদের সুবিধার্থে মেট্রোরেল চলাচলের সময় সূচি বাড়বে। আগামীকাল এমডি স্যার এই বিষয়ে ঘোষণা দেবেন।'


আরও খবর



সৌদি সুন্দরী রুমি আল-কাহতানির পাঁচ অজানা তথ্য

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

প্রথমবারের মতো বিশ্বসুন্দরী (মিস ইউনিভার্স) প্রতিযোগিতায় সৌদি আরবের হয়ে অংশ নিতে যাচ্ছেন সৌদি মডেল রুমি আলকাহতানি। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে মেক্সিকোতে প্রতিযোগিতার এ আসর অনুষ্ঠিত হবে। ইনস্টাগ্রামে আল-কাহতানি লিখেছেন, মিস ইউনিভার্স ২০২৪-এ অংশ নিতে পেরে আমি সম্মানিত। এটি সৌদি আরবের প্রথম অংশগ্রহণ।

নাম সামনে আসার পর ইতঅমধ্যে রুমির ইনস্টাগ্রামে উঁকিঝুঁকি দিতে শুরু করেছেন নেটিজেনরা। কে এই সুন্দরী, কী তার পরিচয় তা জানতেই চলছে স্ক্রলিং। রুমি আলকাহতানির ইনস্টাগ্রাম থেকে পাওয়া গেছে পাঁচটি তথ্য।

একাধিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার বিজয়ী : রুমি আল-কাহতানি জন্মগ্রহণ করেছেন সৌদির রাজধানী রিয়াদে। নিজ ইনস্টাগ্রামে তার চোখ ধাঁধানো সব ছবি দেখা যাচ্ছে। বিশ্বের একাধিক সুন্দরী প্রতিযোগিতায় মুকুট জিতেছেন রুমি। মিস আরব ওয়ার্ল্ড পিস, মিস ওমান, মিস মিডল ইস্টসহ আরও বেশ কিছু ইভেন্টে সৌদি আরবের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। প্রতিটি প্রতিযোগিতায় তার অভিজাত লুক মুগ্ধ করেছে সবাইকে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় : ইনস্টাগ্রামে রুমির রয়েছে লাখ লাখ অনুসারী। আর এক্সে (পূর্বের টুইটারে) রয়েছে দুই হাজারের বেশি অনুসারী। স্ন্যাপচ্যাটেও বেশ সক্রিয় থাকতে দেখা যায় এই সৌদি সুন্দরীকে।

ভালোবাসেন ঘুরে বেড়াতে : আরব আমিরাত, মিশর, ইতালিসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ভ্রমণ করে সুন্দরী প্রতিযোগিতার মুকুট জয় করছেন তিনি। জানা গেছে, ভ্রমণ প্রীতি রয়েছে রুমি আল-কাহতানির। সম্প্রতি তার পোস্ট করা একটি ছবিতে দেখা গেছে, দুবাইয়ের একটি রুপটপ পুলে অবকাশ যাপন করছেন এই সুন্দরী।

ডিজাইনার জুয়েলারি সংগ্রহ করতে ভালোবাসেন : রুমি ইনস্টাগ্রামে শুধুমাত্র প্রতিযোগিতার ছবিই আপলোড করেন না। একটু ঘাঁটতেই দেখা যায়, সৌদি এই সুন্দরী নিখুঁত ও ডিজাইনার গয়না পরতে বেশ ভালোবাসেন। কার্তিয়ারের ব্রেসলেট থেকে শুরু করে বুলগেরির গয়না, সবই খুঁজে খুঁজে নিজের গয়নার বাক্সে রাখেন তিনি।

দিন শেষে পরিবারই তার সব : পারিবারিক বন্ধন যে রুমির কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ সেটাও বুঝা যায় তার নিউজফিড দেখে। দুই বোন রাজান ও জেদাইয়ের সঙ্গে প্রায়ই ছবি পোস্ট করেন তিনি।


আরও খবর



আজ থেকে বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করবে টেলিটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলালিংক-টেলিটককে দিয়ে দেশে প্রথমবারের মতো চালু হলো ন্যাশনাল রোমিং। মঙ্গলবার এই উদ্যোগের উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদ্‌যাপনে আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও দেশের উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা সভা শেষে এর ঘোষণা দেন তিনি।

ফলে আজ হতে কোনো এলাকায় নিজেদের নেটওয়ার্ক না থাকলেও বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে কথা বলাসহ সব ধরনের সেবা ব্যবহার করতে পারবেন টেলিটক গ্রাহকরা। শুরুতে সীমিত পরিসরে চালু হলো এই ন্যাশনাল রোমিং সেবা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেবার মান উন্নয়নে দীর্ঘদিন ধরে আন্তঃঅপারেটর নেটওয়ার্ক শেয়ারের কথা বলা হচ্ছে। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) আরও আগেই এ-সংক্রান্ত অনুমোদন দিয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মতে এই উদ্যোগে টেলিটকের লাভ বেশি। কারণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটির নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনা দুর্বল। আর বাংলালিংকের সারাদেশে সাড়ে ১৪ হাজার টাওয়ারের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক রয়েছে। ফলে টেলিটক গ্রাহকরা বাড়তি সুবিধা পাবেন; সঙ্গে অপারেটরটি তাদের গ্রাহকদের সেবা দিতে পারবে।

বর্তমানে বাংলালিংকের গ্রাহক ৪ কোটি ৩৪ লাখ ৪০ হাজার এবং টেলিটকের গ্রাহক ৬৪ লাখ ৮০ হাজার। রবি আর টেলিটকের মধ্যে নেটওয়ার্ক শেয়ারিংয়ের একটি প্রস্তাব বিটিআরসির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।


আরও খবর
ফের ফেসবুকে বিভ্রাট

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




অনুমোদনহীন রেস্তোরাঁয় অভিযান অব্যাহত থাকবে: হাইকোর্ট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

অনুমোদনহীন সব রেস্তোরাঁয় অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি কামরুল কাদেরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একইসঙ্গে, ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডের গাউছিয়া টুইন পিক টাওয়ারে থাকা অনুমোদনহীন ১৩টি রেস্টুরেন্ট সিলগালা থাকবে বলে আদেশ দেন হাইকোর্ট।

শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন অভিযান পরিচালনাকারী রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। আদালত তার কথা শোনেন। পরে রেস্তোরাঁখাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে এই আদেশ দেন।

এর আগে, বেইলি রোড ট্রাজেডির পর বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে অভিযানে গ্রেফতারকৃত রেস্তোরাঁ শ্রমিকদের তালিকা চেয়েছিলেন হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ। একইসঙ্গে, শ্রমিকদের গ্রেফতার করা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেন আদালত। ৪ সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে বিবাদিদের।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুন লাগে। এ ঘটনায় ৪৬ জন মারা যান। এরপর রাজধানীর বিভিন্ন রেস্তোঁরা ও ভবনে অভিযান চালায় রাজউক, পুলিশ ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। অভিযানে অনেক রেস্তোরাঁ সিলগালা ও জরিমানা করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৪ মার্চ রাজধানীর ধানমন্ডির সাত মসজিদ সড়কে গাউসিয়া টুইন পিক টাওয়ারে অনুমোদনহীন ও নকশা বহির্ভূতভাবে নির্মাণ করা ১৩টি রেস্তোরাঁ সিলগালা করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।


আরও খবর
পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪