আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

ইবিতে উচ্চশব্দে গান-বাজনা নিষিদ্ধ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ইবি প্রতিনিধি

Image

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হলসমূহে সন্ধ্যার পর উচ্চ শব্দে গান-বাজনা নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শুক্রবার ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আগামীকাল থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন, টিএসসিসির পরিচালক অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানসহ আট হলের প্রভোস্টবৃন্দ।

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, উচ্চ শব্দে গান বাজনা বন্ধের বিষয়ে কতিপয় শিক্ষার্থী প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলে পরের দিনই এ বিষয়ে জরুরি সভা হয়। সেখানে উচ্চ শব্দে গান বাজনা বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। এরপরেও যদি কেউ এটি অমান্য করে তাহলে কর্তৃপক্ষ আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এদিকে গত ৫ ডিসেম্বর আবাসিক হলসমূহে রাতে উচ্চ শব্দে গান বাজানো বন্ধের দাবিতে লিখিত অভিযোগ দেয় শিক্ষার্থীরা। নিয়মিত গানবাজনা তথা উচ্চ শব্দে মাইক বাজানোর ফলে পড়াশোনায় মনযোগী হতে পারছে না বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন তারা। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানান তারা।


আরও খবর



সব ডিসি-এসপির সঙ্গে ইসির বৈঠক ২৫ এপ্রিল

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), বিভাগীয় কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের ডেকেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ২৫ এপ্রিল তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন। ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের যথাসময়ে বৈঠকে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সব বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং পুলিশ সুপারদের উপস্থিতিতে আগামী ২৫ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সভায় নির্বাচন কমিশনারগণ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থাকবেন।

নির্দেশনাটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, সব বিভাগীয় কমিশনার, উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, সব ডিসি ও এসপিদের পাঠানো হয়েছে।

চার ধাপে অনুষ্ঠেয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তিন ধাপের তফসিল ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইয়ের সময় শেষ। বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮মে। আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ই মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ই মে এবং ভোট ২৯শে মে। এই ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।

এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।


আরও খবর



স্ত্রীকে ২২৪ টুকরো করে গুগলে সার্চ করলেন—‘স্ত্রী মারা গেলে স্বামী কী কী সুবিধা পায়?’

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

স্ত্রীকে খুন করে ২২৪ টুকরা করলেন স্বামী, তারপর গুগলে সার্চ করলেন, কেউ মরে যাওয়ার পর ভূত হয়ে ভয় দেখাতে আসে কি? চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাজ্যে। ওই ব্যক্তির নাম নিকোলাস মেটসন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মিররের প্রতিবেদনে বলা হয়, খুন করার পর তার দেহ ছোট ছোট টুকরো করে কাটেন স্বামী। এরপর প্লাস্টিকের ব্যাগে মুড়ে সেগুলো রেখে দেন ফ্রিজে। তারপর মোবাইলে সার্চ করলেন, কেউ মরে যাওয়ার পর ভূত হয়ে ভয় দেখাতে আসে কি?

পুলিশ বলছে, গত মার্চে স্ত্রীকে খুন করেন অভিযুক্ত ২৮ বছরের নিকোলাস মেটসন। এক বন্ধুর সাহায্য নিয়ে কাটা টুকরোগুলো তিনি ফেলে দেন নদীতে। পরে সেখান থেকে তা উদ্ধার করে পুলিশ। এখন পর্যন্ত ২২৪টি টুকরো উদ্ধার করা গেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকে দিনের পর দিন পুলিশকে বিভ্রান্ত করেছেন যুবক। জানিয়েছেন, তার স্ত্রী স্থানীয় একটি সংগঠনের সঙ্গে কোনো বিশেষ কাজে গিয়েছেন। হাসিঠাট্টাও করেছেন অফিসারদের সঙ্গে। তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, ১৬ মাস আগে তাদের বিয়ে হয়েছিল এবং তার পর থেকেই তরুণীর ওপর নানাভাবে অত্যাচার করতেন তার স্বামী। বিবাহবিচ্ছেদের পথেই হাঁটছিলেন তারা। তার আগেই স্ত্রীকে খুন করেন অভিযুক্ত।

পুলিশ জানতে পেরেছে, স্ত্রীকে ঘুমের মধ্যেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করেন যুবক। তার পর বাথরুমে নিয়ে গিয়ে কাটা হয় দেহ। বাড়ি থেকে রক্তমাখা কাপড়, বিছানার চাদর উদ্ধার করা হয়েছে। দেহ পচার গন্ধ ঢাকতে ঘরে অ্যামোনিয়ার কড়া গন্ধ ছড়িয়ে দিয়েছিলেন অভিযুক্ত। খুনের পর মোবাইলে তিনি দুটি বিষয় সার্চ করেছিলেন। স্ত্রী মারা গেলে স্বামী কী কী সুবিধা পেতে পারেন, তা জানার জন্য গুগলের সাহায্য নিয়েছিলেন তিনি। কেউ মারা গেলে ভূত হয়ে ভয় দেখাতে আসতে পারে কি না, তা-ও সার্চ করেন।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, এর আগে তরুণীর পোষ্য কুকুর এবং হ্যামস্টারগুলোকেও হত্যা করেন ওই যুবক। শুক্রবার ব্রিটেনের আদালতে স্ত্রীকে খুনের কথা তিনি স্বীকার করে নেন তিনি। তার সাজা ঘোষণা স্থগিত রয়েছে। অভিযুক্তের আইনজীবীর দাবি, যুবক জটিল মানসিক রোগে আক্রান্ত।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নেতাদের ‘হস্তক্ষেপ’ নিয়ে চিন্তিত প্রার্থীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর প্রথম অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনের দিকে নজর সবার। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত বেশ তৎপর। যেহেতু দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে না, তাই এবার দল থেকে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না।

প্রথম ধাপের নির্বাচনে বেশিরভাগ উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগই। তাই-তো তৃতীয় কোনো প্রার্থী থাকলে সেদিকেও নজর দিতে হচ্ছে তাদের। অন্যদিকে, স্থানীয় সংসদ সদস্যরা (এমপি) তাদের নিজস্ব বলয়ে রাখতে চাইছেন উপজেলাগুলো। আবার ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও চাচ্ছেন, তাদের বলয়ের মধ্যে থাকুক উপজেলার চেয়ার। এমন এক বা একাধিক বলয়ের বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে প্রার্থীদের।

তবে, একাধিক প্রার্থী জানিয়েছেন, তারা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রী কিংবা কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপ চান না। কোনো রকম প্রভাব ছাড়াই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন প্রত্যাশা তাদের।

বর্তমান সংসদ সদস্যরা উপজেলার চেয়ারম্যান পদটিও অনেক স্থানে ভাগিয়ে নিতে চাচ্ছেন। নিজের পছন্দ মতো প্রার্থী দিচ্ছেন। যদিও ক্ষমতাসীনরা এবার দলীয় প্রতীক দেয়নি। সেই সুযোগ নিতে যাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র এমপিরা। এতে তৃণমূল রাজনীতিতে গ্রুপিংটা আরও প্রকাশ পাচ্ছে।

জানা গেছে, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এসব উপজেলার চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট ৬৯৬ জন। তার মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের অন্তত ৪৬৬ জন নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বাকিরা বিএনপি, জামায়াত ও অন্যান্য দলের প্রার্থী। তবে, বিএনপি ও জামায়াত দলীয়ভাবে নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের অনেক প্রার্থী এখনও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার দৌড়ে আছেন। এ নিয়ে চিন্তিত ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা। তাদের এক পক্ষ হস্তক্ষেপ চান, অপর পক্ষ হস্তক্ষেপ চান না বলে জানা গেছে।

দলীয় সূত্র মতে, উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে থাকার রেষ কাটতে না কাটতে উপজেলা নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচনের সব জের যেন উপজেলা নির্বাচনে প্রকাশ পাচ্ছে। অনেকের মতে, তৃণমূলে আরও বড় হচ্ছে বিভেদের দেয়াল। গেল সংসদ নির্বাচনে নেতাকর্মীদের মধ্যে মনোমালিন্যের যে বাঁক-বদল হয়েছিল, আসছে উপজেলার ভোটে তা আরও নতুন মাত্রা পাচ্ছে। বর্তমান সংসদ সদস্যরা উপজেলার চেয়ারম্যান পদটিও অনেক স্থানে ভাগিয়ে নিতে চাচ্ছেন। নিজের পছন্দ মতো প্রার্থী দিচ্ছেন। যদিও ক্ষমতাসীনরা এবার দলীয় প্রতীক দেয়নি। সেই সুযোগ নিতে যাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র এমপিরা। এতে তৃণমূল রাজনীতিতে গ্রুপিংটা আরও প্রকাশ পাচ্ছে।

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে বিভিন্ন জায়গায় নিকটাত্মীয়দের মনোনয়ন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রার্থিতা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন উন্মুক্ত মানে উন্মুক্ত পরিবেশে নির্বাচন করার ইচ্ছা-বাসনা অনেকেরই থাকতে পারে। আমাদের বক্তব্য হলো, এমপি সাহেবরা বা মন্ত্রী-মহোদয়রা কোথাও কোনো প্রভাব বিস্তার করবেন না। প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকবে। প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কেউ হস্তক্ষেপ করলে তা যেন সফল করতে না পারে। আর প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর কেউ দলীয় নির্দেশ অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নিকটাত্মীয়ের মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে উপজেলা আওয়ামী লীগের অভিযোগ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, আমরা এগুলো জানি। তদন্ত করে খোঁজখবর নিচ্ছি।’

“প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, মন্ত্রী-এমপিরা যেন প্রভাব বিস্তার না করেন। নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে হয়, কেউ কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। প্রশাসন কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। নির্বিঘ্নে ভোটদানের ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন।

আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন নেতাকর্মীরা। কারণ, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দল থেকে প্রতীক ও কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়া হচ্ছে না। এতে যে যার মতো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। কেউ কাউকে ছাড় দিচ্ছেন না। এজন্য নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়ছে। আবার কেন্দ্র থেকেও পছন্দের প্রার্থী সমর্থনের ইশারা দিচ্ছেন কেউ কেউ। এতে সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

বর্তমান সংসদ সদস্য ও তার আশেপাশের নেতাকর্মীরা উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে পারে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী বলেন, তারা (ক্ষমতাসীন দল) একশ ভাগ প্রভাব বিস্তার করবে। আমি নিরপেক্ষ নির্বাচন চাচ্ছি, প্রভাবমুক্ত নির্বাচন চাচ্ছি, যেখানে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে। ভোট দিতে পারে।”

২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এখনও আইনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান আছে। কিন্তু ক্ষমতাসীনদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনও বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। তাদের অনুপস্থিতিতে নির্বাচনকে প্রতিযোগিতামূলক করতে আওয়ামী লীগ এবার উপজেলায় দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দিচ্ছে না।

এদিকে, মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, মন্ত্রী-এমপিরা যেন প্রভাব বিস্তার না করেন। নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে হয়, কেউ কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। প্রশাসন কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। নির্বিঘ্নে ভোটদানের ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন। বিএনপি প্রকাশ্যে উপজেলা নির্বাচনের বিরোধিতা করলেও আমাদের জানা মতে তাদের অনেকেই অংশগ্রহণ করবেন।”

জানা গেছে, ২০১৫ সালে আইন সংশোধন করে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দেওয়ার বিধান যুক্ত করা হয়। ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এখনও আইনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান আছে। কিন্তু ক্ষমতাসীনদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনও বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। তাদের অনুপস্থিতিতে নির্বাচনকে প্রতিযোগিতামূলক করতে আওয়ামী লীগ এবার উপজেলায় দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দিচ্ছে না। দলটির নেতারা প্রার্থী হচ্ছেন। অন্যদিকে, শুরুতে এ নির্বাচনে কিছু জায়গায় প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে সরে এসেছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির যেসব নেতা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন, তাদের তা প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগরের পাশের এক উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জাতীয় নির্বাচনে যে সমস্যা হয়েছিল, উপজেলাতেও সেটা হচ্ছে। স্বতন্ত্র এমপিরা মাঠ দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় নেতারাও বসে নেই। তারাও নিজেদের বলয় টিকিয়ে রাখতে চাচ্ছেন। এতে অন্যান্য প্রার্থীরা বিপদের মুখে পড়েছেন। কেউ দেখাচ্ছেন সাংগঠনিক ভয়, আবার কেউ দেখাচ্ছেন এমপির ভয়। কেউ ঢাকায় বসে, আবার কেউ এলাকায় বসে রাজত্ব চাচ্ছেন। ভোট সুষ্ঠু করতে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে। কারও ইশারায় কাজ করা যাবে না। সবাই হস্তক্ষেপ করতে চাইবে, কিন্তু প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: উপজেলা নির্বাচন

আরও খবর



ফিনল্যান্ডে বুলিংয়ের কারণে স্কুলে গুলি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিনল্যান্ডে মঙ্গলবার স্কুলে কিশোরের গুলিতে সহপাঠী নিহতের মূল কারণ ছিল বুলিং। প্রাথমিক তদন্ত শেষে এই তথ্য জানিয়েছেন দেশটির গোয়েন্দারা।

গত মঙ্গলবার ফিনল্যান্ডে এক স্কুলে ১২ বছরের এক ছেলে গুলি চালায়। এতে তার সহপাঠী নিহত হয়। রাজধানী হেলসিংকির কাছে অবস্থিত এক শহরে ঐ হামলার ঘটনায় আরও দুইজন আহত হয়েছে৷

গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে পুলিশ বলেছে, কাজটি যে পূর্বপরিকল্পিত তার প্রমাণ প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গেছে৷’

বিবৃতিতে সন্দেহভাজন হত্যাকারী যে বুলিংয়ের শিকার হয়েছিল তা নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ সে বিষয়টি জানতো কি না সে ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

সন্দেহভাজন হত্যাকারীর বয়স কম হওয়ায় আদালতে তার বিচার করা সম্ভব নয়। তাই তাকে সোশ্যাল সার্ভিসের কাছে রাখা হয়েছে। হামলার বিষয়টি সে স্বীকার করেছে।

ফিনল্যান্ডে ২০০৭ ও ২০০৮ সালে স্কুলে গোলাগুলির ঘটনার পর ২০১০ সালে বন্দুক সংক্রান্ত আইন কঠোর করা হয়। লাইসেন্স আবেদনকারীর বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২০ করা হয়।


আরও খবর



স্বামী পরকীয়া করছেন সন্দেহে দুই সন্তানসহ ফাঁস নিলেন গৃহবধূ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চাঁদপুর প্রতিনিধি

Image

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে স্বামীর পরকীয়া সন্দেহে দুই শিশু সন্তান হত্যার পর ফাতেমা আক্তার সীমা (২৫) নামের এক নারী আত্মহত্যা করেছেন। দুই শিশুসন্তান হলো আরিফা (৪) ও আরিয়া (২)।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার চর দুখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের পূর্ব লাড়ুয়া গ্রাম থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে দুপুরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করি। ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে। তাদের আর্থিক অবস্থা সচ্ছল। তার স্বামীর সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি- তার আরিফ পরকীয়ায় লিপ্ত আছেন বলে স্ত্রী সন্দেহ করতো।

ওসি আরও বলেন, আমাদের ধারণা পরকীয়া বিষয়টি কেন্দ্র করেই এ আত্মহত্যার ঘটনাটি হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সীমার স্বামী আরিফকে আটক করা হয়েছে।

সীমার বাবা হাইমচর উপজেলার আলগী গ্রামের বাসিন্দা মোস্তফা কোতোয়াল জানান, ছয় বছর আগে আরিফের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর আরিফ কর্মসংস্থানের জন্য দুবাই যান। একমাস আগে বাড়িতে এসেছেন। তার মেয়ের সঙ্গে কোনো বিষয়ে ঝগড়া-বিবাদ হয়েছে কি না- এমন কথা মেয়ে কখনো জানায়নি। সামাজিকভাবেই চার লাখ টাকার কাবিনের মাধ্যমে বিয়ে হয় তাদের।


আরও খবর