ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের
আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে খুঁজে বের করতে নির্দেশ দিয়েছে
হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে কি পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে
তা নিরূপন করতে দুদককে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের টাকার পরিমাণ
নির্ধারণ করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এছাড়া আর্থিক কেলেঙ্কারির দায়বদ্ধতা নির্ধারণে বিবাদীদের নিস্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত। সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। ই-কমার্স নিয়ে একাধিক রিটের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেয় আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন হুমায়ন কবির পল্লব, শিশির মনির ও আনোয়ারুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন বিপুল বাগমার। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগের বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে সে সম্পর্কে তিনটি বিষয় জানাতে নির্দেশনা চেয়ে আলাদা আলাদা রিট করা হয়েছিল।
ওই সব রিটের শুনানি নিয়ে গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছিল। পরবর্তীতে এ বেঞ্চের এখতিয়ার পরিবর্তন হলে রিটগুলো মো. মজিবুর রহমানের বেঞ্চে চলে যায়।
ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান
থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স আদায়ে এনবিআরের পলিসি কী এবং ই-কমার্স খাতের স্বার্থে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের
করা ১৬ সদস্যের কারিগরি কমিটির কার্যপরিধি কী সেটিও জানতে চাওয়া হয়।
প্রথমে ই-কমার্সের
গ্রাহকদের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় জাতীয় ডিজিটাল কমার্স পলিসির ম্যান্ডেট অনুসারে
একটি স্বাধীন ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা চেয়ে ২০ সেপ্টেম্বর
রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আনোয়ারুল ইসলাম।
এরপর ২৩ সেপ্টেম্বর
ই-অরেঞ্জে কোটি কোটি টাকা আটকে থাকা ৩৩ গ্রাহক ডিজিটাল বা ই–প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের অধিকার
ও স্বার্থ সুরক্ষায় সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তৈরির জন্য অর্থনীতিবিদ, তথ্যপ্রযুক্তিবিদ,
ব্যবসায়ী ও অন্য অংশীজনদের নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন এবং ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট করেন।
আর ২২ সেপ্টেম্বর মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন, ইভ্যালি ও ই-ওরেঞ্জের
দুজন গ্রাহকের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির আরেকটি রিট করেন।