পাকিস্তানে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে নিয়ে ফাঁস হওয়া নথির বরাতে কয়েকদিন আগে একটি প্রতিবেদন
প্রকাশ করেছিল মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইন্টারসেপ্ট। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইমরান খানকে ক্ষমতা
থেকে সরাতে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ ছিলো।
ফাঁস
হওয়া নথি নিয়ে শুক্রবার (১১ আগস্ট) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন সদ্য ক্ষমতা
ছেড়ে দেওয়া প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। খবর ডনের। তিনি বলেন, যদি এটি হয়ে থাকে তা হবে
বড় ধরণের অন্যায়।
শাহবাজ
বলেন, নথি ফাঁস নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি দুটি বৈঠক করেছে। বৈঠকে সাবেক রাষ্ট্রদূত
ও পররাষ্ট্রসচিব আসাদ মজিদ জানিয়েছেন ডোনাল্ড লুর সঙ্গে বৈঠকে কোনো ষড়যন্ত্র করা হয়নি।
আরও পড়ুন>> সিরিয়ায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ২৩ সেনা নিহত
তিনি
বলেন, ইমরান খান বলেছিলেন রাশিয়ার সঙ্গে তার
সরকারের সম্পর্ক ভালো হচ্ছিল। এ কারণে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। আমরা রাশিয়া থেকে
সস্তায় তেল কিনেছি। যদি এই সরকার মার্কিন ষড়যন্ত্রের কারণে ক্ষমতায় এসে থাকে, তাহলে
এটি আমাদের জন্য লজ্জার।
ওয়াশিংটনে
নিযুক্ত পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত আসাদ মজিদ সেই নথি গত বছর ইসলামাবাদে পাঠান।
এতে আসাদ মজিদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ডোনাল্ড লুসহ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের একটি বৈঠকের বিবরণ রয়েছে। নথিতে
ইউক্রেন যুদ্ধে ইমরান খানের অবস্থান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অসন্তুষ্টি প্রকাশ পায়।
পাকিস্তানি
সামরিক বাহিনীর একটি সূত্র ইন্টারসেপ্টকে নথিটি সরবরাহ করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
পাকিস্তানি ক্যাবলে লুয়ের উদ্ধৃতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে, এর সত্যতা নিয়ে মন্তব্য
না করলেও মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছিলেন, এই কথিত নথিতে
এমন কিছুই নেই যা প্রমাণ করে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানে নেতা নির্বাচনের বিষয়ে কোন অবস্থান
নিয়েছে।