আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ইবির ট্টেজারার হতে মরিয়া জাতির পিতাকে কটুক্তিকারী অধ্যাপক আলমগীর

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ মার্চ ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ মার্চ ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
Image
মীর মোর্শেদুর রহমান বলেন, এখন সময় এসেছে কারা বঙ্গবন্ধু প্রেমি ও কারা সুবিধাভোগী অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত করা। কেউ দেশরত্ন শেখ হাসিনার চোখ ফাঁকি দিতে পারবে না বলে আমি মনে করি

ইবি প্রতিনিধি

গতবছর নভেম্বর থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আলমগীর হোসেন ভূইয়া অনুপ্রবেশকারী হিসেবে নানা তথ্য মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে কোন প্রতিক্রিয়া জানাতে রাজি হয়নি তিনি। ফেব্রুয়ারির শুরুতে তৎকালীন ছাত্রনেতা সাদ্দাম হোসেন হলের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আমানুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি প্রত্যয়নে আলমগীর হোসেন ছাত্রদল ক্যাডার ছিলেন মর্মে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত প্রদান করলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এক মাস পর অজানা কারণে প্রত্যয়নপত্র দেয়ার কথা আমানুর রহমান অস্বীকার করলে সেসুত্র ধরে অধ্যাপক আলমগীর প্রতিবাদ লিপি পাঠান। এরপর প্রতিনিধি প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটনের জন্য অনুসন্ধানে নামলে তাঁর সম্পর্কে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেড়িয়ে আসে-

ছাত্রজীবনঃ আলমগীর হোসেন ভূইয়া ১৯৮৮-৮৯ সেশনে গাজীপুর ক্যাম্পাসে ভর্তি হয়। সে সময় অর্থনীতি বিভাগে ২৮ জন ছাত্রের মধ্যে ২১ জন ছাত্রলীগে যোগ দেয় কিন্তু ভূইয়া কোনভাবেই রাজী হননি। এ প্রসঙ্গে তৎকালীন অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র এবং ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য এবং ইবি শাখার সভাপতি আফছার আলী বলেন, "ছাত্রলীগ ও বঙ্গবন্ধুর নামটাও আলমগীর সহ্য করতে পারতো না। আমি নিজে তার রুমে চাঁদা তুলতে গিয়েছিলাম। আমাকে সরাসরী বলেছে তোমার "বঙ্গবল্টু বঙ্গবল্টু"র নাম নিয়ে আর কখনো রুমে আসবি না বলে রুম থেকে বের করে দেয়। জামাত বিএনপির লোকজনের সাথে সবসময় তার উঠাবসা ছিল। সে মূলতঃ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেনের একান্ত বিশ্বস্ত সহচর ছিল। আমি বুঝি না ইবিতে কি হচ্ছে? জামাত বিএনপির লোকের নাম ট্রেজারারের জন্য যায় কি করে? আশ্চর্য কথা! এই অনুপ্রবেশকারীরা আমাদের দলের ক্ষতি করছে। তখনকার সবাই প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী। এটা কি করে হয়?"


শিক্ষকতা জীবন: ১৯৯৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১১ তারিখে অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করেন আলমগীর হোসেন ভূইয়া। যোগদানের বেশ পরে বাসদ সমর্থিত প্রভাবশালী শিক্ষক মুঈদ রহমান তাকে শাপলা ফোরামের ফরম পূরণ করালেও কখনই দলীয় কোন কাজে সক্রিয় করতে পারেননি। এমনকি ১/১১ এ জননেত্রী জেলে থাকা অবস্থায় কোন দলীয় কর্মকাণ্ডে তাকে দেখা যায়নি। বরং অন্য সাধারণ শিক্ষকের মতো স্বাক্ষর করেই ক্ষান্ত। ২০১৩ সালে সাবেক প্রোভিসি অধ্যাপক কামাল উদ্দীন দূর্নীতির দায়ে অব্যহতি পেলে ক্যাম্পাসে কোণঠাসা হয়ে পড়েন। তখন অধ্যাপক কামাল উদ্দীন ও ভূঁইয়া  উভয় গ্রুপের সাথে গোপন আঁতাতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়। পরবর্তী শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ইবির ইতিহাসে ন্যাক্কার জনক ঘটনা ঘটে। কার্যকরী কমিটির ৬ জন সদস্যের প্রবল আপত্তির মুখেও ঐ দুজনেই সভাপতি-সেক্রেটারী পদে প্রার্থী হন। যেটি ক্যাম্পাসে তীরস্কার স্বরুপ 'কামাল উদ্দীন'স মডেল নামে ব্যাপক পরিচিত। ছাত্র ইউনিয়ন থেকে আসা কামাল উদ্দীন ও বঙ্গবন্ধু বিদ্যেষী ভূঁইয়াকে বঙ্গবন্ধু প্রেমিরা যখন কোনভাবেই মানতে নারাজ, তখন তারা তৎকালীন ব্যাপক সমাদৃত ভিসি অধ্যাপক হারুন-উর-রশিদ আসকারী'র শরণাপন্ন হন। বৈঠকের পর বৈঠক করে ভিসি, প্রোভিসি ও ট্রেজারারের হস্তক্ষেপে তারা নির্বাচিত হন। পরবর্তী শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে কামাল উদ্দীন'স মডেল অনুসরণ করলে ঐ দুজনেই দ্বিমত পোষন করে আলাদা প্যানেল দিয়ে পরাজিত হয় এবং অভিযোগ রয়েছে অনুপ্রবেশকারী আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে জামাতপন্থী প্যানেলে ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধু প্রেমিদের পরাজিত করেন তারা। যা, মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার পায়। সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে যাচাই করে এই জঘন্য অপরাধী চক্রের মুখোশ উম্মোচন করা প্রয়োজন বলে একাধিক সিনিয়র শিক্ষক দাবী করেন।

ইবি বঙ্গবন্ধু পরিষদ: অধ্যাপক শাহজাহান আলীর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের আহবায়ক কমিটি দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের যাত্রা শুরু হয় ২০০৫ সালে। পরর্বতীতে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আলাউদ্দীন ও হারুন উর রশিদ আাসকারী, অধ্যাপক আলাউদ্দীন ও মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপক আবুল আহসান চৌধুরী ও আাইনুল ইসলাম, অধ্যাপক আবুল আহসান চৌধুরী ও অধ্যাপক রুহুল কেএম সালেহ। ধারাবাহিকভাবে নির্বাচিত সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু পরিষদ পরিচালিত হয়। হঠাৎ ২০১৬ সালের ৭ই এপ্রিল কেন্দ্র হতে ডাঃ এস এ মালেক স্বাক্ষরিত আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক মাহবুবুরকে আহবায়ক করে কমিটি আত্মপ্রকাশ করলে ইবি বঙ্গবন্ধু অনির্বাচিত কমিটিকে মেনে না নিয়ে ১৬ই এপ্রিল অধ্যাপক কাজী আখতার হোসেনের সভাপতিত্বে অধ্যাপক জাকারিয়া ও অধ্যাপক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করেন। সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয় মীর মোর্শেদুর রহমান। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর আবারো অনির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটি হিসেবে আইসিটি বিভাগের মাহবুবুর রহমান ও মাহবুবুল আরেফিনের কমিটি আত্মপ্রকাশ করলে পাল্টা শিক্ষক ইউনিট নির্বাচনের মাধ্যমে অধ্যাপক রুহুল কে এম সালেহ ও ড. আবু হেনা মোস্তফা জামালকে নির্বাচিত হয়।

প্রতিবেদকের হাতে সকল কমিটি, ভোটার তালিকা, চাঁদা গ্রহনের তালিকা ও সাধারণ সভায় উপস্থিতির স্বাক্ষর সংরক্ষিত আছে। পর্যালোচনা করে দেখা গেছে অভিযুক্ত অধ্যাপক আলমগীর হোসেন ভূঁইয়ার নাম কেবলমাত্র ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরের তালিকা ছাড়া কোথাও পাওয়া যায়নি। অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে কেবলমাত্র ইবির ট্রেজারার পদের লোভে দীর্ঘ ২৪ বছর অপেক্ষা করে তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু মূলগুরু অধ্যাপক মুঈদ রহমান আজও যোগ দেননি।

তৎকালীন প্রভাবশালী ছাত্রনেতা ও কর্মকর্তা ফেডারেশনের বর্তমান মহাসচিব মীর মোর্শেদুর রহমান বলেন, এখন সময় এসেছে কারা বঙ্গবন্ধু প্রেমি ও কারা সুবিধাভোগী অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত করা। কেউ দেশরত্ন শেখ হাসিনার চোখ ফাঁকি দিতে পারবে না বলে আমি মনে করি। আমি তাঁকে ছাত্রজীবন থেকে চিনি। জামাত বিএনপির দোসর ছাড়া কেউ জাতির পিতাকে 'বঙ্গবল্টু' বলতে পারে?? ছাত্রজীবনে আলমগীর হোসেন ভূইয়া কোন দল করতেন সেটা তিনিই প্রমাণ করবেন। জাতির পিতার নাম নিয়ে কটূক্তি কারী তিনি যত বড়োই ক্ষমতাধর হোক না কেন তাকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই।

সরেজমিনে প্রতিবেদন করতে গিয়ে অনেক সিনিয়র শিক্ষকের সাথে কথা হয়। তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ১/১১ আমরা চাঁদা তুলতে পাঠিয়েছিলাম সে স্পস্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, আমি বঙ্গবন্ধু পরিষদ করিনা আবার চাঁদা কিসের? ইউনিয়ন সমর্থিত দুর্নীতির দায়ে পদচ্যুত সাবেক প্রোভিসি কামাল উদ্দীন, বাসদ সমর্থিত ও আওয়ামী সরকার বিদ্বেষী অধ্যাপক মুঈদ রহমান তাঁর উত্থানের পিছনে মূল কারিগর। তাঁদের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সুবিধা ভোগ করে এখন বর্তমান ভিসি তাকে ট্রেজারারের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তথ্য সংগ্রহ করে সরকারের কাছে প্রকৃত রহস্য জানাবেন বলে দাবী তাঁদের।

এই বিষয়ে প্রফেসর আলমগীর হোসেন ভুইয়া কে বক্তব্য নেবার জন্য ফোন করা হলে তিনি বঙ্গবন্ধুকে কটুক্তি করার বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং তিনি বলেন ছাত্রদলের কোন রাজনীতির সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা ছিল না সেই সাথে প্রতিবেদককে মামলার হুমকি প্রদান করেন।


আরও খবর



ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস, কমিটি বিলুপ্ত

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:

বরগুনার তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠুর এক নারীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস হয়েছে। এ ঘটনার পরপরই তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বাতিল করেছে জেলা ছাত্রলীগ।

গতকাল মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা ও সাধারণ সম্পাদক তৌশিকুর রহমান ইমরানের যৌথ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। তবে ওই বিজ্ঞপ্তিতে নারীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিওর বিষয়টি উল্লেখ না করে কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ দেখানো হয়েছে।

জানা যায়, গত দুই তিন দিন আগে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠুর সঙ্গে এক নারীর আপত্তিকর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হয়। ভিডিওটি মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। এক মিনিট ৪ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে নারীর সঙ্গে মিঠুকে অন্তরঙ্গ সময় কাটাতে দেখা যায়। এই ভিডিওটি ফাঁসের পরে উপজেলা ছাত্রলীগের ভেতরে ক্ষোভ বিরাজ করছিল। এর জেরেই শেষমেশ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

এর আগে, গত গত ১২ এপ্রিল উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু মিয়া তালতলী থানায় ওই নারীসহ দুই জনের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় বর্তমানে জেল-হাজতে রয়েছেন ওই নারী। ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজুল আবেদীন মিঠু ওই মামলায় ২নং সাক্ষী।

বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা ভিডিও ভাইরাল হওয়ার বিষয়ে এড়িয়ে গিয়ে বলেন, সংগঠনকে গতিশীল করতে মেয়াদোত্তীর্ণ তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। দ্রুত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হবে।


আরও খবর



নতুন ওয়েব সিরিজে পাওলি দাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ওপার বাংলাতে নারীকেন্দ্রীক ওয়েব সিরিজ নির্মাণের হার ক্রমেই বাড়ছে। এ তালিকায় আরও একটি সিরিজ যুক্ত হচ্ছে। এ সিরিজের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন টালিউড ও বলিউডের জনপ্রিয় নায়িকা পাওলি দাম। সৌভিক কুন্ডু পরিচালিত সিরিজটির শুটিং এরই মধ্যে শুরু হয়েছে।

পাওলি অভিনীত নতুন এ সিরিজের নাম গুটিপোকা। জানা গেছে, এ সিরিজে পারিবারিক প্রতিহিংসার শিকার এক নারীর চরিত্রে অভিনয় করছেন পাওলি। তিনি পেশায় শিক্ষিকা। মূলত শিক্ষিকা এবং ছাত্রীর সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে গল্প।

কিন্তু আপাত ভীরু স্বভাবের পাওলি অভিনীত চরিত্রটি এক সময়ে পরিস্থিতির চাপে কীভাবে ঘুরে দাঁড়ায়, তা নিয়েই সিরিজের গল্প এগোবে। ইউনিটের এক সূত্রের কথায়, একজন মহিলার গুটিপোকা থেকে প্রজাপতি হয়ে উড়ানের আখ্যানকে তুলে ধরবে সিরিজটি।

এ সিরিজে পাওলি ছাড়াও অভিনয় করছেন একঝাঁক তারকা। পাওলির ছাত্রীর ভূমিকায় রয়েছেন বিয়াস ধর। এ ছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন সৌরভ চক্রবর্তী, চন্দন সেন, শঙ্কর দেবনাথ, ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায়, বিদীপ্তা চক্রবর্তী, প্রান্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়, শিঞ্জীনি চক্রবর্তী প্রমুখ। পাওলির স্বামীর চরিত্রে রয়েছেন সৌরভ। নির্মাতারা এখনো এই সিরিজিটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেননি। এটাই সৌভিকের প্রথম ওয়েব সিরিজ হতে চলেছে।

হইচইর জন্য তৈরি এই সিরিজটির প্রযোজনা করছে অ্যাক্রোপলিস এন্টারটেনমেন্ট। আপাতত সিরিজের ওয়ার্কিং টাইটেল গুটিপোকা। তবে পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন হতেও পারে। চলতি সপ্তাহেই সিরিজের শুটিং শেষ হওয়ার কথা। সিরিজটির মুক্তির দিন এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

সম্প্রতি জুলি নামের একটি ওয়েব সিরিজের শুটিং শেষ করেছেন পাওলি। সেই সিরিজে তিনি এক রাজনীতিকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

নিউজ ট্যাগ: পাওলি দাম

আরও খবর



উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

প্রথম ধাপে বিনা ভোটে ২৬ প্রার্থী নির্বাচিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬ প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। এসব পদে ভোটের প্রয়োজন পড়ছে না।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা ওই প্রার্থীদের নির্বাচিত ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা।

চেয়ারম্যান পদে সাত জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে নয় জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এতে বালিয়াডাংগি (ঠাকুরগাঁও) উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, হাকিমপুরে (দিনাজপুর) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, সাঘাটায় (গাইবান্ধা) চেয়ারম্যান, বেড়া (পাবনা) উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, সিংড়ায় (নাটোর) চেয়ারম্যান, কুষ্টিয়া সদরে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, বাগেরহাট সদরে সব পদ, মুন্সীগঞ্জ সদরে সব পদ, শিবচরে (মাদারীপুর) সব পদ, বড়লেখায় (মৌলভীবাজার) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পরশুরামে (ফেনী) সব পদ, সন্দ্বীপে (চট্টগ্রাম) ভাইস চেয়ারম্যান, কক্সবাজার সদরে ভাইস চেয়ারম্যান, রোয়াংছড়িতে (বান্দরবান) চেয়ারম্যান পদ, কাউখালীতে (রাঙামাটি) ভাইস চেয়ারম্যান, চুয়াডাঙ্গার ডামুহুদায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ভোটের প্রয়োজন পড়বে না।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে দেড়শ উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে প্রার্থীরা প্রতীক নিয়ে প্রচারে নেমে পড়েছেন।


আরও খবর



বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া, ৪ মে থেকে কার্যকর

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামী ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া। আগে যাত্রীদের ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্ব গেলে ভাড়ার ক্ষেত্রে ছাড় (রেয়াত) প্রত্যাহার করায় এ ভাড়া বাড়ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সোমবার (২২ এপ্রিল) বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাৎ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আগামী ৪ মে থেকে রেয়াত প্রত্যাহার করায় ট্রেনের ভাড়া সমন্বয় করা হবে।

ট্রেনের ভাড়া কেমন বাড়ছে এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা রেলওয়ের বাণিজ্যিক শাখা নির্ধারণ করবে।

এদিকে রেলসূত্র জানিয়েছে, ১০১ থেকে ১৫০ কিলোমিটার ভ্রমণে একজন যাত্রীর রেয়াত কর ২০ শতাংশ, ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ২৫ শতাংশ আর ৪০০ কিলোমিটার এর ওপরে ৩০ শতাংশ।

রেলসূত্র জানিয়েছে, মে মাসের ৪ তারিখে হতে যদি একজন যাত্রী ট্রেনে ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণ করে তাহলে তাকে ভাড়া বেশি দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলের এই প্রস্তাবনা পাস করেছেন। যা এই মাসের ১ তারিখ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।

বাংলাদেশ রেলওয়ে এ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে,  এতদ্দ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি প্রদান করা হয়। ২০১২ সালে সেকশনাল রেয়াত’ রহিত করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত বলবৎ থাকে। সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়েতে যাত্রীবাহী ট্রেনসমূহে ভাড়া বৃদ্ধি না করে শুধুমাত্র বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে সব প্রকার যাত্রীবাহী ট্রেনে বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি আগামী ৪ মে থেকে কার্যকর করা হবে।

এর আগে গত ১৬ মার্চ বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাৎ আলী রেলের ভাড়া বাড়ছে বলে জানিয়েছিলেন। সেসময় ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির গুঞ্জন উঠার পরে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, রেলের ভাড়া বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা নেই।

২০১২ ও ২০১৬ সালে ভাড়া বাড়িয়েছিল রেলওয়ে। ২০১২ সালের অক্টোবরে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১১০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। পরে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরেক দফায় রেলের ভাড়া বাড়ানো হয় ৭ থেকে ৯ শতাংশ। এর প্রায় সাত বছর পর ২০২৩ সালের শেষার্ধে রেলওয়ের বিভিন্ন সেতু ও ভায়াডাক্টে পন্টেজ চার্জ আরোপের মাধ্যমে আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।

আর রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধা চালু হয়েছিল ১৯৯২ সালে। এর মধ্যে সেকশনভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহার করা হয় ২০১২ সালে। দূরত্বভিত্তিক রেয়াত সুবিধার কারণে দূরপাল্লার ভ্রমণে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের ভাড়া নির্ধারণ হয় দূরত্বের তুলনায় কম।


আরও খবর



ইসরায়েলে হামলা: উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ইরানে মিছিল

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলে সরাসরি হামলায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মিছিল করেছে শত শত ইরানি নাগরিক। দেশটির বিভিন্ন স্থানে এই মিছিল হয়েছে।

ইসরায়েলে চালানো হামলা উদযাপন করতে অনেকেই জড়ো হন তেহরানে অবস্থিত ব্রিটিশ দূতাবাসের সামনে। সেখানে বহু মানুষকে ইরানের পতাকা হাতে দেখা যায়। তাছাড়া ফিলিস্তিনিরে বড় একটি পতাকা নিয়ে অনেকেই জড়ো হন তেহরানের ফিলিস্তিন স্কয়ারে।

প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা যায়, ফিলিস্তিন স্কয়ারের কাছে মোটরসাইকেলের পেছনে দাঁড়িয়ে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াচ্ছেন একজন। এ সময় একজন ডামি বুলেট হাতে নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে তারা।

ইসরায়েলও হামলার তথ্য নিশ্চিত করে বলেছে, তেহরান হামলা শুরু করেছে।

ইরানের হামলা শুরু হওয়ার পরই তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ ইসরায়েলজুড়ে সতর্ক সংকেত বাজানো হয়। তবে ইরানের নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের অধিকাংশই ভূ-পাতিত করা হয়েছে। এঘটনায় এখনো নিহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে অনেকেই আহত হয়েছেন।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানীতে ইরানি কনস্যুলেটে হামলায় ইরানের দুই জেনারেলসহ ১৩ জন নিহত হন। কেউ দায়ভার স্বীকার না করলেও এ হামলা ইসরায়েল চালিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এ ঘটনার পরপরই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেয় তেহরান।


আরও খবর