গরমের এই সময়
রোজা থেকে সন্ধ্যায় শুধু ঠান্ডাজাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছা হয়। একটু শীতল অনুভূতি চায় মন।
দিনের বেলায় আইসক্রিম না থাকলেও সন্ধ্যায় কিন্তু অনেকেই ইফতারে আইসক্রিম রাখেন। কিন্তু
‘ফ্রুট কাস্টার্ড’ইফতারের তালিকায় হয়তো কমই রাখা হয়। কাস্টার্ড
যদি ঠান্ডা করে খাওয়া যায় তাহলে বেশ ভালো লাগে। এখন তাহলে সহজে কাস্টার্ড তৈরির রেসিপি
তুলে ধরা হলো-
দুধের কাস্টার্ড :
উপকরণ : ২ লিটার তরল দুধ, আধা চা চামচ লবণ, ৪
টেবিল চামচ কাস্টার্ড পাউডার, দেড় চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স ও স্বাদমতো লবণ।
প্রক্রিয়া : ২ লিটার দুধ জাল করে ঘন করে নিতে
হবে। ঘন করে দেড় কেজির মতো করে নিন। তবে এক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে যে দুধে
যেন সর না পড়ে। এরপর অন্য সকল উপকরণ (কাস্টার্ড পাউডার ছাড়া) একসঙ্গে দিয়ে দিন। এখন
একটি কাপে দেড় টেবিল পানিতে কাস্টার্ড পাউডার গুলিয়ে দুধে দিয়ে নাড়তে থাকুন। নাড়া না
দিলে পাউডার জমাট বাধার সম্ভাবনা থাকবে। দুধ ঘন হয়ে আসলে আরও কিছুক্ষণ নেড়ে নামানোর
পর ঠান্ডা করে নিন।
ফলের কাস্টার্ড :
উপকরণ : ৪ কাপ দুধ, ২ কাপ লাল ও সবুজ আপেল কিউব
কাট (অবশ্যই চিনি মিশ্রিত পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন), ২-৩ টুকরো করে কাটা ১ কাপ সবুজ ও
কালো আঙুর, ১ কাপ কলা কিউব কাট, ১ কাপ পাঁকা আম কিউব কাট, ১টি আনার, পরিমাণমতো প্লেন
কেকের পাতলা স্লাইস, চেরি কুচি, পেস্তা, রঙিন মোরব্বা কুচি, স্ট্রবেরি ও আমন্ড।
প্রক্রিয়া : প্রথমে একটি পাত্রে কেকের স্লাইস
পেতে রাখুন। তার উপর ১ কাপ দুধ ঢেলে দিয়ে আপেল ও কলা দেয়ার পর আবার ১ কাপ দুধ ঢালুন।
এখন আঙুর, চেরি, আম ও আনার দিয়ে ফের ১ কাপ দুধ দিন। তারপর চেরি কুচি, পেস্তা বাদাম,
কালো ও সবুজ আঙুরের টুকরো, রঙিন মোরব্বা দিয়ে এবার সাজিয়ে রাখুন।
প্রসঙ্গত, দুইটি রেসিপিই প্রস্তুত হওয়ার পর ঘণ্টাখানেক ফ্রিজে রেখে দিন। এতে করে ঠান্ডা হবে। ইফতারের ১৫-২০ মিনিট আগে ফ্রিজ থেকে বের করে সাজিয়ে রাখুন।