টুইটারে রাশিয়া-ইউক্রেন
যুদ্ধ সম্পর্কিত অযাচিত পরামর্শ দেওয়ার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিসহ
ইউক্রেনের অন্যান্য নাগরিকদের নিন্দার শিকার হয়েছেন টেসলা ও স্পেসএক্সের মালিক ইলন
মাস্ক।
বার্তা সংস্থা
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে রাশিয়া অধিভুক্ত অঞ্চলগুলোতে
পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠান হতে হবে, ২০১৪ সালে মস্কোর দখল করা ক্রিমিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে
রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে, ক্রিমিয়ার পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে এবং
সেই সঙ্গে এই ব্যাপারে ইউক্রেনকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে জানিয়ে একটি টুইটার পোস্ট করেছেন
ইলন মাস্ক।
গতকাল সোমবার
ইলন তাঁর টুইটার পোস্টে আরও লিখেছেন, ‘হ্যাঁ বা না ভোটের মাধ্যমে ক্রিমিয়া ও দনবাসে থাকা জনগণই সিদ্ধান্ত নিক
তারা কোন দেশের অংশ হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেবে।’ রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ বন্ধ করতে এটিই তাঁর ‘শান্তি পরিকল্পনা’।
এই টুইটের প্রতিক্রিয়ায়
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ইলন মাস্ককে উদ্দেশ্য করে টুইটার পোস্ট করে বলেছেন,
‘আপনিই
বলুন আপনার কাছে কোনটি পছন্দের, যারা রাশিয়াকে সমর্থন করছে নাকি যারা ইউক্রেনকে সমর্থন
করছে?’ উল্লেখ্য,
পোস্টটিতে ভোটের অপশন রাখা হয়েছিল।
এদিকে লিথুনিয়ার
প্রেসিডেন্ট গীতানাস নওসেদা ইলনের এই টুইটার পোস্টের জবাবে লিখেছেন, ‘যখন কেউ আপনার (ইলন মাস্কের) টেসলা
গাড়ির চাকা খুলে নিয়ে যায় তখন কিন্তু সেই ব্যক্তি কোনোভাবেই আপনার গাড়ি বা চাকার বৈধ
মালিক হিসেবে গণ্য হবে না। যদিও তারা দাবি করে যে তারা উভয়ই এর পক্ষে ভোট দিয়েছে।’
এ বিষয়ে ইলন
টুইটারে জানান, ‘জনগণ ইচ্ছা করলে রাশিয়াকে ইউক্রেন থেকে হটানো সম্ভব হবে। রাশিয়ার জনসংখ্যা
ইউক্রেনের মোট জনসংখ্যার তিন গুণেরও বেশি। সে ক্ষেত্রে এই যুদ্ধে ইউক্রেনের জয়লাভের
সম্ভাবনা খুবই কম। আপনারা যদি ইউক্রেনের জনগণকে রক্ষা করতে চান, তাহলে শান্তিপূর্ণ
পন্থা অবলম্বনই শ্রেয়।’
এর আগে চলতি
বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের ফলে ইন্টারনেট ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়ে
পড়লে ইলন মাস্ক বলেছিলেন, স্পেসএক্সের স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা বিভিন্ন টার্মিনালের
মাধ্যমে ইউক্রেনে পৌঁছে দেওয়া হবে।