আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

‘ইলিশের উৎপাদন যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার’

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ইলিশের উৎপাদন যাতে কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম

আজ বুধবার (৫ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর মৎস্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ, ২০২৩ উপলক্ষ্যে 'ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে জাটকা সংরক্ষণ ও অভয়াশ্রমের প্রভাব' শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) এ কর্মশালা আয়োজন করে।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, একটি ইলিশের জন্য তার বর্ণাঢ্য জীবনচক্র, বৈশিষ্ট্য, চলাচল, অনুকূল পরিবেশ, নিরাপদ আশ্রয় এ বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ইলিশের প্রাকৃতিক খাবারের মান কতটা কমে যাচ্ছে, জলবায়ুর প্রভাবে ইলিশের উৎপাদন কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এ বিষয়গুলো নিয়ে সরকার কাজ করবে। যাতে ইলিশের উৎপাদন কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। মা ইলিশ সংরক্ষণ, জাটকা সংরক্ষণ, অভয়াশ্রম সংরক্ষণসহ ইলিশের উৎপাদন যাতে কেউ কোনভাবে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে সে জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

মন্ত্রী আরো যোগ করেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পদ্মা, মেঘনা, যমুনাসহ সবখানে নদীর গতিপ্রকৃতি পরিবর্তন হচ্ছে। বেপরোয়া বালু উত্তোলনের কারণে যে নিরাপদ জায়গায় ইলিশ মাছ ডিম দেবে, যেখানে বাচ্চা হবে সে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। যানবাহনের পোড়া তেল-মবিল, শিল্প বর্জ্য নদীর পানিতে মিশে দূষণের ভয়ঙ্কর প্রভাবে মাছ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রগুলোতে আমাদের কাজ করতে হবে।

মন্ত্রী আরো যোগ করেন, এখন মৎস্যজীবীদের বিভিন্ন সংগঠন অনেক সচেতন। আনন্দমুখরভাবে তারা জাটকা সংরক্ষণ অভিযান পরিচালনায় সহায়তা করছে। তবুও কিছু কিছু জায়গায় কিছু দুর্বৃত্ত জাটকা নিধন করে। তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। মোবাইল কোর্ট, অভিযান পরিচালনা, জেল-জরিমানাসহ বিভিন্নভাবে জাটকা নিধন বন্ধ করার জন্য কাজ চলছে।

ইলিশের প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত ব্যাপক উল্লেখ করে এ সময় মন্ত্রী বলেন, ইলিশ সারাবিশ্বে বাংলাদেশকে পরিচিত করার অন্যতম একটি খাত। বিশ্বের সর্বোচ্চ ইলিশ বাংলাদেশে উৎপাদন হয়। ইলিশ রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ রয়েছে। ইলিশ বাঙালির কাছে সবচেয়ে সুস্বাদু ও আকর্ষণীয় মাছ। ইলিশ আহরণ, বিপণনসহ এর সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত মানুষের সংখ্যা অনেক। এ মানুষগুলোর কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্ব দূর হচ্ছে। কাজেই এ মাছ আমাদের ধরে রাখতে হবে।

প্রধান অতিথি আরো বলেন, দেশের মৎস্য খাতে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। মৎস্য বিজ্ঞানী-কর্মকর্তা, মৎস্যজীবীদের বিভিন্ন সংগঠন এবং মৎস্য গবেষণার সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত তাদের সম্মিলিত কৃতিত্বেই মৎস্য খাতে এ অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আজ আমরা এখানে পৌঁছাতে পেরেছি। সরকার এ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য নতুন নতুন অভয়াশ্রম তৈরি, প্রজননক্ষেত্র চিহ্নিত করে তা সংরক্ষণসহ নানা কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। বলেশ্বর নদীতে ইলিশের নতুন প্রজননক্ষেত্র ঘোষণা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত যেখানেই মাছ উৎপাদনের জন্য নিরাপদ আশ্রয় দরকার সেখানেই অভয়াশ্রম তৈরি করা হবে। ইলিশসহ সবধরণের মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকার অভয়াশ্রম তৈরি করতে আগ্রহী এবং সেটা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৎস্য খাতের উন্নয়নে যা যা প্রয়োজন তাই করতে বলেছেন। তিনি বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় মৎস্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান করে দিয়েছেন। তিনি মৎস্য গবেষণা খাতে অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছেন। আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি করে দিয়েছেন। প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।

বিএফআরআই-এর মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ। সম্মানীয় অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম। কর্মশালায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএফআরআই-এর ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম। প্রবন্ধের উপর আলোচনায় অংশ নেন মৎস্য অধিদপ্তরের ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।


আরও খবর



গরমে যে নিয়মে ডিম খেলে শরীর সুস্থ থাকে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

প্রচন্ড তাপপ্রবাহে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। গরমে শরীর না ঘামলেও অনুভূত হচ্ছে অসহনীয় তাপ; যেন শরীর জ্বালাপোড়া করে পুড়ে যাচ্ছে! অসুস্থ হয়ে পড়ছেন মানুষ। গরমে শরীর সুস্থ রাখা জরুরি। শরীর সুস্থ রাখতে গরমে চিকিৎসকেরা হালকা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন । মাংসও ঘন ঘন খেতে বারণ করেন। পরিমাণেও রাশ টানার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বরং সবজি দিয়ে পাতলা মাছের ঝোল কিংবা ডাল খেতে বলেন। তবে ডিমের বিষয়টি আলাদা।

ডিম শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়। চনমনে রাখে। প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে। তাই বলে গরমে ইচ্ছেমতো ডিম খেয়ে যাওয়া কি ঠিক? পুষ্টিবিদদের মতে, গরমে ডিম খাওয়া যাবে না, এই ধারণা একেবারেই ভ্রান্ত। ডিম খেলে হজমের গোলমাল হওয়ার কোনও কারণ নেই। ভাল করে সেদ্ধ করে নিলে সালমোনেলা ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণেরও ভয় নেই। গরমের সঙ্গে ডিমের কোনও বিরোধ নেই।

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিনের জন্য চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, সকলেই প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন। বেশিরভাগ পুষ্টিকর উপাদান প্রাকৃতিকভাবে যেসব খাবারে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় তার মধ্যে অন্যতম হলো ডিম। যেমন- ডিমে আছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, ভিটামিন এ, ডি, বি এবং বি-টুয়েলভ্। এছাড়াও ডিমে আছে লুটেইন ও যিয়াস্যানথিন নাম দুটি প্রয়োজনীয় উপাদান যা বৃদ্ধ বয়সে চোখের ক্ষতি ঠেকাতে সাহায্য করে।

পুষ্টিবিদদের মতে, গরমে ডিম খেলে যে ক্ষতির কোনও কারণ নেই কিন্তু কী খাচ্ছি, তার চেয়েও কতটা খাচ্ছি, সে দিকে নজর রাখা জরুরি। গরমে ডিম খাওয়ার পরিমাণে কতটা রাশ টানা জরুরি? আসলে পরিমাণটা অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, খেলাধুলোর সঙ্গে যুক্ত কিংবা অক্লান্ত শারীরিক পরিশ্রম করেন, তাদের পর্যাপ্ত প্রোটিন খাওয়া জরুরি সে ক্ষেত্রে। সেই প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে দিনে দু-তিনটি ডিম খান অনেকেই। কিন্তু অনেকের আবার শারীরিক পরিশ্রম কম। শরীরচর্চাও করেন না। সে ক্ষেত্রে দিনে একটির বেশি ডিম না খাওয়াই ভাল। বয়স, উচ্চতা, শারীরিক পরিশ্রমের পরিমাণ এবং আরও বেশ কয়েকটি বিষয় জড়িয়ে থাকে ডিম খাওয়ার সঙ্গে।

গরমে হালকা খাবারই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে, গরমের খাদ্যতালিকায় রাখতেই পারেন ডিমকে। ডিম হল সুপারফুড। পুষ্টিগুণে ভরপুর। প্রোটিন, ভিটামিন ডি, বি, জিংক ও ক্যালসিয়ামে ভরপুর ডিম।

স্বাস্থ্যে একাধিক উপকারিতা প্রদান করে ডিম। এমনকি ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যকেও ভালো রাখে। হজমের সমস্যা না থাকলে প্রতিদিনই ডিম খাওয়া যায়। কিন্তু একটার বেশি ডিম খেলে এই গরমে কি শারীরিক সমস্যা বাড়বে?

অনেকের ধারণা, গরমকালে ডিম খাওয়া উচিত নয়, এতে কোলেস্টেরল বেড়ে যায়। এটা শুধু ধারণা মাত্র। ডিমের মধ্যে ভালো কোলেস্টেরল রয়েছে, যা আদতে হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু গরমে ভারী খাবার একটু এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

এমনকি পেট গরম হতে পারে ভেবে অনেকে ডিম খাওয়াও কমিয়ে দিয়েছেন। গরমে ডিম খাওয়া মানা নয়। তবে পরিমাণের দিকটা খেয়াল রাখতে হবে। গরমে দিনে দুটির বেশি ডিম খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, কারও হজমশক্তি খুব ভাল হলেও বেশি ডিম খাওয়া ঠিক হবে না। ডিম দিয়ে কী বানাচ্ছেন সেটাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। ডিম দিয়ে অনেক মুখরোচক খাবার তৈরি করা যায়। জেনে নিন গরমে যে নিয়মে ডিম খেলে শরীর সুস্থ থাকে

ডিম সেদ্ধ করুন এমন ভাবে, যাতে ডিমের সাদাটি সিদ্ধ হয়ে যায়। কিন্তু অথচ কুসুমটি নরম তুলতুলে থাকে। এই ভাবে ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এই ভাবে সেদ্ধ করলে ডিমের মধ্যে থাকা ক্ষতিকারক জীবাণুও মরে যায়। টোস্ট আর ডিম পোচ জুটির বাঙালি বাড়িতেও কম জনপ্রিয়তা নেই। এই গরমে ডিম খেতে হলে পোচ বানিয়ে খাওয়াই ভাল। পেটের গোলমাল হওয়ার ভয় নেই। শরীরও শক্তি পায়। শারীরিক কোনও অস্বস্তি হয় না।

অনেকেই হাফ বয়েল ডিমে আঁশটে গন্ধ পান। তাদের জন্য পুরো সেদ্ধ ডিমই সেরা। মিনিট পাঁচেক পানিতে ফুটিয়ে নিলেই ডিম সিদ্ধ তৈরি। চটজলদি খাবার হিসাবে ডিম সেদ্ধর বিকল্প নেই। লবণ আর মরিচ দিয়েই খেয়ে নিতে পারেন। এ ছাড়াও সেদ্ধ ডিম দিয়ে বানাতে পারেন এগ সালাদ কিংবা এগ স্যান্ডউইচ।

গরমকালে ডিম খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি থাকবে। এতে মুখরোচক খাবার খাওয়া থেকেও দূরে থাকতে পারবেন। এতে সহজেই ওজন কমবে। আর দেহে পুষ্টির ঘাটতিও পূরণ হবে। তাই স্বাস্থ্যের কোনও গন্ডগোল না থাকলে প্রতিদিন একটি করে ডিম খেতে পারেন।


আরও খবর
হিট স্ট্রোক হলে কী করবেন?

মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪

গরমে যে কারণে দই খাওয়া জরুরি

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪




ঈদের দিন থাকবে ঝকঝকে, নেই বৃষ্টির আশঙ্কা

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সারাদেশে আজ দিনের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক। রাতের তাপমাত্রাও থকবে প্রায় একই। আজকের মতো আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঈদের দিনেও আংশিক মেঘলা আকাশসহ দেশের আবহাওয়া মূলত শুষ্কই থাকতে পারে। আশঙ্কা নেই বৃষ্টিপাতের। বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস এমনটাই বলছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় আজকের মতোই অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে ওইদিন রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

এদিকে ঈদের পরের দিন শুক্রবার সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থকে ২ ডিগ্রি বেড়ে যেতে পারে। সে. বৃদ্ধি পেতে পারে ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

এছাড়া আগামী ৫ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, এ সময়ের মধ্যে তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

প্রসঙ্গত, আজ চুয়াডাঙ্গা, ফরিদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও পটুয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই তাপপ্রবাহ কিছু জায়গায় কমে আসতে পারে।


আরও খবর



সিলেটে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সিলেট জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে মেলার উদ্বোধন করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ করতে হলে আমাদের কৃষি খাতে উন্নতি করতে হবে। খাদ্য মানুষের মৌলিক চাহিদা। এ চাহিদা পূরনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার কৃষি খাতে ব্যাপক অগ্রগতি করেছে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রযুক্তি নির্ভর হবে আগামী বাংলাদেশ। দেশকে খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণ করতে হলে আমাদের সবাইকে কৃষি বিপ্লব ঘটাতে হবে। প্রত্যেকে নিজ নিজ জমিতে চাষ করে কৃষি খাতে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ খয়ের উদ্দিন মোল্লাহ, সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আশফাক আহমদ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন আক্তার।

এছাড়াও উদ্যোক্তা কৃষকের বক্তব্য রাখেন গোলাপগঞ্জ আলভিনা গার্ডেনের স্বত্তাধিকারী আব্দুর রব বুবেল। পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন হাফিজ মাওলানা জামিল সিদ্দিকী, গীতা থেকে পাঠ করেন নন্দ দুলাল।

এসময় সিলেট জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা, অতিরিক্ত উপপরিচালবৃন্দ ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাবৃন্দ, বিএডিসি কর্মকর্তাবৃন্দ, এসডিআই কর্মকর্তাবৃন্দ, আলীম ইন্ডাস্ট্রিজের কর্মকর্তাবৃন্দ, সিলেট নার্সারী কল্যাণ সংস্থার সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



জব্বারের বলিখেলায় এবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার শরীফ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলিখেলার ১১৫তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কুমিল্লার শরীফ। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল ৫টা ৪১ মিনিটে তাকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেন রেফারিরা। এবারের আসরে রানার আপ হয়েছেন কুমিল্লার মোহাম্মদ রাশেদ।

বিকেল ৫টা ২৯ মিনিটে দুই বলির চূড়ান্ত কুস্তি শুরু হয়। ১২মিনিট পর শরীফ বলীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এবারের বলিখেলায় ৮৬ জন কুস্তিগির অংশ নিয়েছিলেন। প্রতিযোগিতায় তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান অধিকার করেন যথাক্রমে সৃজন চাকমা ও সীতাকুণ্ডে রাশেদ।

বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন জব্বারের বলিখেলায় প্রধান অতিথি রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।

এর আগে বিকেল ৪টার দিকে বলিখেলা উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বলিখেলার স্পন্সর প্রতিষ্ঠান এনএইচটি স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানসীর।

বলীখেলায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া শরীফ ট্রফির পাশাপাশি প্রাইজ মানি পেয়েছেন ৩০ হাজার টাকা। এছাড়া দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান অধিকারীরা ট্রফির সঙ্গে পেয়েছেন যথাক্রমে ২০ হাজার, ১০ হাজার ও ৫ হাজার টাকা। বলীখেলায় সেমিফাইনালে পর্যায়ের আগে মোট ৪৩ রাউন্ড খেলা হয়। প্রাথমিক রাউন্ডে জয়লাভকারী প্রত্যেকে দেড় হাজার টাকা পেয়েছেন।

জব্বারের বলিখেলার ইতিহাস

১৯০৯ সালে বকশিরহাটের স্থানীয় ধনী বণিক বদরপাতি এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জব্বার সওদাগর এই কুস্তি প্রতিযোগিতার সূচনা করেন। জানা যায়, এই ব্যবসায়ীর শুধু কুস্তির প্রতি ভালোবাসা ছিল না বরং তার মধ্যে ছিল দেশের প্রতি ভালোবাসা। ওই সময় ভারতে ব্রিটিশ শাসনে অবসানে চট্টগ্রামে দানা বাঁধছিল আন্দোলন। পরে তার নাম অনুসারেই এই আয়োজনের নামকরণ হয়েছে।

আয়োজক কমিটির সেক্রেটারি ও প্রতিযোগিতার প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল জব্বারের নাতি শওকত আনোয়ার বাদল বলেন, আমার দাদা এই আয়োজনের সূচনা করলেও এটা এখন আর পারিবারিক ঐতিহ্য নয়। এটা চট্টগ্রামের সকল মানুষের এবং তারা এই অনুষ্ঠানকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।


আরও খবর



স্বামীর সাথে ঝগড়া করে শ্বশুরবাড়িতে বোমা হামলা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

স্বামী-স্ত্রীর অশান্তি নিত্যদিনের। দাম্পত্য কলহ এমনই পর্যায়ে পৌঁছয় যে, স্বামী-স্ত্রীর চিৎকারে অতিষ্ঠ প্রতিবেশীরাও। সেই পারিবারিক অশান্তিতে বোমা হামলার অভিযোগ উঠছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মেয়ের সঙ্গে ঝগড়া করার জন্য জামাইয়ের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলার অভিযোগ উঠছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। বোমার আঘাতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে চার জন। আহতদের প্রত্যেককে ভর্তি করানো হয়েছে স্থানীয় একটি হাসপাতালে।

স্থানীয় সূত্রে আনন্দবাজার জানায়, মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জ ব্লকের তিন পাকুরিয়া অঞ্চলের গোবিন্দপুর এলাকার বাসিন্দা রেহেনা খাতুন ও মেহেদী হাসানের বিয়ে হয় বছরখানেক আগে। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই সাংসারিক অশান্তি শুরু হয় তাদের। মাঝেমধ্যেই সাংসারিক অশান্তি মাত্রা ছাড়িয়ে যেত। মঙ্গলবার মাঝরাতেই হঠাৎ বোমা বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্কিত হয়েও পড়েন স্থানীয়েরা। খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন, রেহানার পরিবারের লোকজনই জামাইয়ের বাড়িতে বোমা হামলা করেছেন। বোমার আঘাতে রেহানার পরিবারের চার সদস্য জখম হন। যাঁদের মধ্যে তিন জনের আঘাত গুরুতর বলে জানা গিয়েছে।

মেহেদীর পরিবারের সদস্য দিলরুবা বেওয়ার বলেন, রাত ১২টার দিকে হঠাৎ বোমার শব্দে ঘুম ভেঙে যায় আমাদের। আমাদের বাড়ির লোকজনকে খুন করার উদ্দেশে বোমা হামলা হয়। বৌয়ের বাপের বাড়ির লোকজন এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।

এদিকে, সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন রেহানার বাপের বাড়ির লোকেরা।


আরও খবর