আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

ইবির সামনে স্পিড ব্রেকারের বেহাল দশা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ইবি প্রতিনিধি

Image

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) প্রধান ফটক সংলগ্ন কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে স্পিড ব্রেকারের বেহাল দশা। ফলে মহাসড়কে বাস-ট্রাক চলাচল করে অনিয়ন্ত্রিত গতিতে। এতে যে কোন সময় সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারে শিক্ষার্থীরা।

এদিকে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার সময় ইবি প্রধান ফটকের সামনে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে একজন মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু হয়। এছাড়া ১ জন গুরুতর আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা: ছোয়া ঈসরাইল।

নিহত সাইফুল ইসলাম সুমন ঝিনাইদহর মহেশপুর উপজেলার মহিশাকুন্ডু গ্রামের আকুল মন্ডলের ছেলে। তিনি কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইলেকট্রনিক মিস্ত্রি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় রাজু মন্ডল নামে একজন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোটরসাইকেল যোগে কুষ্টিয়া থেকে ঝিনাইদহ যাচ্ছিলেন সাইফুল ইসলাম ও রাজু মন্ডল। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে প্রধান ফটকের সামনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে পড়ে যায় মোটরসাইকেলটি। এসময় চলন্ত ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে মোটরসাইকেলে থাকা দুইজনই মারাত্মকভাবে জখম হয়। পরে তাদের তাৎক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে নেয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে আহতদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রেফার করেন। হাসপাতালে নেয়ার পথে মোটরসাইকেল চালক সাইফুলের মৃত্যু হয়।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা: ছোয়া ঈসরাইল জানান, হাসপাতালে আসার পূর্বেই সাইফুলের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে দুর্ঘটনায় বুকে আঘাত পেয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ইয়ামিন মাসুম বলেন, এক্সিডেন্টের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। যিনি ভিক্টিম তাকে সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সে করে ঝিনাইদহে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আননূর যায়েদ বিপ্লব বলেন, দুর্ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থল থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে এবং চালক পুলিশ হেফাজতে আছেন।


আরও খবর



তীব্র তাপদাহে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের পাশে আইজিপি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বৈশাখের তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত। কিন্তু প্রখর খরতাপ উপেক্ষা করেও নগরবাসীর যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে নিরলস দায়িত্ব পালন করছেন ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের প্রতিটি সদস্য। তাদের পেশাদারিত্ব ও মনোবল অটুট রাখতে সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তারই নির্দেশনায় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান প্রচণ্ড দাবদাহে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের একটু বাড়তি স্বস্তি দিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ডিএমপির আটটি ট্রাফিক বিভাগের প্রত্যেক সদস্যের জন্য সুপেয় পানির বোতল সরবরাহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি খাবার স্যালাইন, ফলের জুস, লেবুর শরবত প্রভৃতি সরবরাহ করা হচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদেরকে ছাতা সরবরাহ করা হয়েছে। প্রতিটি ট্রাফিক-বক্সে হাত-মুখ ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে ও তাপপ্রবাহের মধ্যেও সুস্থ থাকতে প্রত্যেক ফোর্সকে করণীয়/বর্জনীয় সম্পর্কে ব্রিফিং প্রদান করা হয়েছে।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মুনিবুর রহমান বলেন, তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এই মুহূর্তে উত্তপ্ত রোদে ইউনিফর্ম পরে পিচঢালা সড়কে দাঁড়িয়ে নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব একাগ্রচিত্তে পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। এ সময় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মনোবল বাড়াতে আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এ ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে একদিকে ফোর্সের মনোবল যেমন চাঙ্গা হচ্ছে, অপরদিকে তাপদাহের মধ্যেও ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে সম্মানিত নগরবাসী পাচ্ছেন সর্বোত্তম সেবা।

মানবিকতার এসব উদ্যোগ গ্রহণ করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সকল সদস্যের পক্ষ থেকে আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।


আরও খবর



চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

থাইল্যান্ডকে বিশেষ অর্থনৈতিক খাতে বিনিয়োগের সুযোগ পরীক্ষা করে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি। দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ও একান্ত বৈঠকের পর দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি-একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং একটি আগ্রহপত্র সই হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশি স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি থাই প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসা খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা পরীক্ষা করে দেখারও প্রস্তাব দিয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের কাছে থাইল্যান্ড একটি সম্ভাবনাময় অংশীদার। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সমুদ্রবন্দরকেন্দ্রিক যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের বন্ধুত্ব ঐতিহাসিক, ভাষাগত এবং অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গভীরে প্রোথিত। আমাদের দুই দেশের মধ্যে উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সহযোগিতার বহুমুখী ক্ষেত্রে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি থাই প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ এবং ব্যবসা সহজীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছি। আমি থাই পক্ষকে আমাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কগুলোতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগের এবং বিশেষভাবে একটি এসইজেড এই সুযোগ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের জন্য থাইল্যান্ড জ্বালানি সহযোগিতায় নিয়োজিত একটি সম্ভাব্য অংশীদার। জ্বালানি সহযোগিতার সম্ভাবনা অনুসন্ধান করতে, শক্তি সহযোগিতাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর এখানে স্বাক্ষরিত দ্বিতীয় নথি। থাই জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং সেরা পর্যটন অনুশীলন থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য আমরা পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই করেছি।

সামুদ্রিক যোগাযোগের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, রানং বন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল নিয়ে দুই পক্ষ আলোচনা করেছে। থাইল্যান্ডের ফ্ল্যাগশিপ ল্যান্ডব্রিজ প্রকল্প বাংলাদেশ অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে অনুসরণ করছে। আমি থাই পক্ষকে দুই দেশের মধ্যে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বিশেষ করে কৃষি, মৎস্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছি।

সকালে থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে যান শেখ হাসিনা। এ সময় থাই প্রধানমন্ত্রী জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানানো হয়।

এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই কুহ ফাহ বিল্ডিংয়ের সামনের লনে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এ সময় থাইল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল কর্তৃক প্রদত্ত গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে স্রেথা থাভিসিন তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের শেখ হাসিনার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। শেখ হাসিনা পরে সরকারি ভবনের অতিথি বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

বৈঠক শেষে সরকারি বাসভবন ত্যাগের আগে শেখ হাসিনা সেখানে আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এর আগে গতকাল বুধবার ৬ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে থাইল্যান্ডে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে পৌঁছলে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনায় বরণ করে নেওয়া হয়। থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত মন্ত্রী পুয়াংপেট চুনলাইদ অভ্যর্থনা জানান।


আরও খবর



দীর্ঘতম সূর্যগ্রহণ: লাইভ দেখবেন যেভাবে

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

৫০ বছরের মধ্যে দীর্ঘতম সূর্যগ্রহণ ঘটবে সোমবার (৮ এপ্রিল)। সংগত কারণেই জ্যোতির্বিদ থেকে শুরু করে সব মানুষের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রবল আগ্রহ। বাস্তবে এই বিরল ঘটনা শুধু যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডা থেকে দেখা যাবে। তবে প্রযুক্তির কল্যাণে বাংলাদেশের মানুষও এ ঘটনা লাইভে উপভোগ করতে পারবেন।

সূর্যগ্রহণের স্থায়িত্ব ও দৃশ্যমানতা নির্ভর করে পর্যবেক্ষকের ভৌগোলিক অবস্থানের ওপর। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস, ওকলাহোমা, আরকানসাস, মিসৌরি, ইলিনয়, কেনটাকি, ইন্ডিয়ানা, ওহাইও, পেনসিলভানিয়া, নিউইয়র্ক, ভার্মন্ট, নিউ হ্যাম্পশায়ার ও মেইন অঙ্গরাজ্য থেকে পূর্ণগ্রাস এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে অবস্থিত সৈকত শহর মাজাটলানের কাছে দর্শক ভালোভাবে পূর্ণগ্রাস গ্রহণ উপভোগ করতে পারবেন। যেসব জায়গায় সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে, সেখানে অন্যান্য দেশের উৎসাহী ব্যক্তিরাও জড়ো হচ্ছেন।

মার্কিন গণমাধ্যম বলছে, এসব অঞ্চলের বাইরের মানুষও লাইভ দেখতে পারবেন এ বিরল দৃশ্য। সূর্যগ্রহণের ঘটনাটি সরাসরি সম্প্রচার করবে নাসা। ইস্টার্ন স্ট্যান্ডার্ড টাইম অনুযায়ী সোমবার দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নাসা এ ঘটনা লাইভ সম্প্রচার করবে। অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে ৮ এপ্রিল রাত ১১টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত দেখা যাবে এই দৃশ্য। এ ঘটনার লাইভ স্ট্রিম নাসার ইউটিউব চ্যানেলে ও নাসাপ্লাস ওয়েবসাইটে সম্প্রচার করবে।

সোমবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে যেভাবে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে এমনটি আগামী দুই দশকে আর দেখা যাবে না। তবে আশঙ্কা রয়েছে বিরল এই সূর্যগ্রহণটি মেঘ ও বজ্রঝড়ে ঢাকা পড়তে পারে। এদিকে, প্রায় সাড়ে চার দশক পর প্রথমবারের মতো বিরল সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে যাচ্ছে কানাডাবাসী। পূর্ণাঙ্গ এই সূর্যগ্রহণ দেখতে দেশটির নায়াগ্রা জলপ্রপাতের কাজে জড়ো হতে পারেন অন্তত দশ লাখ দর্শনার্থী।

পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ একই সরল রেখায় অবস্থান করে, চাঁদ সূর্যের আলোকে সম্পূর্ণভাবে ঢেকে দেয়। এ সময় কয়েক মিনিটের জন্য আকাশ এতটাই অন্ধকার হয়ে যায় যে, মনে হয় সেটা রাতের আকাশ। আর একেই বলা হয় পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ।

নিউজ ট্যাগ: সূর্যগ্রহণ

আরও খবর



অস্ত্রসহ সোনালী ব্যাংকের সহকারী ক্যাশিয়ারসহ ২ কেএনএফ সদস্য গ্রেফতার

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমার সোনালী ব্যাংকের সহকারী ক্যাশিয়ারসহ কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আরও ২ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। রবিবার (৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে রুমার বেথেল পাড়া থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে সেনাবাহিনী জানিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেফতার ২ জনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

এর আগে, সোমবার সকালে কেএনএনফের আরও দুই সদস্য গ্রেফতার হওয়ার কথা জানা যায়। রবিবারও (৭ এপ্রিল) বান্দরবানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে কয়েকজন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। এ সময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র জব্দের কথাও জানান তিনি।

সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের বক্তব্যের পরপরই র‌্যাব জানায়, বান্দরবানে এক বিশেষ অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক চেওসিম বমকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের শ্যারনপাড়ার বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে।


আরও খবর



সব রেকর্ড ভেঙে যশোরে তাপমাত্রা ৪৩.৮

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

চলতি মৌসমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ রেকর্ড করা হয়েছে। যা দেশের ইতিহাসে ১৯৮৯ সাল থেকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন যশোর আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এদিকে চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪৩.৭ ডিগ্রি বিরাজ করছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা রেকর্ড করা হয় ১২ শতাংশ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

মঙ্গলবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। বাতাসের আর্দ্রতা ৫৭%। এরপর দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ১৪%।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ মো. জামিনুর জানান, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের ৩৫ বছরের ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ। আরো দু'একদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।

এর আগে গতকাল সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় এ মওসুমের দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪৩.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যা ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ছিল তাপমাত্রা ৪৩.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ২৬%। সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৪৯%। দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ১৬ %।

কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালকরা ঠিকমতো কাজে বের হতে পারছেন না। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠান্ডা পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছে স্বল্প আয়ের মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরী প্রয়োাজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। তবে রোদের এতো উত্তাপ যে মাথা ঘুরে যাচ্ছে। হিট স্ট্রোকে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।


আরও খবর