আজঃ মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

হুমকির মুখে পদত্যাগ করবো না: কাজী সালাউদ্দিন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকার পতনের সঙ্গে রাষ্ট্রীয়, সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে লেগেছে রদবদল ও পদত্যাগের হিড়িক। দাবি উঠেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের পদত্যাগেরও। তবে পদত্যাগ করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে বাফুফে প্রধান।

সম্প্রতি আল্ট্রাস নামে বাংলাদেশ ফুটবল সমর্থকদের একটি সংগঠন থেকে সালাউদ্দিনের পদত্যাগের দাবি করা হয়। বাফুফে সভাপতি ছাড়াও মাহফুজা আক্তার কিরন ও সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাম মুর্শেদীরও পদত্যাগ চেয়েছিল সংগঠনটি। ইতিমধ্যে পদত্যাগ করেছেন সালাম মুর্শেদী। তবে পদত্যাগ করতে রাজি নন সালাউদ্দিন।

দেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে বাফুফে সভাপতি বলেন, প্রথমত, বাংলাদেশ ফুটবল আল্টার্সের কী ভূমিকা ফুটবলে? আমি ঘোষণা দিয়েছি ২৬ অক্টোবর বাফুফে নির্বাচন হবে। আমি নির্বাচন করতে পারব কিনা তারা বলার কে? তাদের কে অধিকার দিয়েছে আমাকে হুমকি দেওয়ার?

পদত্যাগ করবেন না জানিয়ে সালাউদ্দিন আরও বলেন, আমি পদত্যাগ করছি না। আমি আরও আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। আমি কোন হুমকির মুখে ফুটবল ছাড়ব না।


আরও খবর



আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সংবিধান অনুযায়ী পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্ব নির্ধারণ করা থাকলেও মাত্র আড়াই বছরেই বিদায় নিলো কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছে আউয়াল কমিশন। পরে পদত্যাগ পত্রে সই করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

সংবাদ সম্মেলন শেষে ইসি সদস্যরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বলেও জানা গেছে।

২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সিইসি হিসেবে নিয়োগ পান সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল। এছাড়া, ইসির সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও সাবেক সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান।

তারা নিয়োগের একদিন পর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর কাছে শপথ নেন। ওই কমিশনের অধীনেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনটি বিএনপি ও তাদের সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো বর্জন করে। ভোট শেষে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ।

বিগত সংসদ নির্বাচনের পর থেকে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল। এর মধ্যে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সরকারের পতনের পর প্রশাসনে থাকা আওয়ামী লীগের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এ সময় বর্তমান নির্বাচন কমিশন বিলোপ করে নতুন কমিশন গঠনেরও দাবি ওঠে। এ নিয়ে কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন কর্মসূচিও পালিত হয়েছে।

ইসি সূত্র জানায়, শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর নিজেদের অবস্থান ও করণীয় জানতে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় আউয়াল কমিশন। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মতো ইসির সংস্কার করা হবে বলে নিশ্চিত করছেন তারা। সে জন্য বেশ কয়েকদিন ধরেই তারা মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সিইসিসহ অন্য কমিশনাররা অফিস করলেও তাদের বিদায়ের প্রস্তুতিই প্রাধান্য পায়। শেষ সময়ে নিজেদের প্রয়োজনীয় জরুরি কাগজপত্রসহ অন্যান্য সামগ্রী সরিয়ে নেন তারা।


আরও খবর
আরও ৩৪ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ

মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পেট্রোবাংলায় তিতাস গ্যাস কর্মীদের হামলা

মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪




অভ্যুত্থানে বিএনপির ১১৭ ও জামায়াতের ৮৭ নেতাকর্মী নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সম্প্রতি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে যান। এই আন্দোলনে বিএনপি ও দলটির অঙ্গসংগঠনের অন্তত ১১৭ নেতাকর্মী এবং জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৮৭ নেতাকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ ছাড়া অন্যান্য কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীও জীবন দিয়েছেন শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসন উৎখাতে। অভ্যুত্থানকে রাজনৈতিক রূপ না দিতে হতাহত নেতাকর্মীর তালিকা গোপন রাখার কৌশল নিয়েছে দলগুলো। অভ্যুত্থানের কৃতিত্ব নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা আন্দোলনের সূত্রপাতকারী ছাত্রনেতাদের সঙ্গে বিরোধে না জড়াতেই এ কৌশল বলে জানা গেছে।

জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের বরাত দিয়ে জানা যায়, এসব দলগুলোর সূত্রে নিহত নেতাকর্মীর বড় অংশের পরিচয় পাওয়া গেছে। বিএনপি সূত্র নিশ্চিত করেছে, ছাত্রদলের ৩৪, যুবদলের ৩৫, স্বেচ্ছাসেবক দলের ৯, শ্রমিক দলের ১৪, কৃষক দলের ৪, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ৬, দক্ষিণ বিএনপির ১২, মৎস্যজীবী দলের ২, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাসের এক নেতাকর্মীর প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। বহু নেতাকর্মী চিকিৎসাধীন থাকায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

জামায়াত সূত্রে জানা গেছে, শিবিরের নিহত নেতাকর্মীর সংখ্যা অন্তত ৫৩। জামায়াতের ৩৪ জনের প্রাণ গেছে। তীব্র আন্দোলনের প্রথম দিন গত ১৬ জুলাই শিবিরের দুই নেতা নিহত হন। ১ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ হওয়ার পর ৪ ও ৫ আগস্ট জামায়াত-শিবিরের ৬০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। যদিও দলটি কেউ এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য জানায়নি।

বিএনপি এবং দলটির অঙ্গসংগঠনের নিহত নেতাকর্মীর বেশির ভাগের প্রাণ গেছে ৪ ও ৫ আগস্ট। যদিও সংখ্যা নিরূপণ করতে পারেনি দলটি। নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের ৯ নেতাকর্মীর জীবন গেছে এই আন্দোলনে।

গণমাধ্যমের হিসাবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৬২৩ জন নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদনে নিহতের সংখ্যা অন্তত ৬৫০। সরকারি হাসপাতালগুলো ৪০৮ জনের লাশ পাওয়ার তথ্য জানিয়েছে। সদ্য সাবেক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছিলেন, নিহতের সংখ্যা হাজার ছাড়াতে পারে।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারে গত ১ জুলাই আন্দোলনের সূত্রপাত করেন ছাত্ররা। আওয়ামী লীগ শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র আখ্যা দিলেও প্রথম দিকে দল দুটির সরাসরি অংশগ্রহণ ছিল না বলে গোয়েন্দা সূত্র নিশ্চিত করেছে।

গত ১৪ জুলাই সংবাদ সম্মেলনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলনকারীদের রাজাকারের সন্তান আখ্যা দিয়েছেন অভিযোগে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এতে বিক্ষোভ হলে পরের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘবদ্ধ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ।

১৬ জুলাই শুরু হয় রক্তক্ষয়ী সংঘাত। সেদিন নিহত হন চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াসিম আকরাম। একই দিনে নিহত দুই শিবির নেতার একজন চট্টগ্রামের এমইএস কলেজের বিবিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র এবং মহানগর উত্তর শিবিরের সাথি ফয়সাল আহমেদ শান্ত। ১৬ জুলাই ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী সবুজ আলীসহ ছয়জন নিহত হয়েছিলেন।

গণমাধ্যমের হিসাবে ১৮ থেকে ২১ জুলাই এই চার দিনে পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারের নির্বিচার গুলিতে ২১২ জন নিহত হন। আহত হন অন্তত ৬ হাজার। যাদের বড় অংশ ছিলেন গুলিবিদ্ধ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হিসাবে ওই সময়ে ২৬৮ জনের প্রাণ গিয়েছিল। আহত অনেকে পরবর্তী সময়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৮ থেকে ২১ জুলাই নিহতদের বড় অংশই ছিলেন শিক্ষার্থী, শ্রমজীবীসহ সাধারণ মানুষ। সেই সময় প্রাণ হারানোদের ছয়জন বিএনপির এবং পাঁচজন জামায়াতের বলে জানা গিয়েছিল।

দল দুটির সূত্র জানিয়েছে, এত প্রাণহানি এবং শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে ঢালাও ধরপাকড়ে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে জনরোষ সৃষ্টি হলে সর্বাত্মকভাবে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয় বিএনপি ও জামায়াত।

বিএনপির নেতারা জানান, নৈতিক সমর্থন থাকলেও কোটা সংস্কার আন্দোলনে সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়া নিয়ে শীর্ষ নেতাদের মতপার্থক্য ছিল। তবে দলের নির্দেশনা ছাড়াই সারাদেশে নেতাকর্মী-সমর্থকরা নিজেরাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে আন্দোলনে অংশ নেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আন্দোলনের সূত্রপাত করেছিল ছাত্ররা। এতে স্বৈরাচারের দমনপীড়নে সাধারণ মানুষ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সমর্থন দিয়েছিল। দেশ রক্ষার এ আন্দোলনে বিএনপির তরুণ, যুবকরা দেশপ্রেমে ঝাঁপিয়ে পড়েন। বহু নেতাকর্মী নিহত এবং অসংখ্য আহত হয়েছেন।

জামায়াতের এক নেতা জানিয়েছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন সরকার পতনের এক দফায় রূপ নিলে ৩১ জুলাই সারাদেশকে ৯ ভাগে ভাগ করে পরিকল্পিত আন্দোলন শুরু হয়। বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, তখন আর পিছু হটার পথ ছিল না। যে যার জায়গা থেকে খাবার, জনবল, যানবাহন ও চিকিৎসা দিয়ে সহায়তা করেছেন।

জানা গেছে, জেলা, মহানগর ও উপজেলায় হতাহতের তালিকা চেয়েছে বিএনপি। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জানান, সারাদেশে ৩৪ নেতাকর্মী নিহতের পাশাপাশি দেড় সহস্রাধিক আহত হয়েছেন। অনেকে এখনও মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন। কেউ অন্ধ হয়েছেন, কেউ হারিয়েছেন হাত-পা।

নিহতদের মধ্যে রয়েছেন, মাগুরা জেলা ছাত্রদল সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বি, মুন্সীগঞ্জের মীরকাদিম পৌরসভা শাখার সদস্য সচিব মানিক মিয়া শারিক, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ ওয়াসিম আকরাম, ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদল যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুর রহমান রাসেল, যশোর ছাত্রদল নেতা সাকিবুল হাসান মাহি, তানভীর রাইহান আলিফ ও ইউসুফ আলী, মুন্সীগঞ্জ ছাত্রদল নেতা ফরিদ শেখ, রাজবাড়ী ছাত্রদল নেতা সাগর আহমেদ, হবিগঞ্জ পৌর ছাত্রদল নেতা রিপন চন্দ্র শীল, গেন্ডারিয়া থানা ছাত্রদল প্রচার সম্পাদক ইসমাইল হোসেন রাব্বি, সূত্রাপুর থানা ছাত্রদল নেতা শাওন, জামালপুর সদরের ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ জেলার সদর পৌর ৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ সুমন, ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখার ছাত্রদল নেতা সামিম হাওলাদার, ভাটারা থানা ছাত্রদল নেতা মনির হোসেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতা ইরফান ভূঁইয়া, ইমতিয়াজ আহমেদ, শেরপুর সদর ৬ নম্বর পাকুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব প্রমুখ।

যুবদলের নেতাকর্মীরা জানান, নিহত ৩৫ নেতাকর্মীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের সবাই পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের গুলি কিংবা হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। ঢাকা মহানগর যুবদলের হাফিজুর রহমান, মোসলেহউদ্দিন, ওবায়দুল, সজীব, মহিনউদ্দিন, শাহনেওয়াজ, নবীন তালুকদার, ওয়াসিম শেখ, সাঈদ খান, নাদিম, শামীম হাওলাদার, মহিউদ্দিন বয়াতি, ওমর ফারুক, শিহাবউদ্দিন, মোসলেমউদ্দিন, আরিফ, রিয়াজ, মোসলেমউদ্দিন মিলন, মেরাজুল ইসলাম, সাজ্জাদ হোসাইন, ইমন হাজী, নারায়ণগঞ্জে মুহাম্মদ পারভেজ, মহানগর যুবদল নেতা সাজন, কুমিল্লা দক্ষিণ যুবদল নেতা মোহাম্মদ মাসুম, গাজীপুর মহানগরে নুর আলম, রাজশাহীতে আজিজুল হক নিহত হয়েছেন।

স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের বিমানবন্দর থানার কর্মী শাহরিয়ার হোসেন আবির ও যুবায়ের হোসেন, দক্ষিণখান থানার ৫০ নম্বর ওয়ার্ড কর্মী মোহাম্মদ সাগর, ভাটারা থানার ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মনির হোসেন, রূপনগর থানার ৬ নম্বর ওয়ার্ড ব্লক ইউনিট সভাপতি মিরাজ, ভাটারা থানার যুগ্ম আহ্বায়ক আল আমিন, ঠাকুরগাঁও পৌর সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, ঠাকুরগাঁও সদরের রহিমানপুর ইউনিয়নে শাহান পারভেজ, কুমিল্লা উত্তর জেলা দেবিদ্বার পৌর যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল আহমেদ নিহত হয়েছেন।

জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মো. জাহাঙ্গীর, জালাল উদ্দিন, মনির হোসেন, মহানগর উত্তরের আক্তার হোসেন, মোহাম্মদ হোসেন, মোহাম্মদ আসিফ, মনির হোসেন, মোহাম্মদ সোহাগ, মোহাম্মদ রাজন, পাওয়ার গ্রিড করপোরেশন বাংলাদেশ-পিজিসিবি শ্রমিক দলের মোহাম্মদ রাকিব, নরসিংদী শ্রমিক দল নেতা জাহাঙ্গীর আলম ও হৃদয় হাওলাদার, ফরিদপুর শ্রমিক দল নেতা শামছু মোল্লা এবং হবিগঞ্জে মোস্তাক মিয়া নিহত হয়েছেন।

জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের ডেমরা থানা যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ শরীফ, বাড্ডা থানার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মোহাম্মদ সুমন, তেজগাঁও থানার ২৪ নম্বর ওয়ার্ড যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুর ইসলাম,  উত্তরা পূর্ব থানার নেতা জাহিদুল ইসলাম সাগরের প্রাণ গেছে। মৎস্যজীবী দলের যাত্রাবাড়ী থানা যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হৃদয়, গাজীপুর মহানগরের গাছা থানার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি রুবেল মিয়া ছাড়াও জাসাসের উত্তরা পূর্ব থানার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জসিমউদ্দিনের নাম রয়েছে নিহতের তালিকায়।

শিবির সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরের শাকিল পারভেজ, ঢাকা মহানগর উত্তরের আবদুল্লাহ আল তাহির ও মুহাম্মদ রায়হান, মহানগর পশ্চিমের মাহফুজ হোসেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একরাম হোসেন কাউসার ও মুহাম্মদ এলেম, মডেল ইনস্টিটিউটের মুহাম্মদ নাসির ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মুহাম্মদ আদিল ও সাইয়্যেদ মুনতাসির রহমান, নারায়ণগঞ্জের মুহাম্মদ ইরফান ভূঁইয়া, ভোলা শহরের নাহিদ হাসান, লক্ষ্মীপুর শহরের কাউছার হোসেন বিজয়, সাদ আল আফনান ও ওসমান পাটওয়ারী, পাবনা শহরের জাহিদ হাসান, নাটোর জেলার মিকদাদ হোসেন খান আকিব, ফেনী শহরের ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবণ, ঢাকা জেলা উত্তরের মুহাম্মদ মারুফ হোসাইন ও রিফাত হোসাইন, রাজশাহী মহানগরের আলী রায়হান, গাজীপুর মহানগরের সামিউ আমান, চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের মুনতাসির রহমান আলিফ, মাহবুব হাসান মাছুম প্রমুখ। তারা সংগঠনটির কর্মী থেকে সদস্য পর্যায়ের দায়িত্বে ছিলেন। জামায়াতের নেতাকর্মীর মধ্যে রয়েছেন মোতাকিম বিল্লাহ, আব্দুল্লাহ কবির, কবির হোসেন, মোহাম্মদ তাহমিদ প্রমুখ।


আরও খবর



সাবেক প্রতিমন্ত্রী তাজুল, এমপি আহমদ ও রিয়ার অ্যাডমিরাল সোহায়েল আটক

প্রকাশিত:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক মুক্তিযুদ্ধ প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব) এবি তাজুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন এবং সাবেক র‍্যাবের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল সোহায়েলকে আটক করা হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দিবাগত রাতে তাদের আটক করা হয়।

গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এদের মধ্যে এবি তাজুল ইসলামকে রাজধানীর গুলশান থেকে, আহমদ হোসেনকে বনশ্রী থেকে ও সোহায়েলকে বনানী থেকে আটক করা হয়।

প্রসঙ্গত, ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম টানা চারবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া৬ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৯ সালের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পান তিনি। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদেও ছিলেন তিনি।

রিয়ার অ্যাডমিরাল সোহায়েলকে গতকাল সোমবার নৌবাহিনী থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান হিসবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোনা-৫ আসনে নির্বাচিত হয়েছিলেন।


আরও খবর
আরও ৩৪ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ

মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পেট্রোবাংলায় তিতাস গ্যাস কর্মীদের হামলা

মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪




রাজবাড়ীতে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শাকিল মোল্লা, রাজবাড়ী

Image

রাজবাড়ীতে শাহিন ফকির শাফিন (৪৫) নামে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সাড়ে ১১ টার দিকে সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের মহারাজপুর আরএএস ইটভাটায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।

শাহিন ফকির শাফিন বসন্তপুর ইউনিয়নের বড় ভবানীপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী ফকিরের ছেলে এবং বসন্তপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি।

শাহিন ফকির শাফিনের ছোটভাই মিলন ফকির বলেন, আমার ভাই মহারাজপুর আরএএস ইটভাটার একজন ব্যবসায়ীক অংশীদার। সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে তিনি ভাটায় বসেছিলেন। হঠাৎ বিএনপি পন্থী সন্ত্রাসী   নেতৃত্বে রায়হান, আসাদ কাজী, শরিফ খান, সেলিমসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী ধারালো চাপাতি ও লোহার রড নিয়ে আমার ভাইয়ের ওপর হামলা চালায়। এসময় তারা চাপাতি দিয়ে আমার ভাইয়ের চোখ ও মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসক তাকে রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রেফার করেন। আমরা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কারণে আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে বিএনপি পন্থী সন্ত্রাসীরা। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. শেখ মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বলেন, ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথা ও চোখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপানো হয়েছে। তার মাথায় ৮ টি সেলাই লেগেছে। এছাড়া মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার ডান চোখ। চোখের ভেতরের কন্টেন্টগুলো সব বের হয়ে গেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে তার চোখটি স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। এ চোখ দিয়ে তিনি আর দেখবেন কি না তা সন্দেহ আছে। তারপরও তাকে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি.এম. আবুল কালাম আজাদ বলেন, যুগলীগ নেতাকে কোপানোর ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এরসঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনা হবে।


আরও খবর



গণআন্দোলনে শহীদদের প্রতি শিরোপা উৎসর্গ বাংলাদেশের

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

নেপালকে ৪-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। গণআন্দোলনে শহীদ ছাত্র-জনতাকে এ শিরোপা উৎসর্গ করেছেন দলটি কোচ মারুফুল হক ও ফাইনালের অন্যতম গোলদাতা রাব্বি হোসেন রাহুল।

ফাইনাল শেষে পুরস্কার বিতরণের পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশ দলের কোচ মারুফুল হক বলেন, আমাদের এই সাফল্য, এই ট্রফি ও আমার এই অর্জন, উৎসর্গ করতে চাই যারা সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন।

এ ছাড়া ফাইনালে জোড়া করে মিরাজুল ইসলাম জিতেছেন সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার। নেপালের বিপক্ষে ফাইনালে নিজে দুই গোলের পাশাপাশি সতীর্থকে দিয়ে করিয়েছেন আরও এক গোল। ম্যাচ শেষে প্রতিক্রিয়ায় মিরাজুল বলেন, আমরা আজ নিজের জন্য খেলিনি, দেশের সবার জন্যই খেলেছি। নেপালও ভালো খেলেছে, আল্লাহ আমাদের সহায় হয়েছেন, আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি।

এর আগে টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্মরণ করে বাংলাদেশ দল। টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম গোল করে মিরাজুল ভিন্ন এক টি-শার্ট প্রদর্শন করেন। সেখানে তিনি আবু সাঈদ-মুগ্ধকে স্মরণ করেছিলেন।


আরও খবর