রাকিব হোসেন,
ঢাকা:
রাজধানীর কল্যাণপুর
ইবনে সিনা হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় জয়তুন্নেসা
(৭৬) নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ,
ইবনে সিনার ডাঃ
মোনাদি আল ইসলামের গাফিলতি, অবহেলা ও ভুল চিকিৎসার কারণে জয়তুন্নেসার মৃত্যু হয়েছে।
গত ২রা ফেব্রুয়ারি
২০২২ তারিখ কল্যাণপুর ইবনে সিনা হাসপাতালে মৃত্যুবরন করেন।
তারই প্রতিবাদে
ক্ষুব্ধ হয়ে ভিকটিমের পরিবার ও এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে আজ দ্বিতীয় দিনের মতো কল্যাণপুর
ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করেন। ভুক্তভোগী পরিবার আজকের দর্পণ কে জানান
- তারা বহুবার ডাক্তার মোনাদি আল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।পরে
জানা যায় তিনি কল্যনানপুর ইবনে সিনা হসপিটালে দীর্ঘদিন যাবৎ কর্মরত আছেন।
তবে কর্তৃপক্ষ জানান, ডাঃ মোনাদি আল ইসলাম ওরফে মোনাদি ট্রাস্টের
সদস্য না হয়েও সে তাহার বাবার মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ইবনে সিনা ট্রাষ্টের
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জঙ্গি সদস্যদের চাকুরী দিচ্ছেন। ইবনে সিনা ট্রাস্টের ৩৩ জন ডাক্তার
তার জন্য চলতি দায়িত্ব থেকে কনফার্ম হতে পারছে না। সে এস এম ও নামক এক পদ তৈরী করে
নিজেও চাকুরী করে এবং তাদের মাধ্যমে হাসপাতাল নিয়ন্ত্রন করেন। মোনাদি অনেক সিনিয়র
চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের সাথে বাজে আচরন করেছে বিধায় মান সম্মান রাখতে অনেকেই চাকুরী
থেকে চলে গিয়েছে ।
সে এফসি পি পিএস
পাস করেনি অথচ এফসিপিএস, এম, এমএস করা সিনিয়র চিকিৎসকদের সে তার বাবার নাম ব্যবহার
করে নিয়ন্ত্রন করেন এবং প্রিন্সিপাল, পরিচালক, চিকিৎসক এবং কর্মকর্তাদের মান সন্মান
বিবেচনা না করে তাদের লাঞ্চীত করছেন।মোনাদি ইনডোর ও ইমারজেন্সী সব নিয়ন্ত্রন করেন
আই সি ইউ সহ সব তার নিয়ন্ত্রনে সে না বললে আই সি ইউর সিট পাওয়া যায় না এবং আই সি
ইউ তে ভর্তি রুগীর অনেক বেশী বিল হতো তার নির্দেশ মত। কোভিড এর সময় কেলেংকারী সর্বজন
বিদিত। সে নিজে কোভিড আক্রান্ত হয়েও হাসপাতালে নন কোভিড রোগী দেখতে আসতো।
মোনাদির এইসব কর্মকান্ডের জন্য কর্মচারী, কর্মকর্তা ও চিকিৎসক সবার ঘৃনার পাত্র হওয়ায় তাকে হসপিটাল থেকে বের করে দেওয়া হয়।