আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
মোংলা

ইজিবাইক চালানো শিখতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় ইজিবাইক চালানো শিখতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রাজন শেখ (৪৮) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রোকন উদ্দিন হাওলাদার বলেন, রাজন শেখ আমার ওয়ার্ডের দক্ষিণ চাঁদপাই গ্রামের জহুর শেখের জামাতা। তিনি শ্বশুরবাড়িতেই থাকেন। তিন-চার দিন হলো রাজন একটি নতুন ইজিবাইক কিনে চালানো শিখছিলেন। আজ সকাল ৭টার দিকে বাড়ি থেকে ইজিবাইকটি নিয়ে রাস্তায় বের হন। উত্তর চাঁদপাই এলাকার তিন রাস্তার মোড়ে সিপিবির দুর্যোগ সতর্কীকরণ পতাকা টানানো স্টিলের পাইপের সঙ্গে ইজিবাইকের ধাক্কা লাগে। এতে পাইপটি পাশের বৈদ্যুতিক তারের ওপর পড়লে পাইপ ও গাড়িতে বিদ্যুৎ সঞ্চালন হয়। এ সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যান রাজন।

ইউপি সদস্য আরও বলেন, তার আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা রাজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শেখ সিরাজুল ইসলাম মৃত ঘোষণা করেন।

মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় দুপুর পৌনে ২টার দিকে রাজনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।


আরও খবর



দেশের চিকিৎসকদের গুণগত মান পৃথিবীর কোন দেশের চেয়েও কম নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, বাংলাদেশের চিকিৎসকদের গুণগত মান পৃথিবীর কোন দেশের চেয়েও কম নয়। চিকিৎসকদের ঢালাওভাবে দোষ না দিয়ে, তাঁদের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে কাজ আদায় করে নিতে হবে।

সিলেটে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের মেডিকেল এডুকেশন কনফারেন্স রুমে বৃহস্পতিবার ৭ মার্চ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বিভাগের সকল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষগণ, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ও বিভাগীয় প্রধানগণের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. শিশির রঞ্জন চক্রবর্ত্তীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ)র কেন্দ্রীয় মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে চিকিৎসকের সুরক্ষার তাগিদ দিয়েছেন উল্লেখ করে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, সংসদে সংসদ সদস্যরা যখন বলেন এলাকায় চিকিৎসকরা থাকেন না তখন তিনি পাল্টা প্রতিবাদ করে তাঁদের বলেন, চিকিৎসকেরা থাকবেন যদি আপনারা সাহায্য করেন। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মানসম্মত চিকিৎসক তৈরি করতে পারলে জাতিকে একটা ভালো চিকিৎসা ব্যবস্থা ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

চিকিৎসক ও রোগী সবার সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব তাঁর মন্তব্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে বলেন, সবিনয় অনুরোধ প্রত্যেকেই কর্মস্থলে সময়মত উপস্থিত থেকে ঠিকমত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করুন। প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাঁরা ঠিকমত কাজ করেন তাঁদেরকে প্রত্যেক ক্ষেত্রে একটা বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে কারণ প্রণোদনা না দিলে কেউ প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করতে আগ্রহী হবে না ।


আরও খবর



ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া নারী সাংবাদিকের লাশ হস্তান্তর করা হবে না

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত নারী সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। তার পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হওয়ায় ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া লাশ হস্তান্তর করা হবে না বলে জানা গেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি ভবনে অগ্নিকাণ্ডে মারা যান অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে ওই নারী সাংবাদিক।

ওই নারী সাংবাদিকের লাশ এখনও হস্তান্তর না করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রমনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উৎপল বড়ুয়া। তিনি বলেন, অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর ডিএনএ প্রোফাইলিং করা হয়েছে। কুষ্টিয়ার ওই লোক ছাড়াও আরও একজন অভিশ্রুতি শাস্ত্রীকে নিজের মেয়ে বলে দাবি করেছেন।

ওই নারী সাংবাদিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও চাকরি ক্ষেত্রে নিজের নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে শনিবার বিভিন্ন মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে পরীক্ষা করে অভিশ্রুতির নাম বৃষ্টি খাতুন নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং তার মরদেহ পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, অভিশ্রুতির মৃত্যুর খবরে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ছুটে আসেন এক ব্যক্তি। কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা থেকে আসা সাবরুল আলম সবুজ নামে ওই ব্যক্তি নিজেকে অভিশ্রুতির বাবা বলে দাবি করেন। তিনি জানান, অভিশ্রুতির আসল নাম বৃষ্টি খাতুন।

তবে জন্মনিবন্ধন সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং চাকরির জন্মবৃত্তান্তে নামের ক্ষেত্রে কোনোটিতে বৃষ্টি খাতুন আবার কোনোটিতে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামটা দেওয়া আছে। এসব নথিতে বাবার নামের জায়গায় সাবরুল আলম সবুজ এবং মায়ের নাম বিউটি বেগম লেখা থাকলেও চাকরির জন্মবৃত্তান্তে মায়ের নাম অপর্ণা শাস্ত্রী লেখা।

এদিকে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে অভিশ্রুতির পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ। বিষয়টি নিশ্চিত হতে প্রশ্ন করা হয়েছিল তাকে। তিনি বলেন, ওই নারী সাংবাদিকের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

ওই নারী সাংবাদিককে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে চিনতেন তার সহকর্মীরা। ফেইসবুকেও তার ওই নাম পাওয়া যায়। মন্দিরে গিয়ে নিয়মিত পূজা-অর্চনাও করতেন তিনি।

২০ বছর বয়সী ওই তরুণীর জন্ম নিবন্ধন সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, ইডেন কলেজে প্রবেশপত্র এবং চাকরির জন্মবৃত্তান্তে নামের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন গরমিল রয়েছে। লাশ গ্রহণ করতে এসে সাবরুল আলম বলেন, অভিশ্রুতি আমার মেয়ে। ওর জন্ম ২৫ ডিসেম্বর মনে হয়। আমার মেয়ে। ওর ডাক নাম বৃষ্টি খাতুন। গ্রামে নাম বৃষ্টি, স্কুলে নাম বৃষ্টি, কুষ্টিয়া গভর্নমেন্ট মহিলা কলেজে যখন পড়েছে, তখনও বৃষ্টি, ঢাকাতে যখন ভর্তি হয়েছে ইডেন কলেজে, ঢাবি সাত কলেজের অধীনে, তখনও বৃষ্টি, দর্শনে পড়াশোনা করে রোল নম্বর ২৭৬, তখনও বৃষ্টি।

অভিশ্রুতি বা বৃষ্টির জন্ম নিবন্ধন সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, ইডেন কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার প্রবেশপত্র এবং চাকরির জন্মবৃত্তান্তে বাবা-মায়ের নামে বিভিন্ন রকম তথ্য পাওয়া গেছে। তবে, স্থায়ী ঠিকানা সব জায়গায় একই।

২০২১ সালের ৬ জুলাই ইস্যু করা জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম বৃষ্টি খাতুন হিসাবেই রয়েছে। সেখানে পিতার নাম সবুজ শেখ এবং মাতার নাম বিউটি বেগম। কলেজের প্রবেশপত্রেও তার একই রকম তথ্য আছে।

সাবরুল আলম সবুজ যে এনআইডি কার্ড দেখিয়েছিলেন, তাতে বৃষ্টি খাতুন নাম দেখে প্রতারক ভেবে পুলিশ তাকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

২০২২ সালের ২৩ অক্টোবর ইস্যু করা জন্ম নিবন্ধন সনদে আছে নাম অভিশ্রুতি লেখা হলেও বাবার নাম লেখা হয়েছে মো. সাবুরুল আলম এবং মায়ের নাম বিউটি বেগম।

অন্যদিকে, চাকরির জন্মবৃত্তান্তে নিজের নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী লিখেছেন তিনি। তবে বাবার নাম লেখা হয়েছে সাবুরুল আলম এবং মায়ের নাম অপর্ণা শাস্ত্রী।

জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং জন্মবৃত্তান্তে জন্ম তারিখ ২০০০ সালের ২৫ ডিসেম্বর রয়েছে। তবে জাতীয় পরিচয়পত্রে তার জন্ম তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ১৯৯৮।

অভিশ্রুতির ধর্ম পরিচয় নিয়ে আলোচনা চলছিল ফেইসবুকেও। নিজেকে অভিশ্রুতির কাছের বন্ধু পরিচয় দেওয়া মাহফুজুর রহমান নামের একজন এক পোস্টে লিখেছেন, ধর্মপরিচয় নিয়ে প্রশ্নের সমাধানে প্রয়োজনীয় তথ্য রয়েছে তার কাছে। কিন্তু পরিচয় নিশ্চিত না হওয়ায় শনিবারও মেয়ের লাশ বুঝে পাননি সাবরুল আলম সবুজ।


আরও খবর



ছিনতাই হওয়া এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজে যেকোনো সময় অভিযান

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ এবং ওই জাহাজে থাকা ২৩ নাবিককে উদ্ধারে অভিযান শুরু করার প্রস্তুতি নিয়েছে সোমালিয়ার পুলিশ এবং আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীর একটি সম্মিলিত দল।

সোমবার (১৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এতে বলা হয়, গত সপ্তাহে সোমালিয়ার উপকূলে ছিনতাই হয় এমভি আবদুল্লাহ। প্রায় এক দশক শান্ত থাকার পর এটি সোমালি জলদস্যুদের হাতে গত নভেম্বর থেকে ২০টিরও বেশি জাহাজ ছিনতাই চেষ্টার সবশেষ ঘটনা।

রয়টার্স বলছে, সোমালিয়ার পুন্টল্যান্ড এলাকাটি অসংখ্য জলদস্যু চক্রের ঘাঁটি। আধা-স্বায়ত্তশাসিত এই অঞ্চলটির পুলিশ বাহিনী জানিয়েছে, তারা উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে এবং এমভি আবদুল্লাহকে জব্দ করা জলদস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযানে অংশ নিতে প্রস্তুতি নিয়েছে।

এক বিবৃতিতে পুন্টল্যান্ড পুলিশ বলেছে, আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী অভিযানের পরিকল্পনা করছেএমন রিপোর্ট পাওয়ার পর পুন্টল্যান্ড পুলিশ বাহিনীও প্রস্তুত রয়েছে।

এ বিষয়ে ভারতের নৌবাহিনীর কাছ থেকে রয়টার্স মন্তব্য চাইলেও, তারা এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।

এদিকে রোববার (১৭ মার্চ) পুন্টল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছিল, তারা বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের সরবরাহ করার জন্য মাদক পরিবহনকারী একটি গাড়ি জব্দ করেছে।

উল্লেখ্য, মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।

এর আগে, ভারত মহাসাগরে বিশেষ কমান্ডো অভিযান চালিয়ে সোমালিয়ার জলদস্যুদের ছিনতাই করা একটি বাণিজ্যিক জাহাজ দখলে নিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। মাল্টার পতাকাবাহী এমভি রুয়েন নামের ওই জাহাজটি গত বছরের শেষ দিকে ছিনতাই করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা।

ভারতের নৌবাহিনী আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ৪০ ঘণ্টার অপারেশনে জলদস্যুদের কবলে থাকা মাল্টার জাহাজ এমভি রুয়েনকে উদ্ধার করা হয়েছে। যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কলকাতা শনিবার (১৬ মার্চ) জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ওই জাহাজের ৩৫ জলদস্যুকে কোণঠাসা করে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। পরে তারা আত্মসমর্পণ করে। একইসঙ্গে ওই জাহাজ থেকে ১৭ জন নাবিককে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।


আরও খবর



বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করল ভারত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাস হওয়ার চার বছর পর বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট-সিএএ) কার্যকর করল ভারত। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে ভারতজুড়ে আইনটি কার্যকর হয়েছে। সোমবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় আইনটি কার্যকর হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে নয়াদিল্লিতে আসীন কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

২০১৯ সালে তৎকালীন বিজেপি সরকার আইনটি পাস করেছিল। এই আইন অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ ও পার্সি সম্প্রদায়ের যেসব লোকজন সাম্প্রদায়িক নির্যাতন ও নিপীড়ণের মুখে টিকতে না পেরে ভারতে এসে আশ্রয় নিয়েছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

ভারতে প্রথমবার নাগরিকত্ব আইন পাস হয় ১৯৫৫ সালে। সেই আইন অনুযায়ী, বিদেশ থেকে ভারতে আসা যেসব ব্যক্তি বিগত ১৪ বছরের মধ্যে ১১ বছর ধরে ভারতে বসবাস করছেন এবং অন্তত ১ বছর টানা থেকেছেন, তারা ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করলে তা অনুমোদন করা হবে। নতুন এই আইনটিতে ১১ বছরের মেয়াদকালকে কমিয়ে ৫ বছরে আনা হয়েছে।

২০১৯ সালে আইনটি পাসের পর থেকে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিজেপিবিরোধী বিভিন্ন ভারতীয় দল ছিল সেই বিক্ষোভের নেতৃত্বে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের ব্যাপক বিরোধী।

উত্তর-পূর্ব ভারত থেকেই মূলত আপত্তি উঠেছিল সিএএ নিয়ে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, সিএএ কার্যকর হলে শরণার্থীদের ভিড় ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে। তার ফলে ভাষাগত এবং সংস্কৃতিগত সমস্যা প্রকট হতে পারে। নিজেদের ভাষা এবং সংস্কৃতি রক্ষার স্বার্থেই অনেকে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন।

পাশাপাশি আইনে মুসলিমদের বাদ দেওয়া নিয়েও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। শুধু তা-ই নয়, দক্ষিণ ভারতে সিএএ বিরোধিতার মূল কারণ, শ্রীলঙ্কা থেকে আগত তামিলদের উদ্বাস্তুদের বাদ দেওয়া।

বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে এই আইনের ব্যাপক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন কার্যকর করার নোটিশ জারির পরপরই এক বার্তায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন , রাজ্যে কিছুতেই সিএএ চালু হতে দেবেন না তিনি।

এই আইনের বিরোধিতাকারীদের অভিযোগ, আইনটি ভারতের সংবিধানের পরিপন্থী। কেননা, এই আইনে ধর্মীয় কারণে নাগরিকদের মধ্যে বৈষম্য করা হচ্ছে। তবে বিজেপির বক্তব্য, এই আইনে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না; বরং যারা ধর্মীয় বৈষম্যের কারণে এ দেশে চলে এসেছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

২০১৯ সালে আইনটি পাস হওয়ার পর রাজধানী নয়াদিল্লিসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে দাঙ্গা হয়েছিল। এসব দাঙ্গায় প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক মানুষ।

তবে এবার যেন কোনো প্রকার সহিংসতা না ছড়ায়, সেজন্য সব রাজ্যের পুলিশ বিভাগকে সজাগ থাকার নোটিশ আগেই দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, লোকসভা ভোটের আগেই সিএএ কার্যকর করার নোটিশ জারি হবে। সোমবার সেই কথা রাখল বিজেপি।


আরও খবর



পুরো নগরীকে আলোকায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করেছি : চসিক মেয়র

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রাম নগরীজুড়ে ৬৬ কি.মি. রাস্তায় এলইডি বাতি স্থাপনের কাজের উদ্বোধন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

বুধবার বিকালে কোর্ট বিল্ডিংস্থ শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে কোভিড-১৯ রিকভারি প্রজেক্টের আওতায় প্রথম পর্যায়ে নগরীজুড়ে ৬৬ কি.মি. রাস্তায় এলইডি বাতি স্থাপনের কাজের উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র।

এসময় মেয়র বলেন, আমি পুরো নগরীকে আলোকায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। প্রাথমিকভাবে আজ ৬৬ কি.মি. রাস্তায় এলইডি বাতি স্থাপনের কাজ শুরু হল। পর্যায়ক্রমে পুরো নগরীকে আলোকায়ন করা হবে। এছাড়া আলোকায়নে গুরত্ব দেয়া হচ্ছে নান্দনিকতায়ও। প্রজাপতি ও নৌকার আদলে বাতি দিয়ে শহরের রাতের সৌন্দর্যে ভিন্ন মাত্রা যোগ করা হচ্ছে৷

তিনি বলেন, কিছু এলাকায় তার চুরির কারণে নগরবাসী কষ্ট পাচ্ছে। চুরি ঠেকাতে নগরবাসীর সহযোগিতা চাই, নগরীর ঝুলন্ত তারের জঞ্জাল পরিস্কার হবে, লালখানবাজারে ইতোমধ্যে ঝুলন্ত তার মাটির নীচে নিয়ে গেছি। দেড়বছরের মধ্যে নগরীর সব তার মাটির নীচে নেয়া আমাদের লক্ষ্য।

ফুটপাত রক্ষায় অনড় অবস্থান ব্যক্ত করে মেয়র বলেন, অবৈধভাবে ফুটপাত দখলকারীদের জনস্বার্থে উচ্ছেদ করেছি। অবৈধভাবে রাস্তা দখলের জন্য চাপ তৈরি করতে একটি মহল আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে। কার আন্দোলন? কীসের আন্দোলন? জনগণের ফুটপাত দখল করার অধিকার ওদের কে দিয়েছে? যত আন্দোলনই করেননা কেন আমি ফুটপাতে অবৈধভাবে বসতে দিবনা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলার পিপি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, আবদুস সালাম মাসুম, নূর মোস্তফা টিনু, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, চসিকের বিদ্যুৎ উপবিভাগের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশসহ বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।


আরও খবর